কেন এই পাতা

পানুর ইচ্ছা, লেখক হইবেন । বাঙালি, লেখক না হইতে পারিলে নমো নমো করিয়া পাতের সংস্থান যদি বা হয় জাত রক্ষা হয় না - যথা আঁটকুড়া কুলীন । পানু বিস্তর পরিশ্রম করিলেন । দিস্তা দিস্তা রচনাবলী, অমনিবাস চিবাইলেন । প্রথমে কাব্য টানিয়াছিল, কারণ রস - রসে পাঁউরুটি ভিজিল না । পানু ঘটা করিয়া কিছুদিন রবীন্দ্রসঙ্গীত লিখিলেন (ভেঙ্গেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতিরম্যায়, আট হাজার বাষট্টি টাকার দরজা, খর্চা কে দ্যায় ! অথবা, কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া, চৌমাথার মোড়ে দিব পেন্টুল খুলিয়া) হাউ হাউ করিয়া লোকে মারিতে আসিল । সমস্ত অবজ্ঞা করিয়া পানু লিখিয়া চলিলেন । যদ্যপি পানুর কলমের তোড়ে কাব্যলক্ষী কোঁ কোঁ, সম্পাদকের দপ্তরে চিঁড়া ভিজিল না । অতঃপর পানুর দুঃখে ব্যাবেজ সায়েব কম্পিউটার আবিষ্কার করিলেন । বাজারে ব্লগ আসিল । পানু ব্লগার হইলেন । এই পাতা পানুর পাতা । যা তা ।

Sunday, November 20, 2011

রেখো মা দাশে’রে মনে
সান্যালেও কিছু মনে রেখো
ঠাসবুনোটের দেশে ঘোড়ারুগী
আলগাচরিত এক ফেঁসো
।।.....................।।


সর্বনাম ব্যবহারে উদ্দেশ আসে, উদ্দিষ্টের সাথে কথা । বারতা । আর ডায়ালগ কবিতার পরিপন্থী – এই ধরণের কথা হয়, হয়েছিল একদা আশিতে । বারোটা বাজে আর আমি তুই বলি, তুমি বলি, ব্যবহার করব না করব না করেও আপনিতে পৌঁছে একটু হাঁপিয়ে জল খাই, ইতস্তত করি, প্যান্টের পকেটে হাত ঢুকিয়ে হাল্কা চুলকে নিই ক্রিয়াপদে ঘুঙ্গুর বাজে । বন্ধুরা অনেকে সোজা কবিতা লেখার কথা বলেছিল – সৌমেন, রেণুপদ – আমি কঠিন কবিতা কাকে বলে বুঝি না ওরা সেটা সোজা করে বোঝাতে পারেনি—বেশি নয়, ৩-৪ বছরে টোটাল ঘন্টা দশেক এইসব নিয়ে কথা হয়েছে , এরি মাঝে সিমলিপালে বরফ পড়লো, জাপানে ভূমিকম্প আর নবাবগঞ্জে সেলিম আলির মূর্তি হল – পাখিরা মূর্তি নিয়ে যে কোন বাছবিচার করবে না সেটা জানলেও আশা ছিল, হাজার হোক পক্ষীবিদ তো —
পাখি বলতেই মনে পড়ল—ভাবপ্রবণতা, রবিন রঙের অস্বীকার
অ্যান্ড ডিনায়াল লিডস টু ডিপ্রেশান

অবসাদ

অবসাদ একটি জাঢ্য
অবস্থা
আর গতিহীন কোন কিছুই
প্রতারিত হতে জানে না
এমন কী তা স্বাস্থ্যকর হলেও

হাল্কা হেমন্ত নামে
শীতলতাকে চামড়া পরাতে পরাতে
ভাবি
বাতাসে যে আবেশ থাকবে এ’কথা কেউ কেন জানায়নি
আবেশ যে বাতাস মাত্র এ যদিও জানা ছিল
হাওয়ার আঙ্গিক নিয়ে মাথাব্যথাই
আমাদের খোঁড়া করে তুলল


তার পর অবয়ব তৈরী হয়
অবসাদের
আর অবসাদ এমন অবস্থাপন্ন
জাঢ্যের কারণে
প্রভাবিত হতে ভুলে যায়
ভয় পেতে ভুলে যায় ।

টনটন ফসলে ঢেকে যায় নৌকো
ডুবে যায় আত্মনিগ্রহে
-----------------

এস হে

--------------------

এস হে
লাবণ্য চেনানো পেরেক
ঘাস ফুলের মত ব্রেক
যে দৃশ্য আমাকে দেখেনি
তার ছায়া ঝুলে আছে
পেড়ে নাও
ছবি করে নাও
ভৌত উটের পাশে
কাঠচাঁপা গাছখানি নিভৃতি পাক

--
এই গান, মহাসিন্ধুর ওপার থেকে, এই সব ইন্দ্রানুগত ভেসে আসে ধরা ও ধরণী, ত্বরা ও তরণী, প্রাক মার্কনী –র‍্যাঁবো, রবি, বারীন – মাতাল সোনা হাশিস । নেশা যখন ইন্দ্রিয় পেরিয়ে যায় – বরিশাল থেকে আমিনাবাদ অব্দি হলুদ জলে ওঠে প্রবাহ – যে হলুদ নির্বানের নয়, গর্ভাবস্থা নয়, সুবর্ণাভ গতিচিহ্ন নয় – এক ফেলে আসা ডিকশানের ঘোর ও তার ব্রীড়া ... স্পষ্টত ... ট্রামলাইন আমাদের সাবালক হতে দিল না-- সমস্ত এসো হে, সমস্ত চিল বরাবর ।
--
অতিক্রম একটি অভ্যাস মাত্র – এই ভাবে ভাবতে পারলে সোজা হয়ে আসে দিনকাল । না বুঝেই নিজেকে পেরিয়ে গিয়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে দেখা যায় – কী ভাবে ঈষৎ ঝুঁকে এগিয়ে আসছি, থেমে অগ্রাহ্য করছি, খিস্তি করছি, ভুলে যেতে চাইছি অতিক্রান্ত রাস্তা ... অধিকন্তু ... সময় পেরিয়ে যাচ্ছে ... আর একটি বৈশাখের জন্য দাবদাহের জন্য গলে যাচ্ছে বিচি ... আহবানকারী গান হয়ে উঠছে ... জন্মাতে ভুলে যাচ্ছি, মরতে ভুলে যাচ্ছি ... গাঢ় মৃন্ময় হয়ে যাচ্ছি ... বৃষ্টি ফিরে যাচ্ছে ... না ভিজিয়ে, না ভিজে ।

পারী-জনিত (স্মৃতি) কবিতা

দৃশ্য ভাবায় না
যেখানে ভাব ছিল না
সেখানে দাঁড়ালাম দেখলাম
দৃশ্য একটা স্টীয়ারিং মাত্র
ফলে সব এলোমেলো লাগে
দেখি
বার্তা ঘাড় থেকে ঝেড়ে হেঁটে যাচ্ছে কথা

১০ বছর আগেকার পারীকে
ভাবতে ভাবতে আর্যনীলকে জিগ্যেস করি
নোতরদামের ঝোপের চড়াইগুলো কী এখনো
উড়ছে
মাচো বাস্তুহীন
কী এখনো তাদের খাইয়ে দেয়
আইফেল টাওয়ারের পূবদিকের বাড়িগুলোর
বারান্দায় ঝুলন্ত টব থেকে লতা
আর দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময়কার
জলীয় ওয়াইনে দারচিনি দিয়ে ফুটিয়ে নেবার অভ্যাস

পারীতে তখন বেশ গরম ছিল
সীজনেও
চলাচল বেশী ছিল
সময় যেভাবে সময়কে অতিক্রম করে
অবস্থান যে ভাবে নিরুপায়
ঘাড় গুঁজে থাকে
সেভাবে কাফে ভরে ছিল ক্যানাপে
মমার্তের ক্যারুসেল বন্ধ ছিল
ক্যামেরুণী ছোকরারা সুতোর তাবিজ বাঁধছিল
ভার্সাইয়ের ট্রেনে কাক ভিড় করেছিল
আমাদের চলাচল পাক্কা ট্যুরিস্টের মত ছিল
নীল মোরামের ওপর ঘুড়ির মুখোশ পড়ে ছিল
ঘুড়ি উড়ছিল

পায়রাদের সাথে পাল্লা দিয়ে
ছোটা ইমামবাড়ার উল্টোদিকের
সূর্যাস্তকে ডিসটর্ট করে
ঘুড়িটি সত্য
আমি সত্যের কাছে দাঁড়িয়ে ভাবছিলাম
উড়ে যাওয়া—শুধু এক জরুরী অবস্থা
সাতাত্তুরে মানুষেরা জানে
ব্যবস্থা ছাড়া কোন অবস্থাই
সত্য নয়
সময়, অবস্থান
ঘুড়ি
কথা

Friday, September 30, 2011

স্বগতোক্তি

An organism thrives on communication—with its surroundings, within its ownself. When you look at a cell monolayer—you find that individual cells are separated by an extracellular matrix— the matrix is shared by surrounding cells. Like cells themselves, the matrix (though technically not alive) also communicates, chemically, physically with the cells. A community-based organism—like human has an extensive external network of shared feelings, emotions (shared consciousness?)—a nurturing ground for celebrations, hysteria and culture and most people spend majority of their time in this shared network.

And then there is a rarely ventured wee bit that resides within you interacts with the outer, experiences all that’s to be experienced and yet it always comes back to its den and thinks, alone. I believe, a song, an art that essentially has what it takes to be popular usually touches you through the shared network, the matrix. It hits a string, the string vibrates, and you exult—sometimes, even before the vibration reaches your core.

I know, I am not good enough—but if I were given the ability for a moment—I would want to touch you in there, directly, in your introspection, in your solitude—a solitude that is never conductive to celebration.

Yeah, I know, I know the heavy atmo above doesn’t go well with panu, literally. I never intended it either, but prolonged oxygen deprivation can do that to you (did you know, it can kill you too ! I mean real effing dead).

So let’s venture into the lighter side of the poop. Elders say, it takes some courage to laugh at yourself. I figured, it takes some more to turn yourself into a laughing stock. So, I took the plunge (with some Dutch helpings) and wrote some lyrics, composed me some songs and started shouting from the rooftop. But then, too much of anything hurts, even laugh. OK, OK I admit that "composing" had its perks, a bit of euphoria while recording it, probably a bit of endorphins due to the good honest labor, especially when you’ve had a coupla drinks. But when I listened to them in sobriety, man O man, these compositions are bloody rotten, so rotten in fact that they actually abuse your senses.

সো, পানু ইস অল ডান অ্যান্ড ডাস্টেড, নো মোর পানুসঙ্গীত, নো মোর অফ দিস ওয়ার্থলেস ক্র্যাপ । পানু বউকে বলেছে, পুজোয় এবার যদি একটা ম্যান্ডোলিন কিনে দেয় ! তা লখণৌএর দোকান পত্র ম্যান্ডোলিন কী বস্তু তাই নিয়ে ধাঁধায় । অতএব পানু অন্য কিছুর সন্ধানে – হয়তো চড়ক মেলায় ঘোরা । হয়তো মাছের ডাক শেখা (ডলফিন নয়, রিয়েল ফিশ) ।

Thursday, September 29, 2011

হরিণ



টুপটাপ টুপটাপ বাথটব গায়
বাথরুম ঘুরে বসে চাঁদের দিশায়
টুপটাপ টুপটাপ তারারা ফোটে
রাতপাখি গান গায় পোকা নিয়ে ঠোঁটে
আড় ভাঙ্গে বেহালায় ঘুলঘুলি জাগে
দলছুট হরিণের চোখে স্মৃতি লাগে

মাংসাশী সেই হরিণ, তোমাকেই খুঁজছে
মজ্জায় ঘাঁটি গেড়ে, তোমাকেই বুঝছে
সমুদ্র থেকে ফিরে, শিং-জোড়া জ্বলছে
মাংসাশী সেই হরিণ, ঘিলু ফাঁক করে চাটছে

হরিণের ছিল পাড়া, হরিণের আখড়া
ক্লান্তি আঁকড়ে ধরলে, কুয়াশায় ঘুম মারা
দালানে বাগানে ছিল, লবনের ঠিকানা
চাঁদমারি আজ সবটাই, পশ্চিমী নিশানা

মাংসাশী সেই হরিণ, তোমার কথাই ভাবছে
জ্যামিতি-প্রবণ দ্বীপে, ক্ষুরে সে ত্রিকোণ ভাঙ্গছে
বোকাবোকা তার দাঁতে পাগলাটে লালা লাগছে
মাংসাশী সেই হরিণ, তোমাকেই খুঁজছে

হরিণের ছিল ঘাঁটি, প্রোটোকলহীন মাটি
ভাষাভাবনার মাঠে, পোঁতা ছিল না খুঁটি
বেড়ারা পোষ্য হলে, ভেড়াদের দঙ্গলে
দলগত সব হরিণ, জিরোয় আস্তাবলে

চামড়ার জ্বালা সত্ত্বেও অ্যাসিডে ভিজছে
মাংসাশী সেই হরিণ, তোমাকেই খুঁজছে
নিজের অন্ত্র দিয়েই, শিঙে জ্যা-রোপণ করছে
আয়নায় ঘাঁটি গেড়ে তোমাকেই দেখছে

Wednesday, September 28, 2011

ভয়



ভাষা ছেড়ে যাবে একদিন, তোয়াক্কা করি না
নীরবতা হারানোর কথা ভাবলেই
ভয় হয়

চোখ দেখে অন্য কোথাও
এলাচের ক্ষেতে জমে ঘ্রাণ
আড়মোড়া ভাঙা জনপদ
গ্লানিতে নিজের অম্লান

দৃষ্টি তো হারিয়ে যাবেই, তোয়াক্কা করি না
আঁধার হারানোর কথা ভাবলেই
ভয় হয়

সমাধান শিস দিলে আসে,
লেজ নাড়ে চাটে তালু গাল
সোয়াস্তি ছেঁটে ফেলে মেঘ
আয়নায় ধরছে সকাল

স্বস্তি তো হারিয়ে যাবেই, তোয়াক্কা করি না
সমস্যা হারানোর কথা ভাবলেই
ভয় হয়

চাবকে উঠছে গতিপথ
লালসা, স্পৃহার এই ঘাত
মোহ ধরে গতির নেশায়
পথে পথে বেড়ে ওঠে ছাদ

গতি করে যাবে বেগতিক, তোয়াক্কা করি না
স্থবিরতা হারানোর কথা ভাবলেই
ভয় হয়

Tuesday, September 27, 2011

পাতি গান



ডুবোজাহাজের পোর্টহোলে, যেই কী-না বৃষ্টিটা ধরবে
অম্নি লগি দিয়ে পেড়ে । শুকতারা পকেটে ভরবে
লাইলাইলাই-লালালা- অসময়ে বাজে বেহালা
লাইলাইলাই-লালালা-শ্রমণের হাতে পেয়ালা

গান লিখে চলি রাতে, দোটানাকবল হাতে
জল জমে ভাবনাতে, নিরাপদ সরলরেখাতে
লাইলাইলাই লালালা— ছড় টানে নিজেই বেহালা
লাইলাইলাই লালালা—ম্যানুভার করে পেয়ালা

ক্রসিং-এ ঘুমোয় কুয়াশা, ঢিমে চালে চলে রাস্তা
লিফট নেমে আসে দরদর, আজীবন অফিস ফেরতা
লাইলাইলাই-লালালা- নেমে আসে খাদে বেহালা
লাইলাইলাই-লালালা-ছুটি চায় ক্লান্ত পেয়ালা

আঙ্গুরবাগানে রোদ্দুর, কাল ফের সবুজ ঝরবে
চাদরে জড়ানো যন্ত্রে মাংস মজ্জা ফের ধরবে
লাইলাইলাই লালালা—কড়ি কাঠে বাজে বেহালা
লাইলাইলাই লালালা- হেমলকে ডোবে পেয়ালা

ধারণা



(কৃতজ্ঞতা অনুপম রায়ের একটি কবিতা-র প্রতি-- অনুপমের অনুমতি ছাড়া তুলে দিলাম--
বিশ্ব (১)
রাখো তোমার চোখ আমার চোখের নিচে। তোমার লেগে থাকা দূরদর্শিতায় আমি আমার দেহ রাখি। আমাদের হাজার হাজার ফিলামেন্ট জ্বলে ওঠে এক সমুদ্র আলো তাই আমাদের শয্যা ধুয়ে দেয়। সেখানে জন্ম দাও তুমি আমার ভেতরে এক বিশাল পৃথিবী যেখানে এক তৃতীয়াংশ তুমি আর বাকিটা তোমার কন্সেপ্ট।)


তোমার প্রেরণা ঘোরে মাঝরাতে
দোলা দেয় পার্কের নদী
পিয়ানোর রীড বসে পাবে’র দেয়ালে
ব্রোঞ্জবালিকারা গায় নিরবধি
--যেওনা যেওনা উড়ে পাখি ! ও পাথরের পাখি !

তোমার চেয়েও ছেয়ে থাকে, তোমার বাহানা
তোমার চেয়েও ভালোবাসি, তোমার ধারণা

যতটা তোমাকে ছুঁতে চাই
তারো বেশী পেতে চাই না
ইচ্ছে গুটিয়ে নিই বারবার
আঙ্গুলে ছাপানো ঠিকানায়-
--আমার যাওয়ার কোন ইস্যু নেই --যাবো না । যাবো না ।

তোমার চেয়েও ছেয়ে থাকে, তোমার বাহানা
তোমার চেয়েও ভালোবাসি, তোমার ধারণা

তোমার ঠিকানা ওড়ে দিনমানে
নিমপাতা ঝরে ঝরে পড়ে—
ধুমজ্বরের কাছে ঋণি থাকি
ঋণি থাকি অন্ধকারে –
--কম্বলে মন ঢেকে রাখি । আর বেরোতে চাই না

তোমার চেয়েও ছেয়ে থাকে, তোমার বাহানা
তোমার চেয়েও ভালোবাসি, তোমার ধারণা

বর্ণভেদের আলো ভেদ করে
রং লাগে ঋতুর বাগানে
জন্মান্ধের কাছে খুঁজে দেখ
বরণের আসল মানে
চোখ জোড়া হারাক হলুদ কলুদ বনে – আমি দেখবো না

তোমার চেয়েও ছেয়ে থাকে, তোমার বাহানা
তোমার চেয়েও ভালোবাসি, তোমার ধারণা

Friday, September 23, 2011

pain

When I am hurt, do I judge the blow or the hand attached to it ? The best I can probably do is judge my pain. And then again can you truly judge pain ? Pain is a colour whose intensity is unquantifiable. Can you remember pain ? You quantify the scar and then the scar becomes a filter and you sit on that throne-- judge.

Thursday, September 22, 2011

ছায়া (লিরিক)



বসে আছি, আছে আমাদের নীরবতা রাখা
ছায়াগুলো, সেরে ফেলছে জরুরী যত কথা
আমাদের আছে বালুঘড়ি, আর ঘড়ি নিয়ে লোফালুফি খেলা
বেলা পড়ে অন্য কোথাও । এখানে সবটাই অবেলা

ঘড়ির ভেতর চাঁদ ওঠে, উনুনে উথলে ওঠে দুধ
চাঁদের ছায়ার সাথে তুঁতবনে, ভালো না থাকাই মানে সুখ
কাকে ছোঁব
তোমায়, না তোমার ছায়ার চিবুক ?

বসে আছি, আছে আমাদের নীরবতা রাখা
ছায়াগুলো , সেরে ফেলছে জরুরী যত কথা
শব্দের ছায়া পড়ে দৃশ্যের গায়ে, দৃশ্য ঘুমিয়ে পড়ে একা
রং জমে অন্য কোথাও । এখানে ক্যানভাস ফাঁকা

চোখের ভেতর গান ভাসে, মনে না পড়ার মত মুখ
মুখের ছায়ায় আমলকি বনে, কারো মনে না থাকাই সুখ
কে ভাসে জলে
আমিই, না আমার ছায়ার চিবুক ?

বসে আছি, আছে আমাদের নীরবতা রাখা
ছায়াগুলো হারিয়ে ফেলছে সব কথকতা

(কৃতজ্ঞতা ; হাওয়া মোরগের মন-- আর্যনীল মুখোপাধ্যায়)

(গানগুলো রেকর্ড করা সুর দিতে দিতে । জিন্দেগীতে গান শিখিনি । তালফাল জানি না তায় রাসভকন্ঠী -- সুর কম অসুর বেশী -- When I listen to them myself, I feel quite apologetic for posting them in public -- তবু, পোস্ট করা জাস্ট লিরিক গুলোর জন্য । এগুলোর just নাম "পানু সঙ্গীত" হতে পারে -- বাই কুমার পানু :-)

মহড়া (লিরিক)



শান দিই আলসেমিতে প্রগলভ বারে
স্পৃহা আমার রাত্রি চালায় দুলন্ত শহরে
চোখ রাখা চোখদানিতে, ঘাম ধরে হিমে
স্পৃহার আমার দারুণ মাসল, ডেলি যায় জিমে

সুন্দর হেঁটে বেড়ায় রাস্তায়, মাঠে,
আমাদের বয়স বাড়ে দিনের ওপিঠে

হাওয়া চলে পাঁউরুটিতে, হাওয়া ঘোরে জ্যামে
দখিনের দরজা খোলা ছিল সাবধানে
মোমবাতি, শীতলপাটি, অ্যালবাম, হীরে
সংজ্ঞা ও ব্যবধান ফিরিয়ে গেছে চোরে

যতি ধরে গতির গায়ে, পাগলাটে মতি
ছুটিরও তো পাওনা থাকে কর্মবিরতি

শান দিই ভদ্রতাতে, ভোঁতা হয় মানে
স্পৃহা আমার স্যুটেড বুটেড—পাতার চুট্টা টানে
ছাউনিতে হামলে পড়ে কুকারের সিটী
ন্যাপকিন কোলে স্পৃহা খায় গুড়-রুটি

হাওয়া জমে যন্ত্রণাতে, ফিকে হয় ওড়া
রাত হাঁটে কাঁধে নিয়ে দিনের মহড়া

Saturday, September 17, 2011

যাও পাখি



যাও পাখি, যাও পাখি

পিষ্টে যাচ্ছে আলো পিষ্টে যাচ্ছে মুখ
বিষাদের স্বকীয় প্রিজমে
তীরের ঠিকানা বুকে বুনো শুয়োরের চাল
আবহাওয়া অফিসের বনে

যাও পাখি, যাও পাখি

গিয়েছ, সকালের স্মৃতি নিয়ে
বিজনে রাতের কাছে গোপনে
বলেছ, নির্বিবাদের ভাষা
বায়ু, ফল, ভাসা ভাসা, বয়ানে

শীত আর তেমন করে ঝরবে না
আঁখের খোসায় শিখা ধরবে না

যাও পাখি, যাও পাখি

যত দীর্ঘ চুমু ততই ঠোঁটের ফাঁকে
নির্জনতার বাসা বাড়ে
প্রতিধ্বনির লোভে শব্দ হারিয়ে ফেলি
নোনা ধরা দেয়ালে দেয়ালে

যাও পাখি, যাও পাখি

সারারাত দীর্ঘশ্বাসের কাছে
জ্বালিয়ে রেখেছ মোমবাতি
এসেছ, ফিরে নিজেই নিজের কাছে
অর্ধেক লবণের স্মৃতি

এ’রাত তোমাকে ছেড়ে যাবে না
(তবু) ঘুমের আদলে ঘুম নামবে না

যাও পাখি, যাও পাখি

Thursday, September 15, 2011

আলসে



আলসে
--------
চাঁদ আছে চাঁদে
বাঘ আছে বনে
সংরক্ষন আছে
বাঘেদের মনে
হরিণীর জন্য ব্যাকুলতা

গাং আছে বানে
ঢেউ আছে টিনে
টিংচার আয়োডিন
আছে সাবধানে
ভুবনে প্রেমের ফাঁদ পাতা

ক্রীক শ, ক্রীকি শ
তুমি যাও, আমি যাব না

স্পাইডারম্যান আছে
বিপণীগগনে
ফুলবিক্রেতা আছে
কবরবাগানে
পুজোর জন্য বেলপাতা

জালফাল নন্দিত
ভ্যানিটিসামানে
জাহাজের মাস্তুল
আদার দোকানে
ডন, সারিডন, হেডব্যথা

ক্রীক শ, ক্রীকি শ
তুমি থাক, আমি থাকব না ।

আমি সামান্যই জানি
বস্তুবাদ
বিক্রয়যোগ্য
অবসাদ
ফলে অভাব বুঝি না

চাঁদ,ফুল প্রসবিত
মরুভুমি
তার বালি কোথাকার
দালানে লেগেছে
আমি কিছুই জানি না

ক্রীক শ, ক্রীকি শ
তুমি কাঁদো, আমি কাঁদবো না ।


ফাগুন হুলিয়ে এলে
তুমি আসো
পুরোনো বাংলা গানে
ভালোবাসো
বলো—এসো, বাইরে, দেখ, রোদ সোনা

হোলস্টার থেকে ছোঁড়
ভঙ্গিমা
পা ফেললেই, ঝামা
শ্যামলিমা
বাট, মামনি, ডোন্ট গেট মী রং--আমি রং কানা

ক্রীক শ, ক্রীকি শ
তুমি গাও, আমি শুনবো না ।

Wednesday, September 14, 2011



তিমির ! ডাকলে-- নিহিত পাখিরা নেমে আসে
এই ব্যালকনি নিরত আমার
ঘুরে ওঠা সিঁড়ি
ভিতরতলী হয়ে শালবন নেমে গেছে রীতিবিচ্যুত
ভাবি চোখ, ভাবি দেখা
সীমান্ত থেকে আয়নায় চোখ রাখা
ভাবি মুখ, ভাবি দীর্ণতা
ভাবি কত ভালো তুমি
তোমার চেয়েও ভালো তোমার মুখোস
চোখ গলে গলে তিমিরই তো খসে
তিমির ! ডাকলে-- নিহিত পাখিরা নেমে আসে

Friday, September 9, 2011

লেখা

ধ্বনি জ্বলে আপেল বাগানে
নিরাময় হয়ে ওঠা সেই সব ধ্বনি
আকরিক তামা
তামার খনিতে গজিয়ে ওঠা কৃষ্ণতুলসী
ফলের মজ্জার দিকে তাক করে
গান ও রণন
ফলশ্রুতি
খুনী নেমে আসে
ফল ও শ্রুতির প্রতি
নির্মোহ

তার কামড়ের গঠন
উদাসীন
--
ঘুমাও, ধাক্কা দিও না
জল পড়ে যাচ্ছে বাথরুমে
বাইরে বৃষ্টি পড়ছে
খুনীর পায়ের ছাপ স্থগিত রয়েছে
আমাদের হাতের মত নির্মোহ ছাপ
জল উপচে উঠছে বাথরুমে
বাইরে আলো সাঁতরাচ্ছে
কেউ আসে নি, কেউ আসবেও না
ও শুধু ঘুম ধাক্কা দিচ্ছে দরজায়
এ ছাড়া আর কিছুই থাকার কথা ছিল না
এ ছাড়া আর কিছুই থাকে না

প্রতীক এসে ঘুরে গিয়েছে সন্ধ্যেয়
কামড়ের শব্দটুকু পড়ে আছে
দুধের গেলাসে
--
আছি, তাই সমস্যা রয়েছে – গতিপথ, ভবঘুরে, ট্যারচা শহরে টনটনে ফুল—টার্মিনালে ঘুমন্ত বেহালাবাদকের মুখে চ্যাপলিন গোঁফ আর ছায়া – আর ছায়া – সমাধানের প্রকোপে তিরতির – একরত্তি । এসময় ভারী মোক্ষম হয়ে ওঠে দুপুর, পায়ে পায়ে জলের দিকে এগিয়ে যাওয়া বেড়ালের স্বপ্ন, বেড়ালের স্বপ্ন থেকে পালিয়ে যাওয়া মাছ । আর ভাবতে খারাপ লাগে এই বিজনের মধ্যেও হস্তক্ষেপ হয়ে আছি, সমস্যাসমেত ।

যেভাবে থাকতে চাইনি – জলে অবসর ছুঁড়ে দিল কেউ—নড়বড়ে আলো –সর হয়ে ওঠে গতিপথ । গতিরা কোথায় যায় ? আকারের পাশে বসাবার মত প্রকার – প্রকারের অন্তর্স্থলে ঘন হয়ে ওঠা ভেদ, সমাধান ।

আছি তাই সমাধান নেই বা সমাধান আছে তাই আমি নেই –

যেভাবে থাকতে পারা যায় –ঈষৎ গণিতে, ঈষৎ প্রামাণ্য—বাকীটুকুর জন্য বরফ ঠেলতে ঠেলতে জমাট হয়ে ওঠা ছায়ার – কার্পণ্য জমে, অভিব্যক্তি, কুয়াশা, স্পন্দন – এই এক্ষুনি বৃষ্টি পড়ছে অবতল আয়নায়, কাল বৃষ্টি পড়েছিল উত্তলে ।

না থাকার যুক্তি নেই—বেড়াতে গেছে – রাণাঘাট লোকালে – মদনপুর, শিমুরালি, চাকদা, পায়রাডাঙ্গা—গীর্জার চুড়ো থেকে দেখা আমবাগান আর ফলসাগাছের ডালে লালশিরা – মুল্যাঁরুজের উইন্ডমিলের পাশে স্ট্রোবিং গোলাপি আলোয় গোপাল গিফট শপ । যুক্তি ভাবে ডন কিহো, আপদ শ্বাপদ, আর যুক্তিহীন আমি সরে পড়ি পিগালের বিবিধ অন্তরে । এভাবে ভাবতে পারা যায় –ট্রামলাইন দেখলেই গলা সুড়সুড় করে আর ধোঁয়াটে দারচিনির গন্ধ ঘুরে বেড়ায় হাতঘড়ি, বেল্টে, স্কার্টের হেমে –ছায়ার চোখের থেকে ধার করা আলোয় ধুয়ে ফেলি চোখ – রবি ঠাকুরের মত আমার চোখও গোলাপি গোপাল হয়ে ওঠে ।

গিফটশপ

তৃষ্ণা বসে আছে – ওইখানে যাও – পোঙাটি মারাও।

বার টেন্ডার, ধর্মেও নয়, সাম্যেও নয়, আমি জিরাফের খুলির ভেতর থেকে চাইছি নীল ছাপ আমার নীল অন্তঃস্থলে হলুদ হয়ে উঠছে স্নেহ, পদার্থ ও ক্রমে ভাসমান সাইকেল । দেরী নয়, হারপুন ছোঁড়ো । আর কিছু পরে চাঁদ ফুঁড়ে চলে যাবে স্পৃহা—বর্মসমেত । রুটি আর হালুয়া হাতে জেগে উঠবে শহর । সমস্যা । সমাধান । কামড় ।

Wednesday, August 31, 2011

One of the best blogs ever

Check out http://shankarlahiri.blogspot.com/

গেট-আপ, কন্টেন্ট ফাটাফাটি -- পুরনো কৌরব, ছবি, স্মৃতিচারণ -- বাংলা সাহিত্যের এক অধ্যায়, এক দুরন্ত অধ্যায় । মিস কোরো না বন্ধু ।

Monday, August 29, 2011

নতুন লিরিক



ভুজুং ভাজাং খোলায় ভেজে খাই
উনুন ধরায় নৈমিত্তিক পাপ
উলুস খুলুস পারদ গড়ায় বুকে
ছুবলে গেছে রাতকালি এক সাপ

আমার কোন মরাল ইস্যু নেই
মাথার ভেতর অনিশ্চিত খাঁচা
পদ্য ছিল পোষা কুকুর, এখন
রাতদুপুরে কামড়ে ধরে পাছা

(এস কামখানা, এস আনলিমিটেড অবসাদ
এস জুঁইফুল, গোলাপ, চামেলি-- মারা সাধ)

ভুজুং ভাজাং খোলায় ভেজে খাই
নিদ্রাবশে তাল থাকে না মোটে
দিবস যেমন পাশ কাটিয়ে উধাও
রাত্রিটুকু ওম্নি যাচ্ছে কেটে

মুক্তি তবে সংজ্ঞায়িত হবে
খাটের তলায় আলুর স্তুপে বেশ
চকমিলানো দাওয়ায় বাঁধা থাকে
শর্তসাপেখ নিরুদ্দেশের রেশ

(এস চুলকানি, এস কুঁচকির সীমাহীন দাদ
ভরা মজলিশে, টকটক চানাচুর পাদ)

আমার কোন সোশ্যাল ইস্যু নেই
সমাজপন্থী আপন বাপন চাপ
স্মরণমালা বরণডালার খনি
ঠিকরে ওঠা রোমান্টিক গোসাপ

আমার মনের বলার কথা নেই
বলাই থাকে কানাই ঘোষের সাথে
জ্যান্ত নোলা সকসকিয়ে ওঠে
হৃদয় যখন ময়ূর নাচে মাতে

(এস শান্তি, সমস্ত আয়তন মাপ
এস শৃঙ্খলা, সহমরণে যাবার মত পাপ)

ভুজুং ভাজাং খোলায় ভেজে খাই
কাজের মাঝে তিনশো রাগে দেখি
হিসেব খাতা ফর্সা করে গেছে
কালকুষ্টি কয়লাবরণ পাখি

Sunday, August 28, 2011

রাজহাঁস ( আ ট্রিবিউট টু শক্তি চট্টোপাধ্যায়)





সকাল আমার ভালো লাগে বেশ
আরো ভালো লাগে প্রাতরাশ
মাথার ভেতর রোজ সরোজিনী
চুরি করে সাদা রাজহাঁস

শুধু চোখ মেলে দেখা, এই হাঁস স্পর্শ করা নয়
সরোজিনী বুঝেছিল, শুধু তার বোঝেনি হৃদয়

মাংসে আমার আপত্তি নেই কোন
দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকে স্পৃহা
জিভের ডগায় বাস করে কসাই
ঝানু এবং পাগলাটে মসীহা

শুধু চোখ মেলে দেখা, এই হাঁস স্পর্শ করা নয়
সরোজিনী বুঝেছিল, শুধু তার বোঝেনি হৃদয়

আমার কোন সমস্যা নেই জেন
আমার ঘরে দুঃখ বারোমাস
আমার সকাল জুড়ে সরোজিনীর
পাঁজর ফেটে ডানা—রাজহাঁস

শুধু চোখ মেলে দেখা, এই হাঁস স্পর্শ করা নয়
সরোজিনী বুঝেছিল, শুধু তার বোঝেনি হৃদয়

আমার কোন প্রতীক্ষা নেই জেন
অবসরের মাথায় বাধা ঝুঁটি
চাকু বাঁধা তড়িৎ পায়ে গান
ঘুমিয়ে থাকে জাপটে ধরে টুঁটি

শুধু চোখ মেলে দেখা, এই হাঁস স্পর্শ করা নয়
সরোজিনী বুঝেছিল, শুধু তার বোঝেনি হৃদয়

Saturday, August 27, 2011

মোদো গান (audio; not video)



কুন্তলে তব হেনা
বীয়ারে জেগেছে ফেনা
আর কিছু চাইছে না
পাবলিক হৃদয়

তুমি মামু বড় রিস্কি
আলপিন হাতে ফ্রিস্কি
বোধোদয়ে হুইস্কি
তোমার হোক বিজয়

বিধি কী হইল বাম
ঘড়িতে মধ্য যাম
বোতলে তলানি রাম
চুমুকে সূর্যোদয়

মহুয়ার পলিপ্যাক
গীটারের ঝিনচ্যাক
(তবু) কুকুর ডাকিছে ঘ্যাঁক
(এই) বেদনা অক্ষয়

বদ্দি বলেছে প্যানিক
অ্যাটাকে ঘটি’তে খানিক
জিন সহযোগে টনিক
উদ্দাম নিরাময়
প্রেম-প্রীতি চীনে পটকা
জীবনে যাবৎ খটকা
লিটার দু’তিন ভডকা
সেবনে উজাড় হয়

তুমি মামু দেখি স্পিকটি
নট হয়ে জানো ভিকট্রি
আমার ভ্যাটে যে সিক্সটি
নাইন না হলে নয়

চুল্লু-ভর পানি
(আমি) তাহারে মহান মানি
(আমি) নীলাকাশে টানি ঘানি
(ও হো) আমি কী প্রতিভাময়

আজকাল এই ট্রেন্ডি
(আমি) কুয়োয় ঢালছি ব্র্যান্ডি
চন্ডালিকার ঠান্ডি
পরশ পেলে তো হয়


ভ্রাতা সাগরনীল ও এই অধম সইত্যযুগে সোমরসের একছত্র মার্কেট সাবোটেজ করতে কলিযুগ ঘুরে এই গান লেখে । গান্টি সোমবারে লেখা । গান্টি যে কোন সুরে গাওয়া যেতে পারে, তবে, শ্রদ্ধেয় মান্না দে’র “হয়তো তোমারি জন্য/ হয়েছি প্রেমে যে বন্য “-এর সুরটি আইডিয়াল মনে হয় ।

সাবধানবাণীঃ মাল খেয়ে লাফালাফি করা ভাল নয় । ঝাঁপতাল ব্যবহার না করাই ভাল ।

Thursday, August 25, 2011

একটা লেখা

যেন খুব ভোর হয়ে এল
যেন স্পষ্টতা
আলোকবিদ্ধ মানুষের
আর কীসের যাতায়াত গুহা কন্দরে
সংস্কৃতি আর এক অনির্বচন পাড়
--ভাঙ্গা
--শাড়ি
--হারানো

Eventually culture grabs you by your crockery and your resistance melts – you just spread it on a toast and get on with your breakfast…

এই ভাবে ভোর হয়ে আসে
মাথার ভেতর খেলা করে চোখ
কে বোঝাবে
এটাও যে একটা রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট

আলোকবিদ্ধ লোক
তুমি কী আলোক ?

Friday, August 19, 2011

বাংলা সমান্তরাল বিশ্বকোষ (প্রথম সংস্করণ, আপডেট চলিবে)



--

অকার্য কর

খ্রীস্টাব্দ ৬২৫-এ গৌড় রাজ শশাঙ্ক, থানেশ্বর অধিপতি হর্ষবর্ধন প্রেরিত গুপ্তঘাতক আনীত বিষাক্ত পাটালি গুড় ও শসামুড়ি খাইয়া প্রাণত্যাগ করিলে গৌড় বঙ্গে যার পর নাই অরাজ্যের সৃষ্টি হয় । শশাঙ্কপুত্র মানব দেব মাত্র অষ্ট মাস কাল রাজত্ব করিয়া মানসিক অবসাদগ্রস্ত হইয়া শ্রীমৎ ওসো রজনীশের আশ্রমে গমণ করেন । বাণিজ্য, কৃষি ও ওকালতি ব্যবসায়ে মন্দার কারণে মুদ্রাস্ফীতি ঘটিয়া অনর্থ হইতে থাকে । কথিত মুদ্রাস্ফীতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, বঙ্গদেশবাসী সেই স্ফীত মুদ্রায় দড়ি বাঁধিয়া আকাশপথে ঝুলিতে ঝুলিতে যবন, মগ ও ম্লেচ্ছে দেশে পলাইতে শুরু করে । দেশের এই দূরাবস্থায় দৈনিক সংবাদপত্রে পাত্র চাই বিজ্ঞাপন মারফৎ দেশীয় বণিক ও অমাত্য কূল উপযুক্ত শাসকের খোঁজ করিতে আরম্ভ করেন । কথিত, বণিক ও অমাত্য সভা ৩২০০০ বায়োডাটা সার্চ করিয়া অবশেষে উৎকল দেশবাসী তরুণ তকনিকবিদ শ্রী রাজঅ কার্যঅ কর-কে বঙ্গনৃপতি পদে নিয়োজিত করেন । রাজঅ কার্যঅ কর নামটি অচিরেই অপভ্রংশবশত রাজা অকার্য কর-এ পর্যবসিত হয় । শ্রী অকার্য কর এক পয়লা মাপের যন্ত্রবিদ ছিলেন কিন্তু তিনি যে যন্ত্রই তৈয়ার করিতেন তাহা প্রত্যাশিত কার্য না করিয়া অন্য অদ্ভূত ক্রিয়া করিত । প্রজাদের দরখাস্ত লিখিবার সুবিধার্থে রাজা অকার্য কর একটি যন্ত্র লেখনী আবিস্কার করেন যাহা আজিকার টাইপরাইটার-এর জনক । রাজা অকার্যকর উক্ত যন্ত্রটির নামকরণ করেন –“হস্তধৃতসংক্ষিপ্তটরেটক্কানিনাদীকীযেনদুরছাইহ্যাঁহ্যাঁমনেপড়েছেলেখনী যন্ত্র” – আজিকার বিশিষ্ট বৈজ্ঞানিক স্টিভেন টকিংএর মতানুসারে উক্ত যন্ত্র কেবল টাইপরাইটার-ই নহে, ইহা প্রকৃতপ্রস্তাবে মনুষ্য-প্রস্তুত কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা (artificial Intelligence) সম্পন্ন প্রথম যন্ত্র । রাজা অকার্য কর উক্ত যন্ত্রটিরে সৌহার্দের নিদর্শন স্বরূপ কালিকটের কেরাণী রাজা কুতুবমিনার কেবলম-কে উপহার দেন । রাজা কুতুবমিনারের বংশধর রাজা জামোরিন সেই অদ্ভুত যন্ত্রটি শ্রীমৎ ভাস্কো দা গামা’কে*** ভেট দেন । মহান পন্ডিত ভাস্কো দা গামা যিনি হার্মাদ্গিরির ফাঁকে ফাঁকে ধ্রুবতারার আলোয় বসিয়া ফার্স্ট বুক, বর্ণপরিচয়, কামসূত্র ও পিকউইক পেপারস পড়িয়া সম্পূর্ণ নিজ প্রচেষ্টায় বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান লাভ করিয়াছিলেন এবং তৎকালীন পর্তুগাল দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়া যার পর নাই আশাহত ছিলেন –এই যন্ত্রটি হাতে পাইয়া অভিভূত হইয়া পড়েন । উক্ত যন্ত্র ব্যবহার করিয়া তিনি তৎক্ষণাৎ পর্তুগালের তৎকালীন রাজা জন দুই-কে একটি পত্র লেখেন—যাহা শিক্ষার ব্যাপক প্রসারের পক্ষে । পূরা পত্র পর্তুগীজ ভাষায় লিখিলেও ভাস্কো আবেগের বশে শেষ পংক্তিটি ইংরাজী (তৎকালীন শিক্ষিত সমাজের ভাষা)-তে লিখার লোভ সংবরণ করিতে পারেন নাই । দুর্ভাগ্যবশত আপন কেরদানি প্রদর্শনহেতু কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন যন্ত্রটি Pen is mightier than sword বাক্যবন্ধ-টিরে সামান্য বদলাইয়া Penis mightier than sword-করিয়া দেয় । জন দুই, ভাস্কো দা গামার পান্ডিত্যে অগাধ বিশ্বাস রাখিতেন ফলে পত্রটি তাহার নিকটে পৌছাইবা মাত্র তিনি এক গোপন ও মোক্ষম অস্ত্রের হদিশ পাইয়াছেন মনে করিয়া ফরাসী দেশের রাজা শার্ল সাত-কে দ্বন্দ্বযুদ্ধে আহ্বান জানান । এর পরের অংশ ঐতিহাসিকরা জিনিভা চুক্তির মাধ্যমে গোপন রাখিলেও ভাস্কো দা গামার উপর্যুপরি আক্রমণে কালিকট বন্দরের অক্কাপ্রাপ্তির ঘটনা আজ সর্বজনবিদিত ।

রাজা অকার্য করের অপর বিখ্যাত আবিষ্কার “বিনাঅগ্নিঅল্পসময়েশুল্যপক্কমাংস্প্রস্তুতকারীসললুপজাস্টআরএট্টুনুন যন্ত্র” যাহা আজিকার মাইক্রোওয়েভ ওভেনের জনক বলিয়া পরিচিত । উক্ত যন্ত্রটি শুল্যপক্ক মাংস প্রস্তুতে কার্যকারী হইলেও উহা বিজাতীয় ভাষায় ব্যবহারকারীর সহিত কথোপকথনে (সম্ভবত)-র প্রচেষ্টা করিত । বানভট্ট ইহার উল্লেখ কাদম্বরী নামক গ্রন্থে করিয়াছেন । বানভট্টের মতে উক্ত যন্ত্রটিতে লৌহ শলাকায় মাংস গাঁথিয়া ভরিয়া দিলেই যন্ত্রটি বলিয়া উঠিত –“ দোরবো কাচো দাআবারজ্বা লাতেএয়েচো” – প্রখ্যাত ভাষাবিদ উৎপ্রেক্ষা মৌলিকের মতে –ইহা কিরঘিজ ভাষায় সম্ভ্রমসহিত অভিবাদন । বলাই বাহুল্য তৎকালীন গৌড় বঙ্গে কিরঘিজ ভাষাজ্ঞান না থাকার কারণে উক্ত যন্ত্রটি সাধারণের ব্যবহারযোগ্য হইয়া উঠে নাই । রাজা অকার্য করের এই নিয়মিত আবিষ্কারের প্রেরণাকে স্তিমিত করিবার উদ্দেশ্যে সভাসদেরা অবশেষে হিন্দু রীতি নীতি তুচ্ছ করিয়া রাজাকে ৬৭ বার দার পরিগ্রহণ করান । উপরোক্ত ৬৭টি বিবাহ হইতে তাঁহার ২৩২ জন সন্তানের জন্ম হয় । তাঁহার কৃতী পুত্র পুত্রী দের মধ্যে-- আলস্য কর, আপত্তি কর, ইশারা কর, ঈর্ষা কর, উল্লাস কর, উৎকণ্ঠা কর, উত্থাপন কর, ঊহ্য কর, কর কর, বিলাস কর, বিরক্তি কর, বিভ্রান্তি কর, বিক্রয় কর,বিস্ময় কর, প্রমোদ কর, সৌহার্দ কর প্রভৃতি আজও উল্লেখযোগ্য ।



(*** মহান ঐতিহাসিক বরেন্দ্রনাথ ধাড়ার মতে ভাস্কো দা গামা’র আসল নাম আরান্তিস দো নাসিমেন্টো টেনিসন । আরান্তিস টেনিসন পর্তুগালের ভাস্কো নামক এক মেছুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । ভাস্কো এক মহান কুস্তিগীর ছিলেন । কালিকট বন্দরে পদার্পনের ১১ বৎসর পূর্বে তিনি পঞ্জাব মুলুকে আসিয়া পঞ্জাবকেশরী গামা-র সহিত মল্লযুদ্ধ করেন । উভয়ের কেহই কাহাকেও পরাজিত না করিতে পারিলে, আরান্তিস টেনিসনের বীরত্বে অভিভূত গামা তাঁহাকে ভাস্কো গ্রামের গামা অর্থাৎ ভাস্কো দা গামা নামে অভিহিত করেন । প্রমাণ স্বরূপ ধাড়া মহাশয় পঞ্জাবের চালু বাক্যবন্ধ যথা – লয়েন দা পঞ্জাব, সর্সোঁ দা সাগ ও কোল্গেট দা জুবাব নহী-র উল্লেখ করেন ।)






--

আপত্তি কর

--

রাজা অকার্য করের জ্যেষ্ঠা কন্যা । সুলতানা রিজিয়া ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম মহিলা শাসক হিসাবে চিহ্নিত হইলেও ঐতিহাসিক বরেন্দ্রনাথ ধাড়ার মতে এ সম্মান মহারাণী আপত্তি কর-এরই প্রাপ্য। রাজা অকার্য করের জীবনকালে আপত্তি কর বিরোধী পক্ষের দলনেত্রী রূপে কাজ করিয়াছিলেন । রাজা অকার্য করের জীবনাবসানের পর আপত্তি কর বঙ্গদেশের একচ্ছত্র কর্ত্রী হইলেও তিনি আমরণ বিরোধী গোষ্ঠীর দলনেত্রী হইয়াই রাজ্য পালন করেন । বঙ্গদেশে “চলবে না চলবে না” স্লোগানটির জন্ম এই সময় হইতেই । রাণী আপত্তি কর বংশরক্ষার্থে মগধ দেশের বিখ্যাত উকিল ধাড়া বংশের শ্রী চুয়াল্লিশ ধাড়া কে পোষ্যপতি পদে নিয়োগ করেন। কথি্ত, রানী আপত্তি করের নিয়মিত “চলবে না চলবে না” শ্লোগানে শ্রমিক শ্রেণী খেপিয়া উঠিলে শ্রী চুয়াল্লিশ ধাড়া চুয়াল্লিশ দফার সংবিধান রচনা করেন – যাহা মূলত বিভিন্ন প্রকারের মুখকুলুপ প্রণালী । কৌটিল্য রচিত অর্থশাস্ত্রে এই চুয়াল্লিশ দফা সংবিধানের বিশেষ উল্লেখ পাওয়া যায় । এই সংবিধানের উপর প্রবল চটিয়া কলিকাতার উত্যক্ত জেলে পাড়ার বাসিন্দারা ইহার ক্যারিকেচার স্বরূপ সং যাত্রার আয়োজন করে – যাহা আজো রথের দিন কলিকাতার অন্যতম আকর্ষণ ।


--
ইকেবানা হাতি
--
কৃতি ফুলসজ্জাবিদ । বিখ্যাত জাপানি শৈলীর ফুলসজ্জার আবিষ্কারক । জাপান সম্রাট একাএকা মাতশুয়ো ৮২ বৎসর বয়েসে ৩৪ –তম দার পরিগ্রহণ করিলে সম্রাটের ফুলশয্যা কক্ষে ইকেবানা “পদ্মবনেপ্রমত্তবরাহ” স্টাইলে অভাবনীয় ফুলসজ্জা করেন । সম্রাট তাঁহার শিল্পকর্মে অভিভূত হইয়া তাঁহাকে জাপানী নাগরিকত্ব প্রদান করেন ও জাপান দেশে ইকেবানা কতৃক আবিষ্কৃত ফুলসজ্জার ব্যাপক ব্যবহারের নিমিত্তে ডিক্রি জারি করেন ।


--

ঈষৎ হাতি
--
ইকেবানা হাতির সুযোগ্য পতি । ইনি বনসাই বা বৌনাশিল্পের জনক । ঈষৎ হাতির পিতৃপ্রদত্ত নাম বিরাট হাতি । বিরাট হাতি, কম্বোজ দেশের বিখ্যাত রসায়নবিদ কম্বুগ্রীব মিস্ত্রী (পাশাত্যে, কে মিস্ত্রী বলিয়া বহুল পরিচিত)-র অধীনে ১২ বৎসর জৈবরসায়নের ওতপ্রোত জ্ঞান অর্জন করিয়া বামনকরণ ফর্মুলার আবিষ্কার করেন । উক্ত ফর্মুলার প্রথম পরীক্ষা নিজের উপর করিয়া সার্থক হইবার পর ব্যাঙ্কশাল কোর্টে এফিডেবিট করিয়া নিজ নাম ঈষৎ হাতি-তে পরিবর্তিত করেন । জাপান সম্রাট একাএকা মাতশুয়ো এই ফর্মুলা চীন যুদ্ধে ব্যাপক হারে ব্যবহার করিবার মনস্থ করিলে চীন সম্রাট ফেং শুই, জাপান দেশের নাগরিক দূর্দান্ত চীনা গুপ্তঘাতক লিন চিং –কে দুই মণ সুপারির বিনিময়ে উক্ত ফর্মুলা চুরি করিতে নিয়োগ করেন । লিন চিং রাত্রিকালে জাপান সম্রাটের শয়ন কক্ষ হইতে ফর্মুলার শিশি নিয়া পলায়ন করিতে গিয়া উঁচট খাইয়া পড়িলে তাঁহার হস্তধৃত শিশি হইতে কয়েক বিন্দু ফর্মুলা জাপান সম্রাটের অন্তুর্বাসে পতিত হয় । ইহার পর বিস্তারিত জানা না গেলেও – লিন চিং ও ঈষৎ হাতি উভয়েই রাজদ্রোহের অভিযোগে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত হইয়া হারাকিরি করিতে বাধ্য হন । পতি বিয়োগের পর ইকেবানা হাতির কী দশা হয় তাহা জানা যায় নাই ।


--
উত্তর দে
--
আই পি এস অফিসার এবং বিশিষ্ট সমাজসেবী । ইনি এবং এনার সুযোগ্যা পত্নী জিজ্ঞাসা কর বহু আন্দোলনের সহিত জড়িত । আজিকার ভারতবর্ষে “রাইট টু ইনফরমেশান বা RTI (তর্জমায় ; দক্ষিণ পন্থী হইলে তথ্য পাইবেন, বামপন্থী হইলে তথ্য হইবেন) অ্যাক্ট-এর প্রতিষ্ঠা এই দম্পতির অক্লান্ত আন্দোলনের ফল । এই দম্পতি তাঁহাদের প্রবল অশ্লীলতা-বিরোধী কার্যকলাপের মধ্য দিয়া সমাজে ছাপ রাখিয়াছেন । কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় “সরোজিনীর রাজহাঁস” নামক কবিতাটি লিখিলে উত্তর দে মরাল পুলিশের মাধ্যমে ভারতের সমস্ত সরোজিনী নামক মহিলার রাজহাঁস বাজেয়াপ্ত করেন । সরোজিনী নাইডু এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করিয়া একটি সুরেলা গদ্য লেখেন ও রাশিয়ান সমাজবিপ্লবী চাইকোহুইস্কি ইহাতে সুরারোপ করিয়া “Swan lake” নামক বিখ্যাত ব্যালে’র নির্মাণ করেন ( যদিও বিকল্প ঐতিহাসিক সত্যময় জানা-র মতে “Swan lake” আদতে, প্রখ্যাত জ্যাজ শিল্পী “টুয়েলফথ বোর”-রচিত Swine Leak –এর অপভ্রংশ মাত্র ) । উত্তর দে এবং জিজ্ঞাসা কর বর্তমানে “বদল” বলিয়া একটি রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠা করিয়াছেন । “বদল”-এর মুখ্য এজেন্ডা যে কোন অ্যাডাল্ট ও অ্যাডাল্টারেটেড জিনিশ হইতে সমাজের মুক্তি – যথা ভেজাল,অ্যাডাল্ট সিনেমা/ছবি/শিল্পকর্ম,বিদ্যাপতি, কালিদাস, চন্ডীদাস, মকবুল ফিদা হুসেইন, ধুম্রপান, মদ্যপান, ভোটাধিকার, বিবাহ ও যৌনসংসর্গ । যৌনসংসর্গ বিষয়ে তীব্র বিতৃষ্ণা বশতঃ উত্তর দে ও জিজ্ঞাসা কর কৃত্তিম নিষেকের মাধ্যমে একটি পূত্রসন্তান লাভ করেন যাঁহার নাম আয় কর দে । আয় কর দে, জন্ম হইতেই অবিশ্বাস্য ক্ষমতার অধিকারী হিসাবে পরিচিত হইয়াছেন । মাত্র ৩ বৎসর বয়সে তিনি কেবল করনিষ্পেষন মারফত ২০০ গ্রাম ওজনের গ্রানাইট প্রস্তরখন্ড হইতে আড়াই লিটার জল বাহির করিয়া গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তুলিয়াছেন ।


--
ঊরিব্বাবা সিংহ *

কৃতি শিকারী, যাঁহার উল্লেখ এন-এথ অ্যান্ডারসনের “বিচালিগ্রামের ভুতুড়ে সিংহ” গ্রন্থটিতে রহিয়াছে । বাল্যকালে গুজরাটস্থ গীর অভয়ারণ্যে ভ্রমণকালীন এক ভয়াবহ চতুর সিংহ-এর আক্রমণে বিপর্যস্ত হইয়া আন্ডারপ্যান্ট, গেঁজে ও গেঁজেস্থিত ২০০০ টাকা হারাইলে উরিব্বাবা সিংহ তস্য পিতা বাবাগো সিংহ-র হস্তে প্রভূত লাঞ্ছনার শিকার হইয়া প্রতিজ্ঞা করেন যে তিনি পৃথিবীর সিংহ-বংশ নির্মূল করিয়া তবেই ক্ষান্ত হইবেন । প্রতিশোধ চরিতার্থে ব্যাপক বুদ্ধিবলের প্রয়োজন বোধ করিয়া ঊরিব্বাবা সিংহ উজ্জয়িনী নগরের নিকটে দাস ক্যাপিট্যালের রাজা কালিদাস-এর সহিত শলা-পরামর্শ করেন বলিয়া জানা যায় । প্রখ্যাত বুদ্ধিবিদ কালিদাস তাঁহারে “চ্যারিটি বিগিন্স অ্যাট হোম” তত্ত্ব-টির প্রয়োগে পরামর্শ দিলে ঊরিব্বাবা সিংহ গুলি করিয়া নিজবংশ ধবংসপূর্বক আত্মঘাতী হন ।

{* কৃতজ্ঞতা, অমিতাভ প্রহরাজ (উক্ত নামটি বিনা অনুমতিতে গ্যাঁড়া করিলাম)}


--
এ ১
--
একাগ্র পাল
--
বিশ্বের প্রথম গবাদি পশুর প্রজননকারী ।

এ ২
--
একুশ চন্দ্র আইন
--

বিশিষ্ট সংবিধান রচয়িতা । ইনি সোমালিয়া, উগান্ডা ইত্যাদি দেশের সংবিধান রচয়িতা হিসাবে খ্যাতি লাভ করিয়াছিলেন ।
--


--
ঐকিক আইন
--
একুশ চন্দ্র আইনের কনিষ্ট ভ্রাতা । কৃতি অঙ্কবিদ ।


--
ওমর দরদিয়া
--
কৃতি মানসিক যন্ত্রণাবিদ । ১৯৭০-এর মুক্তির দশকে ইনি সুইডেন দেশে গিয়া অপহরণের ব্যবসায় খুলিয়াছিলেন । আশ্চর্যজনক ভাবে অপহৃত ব্যাক্তিসকল স্ত্রী পুরুষ নির্বিশেষে অপহরণকারী ওমর দরদিয়ার প্রতি তীব্র আকর্ষণ বোধ করিতে থাকেন – এই অদ্ভূত ব্যবহারকে মনোবিদেরা স্টকহোম সিন্ড্রোম নাম দেন । স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই আশ্চর্য ফেনোমেনান লইয়া গীতি রচনা করিয়াছেন ।



--
ঔদার্য বর্ধন
--
দ্বাপর যুগের লিপিতে ইহাঁর উল্লেখ শ্রীকৃষ্ণ গোপ-এর গৃহ শিক্ষক হিসাবে পাওয়া যায় । শ্রীকৃষ্ণ গোপ সন্দীপন পাঠশালা হইতে নামতাশাস্ত্রে গ্রাজুয়েট হইবার পর উচ্চশিক্ষার্থে জগতগুরু ঔদার্য বর্ধন-এর আশ্রমে ভর্তি হন । তথায় পাঠলাভ করিয়া তাঁহার চারিত্রিক ঔদার্য এমত হয় যে শ্রীকৃষ্ণ গোপ সমস্ত পরস্ত্রীরে নিজস্ত্রী জ্ঞানে ভজনা শুরু করেন ও অচিরেই মুগ্ধ জনগণ তাঁহারে ভজনা করিতে শুরু করে ।
ঐতিহাসিক বরেন্দ্রনাথ ধাড়ার মতে রুশ দেশে সাম্যবাদ নামক উদার সমাজপ্রথার উৎপত্তি আদতে
গুরু ঔদার্য বর্ধনের তত্ত্ব হইতেই হইয়াছিল । কিন্তু বর্বর রুশ জাতি এই দর্শণের সম্যক মূল্য না বুঝিয়া পরস্ত্রীকাতরতায় আক্রান্ত হয় ও বিষাদ্গ্রস্ত হইয়া দিকে দিকে মাল খাইয়া গ্লাস নষ্ট করা আরম্ভ করে – রুশ ভাষায় যা পেরেস্ত্রৈকা ও গ্লাসনস্ত বলিয়া সুবিদিত । উক্ত ডামাডোলে মূষলপর্ব রিপিট হইয়া রুশ দেশে প্রভূত অশান্তির মাধ্যমে রাজধানীবাদ বা ক্যাপিটালিজমের প্রতিষ্টা হয় ।




--
কে সি নাগ ওরফে কালাচাঁদ নাগ, নাগ বংশে জন্মগ্রহণ করেন, খ্রিষ্টপূর্ব ১৯৩৩ শে । পিতার নাম অর্জুন সেন, মাতা; উলুপী নাগ, বৈমাত্রেয় ভাই বভ্রুবাহন মণিপুরী । বভ্রুবাহন কালাচাঁদের অত্যন্ত প্রিয় ছিলেন । পিতা অর্জুন, "জাস্ট সিগ্রেট কিনে আসছি" বলিয়া মহাপ্রস্থানের পথে গমণ করিলে জ্যেষ্ঠ কালাচাঁদ কনিষ্ঠ বভ্রুবাহনেরে সন্তানরূপে কোলে মাথায় তুলিয়া মানুষ করেন । কথিত-- নাগের মাথার মণি প্রবাদটির উৎপত্তি এইখানে ।
কালাচাঁদ পাপারাৎজির জ্বালায় পিতৃপরিচয় উপেক্ষা করিয়া মাতৃপরিচয় গ্রহণ করেন । জন্ম হইতেই কালাচাঁদ অঙ্ক শাস্ত্রে প্রভূত প্রতিপত্তিশালী ছিলেন । কথিত,পাণিণী একদা মজলিশে অঙ্ক ভুল বলিলে কালাচাঁদ মাতৃজঠর হইতেই তাহাকে তিন খন্ড মেটিরিয়া মেডিকা ছুড়িয়া মারেন । ক্ষুব্ধ পাণিণী এই শারীরিক ও মানসিক অপমানের প্রতিবাদ করিয়া নিউ দিল্লী তিসহাজারি আদালতে একান্ন দফা মামলা দায়ের করেন । কিন্তু অভিযুক্ত কালাচাঁদ মাতৃজঠরে অবস্থিত থাকার দরুণ জজসায়েব হিজ হাইনেস বংশলোচন বটব্যালের নজরের অগোচরভূক্ত হইবার কারণে মোকদ্দমা কল্পিত বলিয়া পরিগণিত ও ডিসমিস হয় । ১৯৮৩ খ্রীঃ-এ পাণিণীর বংশধর শ্রী রাম রাও তাতিনেনি “অন্ধা কানুন” নামে এক চলচিত্র নির্মাণ করেন যা পাণিণী বনাম মাতৃগর্ভস্থ কালাচাঁদের আইনি লড়াইয়ের এক গুরুত্বপূর্ণ দলিল ।
কালাচাঁদ,আইজ্যাক নিউটন ও তাঁহার অনুজ হাইজ্যাক নিউটনের গৃহশিক্ষকতা করিয়াছিলেন । তাঁহার অপর বিখ্যাত ছাত্রদের মধ্যে আরকিমিডিস, বাবু বঞ্জুল ব্যানারজী, সোক্রাত, দেকার্ত, ও নিধিরাম হালদার বিশেষভাবে উল্লেখ্য ।
সূত্র; হোকশাস্ত্র, পরিচ্ছেদ ৩৭, প্রিঃ ২৫৩।


--
খগেন্দ্রনাথ, পদবী বর্জিত । পিতা ও মাতার পরিচয় জানা নাই । খগেন্দ্রনাথ সম্পর্কে আলগা কিছু তথ্য ছাড়া – (যথা – সৃষ্টি নাম্নী এক বালিকার জন্মকালে খগেন্দ্রনাথ ও তাঁহার পোষা স্টেরয়েডপুষ্ট শতফণাবিশিষ্ট হুমদো হলহলে সর্প উভয়েই তিরিশ বোতল কোরেক্স পান করিয়া গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হন । ঘুমন্ত খগেন্দ্রনাথকে শবদেহভ্রমে তাঁহার নাভিস্থলে এক অতিকায় পদ্মফুল অঙ্কনপূর্বক অ্যান্ডরোমিডা নক্ষত্রপুঞ্জ হইতে আগত এক চতুর্মস্তকযুক্ত এলিয়েন বৃদ্ধ শবসাধনায় মগ্ন হন) বিশেষ কিছু, কিছুদিন আগেও জানা ছিল না । বর্তমানের উইকিলিক নামক তথ্যলিক বাবদ কয়েকটি চাঞ্চল্যজনক খবর জনসাধারণের গোচরে আসিয়াছে । যথা – খগেন্দ্রনাথ পেশাগত ভাবে এক সফল ইন্টিরিয়র এবং এক্সটিরিয়র ডেকোরেটার হইলেও, খ্রিষ্টপূর্ব ৫৪৩-এ শ্রী গোউটামা বুঢঢা (মাই ঘড ! সমেত) –র শিষ্যত্ব গ্রহণ করিয়া পূনর্জন্মে পারদর্শী হইয়া ওঠেন । এবং পরপর দশবার সুদূর পঞ্জাবমুলুকের হোঁশিয়ারপুর জিলায় অবতার সিংহ নামে জন্মগ্রহন করেন (পরিপূর্ণ স্মৃতিসমেত)। দশ দশবার পৃথিবীর (হোঁশিয়ারপুরের) বর্ধমান ক্রমাবনতি দেখিয়া ক্ষুব্ধ এবং যার পর নাই তিতিবিরক্ত খগেন্দ্রনাথ, শ্রীল শ্রীযুক্ত অ্যাডলফ হিটলারের পিউরিটান ধর্মে দিক্ষিত হইয়া শান্তিপূর্ণ উপায়ে পৃথিবীর মানুষকে এক শুদ্ধ জাতি ও এক শুদ্ধ জিনপুলে পরিনত করিবার অভিপ্রায়ে পৃথিবীর সর্বপ্রথম স্পার্মব্যাঙ্কের স্থাপনা করেন ও নিজ শুক্রানুর ব্যাপক বিতরণের ব্যবস্থা করেন । তাঁহার প্রথম খরিদ্দারদের মধ্যে পান্ডুজায়া কুন্তি ও মাদ্রী উল্লেখযোগ্য । আজ খগেন্দ্রনাথ বাপোঁ কা বাপ বলিয়া বাঙ্গালির হৃদয়ে পুনর্স্থাপিত ।


--
গদাই লস্কর । পিতা, ফাদার লস্কর । মাতা, মাদার লস্কর । জন্মস্থান লস্করপাড়া, ভুষিগ্রাম । থানা, বিন্তিপুর ।
গদাই লস্কর তাঁহার পিতা মাতার কনিষ্ঠ সন্তান । ফাদার ও মাদার লস্করের প্রথম সন্তান স্বনামখ্যাত শ্রী লোক লস্কর-এর পরিচিতি তাঁহার পরাক্রম ও শারীরিক শক্তির জন্য সুবিদিত (কথিত-- শ্রী লোক লস্কর একাকী ১৬জন সবল মানুষের সমান কার্যক্ষম ছিলেন। এবং আজিকার বাংলাভাষায় লোক লস্কর শব্দটির বহুবচনীয় ব্যবহার, জেষ্ঠ্য লস্কর ভ্রাতার অমিতবীর্য হইতেই উৎপত্তি লাভ করে )।

চরকসংহিতা অনুযায়ী গদাই, ওবিসিটি (মুটানি) রোগের বিশ্বের সর্বপ্রথম উদাহরণ । শ্রী লোক লস্করের পরাক্রমে ভীত সন্ত্রস্ত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, সি আই এ ও সর্বভারতীয় তস্কর সমিতি তাঁহাকে উপরিপর প্রচেষ্টা সত্ত্বেও দাবাইয়া রাখতে অকৃতকার্য হইলে উল্লেখযোগ্য জনপ্রিয় দ্রুতখাদ্যশিল্পী ম্যাকডোনাল্ড সায়েব-এর সহযোগে বিস্তর গবেষণার পর উক্ত কোম্পানিগণ ভুষিগ্রামে প্রথম বার্গার ও মিষ্ট ভুড়ভুড়ির (সোডার) বিপণী স্থাপিত করে । জেষ্ঠ্য ভ্রাতার নিষেধ সত্ত্বেও গদাই উক্ত বিপণীর মনোহর ও অতীব মেটাবলিক আলস্য প্রদায়ক খাদ্যবস্তুর মোহে পড়িয়া অকালে ভয়ংকর ওবিসিটি গ্রস্ত হন । তাঁহার থপ থপ কাফ্রী হস্তিনীর ন্যায় নিরলস পদচারণায় ও আইন্সটাইন বর্ণিত আপেক্ষিকতাবাদ দরুন ব্যাপক ভরজনিত সময় ও পরিসরের বিকৃতির কারণে চাষী জমিতে ফাটল ধরে, ও ভুষিগ্রামস্থিত এক গুপ্ত আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ উন্মুক্ত হইয়া ভুষিগ্রামকে লাভাস্রোতে বিলীন করিয়া দেয় । উক্ত আগ্নেয়গিরির নাম ভুষিভিয়াস, যাহা বর্তমানে ইতালি দেশের নাপোলি জনপদের নিকট বর্তমান । ভুষিভিয়াস ইতালিতে কি করিয়া পৌছায় তাহা নিয়া পন্ডিত সমাজ দ্বিধাবিভক্ত । বিখ্যাত আফগান ভূতাত্ত্বিক জেরুজালিম খাঁ-র মতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কালে এক কন্টিনেন্টাল ড্রিফট-এর সুবাদে ভুষিভিয়াস আগ্নেয়গিরিটি ছিটকাইয়া গিয়া ইয়োরোপে পতিত হয় । অপরপক্ষে ইতালীয় ভূতাত্ত্বিক জিয়োভাগ্নি আলোকবর্তিকার মতে ইতালির অধিকর্তা বেনিটো মুসোলিনি খোদ ভারত সফরে আসিয়া, আগ্নেয়গিরিটি তাঁহার স্ত্রীর কাঁচুলির ভিতর ভরিয়া আবগারি দপ্তরের নজর এড়াইয়া আকাশপথে ইতালি পাচার করেন । আগ্নেয়গিরির উত্তাপে মুসোলিনি বা তাঁহার স্ত্রী যে বিন্দুমাত্র ক্ষতিগ্রস্ত হন নাই তাহার কারণ হিসাবে জিয়োভাগ্নি, মুসোলিনি দম্পতির পোক্ত ডিপ্লোম্যাটিক ইমিউনিটির উল্লেখ করেন ।

সূত্রঃ ভুষিভিয়াস এন আন্দান্তে এলিজি রোমা নাপোলি মারাদোনা অ্যান্ডা কারাবিনিয়েরি – বাই জিয়োভাগ্নি আলোকবর্তিকা ।


--
ঘড়িয়াল দাস ওরফে গ্যাভিয়ালিস গ্যাঞ্জেটিকাস । পূরাণে বর্ণিত প্রথম বাঙালি যিনি খোদ পোপ বেনেডিক্ট ১ ও অ্যান্থনি ফিরিঙ্গির পাল্লায় পড়িয়া রোমান ক্যাথলিক ধর্ম গ্রহণ করিয়াছিলেন এবং নিজ নাম পাল্টাইয়া শুদ্ধ লাতিন নাম রাখিয়াছিলেন । ঘড়িয়াল, বঙ্গদেশে প্রস্তুত সুইস ঘড়ির জনক বলিয়া পরিচিত । যদিও বিশিষ্ট ঐতিহাসিক “অতীতেন্দ্র হাঁসদা”-র মতে তিনি সুইস ঘড়ির এক দালাল ব্যতীত আর কিছু নহেন । অতীতেন্দ্র বাবুর মতে সুইস ঘড়ির আসল নির্মাতা সুন্দরবনের নিকটে ওয়াচগঞ্জ জনপদের টাল্লু জনগোষ্টী । ঘড়িয়াল, শায়েস্তা খাঁ-র হুকুমে তাঁহার পরিবারবর্গের নিমিত্তে ১৩৫০টি সুইস ঘড়ি নির্মাণ করাইয়াছিলেন । দিল্লীর জনপদে সেই ঘড়িগুলি আমির ওমরাওদের দৃষ্টি আকর্ষণ করিলে তাঁহারা নিজদিগের নিমিত্তে ঘড়ি নির্মাণের জন্য হুলুস্থুল শুরু করিলে শায়েস্তা খাঁর কনিষ্ঠা বিবি শাস্তি খাঁ ঈর্ষার বশে ঘড়িয়াল দাসকে পঞ্চাশ ধামা স্বর্ণ বাতাসা মজুরী দিয়া ঘড়ি শিল্পের ত্বরিত নাশের বন্দোবস্ত করেন । তাঁহার আদেশে ঘড়িয়াল দাস সর্বভারতীয় তস্কর সমিতির মাধ্যমে টাল্লু জনগোষ্টীর মধ্যে সেই স্বর্ণ বাতাসার বিতরণ করিলে অচিরেই ঘড়ি প্রস্তুতকারীদের অঙ্গুলি ফুলিয়া কদলীবৃক্ষে রূপান্তরিত হয় এবং সুক্ষ ঘড়ি নির্মাণ শিল্প ধবংসপ্রাপ্ত হয় । এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে টাল্লু জনগোষ্ঠী মহাকরণের সম্মুখে এক ব্যাপক শোক ও ক্ষোভ ধর্নাসভার আয়োজন করে । নিজ করতুত গোপন করিতে ঘড়িয়াল উক্ত ধর্নায় অংশগ্রহণপূর্বক চুল্লু সেবন করিয়া প্রভূত অশ্রুবিসর্জন করেন । কুম্ভীরাশ্রু প্রবচনটির জন্ম এই ঘটনা হইতে উদ্ভূত ।


--
ঙটাও ঙরাও। সুকৃতি বাঙালি । জন্ম ইন্দোনেশিয়ার বোর্ণিয়ো । তিন বছর বয়েসে কুসঙ্গে পড়িয়া ডঃ মর‍্যু-র দ্বীপে গিয়া হাজির হন । ডঃ মর‍্যুর জেনেটিক কাঁচির প্রকোপে তিনি অবিলম্বে কমলাবরণ ধারণ করেন । ৩২ বছর বয়েসে ঙটাও তাঁহার ২৯ বছরের গভীর সাধনখোদনের ফল থেমস নদীর সুড়ংগ দিয়া পলায়ন করিয়া ব্রিটানি দ্বীপের ভুঁইফোঁড়ন করিয়া ওঠেন । উইলিয়াম ডিরোজিও সায়েব তাঁহার কাহিনী শুনিয়া দয়া পূর্বক পত্রপাঠ (পত্রটি কাহার সে বিষয়ে বিশদ জানা যায় নাই) তাঁহাকে বোর্ণিয়ো দ্বীপে জাহাজ মারফত পাঠাইবার বন্দোবস্ত করেন । বারমুডা ত্রিকোনের প্রকোপে জাহাজডুবি হইলে, অসহায়, ভাসমান ঙটাও তাঁহার উজ্জ্বল ও দ্যুতিময় কমলা গাত্রবরণের কারণে ট্রয় হইতে প্রত্যাগত বীর ওদিসিউস-এর নেত্রগোচর হইলে ওডিসিউস তাঁহার জীবনরক্ষা করেন । মহাভূজ ও পরাক্রমশালী ঙটাও প্রাণরক্ষার বিনিময়ে ওদিসিউস-এর হৃত রাজ্য ও রাণীর উদ্ধারে প্রভূত সহায়তা করেন । রাজা ওডিসিউস কৃতজ্ঞতা স্বরূপ তাঁহাকে এক কাষ্ঠ নির্মিত অশ্ব প্রদান করেন যাহা জলে স্থলে গগনে বিচরনে সক্ষম । উক্ত ঘোড়া চড়িয়া ঙটাও তাঁহার পিতৃ পুরুষের দেশ ভারতে পদার্পণ করেন । আরব্য রজনী গ্রন্থে লিপিত রইয়াছে যে ভারতে আসার পথে তিনি বোগদাদ, দামাস্কাস ও চুলবুলিস্থানে বিভিন্ন কৃতিত্বের নিদর্শন রাখেন । অভাগা ভারত দেশের আমলা, মন্ত্রী ও পন্ডিতেরা টেলিকম কেলেঙ্কারি ও তৎসম্বন্ধিত যোগাযোগ ব্যবস্থার গন্ডগোলে বীর ঙটাও সম্পর্কে সম্যক অবহিত না থাকিবার কারণে ঙটাও প্রভূত অপমানের শিকার হন । এমন কী স্বাস্থ্য বিভাগ তাঁহার ঘোর দ্যুতিময় কমলা গাত্রবর্ণের কারণে তাঁহাকে দূরারোগ্য বোগদাদী ন্যাবায় আক্রান্ত মনে করিয়া আইসোলেশান ওয়ার্ডে রাখিবার বন্দোবস্ত করেন । অবশেষে জাতিপুঞ্জের তৎকালীন নেতা শ্রী বুত্রোস বুত্রোস ঘালি ও ইন্টারন্যাশিওনাল অ্যান্টি অ্যাপারথায়েড ফ্যাসিস্ট কমিটির হস্তক্ষেপে ভারত সরকার তাঁহাকে সান্মানিক নাগরিকত্ব ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে একটি গ্রাম প্রদান করেন । ঙটাও নিজ গ্রামের নাম কমলাফুলি রাখিয়া তাহাতে পৃথিবীর প্রথম টিয়াপাখি প্রজনন ও সংরক্ষন কেন্দ্র স্থাপনা করেন ।

--
চপলচিত্ত চ্যাটার্জী । প্রথম বাঙালি সাইকায়াট্রিস্ট । চপলচিত্তর পিতা স্থিরচিত্ত চ্যাটার্জী নদীয়া জিলাস্থিত ফুলিয়া গ্রামে আটাকলের ব্যবসায় করিয়া ফাঁপিয়া ওঠেন । তাঁহার অঙ্গুলি ও উদরস্ফিতীর সঙ্গে সঙ্গে প্রভূত চিত্তস্ফিতী ঘটিলে অস্তিরচিত্ত হইয়া তিনি মরমর হইলে, তাঁহার ফুলিয়া গ্রামোস্থিত মনোহারিনী দেবী মেমোরিয়াল বিদ্যালয়ের, ক্লাস এইট পাশ পূত্র চপলচিত্ত পিতার রোগ প্রশমনের উপায় খুঁজিতে স্কটল্যান্ডের এডিনবরায় যান । তথায় মনোপযুক্ত চিকিৎসকের সন্ধানলাভে বিফল চপলচিত্ত নিজেই চিকিৎসা বিদ্যা অর্জন করেন ও স্বদেশে প্রত্যাবর্তনপূর্বক পিতাকে ফের স্থিরচিত্ত করিয়া তোলেন । স্কটদেশে বিরাজকালীন চপলচিত্ত ব্যাগপাইপ নামক বাদ্যযন্ত্রটি নিষিদ্ধ করিয়া লকনেস মনস্টার নামক অতীব ভীতিপ্রদায়ক প্রাগৈতিহাসিক প্লিসিওসোরাস গোতৃভূক্ত প্রাণীটিকে সুস্থ করিয়া তোলেন । লকনেস মনস্টার বর্তমানে শ্যামদেশের পাটাগং মনাস্টারিতে নিরামিষ ভোজন করিয়া লামা হইবার প্রচেষ্টা করিতেছেন। কিছুদিন পূর্বে এক থুতু-নিক্ষেপ প্রতিযোগিতায় দক্ষিন আমেরিকার লামাদের পরাজিত করিয়া শীর্ষস্থান দখল করিলে শ্রী তান্সেন লামা তাহাঁকে ভবিষ্যতের তারকা বলিয়া উল্লেখ করেন ।


--
ছত্রধর মাহাতো । বাঙ্গালা মুলুকে জন্মগ্রহন করিলেও ছত্রধরের কর্মস্থান মারাঠা দেশ । ছত্রধর যৌবনে মহাভারতে বর্ণিত রাজা শিশুপালের পিতৃব্য কেসিপাল মহাশয়ের ছত্রনির্মাণ ফ্যাক্টরির দক্ষ কারিগর ছিলেন । বর্গী ভাস্কর পন্ডিত তাঁহাকে অপহরণ করিয়া মারাঠা দেশে নিয়া গেলে ছত্রধর প্রথমে ঈষৎ গাঁই গুঁই করিলেও অদূর ভবিষ্যতে ছত্রপতি শিবাজীর জীবন ও সংগ্রাম দ্বারা অভিভূত হইয়া তাঁহার নিমিত্তে অতীব সুচারু মসলিন ছত্র নির্মাণ করিয়া ও তাঁহার মস্তকে ছত্রধারণ করিয়া খ্যাতিলাভ করেন । ঐতিহাসিক অতীতেন্দ্র হাঁসদার মতে তাহাঁর ছত্রধর নামটি এই সূত্রেই পাওয়া । পলাশীর যুদ্ধে ছত্রধর তাহাঁর ছাতা লইয়া লর্ড ক্লাইভকে ডুয়েলে চ্যালেঞ্জ জানান । দুর্ভাগ্যবশত এই ডুয়েল চলাকালীন তিনি উঁচট খাইয়া নিজ ছত্রবিদ্ধ হইয়া বীরগতি প্রাপ্ত হন । নবীন চন্দ্র সেন মহাশয় রচিত “পলাশীর যুদ্ধ” নামক কবিতায় ছত্রধর মাহাতোকে, ছত্রধর্ম্মাহত বলিয়া অভিহিত করা হইয়াছে ।


--
জামালগোটা খান । সুশ্রুতের কৃতী ছাত্র । ইনি হিউয়েন সাং-এর সহিত চীনের ইউনান প্রদেশে গিয়া ইউনানি চিকিৎসার প্রবর্তন করেন । জামালগোটা খান, তাঁহার সুযোগ্যা পত্নী সোনাপাতা খান ও সতীর্থ গবেষক গুলবুদ্দিন ইশব এই তিন চিকিৎসকের নিদানে বঙ্গমাতার কোষ্ঠকাঠিন্য রোগমুক্তি হইয়া বহু কৃতি বাঙ্গালির নির্গমনের পথ প্রশস্ত হয় । কলিকাতার ধাপা অঞ্চলের কৃপায় আজো যে দীন দুঃখী শিক্ষিত বাঙালি শীতকালে ৪ টাকায় একটি ফুলকপির বাচ্চা কিনিতে পারে তাহার অন্যতম শ্রেয় এই চিকিৎসকত্রয়ীর প্রাপ্য ।


--
ঝরাপাতা পাল । কৃতি রাজনিতীবিদ। ঝরাপাতার ন্যায় এনার ম্যানিফেস্টো যত্রতত্র উড়িয়া পড়িতে থাকিলে ও ডানবাম সর্বনীতির মানুষের উঠান দখল করিলে গোটা বাঙ্গালার মানুষ মিলিয়া তাহাকে নিরস্ত করিবার অভিপ্রায়ে “ঝরাপাতা গো আমি তোমারি দলে “ ঝরাপাতা গো যেও না ঝরে” ইত্যাদী সঙ্গীত রচনা করেন । ফল কী হইয়াছিল সে বিষয়ে ইতিহাস অবগত নহে ।


--
ঞআর্থক নঞ । জন্ম ভিয়েন্তিয়েন । বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী যিনি নাসিকাসঙ্গীতকে শিল্পের পর্যায়ে তুলিয়া আনেন ।তাঁহার শিষ্যদের মধ্যে শচীনদেব, কুন্দনলাল সহগল, মুকেশ ও হিমেশ রেশমিয়া প্রভূত খ্যাতি লাভ করেন ।


--
টোটাল চন্দ্র কোটাল । জন্ম বঙ্গদেশে হইলেও ইনি বিভিন্ন দেশে তাঁহার কর্মের নিদর্শন রাখিয়া গেছেন । বিখ্যাত ওলন্দাজ ফুটবলার ও কোচ যোহান ক্রুয়েফ টোটাল চন্দ্রের ফুটবল খেলা দেখিয়া তাঁহাকে বাতাবীনেবু ন্যাশানাল ইলেভেন দল হইতে হল্যান্ড দেশে নিয়া গিয়া সেইখানে এক অদ্ভূত কার্যকরী ফুটবল শৈলীর প্রচলন করেন যাহা আজিকার পৃথিবীতে “টোটাল ফুটবল” নামে সর্বজনবিদিত ।

--
ঠাকুরমাতা সহায় ও ঠাকুরদাদা সহায় । এই সহায় দম্পতি ভয়ংকর ছেলেধরা বলিয়া কুখ্যাত ছিলেন । যেই ঝুলির মাধ্যমে তাঁহারা সমগ্র বঙ্গদেশে তাঁহাদের অপহরণের জাল বিছাইয়াছিলেন তাহা আজো কলিকাতা জাদুঘরে নীল তিমির বেলীনের পার্শে সংরক্ষিত রহিয়াছে । শ্রী দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার মহাশয় এই সহায় দম্পতির যাবতীয় অপকর্মের দলিল তাঁহার ঠাকুরমার ঝুলি ও ঠাকুরদার ঝুলি গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করিয়াছেন । সহায় দম্পতির অপহরনগুলির মধ্যে লালকমল-নীলকমল, ব্যঙ্গমা-ব্যাঙ্গমী, বুদ্ধু-ভুতুম, রাক্কস-খোক্কস, দৈত্য –দানা ও লীলাবতী-ইলাবতী এই সমস্ত জোড়া অপহরণ বিশেষ রূপে উল্লেখ্য । কথিত সহায় দম্পতি ইয়োরোপ ভ্রমণে গিয়া গ্রীম ভাইদের অপহরণ করেন ও তাহাদিগকে বিনা পারিশ্রমিকে বাংলায় শিশু সাহিত্য লিখিতে বাধ্য করেন ।


--
ডাকবাবু অধিকারী । বিশিষ্ট হরবোলা । ইনি জিরাফের ডাকে পারদর্শী ছিলেন ।


--
ঢোলগোবিন্দ দাম । প্রখ্যাত সাংবাদিক । সংবাদপত্র আবিষ্কারের পূর্বে ইনিই ঢোল বাজাইয়া সংবাদ বিতরন করিতেন । কথিত ইঁহার পূর্বপুরুষ আফ্রিকা মহাদেশ হইতে আসিয়াছিলেন ।




--
ণগেণ শেণ । বিরল (দন্ত) বাঙালি । এক জেনেটিক গ্যাঁড়াকলের শিকার শ্রী ণগেণ শেণের জন্মাবধি দন্তোতপাদ না হওয়ায় হতাশ ণগেণ দন্ত্য বর্ণ পরিত্যাগ করেন । ইনিই প্রথম বঙ্গভাষায় মুর্ধণ্য “ত” উরুশ্চারণ করিয়া খ্যাতি লাভ করেন ।


ত ১
--
তথাগত পাঁড়ুই । ইনি কোথাগত তাহা নিয়া বিশেষ জানা যায় না । তবে যে কোন অকুস্থলে (তথায়) তাঁহার আগমন রেকর্ড সময়ে ঘটিত । উনবিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ট গোয়েন্দা বলিয়া তথাগত নাম করিয়াছিলেন । ইনি কেবল মাত্র মুথাঘাসের উপর বিচালি, ইদুঁরবিষ্ঠা দেখিয়া ও দয়েলের ডাক শুনিয়া রঘু ডাকাতের গুপ্ত আড্ডার সন্ধান করিয়া তাঁহারে বন্দী করেন । বাস্কারভিলার কুইত্তা কেসে ইনি শার্লক হোমসকে টেক্কা দিয়া সেই কুইত্তাকে ধরিয়া তাহার পেটের ভিতর হইতে সমস্ত গোপন তথ্য বাহির করেন ও তাঁহাকে রাজসাক্ষী বানান । সেই ঐতিহাসিক মামলায় বাস্কারভিলার কুইত্তার বয়ানে এক ভয়ংকর ষড়যন্ত্রে ব্রিটিশ সরকারের কেষ্টু বিষ্টু, মাতাহারি, হাইন্রিখ ডিমলার, ডেভিড বেকহ্যাম, লেডি গাগা, জন ম্যাকেনরো ও স্যার বলাই মল্লিকের জোগসাজস প্রমাণিত হয় । ব্রিটিশ কোনান ডয়েল সায়েব উদ্দেশ্যমূলক ভাবে উক্ত ঘটনার বিবরণাবলী হইতে তথাগত পাঁড়ুইকে সরাইয়া শার্লক হোমসকে জয়যুক্ত করেন ।

ত ২
--
তিমির বিদারী দাম
--
কৃতি পেটো শিল্পী
--

--
থরহরি দাস । প্রথম বাংলা নির্বাক চলচিত্রের নির্দেশক । ক্রন্দনের অব্যবহিত আগে সুচিত্রা সেন, মধুবালা, মালা সিনহা ও গীতা দত্তের ঠোঁটের ডান পাশ ঈষৎ উচ্চে উঠিয়া যে ভাবে কাঁপিয়া উঠিত – কথিত সেই প্রকাশভঙ্গিমা শ্রী থরহরি দাসের সৃষ্টি ।



--
দিগন্তব্যাপী পোঁদ । পঞ্চাশের বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক বলিয়া পরিচিত । সত্তর হইতে নব্বই দশক অবধি চুড়ান্ত জনপ্রিয় হইলেও আজ কেবল মাত্র ভূত ঝাড়িবার নিমিত্তে বিক্রীত সরিষার বিজ্ঞাপনেই
তিনি ও তাঁহার শিল্পকর্ম সীমাবদ্ধ । তিরিশের দশকের কবিকুল বাংলা সাহিত্যে ইউরোপীয় আধুনিক বিচারধারা ও স্টাইলের আমদানি করেন ও বঙ্গসাহিত্যের মৌলিকতা বিসর্জনের অপরাধে পরবর্তীতে প্রচুর ধিক্কার লাভ করেন । দিগন্তবাবু ও তাঁহার সহকারী শিল্পীরা বঙ্গসাহিত্যে এই প্রভূত ক্ষতিকর ইউরোপীয় প্রভাব দূর করিতে আমেরিকান বীট কবিদের শরণাপন্ন হন । তাঁহাদের প্রভাবে তৎকালীন বাঙালি কবির স্টেপল খাদ্য-- স্টেপলার, গাজর, গাঁজা, সন্দেশ, গঁদ ও ভুষি হইতে কেবল মাত্র “বীটে” পরিবর্তিত হয় । দিনের পর দিন বীট খাইয়া এই কবিকূল রক্তবর্ণ ধারণ করেন ও কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের সুপ্রসিদ্ধ দাড়ি দিয়া পাপোষ নির্মাণ শিল্পের পত্তন করিয়া প্রভূত অর্থলাভ করেন । পরম প্রতিপত্তিশালী এই কবিরা রাত্রির কলিকাতার একছত্র শাষনভার গ্রহন করেন । বস্তুত গ্রীক দার্শনিক প্লেটো, হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের কবিশক্তিতে ভয়ভীত হইয়া তাঁহার রিপাবলিক হইতে সমগ্র কবিকে নির্বাসন দিবার পর এই প্রথম কোন কবিকুল দেশের শাসনভার নিজহস্তে তুলিয়া নিতে সক্ষম হন । কলিকাতার রাস্তার উড়ে কনস্টেবল, উচ্চ পুলিশ অধিকারী হইতে দুর্দান্ত আমলা সবাই এই কবিদের শাষনে চমৎকৃত হইয়া কবিতার অনুরাগী হইয়া ওঠেন । কবিতার এই জনপ্রিয়তা পৃথিবী ইহার আগে কদাপি দেখে নাই । ভারতবর্ষে চিনি কেলেঙ্কারী ঘটনার পর বী্ট দুষ্প্রাপ্য হইলে টেকনোবীটের আমদানি হয়, যাহা বীটের ন্যায় পুষ্টি কারক ছিল না । পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবে এই কবিদের প্রতিপত্তি কমিয়া গিয়া আজ সরিষা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ।


--
ধর্মরাজ রায় । বিখ্যাত বিচারপতি । ইনি একমাত্র বাঙালি বিচারপতি যিনি সরকারী ভাতা গ্রহণ না করিয়া নিজ মহিষ শকটে আদালতে যাতায়াত করিয়া থাকেন ।


--
নির্মল কর ও তস্য ভ্রাতা মঙ্গল কর বঙ্গদেশে তাঁহাদের পরম জনহিতৈষী কার্যকলাপের জন্য বিখ্যাত । কুন্তলীন খ্যাত কেমিস্ট হেমেন বোস মহাশয়ের সাথে কোলাবোরেট করিয়া উক্ত ভ্রাতৃদ্বয় এক সুগন্ধী গামছার আবিষ্কার করেন যাহা মর্মের মলিনতা মুছাইয়া তাহাকে নবজীবন প্রদানে সক্ষম । উক্ত ভ্রাতৃদ্বয়ের এই আবিষ্কার ব্যবহারপূর্বক প্রভূত উপকার পাইয়া শ্রী রজনীকান্ত সেন এই ভ্রাতাদের স্মরণে তাঁহার অমর গীতি “তুমি নির্মল কর মঙ্গল কর মলিন মর্ম মুছায়ে” –র রচনা করেন ।

প ১
--
পটলবাবু পোদ্দার । একনিষ্ট নারীবাদী বলিয়া পরিচিত প্রিয়াংশু পোদ্দার কেন এফিডেভিট করিয়া নিজনাম পটলবাবু পোদ্দার-এ পরিবর্তিত করিয়াছিলেন সে সম্পর্কে বহুমত থাকিলেও সর্বাপেক্ষা বলিষ্ঠ মতানুযায়ী পটলবাবু তাঁহার আদ্যন্ত ভিক্টোরিয়ান ও গোঁড়া অশ্লীলতাবিরোধী আদর্শ চরিতার্থ করিতে এই চুড়ান্ত আত্মত্যাগ করেন । প্রখ্যাত ঐতিহাসিক বরেন্দ্রনাথ ধাড়া’র মতে – মহারাণী ভিক্টোরিয়া ও তাঁহার অনুগামীগণ বিশ্বাস করিতেন ফল ও সব্জি ব্যতীত অন্য কাহারো অন্ডকোষের প্রয়োজন নাই । আঙ্গুর, আপেল, পটল, এমন কী কলার বিচি নির্দোষ হইলেও মানবসহ অন্যান্য ইতর পুরুষ প্রাণীর বিচি সর্বতো প্রকারে অশ্লীল ও দেয়ারফোর পরিত্যাজ্য । পটলবাবু ১৮৪৪ খ্রীস্টাব্দে সর্বভারতীয় খাসীকরণ সভার প্রেসিডেন্ট মনোনীত হন ও গণখাসীকরণ চালু করেন । পারস্য, বোগদাদ, ও সিরিয়ার সুলতানকূল, মুঘল ও নবাবী হারেমে তাঁহার প্রতিপত্তির কথা লিপিত রইয়াছে । নিজ বিচি পরিত্যাগহেতু পটলবাবু এক অতীব দুঃসাধ্য সাধনা পথ অবলম্বন করেন । জানা যায় বিচি বর্জনহেতু পটলবাবু উক্তাংগে বিলাত হইতে আমদানি করা একস্ট্রা টাইট রাবার ব্যান্ড বাঁধিয়া লুঙ্গি উত্থাপন করিয়া নেবুতলা উইমেন্স কলেজের প্রাচীরে বসিয়া থাকিতেন । একাদশ বৎসরের দীর্ঘ সাধনার পর পটলবাবুর বিচি খসিয়া পড়িলে তৎকালীন ইংরাজ ভাইসরয় “দাউশ্যালনটকমিটঅ্যাডাল্টারি থমসন” সায়েবের মারফত এই সংবাদ বিলাতে পৌঁছায় । বিলাতি সংবাদপত্র “টাইমস” ফলাও করিয়া এই খবর ছাপে । তাঁহারা পটলবাবুর অন্ডকোষদুটির নামকরণ করেন হাম্পটি ডাম্পটি । আজ বহুযুগ পর “হাম্পটি ডাম্পটি স্যাট অন আ ওয়াল” ছড়াটি বহুলপ্রচলিত রহিলেও ছড়াটির উৎস বিস্মৃতির গর্ভে বিলীন ।

প ২
--
পান্থমহিম সিকদার । মূকাভিনয়ের জনক । ইনি জন্মাবধি মূক ও বধির ছিলেন । ভাগ্যানুসন্ধানে পান্থমহিম জাহাজী খালাসীর চাকুরি লইয়া গ্রীস দেশে পদার্পন করেন । তৎকালীন গ্রীসদেশে দৈনিক মজুরের ঘোরতর অভাব ছিল । পান্থমহিম বাতায়ন পরিষ্কারের কাজে বিশেষ প্রসিদ্ধি লাভ করেন । গ্রীক অভিবাসন দপ্তর একবার বিদেশী হটাইবার পরিকল্পনা করিয়া এক অভিযান চালাইলে ভীত সন্ত্রস্ত পান্থমহিম পার্থেনন সংলগ্ন পানদোকান হইতে এক খাবলা চুন মুখে মাখিয়া ও দুইখিলি গুন্ডিপানে ঠোঁট রাঙ্গাইয়া গোরা সাজিয়া পলায়ন করেন । তাহার পর হইতে তিনি চুন ও পান না খসাইয়াই আজীবন ব্যতীত করেন ।
তৎকালীন গ্রীক সম্রাট ঘটকর্পর হেলিওদোরাস এক চন্দ্রযান প্রস্তুত করেন । পান্থমহিম সেই চন্দ্রযানের সাফাই কর্মচারী নিযুক্ত হন । চন্দ্রযান উৎক্ষেপণ কালে বধির পান্থমহিম সাবধানবার্তা জানিতে না পারায় চন্দ্রে পৌঁছান ও চন্দ্রভূমির উপর তাঁহার অতীব সাবধান চলাচল-ই আজ “মুন ওয়াক” বলিয়া প্রসিদ্ধ । গ্রীক কবি লুকান ও বিখ্যাত গ্রীক বক্তা এলিয়াস অ্যারিস্টাইদেস তাঁহাদের বর্ণনায় পান্থমহিমকে অমর করিয়াছেন । বলাই বাহুল্য “প্যান্টোমাইম” শব্দটি পান্থমহিমের অপভ্রংশ মাত্র । যদিও বাঙ্গালির খ্যাতির প্রতি ঘোরতর অসূয়া পোষনকারী ইংরাজ পন্ডিতদের মতে প্যান্টোমাইম শব্দটি “নির্বাক পাতলুন” হইতে উদ্ভূত ।


--
ফোড়েন্দ্র নাথ দালাল । রেসের মাঠ হইতে সিনেমা হল, সাট্টার ঠেক হইতে রিয়েল এস্টেট, সব্জি বাজার হইতে ট্রেনের টিকেট ঘর, নির্বাচনের আসন হইতে রাজগদ্দি – ফোড়েন্দ্র নাথ সর্বত্র বিরাজমান মুস্কিল আসান বলিয়া পরিচিত । শোনা যায় লর্ড ক্লাইভের পলাশীর যুদ্ধ জয়ের পিছনেও ইহার ভূমিকা অসীম ।



--
ব্যক্তিগতলিখনভঙ্গিমা বসু । উক্ত অবলারে কবি উৎপল কুমার বসু বাদাম পাহাড়ে হারাইয়া ফেলিয়া তাহাকে বিখ্যাত করিয়া তোলেন । পুরো সত্তরের দশকেই দৈনিক উৎকণ্ঠা স্তম্ভে (এগনি কলামে) বিজ্ঞাপন পড়িত – লিখনভঙ্গিমা তুমি যেখানেই থাক ফিরে এস – ইতি-- । বলাই বাহুল্য পুরো সত্তরের দশক তিনি ফেরেন নাই । পোস্টমডার্ন বিপর্যয়ের পর তাঁহার ফেরার কথা মাঝে মাঝে কানে আসে ।


--
ভারত সরকার । ভারত সরকার ও তাঁহার কনিষ্ট ভ্রাতা রাজ্য সরকার যে অতি গুরুত্বপূর্ণ বাঙালি এই কথা প্রচলিত রহিলেও এই ভ্রাতাদ্বয় আজো রহস্যের অন্তরালে । ইহাঁদের অস্তিত্ব নিয়াও পন্ডিতজনের মধ্যে প্রভূত সন্দেহ রহিয়াছে ।


--
মামামা বন্দোপাধ্যায় । মা’র চাইতে মামা বড় হয় কিন্তু মামা অপেক্ষা বৃহৎ নরহরি মামামা । মামামা এক প্রবল ঝঞ্ঝাপূর্ণ ব্যক্তিত্ব-- যিনি একাধারে পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ অপরাধারে সঙ্গীত ও চিত্র শিল্পী এবং যার পর নাই কবি । শ্রদ্ধেয় ঈশ্বর গুপ্ত মহাশয় মামামার জনসভার প্রত্যক্ষ দর্শণ করিয়া অভিভূত হইয়া এক সঙ্গীত রচনা করেন –
গঞ্জিকাসুধা করিয়াছি পান শুনিয়াছি নিজ কর্ণে
মামামা ধরেন রবীন্দ্রগীতি কান ঢাকি ভাঙা বর্মে
বাপরে কী গান জান আনচান শুনিয়া কিডনি ব্যাঁকা
মামামা চেঁচান “একলা চলো” পাব্লিক চলে একা




--
যদু মাস্টার বঙ্গের সর্বাপেক্ষা রহস্যাবৃত চরিত্র । ইনি বিদ্যালয়ের মাস্টার বলিয়া জ্ঞাত হইলেও সে নিয়া ভিন্নমত আছে । কোন কোন পন্ডিতের মতে ইনি পোস্ট মাস্টার হইলেও রেল স্টেশানের সহিত ইহার ওতপ্রোত সম্মন্ধ হইতে প্রতীত হয় যে ইনি স্টেশান মাস্টার হইলেও হইতে পারেন আবার স্টেশনাস্থিত গাঁটকাটাদের মাস্টরও হইতে পারেন । যদ্যপি স্টেশানমাস্টারের ট্রেন ধরিতে তড়িঘড়ির কথা ভাবিলে আশ্চর্য লাগে । তদুপরি তাঁহার এই চিরকালীন শ্বশুর বাড়ি গমণের ঘটমান বর্তমানের কথা ভাবিলেও বিভিন্ন প্রশ্নের উদ্রেক হইয়া থাকে যথা – যদু কী একদারগ্রস্ত ? না-কী বহুদারগ্রস্ত কুলীন ? কিন্তু তাঁহার পদবীর উল্লেখ না থাকায় সে প্রশ্নের মীমাংসা আজও হয় নাই । উপরন্তু তাঁহার পা পিছলাইয়া আলুদ্দম হইবার ঘটনা থেকেও পরিষ্কার আন্দাজ করা সম্ভব নয় যে দমের আলুটি তাঁহার দেহের ঠিক কোন স্থানে অভিব্যাক্তি পায় ।


--
রবিনন্দন ক্রুশো
--
শ্রী রবীন্দ্রনাথ ক্রুশোর জ্যেষ্ঠ পুত্র রবিনন্দন ক্রুশো প্রথম বাঙালি ভূয়াবিষ্কারক (এক্সপ্লোরার) ছিলেন । স্কট ও আমুন্ডসেন সায়েব উত্তর ও দক্ষিন মেরুর অস্তিত্ব ও তৎসংক্রান্ত চুম্বকীয় শৈত্য (সইত্য) আবিষ্কারেরর পূর্বেই রবিনন্দন পূর্ব ও পশ্চিম মেরু আবিষ্কার করেন । এই মেরুকরণ আজো পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী বিকর্ষন শক্তি বলিয়া পরিচিত । প্রখ্যাত দর্শনবিদ কার্লড ম্যাক্স সায়েব এই শক্তির উপর নির্ভর করিয়াই তাঁহার আজো প্রাসঙ্গিক তত্ত্ব – “ইস্ট বিলংস টু ইস্ট অ্যান্ড মেকস বীয়র, ওয়েস্ট ড্রিঙ্কস অ্যান্ড এনলার্জেস ইটস ওয়েস্ট লাইন অ্যান্ড দেয়ারফোর দ্য টু এন্ডস শ্যাল নেভার মীট” –এর স্থাপনা করেন । একবিংশ শতাব্দীর পন্ডিতেরা এই মতের বিপক্ষে “গ্লোবালাইজেশান” নামক পাল্টামত চালু করিয়া কলিকাতায় গ্লোব সিনেমা-র মাধ্যমে পশ্ছিমা অর্থনীতির প্রচলনের প্রচেষ্টা করিলে ভয়ংকর বার্ড ফ্লু তে আক্রান্ত হইয়া পৃথিবীর সমস্ত পক্ষী ফ্লাই ফ্লিউ ফ্লূ হইয়া গেলে বিশ্ব জুড়ে প্রবল অর্থাভাব হয় । শিল্পোদ্যোগ ও কৃষি উভয়েই ওবামা, ওসামা, দামামা ও মামামায় আক্রান্ত হইয়া অবশেষে ঘোর কলিকালের জন্ম হয় ।

পূর্ব ও পশ্চিম মেরু আবিষ্কার কালে এক ভয়াবহ জাহাজডুবির শিকার রবিনন্দন ব্রাজিল ও হংকং –এর সীমানায় পান্তালুন নামক দ্বিপে আটকাইয়া পড়েন ও দীর্ঘ একত্রিশ বৎসর নারিকেল ও কাঁকড়া খাইয়া বাঁচিয়া থাকেন । এই দ্বিপে বসবাসকালীন এক ভয়ানক আদমখোর জনজাতির লাঞ্চ টেবিল হইতে এক অধিবাসীরে রক্ষা করিয়া রবিনন্দন তাঁহার পরিচারক হিসাবে মোতায়েন করেন । উক্ত পরিচারকটি নিজ পরিচয় ও সমগ্র স্মৃতি বিস্মৃত ছিলেন, ফলে রবিনন্দন তাঁহাকে নতুন নাম, পরিচয় ও সচিত্র ভোটার আই ডি কার্ড প্রদান করেন । রবিনন্দন যেই দিন এই অধিবাসীরে রক্ষা করেন সেই দিন শুক্রবার ছিল, ফলে দিন-ক্ষন-তিথি মিলাইয়া রবিনন্দন তাহার নাম রাখেন –“আঠারোইজ্যৈষ্ঠকৃষ্ণপক্ষেদ্বিপ্রহরদ্বাদশঘটিকাদ্বিতীয়শুক্রবার বৃশ্চিকলগ্নে” । পরম কৃতজ্ঞ আঠারোইজ্যৈষ্ঠকৃষ্ণপক্ষেদ্বিপ্রহরদ্বাদশঘটিকাদ্বিতীয়শুক্রবার বৃশ্চিকলগ্নে একনিষ্ট ভাবে দীর্ঘ পঞ্চবিংশতি বৎসর রবিনন্দনের সেবা করিয়া মস্তকে নারিকেল পতনাঘাত হইয়া দেহত্যাগ করেন । প্রিয় পরিচারক আঠারোইজ্যৈষ্ঠকৃষ্ণপক্ষেদ্বিপ্রহরদ্বাদশঘটিকাদ্বিতীয়শুক্রবার বৃশ্চিকলগ্নের মৃত্যুতে তীব্র শোকাবিভূত রবিনন্দন সমুদ্রতটে বসিয়া তিন বোতল নারিকেল মাধ্বী পান করিয়া দেশে ফিরিবার স্থির করেন ও সেই মুহূর্তে নিজ অবস্থা বর্ণনা করিয়া এক দীর্ঘ পত্র লিখিয়া ও তাহারে বোতলে ভরিয়া সমুদ্রে নিক্ষেপ করিতে গেলে তিনি ও তাঁহার হস্তধৃত পত্রসমেত বোতল উভয়েই সমুদ্রে পড়িয়া যান ও এক সুনামি আসিয়া উভয়কেই ভাসাইয়া তমলুক বন্দরে নিয়া যায় । শোক, কারণ ও সমুদ্রবারি পানহেতু বাকরুদ্ধ রবিনন্দন তমলুক তীররক্ষীর (কোস্ট গার্ড) –এর প্রশ্নের জবাব দিতে অক্ষম হইলে তাঁহাকে সোমালি গুপ্তচর সন্দেহে তমলুক জিলা হাজতে বন্দী রাখা হয় । অবশেষে তাঁহার উকিল পরমানন্দ মাহাতো বোতল ও বোতলের তথ্য আবিষ্কার করিলে তিনি ছাড়া পান ও সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় অবিলম্বে বঙ্গবীর হিসাবে মাসিক ৫৫২ টাকা পেনশানলাভ করেন ।

সূত্রঃ রবিনন্দন ক্রুশোর জীবনী ; লেখক দানিয়েল ডেঁপো



--
লালবরণ সামন্ত । ইনি সুদূর রাশিয়া ও চীন হইতে বিভিন্নপ্রকার মার্কসবাদ শিখিয়া তাঁহার সাথে তন্ত্র ও আদি ও অকৃত্তিম ভারতীয় সামন্তবাদ মিলাইয়া এক মিশ্র সমাজবাদের প্রতিষ্ঠা করেন । ইহা বঙ্গ সহ ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে প্রভূত জনসমর্থন লাভ করিয়া ঘোরতর বিপ্লব আনিয়া ফেলে । এই বিপ্লব চাষী জমিতে রোপণ করিলে পরম আধ্যাত্মিক তত্ত্বসমূহ ও কারখানায় নিয়োগ করিলে সামাজিক বিষয়মুক্তির উপাদান প্রস্তুত হয় । এরি প্রভাবে দীর্ঘদিন ধরিয়া বঙ্গদেশে সামন্ততান্ত্রিক সমানাধিকার চলিয়া আসিতেছে । বর্তমানে এই বিপ্লবের প্রবল সার্থকতা এই বিপ্লবের অপসারণের জন্য ঘটমান নতুন বিপ্লবের মধ্য দিয়া চিত্রিত ।


--
শক্তি বল । বিখ্যাত দেহচর্চাবিদ । খর্বতায় তিন ফুট হইলেও ব্যাপক প্রস্থে তিনি হারকিউলিস-রেও হার মানাইয়াছিলেন । দীর্ঘদিন হলিউডে শরীরচর্চার বিদ্যালয় চালাইয়াছিলেন । কৃতি ছাত্রদের মধ্যে স্যান্ডো, জাঁ ক্লদ জ্যায় গোঁস্যাই, সিলভেস্টার স্ট্যালোন, ও সুবোধ সরকার উল্লেখযোগ্য


--
ষড়যন্ত্র কর । বিখ্যাত দেহতত্ববাদী বিজ্ঞানভিত্তিক সঙ্গীতজ্ঞ । ছয়টি ইন্দ্রিয়কে ষড়যন্ত্র হিসাবে বর্ণনা করিয়া ও তাঁহাদের ভিতরের হরমোনাল যোগাযোগ নিয়া ইনি বিস্তর সঙ্গীত রচনা করিয়াছেন যাহা ঘোর খটোমটো হইবার অপরাধে জনপ্রিয় না হইলেও আজিকার শারীর ও চিকিৎসা বিদ্যার অগ্রগতির জন্য পরম মূল্যবান সম্পদ ।


--
সব্যসাচী সান্যাল ওরফে পাজী সব্যসাচী । ইনি বিস্মৃত নহেন অস্মৃত । কৃতীও নহেন । যেহেতু দুষ্ক্রিয়াও একটি ক্রিয়া বলিয়া পরিচিত সেই হেতু পাজী সব্যসাচীকে এই বিশ্বকোষের অন্তর্ভুক্ত করা হইল । বাঙালি পিতা মাতার স্বাভাবিক মায়া মমতাবশত খঞ্জরে পাহাড়ুকরণ যে মতে হইয়া থাকে সেই মতে এই আপাদমস্তক নুলোও সব্যসাচী নামে অভিহিত হয় । ইনি নিজেরে লেখক প্রমাণ করিতে কালি ঝুলি নিয়া বিস্তর গবেষণার পর নিজ ও বঙ্গভাষার মুখমন্ডলে কলঙ্কলেপন ব্যতীত আর কিছুতেই সমর্থ হন নাই । ফলে আজো বঙ্গভাষা এই নরাধম দুর্বৃত্তের পাশ দিয়া বিদেশী ভাষার মত এক্সট্রিমলি কেয়ারফুলি পলাইয়া যায় ।


--
হতামযদি ভড় । কৃতি বাঙালি ইচ্ছাবিদ ।

(আপডেটে ইচ্ছুক বাঙালি jabaali@yahoo.com- এ যোগাযোগ করুন)

Thursday, August 11, 2011

ডুবোপাহাড়ের লগবুক

দূরে টর্চ জ্বলে
দূরে ছাই ওড়ে
টর্চের আলোয় বোঝা যায়
দূরে নিমগ্ন হয়েছে কথোপকথন
টর্চের আলোয় শোনা যায়
ক্রমিক হয়ে এসেছে বৃষ্টি
টর্চের আলো ভিজে যায়

মুখ মুছে ফেলি

বাতাসপ্রতিমা, এই আমি, এই আমার ঘটনা, আক্রান্ত গোধূলি, ক্ষণ, পর্ব ও পর্বের অতিরিক্ত ক্রমাটে গড়নে ক্ষারচিহ্ন, প্রার্থনা, মনে রাখা সংক্রান্ত জটিলতা ।

আর এই আমার চলে যাওয়ার স্টাইল—যা নিয়ে ভাবার অবসর অন্য কেউ পাবে ।

পাবে, ঘটমান বারে
সূর্যমুখী মদ স্যাক্সোফোন
প্রতিভা, কৃতিত্ব
বাথরুম সংলগ্ন প্রমা
যার নিত্যবসর
মুখ গুঁজে মুখস্থ করে
হেরে যাওয়ার পদ্ধতি

দূরে টর্চ জ্বলে
দূরে ধাবমান মুখ
মুখের সারির মাঝে
নীলরঙ্গা ডুবন্ত জাহাজ
বন্দর হারিয়ে যাওয়ার স্মৃতি, আফশোস
এ সমস্ত
টর্চের আলোয় দেখা যায়

বাতাসপ্রতিমা, আমার নিরক্ষর হাতে মানানসই হয়ে আছে ভার, অভিকর্ষ। নীচে জাল নেই-- ট্রাপিজের দিকে ঊড়ে যেতে যেতে এই আড়ষ্টতা মায়াময় লাগে ।

--
এরপর সম্পূর্ণ নিরস্ত্র করে দেয়া হয় তোমাকে । ছুটির দুপুর হাতে ধরিয়ে তোমার ওপর লেলিয়ে দেয়া হয় সিলেবাস সমেত স্কুলবাস । আর সমস্ত যৌনতামাতৃক কারখানা দু’মিনিট শোকাভিনয়ের পর অভ্যাসমত ফের ঝুলে পড়ে সিলিং ফ্যানে, আংটায় ।

ভেবে দেখেছি, যে কোন দাবীই ভ্রমণ
বাড়ায়, নিজেও জংলী হাওয়াই প’রে
ঘোরে মেট্রোর তৃতীয় লাইনে, দড়িতে, আংটায়, কশেরুকায়
পৃথিবীর সমস্ত সরণীতে সৌন্দর্য হাঁটে আর আমাদের
বয়স বেড়ে যায়
দড়ি, আংটা, কশেরুকা সব জীর্ণ হয়
লেনিনসরণীর মোড়ে ঘড়ঘড় করে ওঠে
রেডিও, রেডিওতে—সলিল, রেডিওতে-- অন্তবিহীন

যখন চরাচর শূন্য হয়ে আছে, কোন স্মৃতি আর খুঁজে পাচ্ছে না তোমায় -- তখন বরফ পড়ে, বরফের ওপর লাল জুতোর ছাপ প্রকট হয়ে ওঠে – কচি ও চপল, স্থানে স্থানে অগভীর সেই সব দাগ – একা নেকড়ের মত মোহময়, দিন শেষের বিরক্তির মত করুণাময় ।
--
ওখানে আগুন জ্বলছে । ক্রমে স্থির হচ্ছে রাত । থিতু হচ্ছে । আমাদের সুখী হাতে শূন্যতা ভালো মানায়। ওখানে শূন্যতা জ্বলছে, সবুজ বর্ষাতি, কটু ধোঁয়া
আমাদের প্রাকৃতিক হাতে ভালো মানায় সখ্যতা

পর্দার ওপারে
কেউ পায়চারী করে
আমার স্মৃতির মত
ওটা আমি নই
আমার সন্দেহ
প্রকৃতি সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্য
জানে না
ফলে কোন সখ্যই স্বচ্ছন্দ নয়

ওখানে আগুন জ্বলছে । ক্রমে উদ্বায়ী হচ্ছে রাত । প্রেরণা হয়ে উঠছে । আমাদের বিক্ষত হাতে প্রেরণা ভালো মানায় । ওখানে প্রেরণা জ্বলছে, নীল বর্ষাতি, কটু ধোঁয়া । পর্দার ওপারের ছায়া তিরতির কাঁপছে
শূণ্যতায় হাত সেঁকছে ।

এ সমস্তই এক সিনিকের কথা
যে জানে
গভীরতা একটি খাদ মাত্র
উঠে আসার এক মাত্র পথ আরো নীচে
গভীরতরতায়
--
মেয়ে হ’লে দু’ডজন নাকছাবি দিয়ে
বলতে পারতাম
পরিস দু’খানি
বাকি গুলো হারিয়ে ফেলিস হলুদ কলুদ বনে
--
শূন্য চোখ সমেত বদ্ধপরিকর সূঁচ
অণুসরণ করে খড়ের গাদাকে
তার প্রেরণাও রাত
শেষের এক সিগনাল মাত্র
আর প্রেরণার ব্যক্তিগত
সূঁচ আপ্রাণ হারিয়ে ফেলে নিজেকে
পাহাড়ে, সৈকতে, বাথরুমে, ঠা ঠা হাসিতে
নাক ফোটাবার নিমিত্তে
আর কিছুই পড়ে থাকে না ।
--
নিদ্রাতুর হেঁটে যায় উট
স্বাচ্ছন্দ্য পেরিয়ে যাওয়া
সেই সব হাঁটা
হলুদ কলুদ বনে আমাদের কলকব্জাগুলো
বেড়ে ওঠে
আফশোসহীন, প্রেরণার আতিশয্যহীন
এই সব আপাত পূর্ণতার মধ্যে
জনসমাগম হয়
বসতির গন্ধ ছেয়ে যায়
কাঁটায়, লেবুর ফুলে
প্রাকৃতিক সমস্ত টানাপোড়েনের মধ্যে
পাতা পোড়ে
উদ্বায়ী পাতা
--
এর পরেও কী একটা মন্থরতা প্রাপ্য হয়ে উঠবেনা – আমাদের
পরিবেশগামী মানুষেরা জলে নামে
পরিচ্ছন্ন জানু ও বাহু তাহাদের
পরিচ্ছন্ন তাহাদের অবকাশ

দূরে টর্চের আলোয় দেখা যায়
মেট্রোর তৃতীয় লাইন
আর একজন তৃতীয় কাউকে খুঁজছে
সুড়ং-ট্রেনের মত
দ্বি-স্তন প্রাণীদের জানা
পৃথিবীর তাবৎ প্রেরণা তৃতীয়
শাবকের কাজে লাগে
--
বাঁকের কাছে এলে সব সরল হয়ে ওঠে
অনিশ্চয়তা বলে কিছু বোধ হয় না
বিলুপ্তির দিকে বাড়িয়ে রাখা হাত
বুঝতে পারে – গাঢ়তম অন্ধকারও হারিয়ে
যাওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়
টর্চের আলো ভারী হয়ে আসে
হুড়মুড় করে ছুটে আসে
প্রতীয়মান সরলরাস্তার ওপর
দ্বিধা জমে
স্বচ্ছন্দ দ্বিধা
--
এই এক বর্জনের আভা
যার অনুরক্ত হয়ে ওঠে ছায়া
জমে জমে
গড়ে ওঠা বেড়াল

আত্মনিগ্রহের মত সরল ও অনুকম্পাহীন
অজস্র আনুগত্য ভেসে উঠছে
জলে
আঁশটে গন্ধে ভরে যাচ্ছে তটরেখা
দৃশ্যের দিকে গুঁড়ি মেরে এগিয়ে যাচ্ছে ছায়া

আমাদের অতিক্রম করছে
আমাদের বোকাটে বিস্ময়
--
কাল ছিল
আজ অবাধ হয়ে আসে
যেন ভারী প্রযত্নময় এই আজ
নির্দিষ্ট ও উচ্চগ্রামে
সশব্দে সংকেতের মধ্যে ঢুকে যায়
এই সব তাপে ঋদ্ধ ও চিন্তাশীল
আমাদের ছায়া
উটের ছায়ার তলে জিরিয়ে নিচ্ছে
পুষ্ট ও টসটসে হয়ে উঠছে
--
পিন্টো বলে – cut the crap man !—এই প্রতীক নিয়ে আদেক্লাপনা তোর আর গেল না । টর্চের আলো কিসের প্রতীক ? উট কী ? এত ডিপ্রেশান কেন ? আত্মহত্যা কেন ? মেট্রোর থার্ড লাইন ?

পিন্টো, ভাষাটাই তো লোগোসেন্ট্রিক । প্রতীককে শেষ করে দিলে শুধু ধ্বনি – সঙ্গীতমাত্র । সঙ্গীত এই মুহূর্তে চাইছি না । আর প্রতীককে আলগা করে দিচ্ছি । টর্চের আলো কখনো স্মৃতি, কখনো বিক্ষিপ্ত বোধ, কখনো ইন্সটিটিউশানের নির্দেশ, কখনো একেকটা মুড, অবস্থা, অবস্থান, রিপু – ভেবে দেখেছিস—কোন রিপু কখন প্রবল শুধু তার ওপর ভিত্তি করে চোখ পড়ে বিভিন্ন স্থানে । কখনো টর্চের আলো শুধুই টর্চের আলো ।
উট ? উট একেকটা জার্নির আগে কুঁজে চর্বি জমা করে – দেহের সবচাইতে এফিসিয়েন্ট এনার্জি সোর্স – জার্নি চলে, না খেয়ে না দেয়ে চর্বি ভাঙ্গে -- ফ্রী ফ্যাটি অ্যাসিড, ট্রাইগ্লিসারাইড মেশে রক্তে-- পৌঁছে যায় পেশীতে, যকৃতে সেখানে গিয়ে আবার ভাঙ্গে বিটা-অক্সিডেশান -- উটের কী ডায়াবেটিস হয় না ? এত এফিসিয়েন্ট মাইটোকন্ড্রিয়া ? গন্তব্যে এসে আবার নতুন করে রসদ, চর্বি ।
পিন্টো, ৩ বছরের ইনকিউবেশানের পর ব্র্যাকেটশহর লেখা । সবটা সোর্স শেষ হয়নি । নতুন পথে বেরোবার আগে শেষ করে ফেলতে চাই । এও তো আত্মহত্যাই । যাতে আবার প্রথম থেকে অন্য কিছু শুরু করা যায় ।

কাল ছিল
আজ অবাধ হয়ে আসে
ডুবোপাহাড়ের লগবুক
মুখ তুলে দেখে—আবার নিবিষ্ট হয়
মাংসে, চেটে শাদা করে নিজ হাড়, হাড়ের পৃষ্ঠা

কার্যত কোন দয়া নেই
ঘনীভূত হয়েছে প্রখর
বিশ্লেষিত জানালাসকল
সেই সব সূর্যের দিকে হেঁটে যায়
আলগা, হিংস্র সেই হাঁটা
টানাপোড়েনের চিহ্নমাত্র ছাড়া
--
বিরুদ্ধতার দিকে যখন আমাদের রিট্রিট এগিয়ে
যায় নিস্তব্ধতাকে ছুঁয়ে বোঝার চেষ্টা
করে শিশুরা সেই ডাইড্যাক্টিক স্পর্শের
মধ্যে ঘুমিয়ে পড়তে থাকে নিতান্ত এক
শিক্ষণীয় পরিখা আদুরে ও আমন্ত্রণকারী
এই ডামাডোলের মধ্যে যাকে গোঙ্গানির
শব্দ বলে ভ্রম হওয়া আশ্চর্যের
নয় সে এক মাংসরঙ্গা বেলুনের
এলোপাথাড় বেলো
যার ওপর টর্চের আলো পড়েনি
যার ওপর টর্চের আলো পিছিয়ে আসছে
--
কেন্দ্র এক চ্যুতি হয়ে দাঁড়িয়ে রইল
জলের কাছে ডুবো জাহাজের প্রতীকের কাছে
স্থির ও মাংসল সেই চ্যুতি
যা কেন্দ্রকে ভুলিয়ে দেবার জন্য যথেষ্ট ফলে
দৃষ্টির মধ্যে বানচাল হয়ে ওঠে দৃশ্য
তীরের কাছে এসে ফিরে যায়
প্রতীকের জল্পনাগুলি
ডুবোজাহাজের বিকল্প ডাইভ

Monday, August 8, 2011

Morning sky

Morning sky
-------------------
Tall mornings, toasting bread, coffee-simmer
An open book, an optimum crow
Beaks open to sky
A murky sky, open to lengthy propositions
(The violinist who passed an audition
To play in front of Brochant subway called himself “Kalidas”)
The sky devoid of its tall claims
Is merely a mourning ground
For limits pruning themselves clean
Amongst wishes non grata
Claims walk this world, they devalue everything
And loss is a habitat in its own right
Sustaining us who are prone to
Adequation on cloudy mornings
Calculating dissipations that occluded
Judgments all summer
Among tribulations
A morning is all a slaughterhouse can claim
Of calm and untidy deaths
Emanating, permeating into local bakeries
Hands, gestures, values
Kinetics of tongues lost in translation
Of space and closed skies
And windows clouding the sky

Wednesday, August 3, 2011

ব্র্যাকেটশহর

Mr. Bean said – Don’t beat around the bush, It’s a long night already, come to the point.

Can we truly reach a point?
I’ve looked at points closely and realized that
except the point itself everything else is beside the point.
So what’s the plan?
Where do we go from here?
Where do we find relevance? Be counted?

such is the need for being relevant
even your inhibitions weep in allusions to loneliness
and to think these inchoate poems will
survive their travel through periphery
is
a
joke
i never cracked
but
is always on me

me is a toilet paper
good enough for
an arse and a reference
to an unbiased form of
entombed green memories
--do you remember
-- no I don’t
--it was there
--no it wasn’t

and paradigms of uncertain metaphors shift
to become locale versions of
truth

sweet sweet truth
It’s one wonderful evening
it’s not the time to search for coherence in a pomegranate

wouldn’t you rather pick-up a date, drink martinis and listen to
older melodies—versatile enough to both sweep away
and secure the relevance of being naked
in parts

ব্র্যাকেটশহর
সব্যসাচী সান্যাল

বিরহের পাশে বেজে ওঠা ব্র্যাকেট শহর
পুকুরে পুকুরে ছাঁচ ফেলে তুলতে চাইছ
মাছের আকার
আর মাছ সংক্রান্ত চিন্তা
আদমশুমারির দিনে

বৃষ্টিপাতের জোরাল ফোরকাস্ট
এইসব দিনে আধোঐন্দ্রিক ইলশেগুঁড়িও হয়ে যাক
ওহো ভালো থাক এই উথলে ওঠার বোধ
ভালো থাক বোধের গায়ে যে মৌমাছি
বসেও বসে না
বোধ যে একটা রিলাক্ট্যান্ট ধর্মগ্রন্থ কাকে কে বোঝাবে
উচ্ছে ক্ষেতের ধারে নিকোনো পাদ্রী
আমি ভাবছি ব্র্যাকেট শহরে গুম হয়ে যাওয়া সোফোক্লিস
বিকেলের তল্লাটখবর
একজন খবরী-খোঁচড়
কানে কানে জানতে চাইলেন ব্যাটম্যান ও মিঃ বীনের
মধ্যেকার আসল সম্পর্ক
--
সম্পর্ক
সম্পর্ক একটা কাচের বোতল
যার মধ্যে পরিষ্কার একটা ইকোসিস্টেম
থরে থরে ঘুলিয়ে উঠছে
মিঃ বীনের নাক ছেঁটে ফেলছেন
রবিন অফ শেরউড
রবিনের টুঁটিতে সাঁতরাচ্ছেন
রামমোহন
রামমোহনকে নখে ঝুলিয়ে উড়ে যাচ্ছেন
আরব্য রুক
রুকের গুহায় সন্তর্পণে অন্ধকার
খুঁড়ছেন ব্যাটম্যান
ছড়িয়ে পড়ছে তাঁর নির্ধারিত স্বগতোক্তি
ফিরে আসছে
গোগোলের নাক
মিঃ বীন
--
মিঃ বীন বললেন – life comes a full circle

আমি ভাবছি – A circle is a denominator of my own loneliness
pervading through society and landscape
encompassing but leaving things alone to their own loneliness

ক্ষণবিভাগের আলো
সারাজীবনের আলো
আলোর মধ্যিখানে নির্লিপ্ত পলতে
বাঞ্ছনীয় কাটা ঘুড়ি
ওহো তার নিজস্ব হাওয়া
কাঁপলো প্রদীপ
যত কাঁপা তত বেড়ে ওঠা
তত আলো
স্বাভাবিক বেড়ে উঠছে
আমি ও আমার স্বগতোক্তি
হদ্দ ঘুরিয়ে আনা ডালিমকান্ডে
হে একাকীত্ব হে বেড়ে ওঠা হে আদ্যন্ত ব্র্যাকেটশহর
--
ব্র্যাকেটশহরে
ঘাঘু পর্যটক
আমার শহর আর আমারই দোটানা
মূলত তন্দ্রাবোধ
কাচের বোতলে
ঘুমিয়ে পড়ছে সার্বভৌম শোক
শোকের এককগুলি জায়মান
ঘুরে দাঁড়ানোর পায়ে হাতের চিহ্ন
চিহ্নের শৃঙ্গার-প্রবণতা নিয়ে
তিনশো বছর কাটিয়ে উঠছে যে অটুট দেয়াল
তার আগামীর শর্ত একটি ফাঁকের সম্ভাবনা
ঘাঘু পর্যটক
আমি ত বসন্তের কাছে জানতে চাইবো না
উৎসবের মানে ও সূত্র
হলুদ উড়ে যাচ্ছে যে প্রাণপণ ঘুড়ি
তার কাছে বর্ণতার রাখা আছে ঘটনাপ্রদাহ
মানমন্দিরের দূরবীনে ছোট হচ্ছে আলো
তীব্র হচ্ছে
আমার দোটানার মাঝে
রাখা হচ্ছে ছুরি
আর
শোকের এককগুলি ডাকে
--
সোফোক্লিস বলছিলেন -- এই যে শোকগাথা, দেয়ালগীতি এগুলো সবই সমুদ্রঅশ্বদের জন্য লেখা । খ্রীষ্টপূর্ব 739 এ । সভ্যতা তখন নির্ভরশীল সমুদ্রশস্যের ওপর । সমুদ্রঅশ্বরা কর্ষণ করতো জলতল । ঘুরিযে আনতো পুষ্টি । কার্থেজীয নৌসেনা শুরু করে এক জৈবযুদ্ধ। ওরা এক নতুন প্রজাতির হিংস্র ডায়াটম ছেড়ে দেয় উপকুলে । ডায়াটমগুলি এক অভূতপূর্ব স্নাযুবিষে কাবু করে ফেলতো পুরুষ অশ্বদের ও তাদের সন্তানথলিতে সদ্যজাত অশ্বের মস্তিষ্কে জারি করতো নিজস্ব প্রজনন । সদ্যজাত অশ্বগুলি বিকৃত ও অশ্বমাংসলোভে ক্ষিপ্ত হযে ঊঠতো । বিশদ গবেষণার পর মহামতি আর্কিমিডিস, মোৎজার্ট ও মেহদী হাসান যৌথভাবে আবিষ্কার করেন এই গীতি । এবং শুশুকদের কন্ঠে তা স্থাপিত হয় । কথিত, এই সংগীত ডায়াটমগুলির মধ্যে সৃষ্টি করে পাল্টা উন্মাদনা ও তাদের আত্মহত্যায় বাধ্য করে । যদিও মহর্ষি দেকার্তের মতে ডায়াটম একটি এককোষী algae বিশেষ-- উন্মাদনা ও আত্মহত্যা-জাতীয় কমপ্লেক্স ব্যবহার একমাত্র জটিল প্রাণীদের ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ যেমন মানুষ, লেমিং , ভারতীয় হস্তিনী । দেকার্তের মতে এই গীতি আসলে এক তরঙ্গধর্মী উৎসেচক। যা ডায়াটম কোষপ্রাচীরের মিউরামিন অম্ল ও যৌগিক শর্করার শৃঙ্খলকে ভেঙে ফেলে ।
সোফোক্লিস আমাদের এইসব বলছিলেন । নেপথ্যে বাজছিলো আমাদিউস । বাইরে বৃষ্টি হচ্ছিলো । বৃষ্টি একটি চরাচর হয়ে উঠছিলো ।
--
নিপুণ ও ঝানু ব্যাবহারে
সদ্যান্ধ রূপকের মত
ভ্রাম্যমান ব্র্যাকেটশহর
কতভাবে তুমি ভালো থাক
নিরাপত্তার মত পৌনঃপুনিক
মনে করানোর দিনে
সেই সব ঘটিত টকীজের পাশে ক্লান্ত কবরখানা
দ্রোহের বৈপরীতে দ্রোহ
ঝিকিয়ে ওঠা ময়ুর
আলতো ঘুরছে
খুঁটে খাচ্ছে কাকের খাবার
টোটার গন্ধময়
দুপুরের ঝিলে ডেকে উঠছে রিক্সার হুড
এক ফালি বেগম সাহেবা
মনে পড়ানোর দিনে
গঠিত আমলকি
কন্ঠার হাড়ে
জল ঝেড়ে উঠছে ব্র্যাকেটশহর
--
আমার লেখার পাশে
লিখে ফেলা অনুভবগুলো কাঁপছে
হৃদ্যতার মত
নিপাট জংগলে
ছায়াবিষয়ক এইসব কবিতা
খুব বর্ণনামূলক ভাবে ভালো আছি
আমার ভালো থাকার পাশে
লেখাগুলি কাঁপছে
এই এক তথ্যকাহিনী
শাদা ও অন্ধকার ভুবনের ধারে
আমার ঋতুজ্ঞানের অসাড়তা নিয়ে প্রশ্ন কোরো না ব্র্যাকেটশহর
--
ব্র্যাকেট শহরে ছুটছাপ ঘোড়া
ও ঘোড়ার অন্তলীপ
এই দ্রুতির আভাস এই দ্রুতিগন্ধময় আবহাওয়া
ফুটপাথ ফাটিয়ে ফেলছে
আমি কতদিন নিজেকেই ফেলে রেখে
চলে গেছি শ্রেণীবিভাজনে
বেহদ্দ তথ্যশিকারী
হে একদা ডালিম গাছ হে সারাজীবনের প্রত্নবিন্দু
আজ শুধু মেহেদি গাছের বেড়া
তার পত্তা পত্তা
তার বুটা বুটা
--
ওইখানে
তোমার তারের মাঝে
তুমিও নিবিড়
ব্র্যাকেটশহরে

বেহুদা শ্রমণ
নিরলস ছুরির সামনে
উদ্যত হয়ে উঠছে
টুঁটি
হিংস্র হয়ে উঠছে
ঘাত উঠছে

ঘাত নামছে

ওইখানে ইঙ্গিতময়

রাত বারোটার ঘরে থামছে কাঁটা
ছুরি ও রেকাবে নিবিষ্ট হৃদ

হৃদি

চরু ও যতনশীল

একটানা পদ্ধতিময়

রাত্রি বারোটা
--
মিঃ বীন বললেন --
Go easy on these thoughts
as all they lead to is amassing
fear and paranoia
bracketshahar
my innards know – this testimony that
the stone yields to the hammer-
is a conspiracy
the stone yields to its own uncertainty
and the hammer yields to its elemental metaphor
Oh I truly believe everything is alive
including you, me, this poem, the stone,
the hammer
It's just that we don’t own a bulletin board
that floats
--
মিঃ বীন বললেন -- However futile it may be, the humane urge to define anything and everything is imperative, despite the irresolution. This process eventually leads you to accept the futility but not without relevant questions. These questions redefine what you essentially are.
সিপিয়া শহরে তাম্রলিপ্ত ফুল
ব্রোঞ্জের চাকা
তুষার জমার দিনে ভারী ও সন্তুলিত
কুমোরের চাকে অবিকল গ্রহণযোগ্যতা
নিয়ে ভাবছিনা
আমি ভাবি তার অবিরল মোহ ও সংক্রমণ
সংজ্ঞাবিলীন স্থানিকতা
কীভাবে বরফকণা
চাকার ভবিষ্যতে চাকার অতীতে
আর চাকার প্রতীকগুলি
বরফকণার আগে বরফকণার পরে
--
trappings are quite common in
this landscape
routinely evaluated
serene
hollow
yet
brimming with life
trapped
and the trapper never asks for
your ID
It's not the destination
but the framework of a sustainable prose.
avid ears
wet ideas
ambivalent
punctate words that
give shape to a cemetery
lingering in the shadow of
hallowed windows
--
এক প্রকারান্তর লাগে ব্র্যাকেট শহরে
জারি এক অনির্দিষ্ট সীমারেখা
জারি এক জরুরী লঙ্ঘন
তার জরুরী আত্মা
তার জালিম আত্মা
আত্মার জরুরী জালিম
মীমাংসাগুলি অভ্যস্ত হযে উঠছে
মাংসে ঋতুতে স্পৃহায়
ভ্রান্ত ও জরুরী অবস্থায়
রেললাইনের পাশে দড়ি ও সুনির্দিষ্ট ক্ষুর
নিপুণ হয়ে উঠছে
ব্যবহার হয়ে উঠছে
--
তবে আত্মকথার মত বল
বল এক নিকেশসংক্রান্ত
এইখানে প্রভা ও প্রভার সামগ্রী
এইখানে বিভা ও বিভার সামগ্রী
ঐ চলে যাওয়া বিভা ও প্রভার
পরিত্যক্ত সামগ্রীগুলি
সামান্য হযে উঠছে
অনিবার্য হযে উঠছে
এই আমাদের ছোট হাতের চামচ
যার জলের দাগ কোনোদিন ফুরোবে না
--
ব্র্যাকেটশহর

আমি কে
আমি কার পাহাড়িপ্রবোধ

যত আদ্যন্ত
দূরারোপ করি
আমার মুখোস
একজ্যাক্ট আমারই মতন
সহ্য ও বপন করে
অনুভূতি

মিছিলের যে আলো সেই আলো
একাকী মুখের, মুখোসের

শুধু হেঁসেল আলাদা

মুখ ও মুখোসের মধ্য দিয়ে

আনুভূমিক এই চলাচল
আমাকে গেঁথে গেছে
ধীর ও গ্রন্থিময়

রেগুলার নষ্ট নিবেশে
--
উপলব্ধি আসেন জাঁকিয়ে বসেন
অনচ্ছ্ব করে দেন বাতাস
অনুভূতি
আমি ভাবি কবে ঘটনাস্থলের মত
ঋদ্ধ হয়ে উঠবে ঘটনা
ব্র্যাকেটশহর
--
মিঃ বীন বললেন-– All realizations are interpretation of data acquired by your senses. Since, all senses are suspect, realizations attained through them are deemed uncertain, suspect.
বানচাল হয়ে যাওয়া
হেঁসেল গণিকালয়ে
অপরিহার্য ভুল
এই ভুল নির্মাণে লেগেছে
ধারা ও ধারণায়
ধারণাজনিত সমস্ত গঠনে
রোদের পিঠের পাশে
পিঠ পাতা হয়েছে আমার
আমি সেই ফলার নিকটে
কারণ রাখিনি
লক্ষণীয়, পৃথিবীর সমস্ত জখম
ভিন্ন ও দূরপরায়ন
শুধু তার প্রবণতাগুলি
সমূহ গড়ার কাজে লাগে
রোদের পিঠের পাশে
পিঠ পাতা রয়েছে আমার
আর সূর্যোদয়ের পাশে সন্দেহবাতিক এক সূর্যাস্ত উঠছে
--
আমরা বিষন্ন ছিলাম
আমাদের ওপর তৃপ্তির ছায়া পড়েছিল
সাপের খোলসে ভ্রান্ত নেউলের ছায়া
প্রকৃত অসম্ভবের গায়ে তথ্যের ছায়া পড়েছিল
এই এক অসম্পূর্ণ বিভাজিকা
যার গতি ও মতির দ্রুতি
ধরতে অসামর্থ্য চোখ
ফলে সমস্ত মাপে ও নিবিড়ানুপাতে
যেই বিভাজিকা অথর্ববিশেষ
তার ছায়া আমার অভেদে
এক বালুঘড়ির ভিতরে হয়েছিল আমাদের নীরবতা রাখা
আমাদের ছায়াগুলো কথা বলছিল
--
“এই সেই রোমীয় পথ, যার ছায়া পথপার্শ্বে পড়ে, কর্ষণ করে অটবীর মূল, অতসীর ঝুঁটি ও চকিতে ভ্রাম্যমান হয় । এই সেই ছায়া যা আজও মূল্যবান” -- রবি ঠাকুর এই গান বেঁধেছিলেন ১৯২২ খ্রীস্টাব্দে । সুর ; মিশ্র ভূপালি,পর্যায়; বিবিধ (সূত্রঃ মিতবিতান, পৃঃ ৩২৬)। জনশ্রুতি, এই গান আদতে লেখেন বাবু কমল চক্রবর্তী ২০০৩ খ্রীস্টাব্দে এবং দূরদর্শী রবি ঠাকুর ১৯২২-তে বসে এই গান হড়প/আত্মসাৎ করেন । ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এই ছায়ার জরীপকর্তা নিয়োগ করেন জ্যঁ লুক গোদার-কে । এই নিরন্তর হিংস্র ছায়ার একক নিয়ে ১৫৩৩ খ্রীস্টাব্দে গোদার সাহেব নির্মাণ করেন এক অবিস্মরণীয় তথ্যচিত্র “Shadow building : A whispering art” যা পৃথিবীর সর্বপ্রথম ক্যালাইডোস্কোপ ।
গতকাল আমার দেখা হয়েছিল ছায়াটির সাথে ক্যামেরার দোকানে । ছায়াটির পরণে ছিল তরুণ বর্ষাতি । গতকাল পৃথিবীর কোন কোনায় বৃষ্টিপাত হয়নি – যদিও রেডিয়োতে অশনিসংকেত হয়েছিল ।
--
This city
will enable you to write
these green faces
percolating light through
green eyes
silent green words
leaching down
nourishing
dead plants
হে গাঢ় ও পেডান্টিক চেতনাগুচ্ছ
আমি খুব সাবলীল নই
যদিও আমার অভ্যাসগুলি সাবলীল
আমার নকশার ধারে
আলোর পিস্টন
ঘটনাবিহীন
খুব স্বাভাবিক ভাবে ভেবে উঠি
হে মানডেনিটি হে আমার প্রকৃত সুস্থতা
--
And the decanter and the decanter's metaphor and its vulneralibility and its innerself sloshing at the hand's approach and the hand, its guarded manicure and the featureless hesitation travelling from the hand to the decanter and the sloshing innerself succumbing to the hand's lonliness and its nowheredom and the etymology of the inner sloshing and its despotic truewhereness and the mouth’s gullibility and…
--
Damn it Mr. Bean, It was never my ambition to write a memorable line, I just wanted to write a memorable pause.
মিঃ বীন বললেন--
It’s alright to feel cheated as this is the only emotion that truly is existential in principle. By the way, did you know that “morality” is a byproduct of the sense of being cheated.
আমি সেভাবে ভাবিনা শুদ্ধতা
আমি এক আনুগত্য জানি
যার অভ্যন্তর যৌগিক ও নিরন্তর
ফাটিয়ে ফেলছে মৌলিকতার দাবী ও আকর্ষণ
হে ঐক্যজানু হে জানুগত পার্থিব নতমানসতা
আমি একমাত্র অনুগত আমার ধড়ের ক্ষণিক স্থানিক জৈবিক আড়ষ্টতার
--
Yet you float your elemental belongingness in unknown water, yet you acquire newer fears, yet you go searching for avoidable traps, yet you learn to love the arena where you have tasted your gore, bile, soliloquy, pride, helplessness, your continuum … time and again…yet time and yet again…
মিঃ বীন বললেন –Epigenetic modifications are heritable changes that take place without altering the genetic sequence – your habits/surroundings may switch off/ on genes by just methylating or demethylating them...
and my fears now know-- I thought, so I became... yet time and yet again...
Oh how my fears inherit their fears...
--
It hurts ! This petulance
Mr. bean repeats – wisdom is the art of unlearning the obvious…
Fucked up, I am so fucked up…
He says: abandon this drama, theatrics
Come on !
How the fuck do I unlearn my nourishments
my soul
That undulates on a fulcrum of
Non & Yon
bugger you and bugger all, Mr. Bean
--
Mr. Bean said-- Ignorance is the strongest force, beware.
Am I merely the interpretation of my own undiscovered coordinates
An imperfection conjoins the values of this sublingual weather
My only regret is that I am forged to remember
Oh I figured out—to forget is to attain freedom in its truest
Let me appreciate a bronze-flower a flesh-flower
and their muted decorum
striving to bury
the immediate sense of necessity
Interpreting me through my follies
Interpreting me through their follies
--
রিপুযন্ত্রের আঁচে ব্র্যাকেটশহর
খাক হয়ে যাচ্ছে
ভাবতে চেষ্টা করছি
সে ভাবে তো অরাজনৈতিক নই
সমগ্র বাজারের আলো ও বাতাসের রাজনীতি নিয়ে
লিঙ্গের রাজনীতি নিয়ে আমি যথেষ্ট সচেতন

এও ভাবছি আমার বাজার আমার আলোবাতাস
আমার লিঙ্গ কী সব্য-সচেতন ?
মিঃ বীন বললেন- politics is an organic interlude to an imposition
of
structure

mind you, although the “imposition” inevitably looks for a stability,
the structure may turn out different -- decisive or dynamic

আমি এক অরূপ ধবংসস্তূপের কথা জানি
জানি তার রিপুর বহর
এক সুরেলা রেখার মধ্য দিয়ে যার
টান শহরের সমস্ত আয়নায়
ঢুকে গেছে
--
these streets you will walk again

Mr. bean said-- seasons change
so do
street signs

a teardrop on a copper jacket
a teardrop on a copperhead

once everything had a season
now a season has it all

প্রতিটি ঋতুর নিজস্ব রয়েছে
হিরন্ময় গান্ডুঘর
উদুম গাব্বুরীতি
পরিমার্জিত বাসনালয়
ও টোটাল গরিমা
আমি সেই সব বাসনার কথা শুনেছি
যাঁদের গদ্যরূপ অলংকৃত
প্রগাঢ় উপমার জন্মস্থল
যেমন আকাশের কথা

আকাশের সমস্ত গাছেদের বাদ দিয়ে
--
আমার প্রজ্ঞার অবয়ব আমার মতন নয়
আমার আত্মার অবয়ব আমার মতন নয়
আমি আত্মাহীন ভাবতে পারি না
কোন কবিতার কথা
আমার কবিতা আমার মতন নয়
আমি নিজস্ব দেখি স্বগতোক্তির আত্মাদের
আত্মসাৎ করি
তাদের কারোরই অবয়ব আমার মতন নয়
ব্র্যাকেটশহর
আমার অনুপস্থিতি একদিন আমাকে খুঁজে বার করবে

My absence will hunt me out

My absence will hunt me down
--
হে জাগতিক প্রার্থনাগার, আমার চরিত্র চায়-- আমি যেন সেরা ছুরি হই, প্রকৃত খঞ্জর ।
সেরা খুন । সেরা ব্যবচ্ছেদ ।

--
I will walk these streets again

আমি জানি এই সমস্ত রাস্তার ভবিষ্য
আমার মধ্য দিয়ে হেঁটে গেছে
সমগ্র ফুলজলবায়ু সমেত
ঘেন্না ও আন্দোলন সমেত
হেতু ও জঞ্জাল সমেত

এক তাম্র সর্প ও তার সোনার তারের মত
হিলহিলে ধর্ম
--
সে ভাবে ধর্ম জানি না
আমি খুব আন্তরিক জানি
প্রশ্ন ও প্রশ্নের বাহার
চারুলিথিক বারান্দায় যার গন্ধ ও গঁদ
তরঙ্গিত হয়

এই এক পৃথিবী ফলছে মাদারের ডালে
যাকে কমলার মত বলে চিনি
যদিও তার রস তন্তু ও গন্ধ

উপমায় রাখা হয়নি
--
Eventually it all boils down to comprehension
even if you spell it all
it bothers at spots
marooned and wise
memories trying to decrypt their memories
I have spilled enough to know
no memory is worth courting, hanging
out with -- in a backyard sun
and then
there are memories that are
felled futures

a tea-cup that never went back to China
--
Bracket shahar, ignorant as I am, it took me 37 years to realize, that you actually need an appropriate language of thought. And now I am dumbstruck by its implications, considering the empty graveyards where a language blossoms, its coherent fences, colors, strictures, variable degrees of freedoms….
--
The veritable fences and their
rogue signifiers
colors lapping colors
sounds chastising sounds
obdurate values hardly recognizable in
lengthy satin suits, funny hats
it’s a fair basically
an all night affair
carriages and their defined horses
rein
car
nation

everything is a necessity down here
even this perverse deployment of inevitability
--
ব্র্যাকেট শহরে আজকের পাঠে পিয়ানো কুমার । এই স্মিত ও মন্থর সুরা-দ্বীপ । আমাদের প্রশ্ন মন্থন করে কবিতা । ঘনবনজ থেকে সুনামির বহু বছর যা নিয়ে চতুরঙ্গের মৌ ও আকৃতিতে পাওয়া মৌচাক । যে কোন স্বাধীনের মত আটকে পড়তে চাইনা পিয়ানো কুমারের মৃদু অথচ সুক্ষ ও দূরভাষী কবিতা স্টাইলে । কেবল তৃপ্ত হতে চাই নতজানু । সন্ধ্যার কার্নিশ থেকে মা সীগাল ঠেলে দেয় বাচ্চা সীগালকে –এই তার নিজস্ব উড়ান ও সাকুল্য
--
উড়ান ও উড়ানের প্রত্ননিদর্শন
যেটুকু ফাঁকের মধ্যে আলো ছায়া
আর হলুদ জাফরি
স্পর্শ ওড়ে, ভাসে, ভেসে চলে যায়
স্পর্শের রেশগুলি ধীর ও অলস
আমি খুব ভেবে উঠবো না
যে ভাবে তোমার ভালো থাকা যত্নের পাশে
ঘেমো রোদ
তরুনাভ শীত
অনর্গল প্রশ্নচিহ্নের ধারে
তবুও অপার

আমি অপার হয়ে
বসে থাকি ।

হে বিশাল বসে থাকা
তুমি তো চাঞ্চল্য, যার ধারে শহরের আলো পণ্যতা বেশ্যাঘর
তোমার ভালোর পাশে আমার ভালোর ঢল
রোদের থেকেও পরিতৃপ্ত
আমি যার স্নায়ুসমারোহ
তার ধড় উড়ে গেছে
মাধ্যাকর্ষণে

আমি যাকে নিয়ে বসে আছি
তার অস্তিত্ব পাতায় পাথারে
নিবিড় জন্মদিনে
অস্বীকার্য হল

একটা অস্বীকার আমার নিজের
নিজেকে নিয়েও
এই ভ্রাম্যমান অস্তিত্বহীনতা
এই কারুগত নিজনির্জন

আমি তো তোমার কথা ভেবে উঠবো না
তুমি এক স্বাভাবিক সীমারেখা
যার ধারে গুটিয়েছে নদী
ধারা ও বাহিকতা
এই দুই
এককবিহীনে
জলকণাকেন্দ্রিক ভাবি

ভর ও তরঙ্গ
তরঙ্গ ও গতি
ভরগতি গতিভর
ভাব

তরঙ্গ
গতি ও ভাব
ভাবগতি
ভাবতরঙ্গ

আমি যার জাগরণ ভাবি
আমি ভাবি তার ঘুমঘোর
রাত বারোটায়
কফি খেতে খেতে লক্ষ করি
সকাল বেলার কাপে
ক্রম ও অসমান অনুভব
থিতিয়ে পড়ছে ঘুলিয়ে উঠছে
একটি ডিসেম্বর
যা কিনা পাখিরালয়ের

এই আমার না লেখার একান্ততা
যার গায়ে তোমার ছেনি ও বাটালি
ঘুরে পড়ে

ভাবো এই প্রকৃত বঞ্জর
মাঠ
শস্য নয়

এক নিবিড় ফলনাভাস

আমার ভাবের ফালে
তোমার ভাবের প্রতিরোধ
ঝিকিয়ে উঠছে

--
Beyond the closed door
you will find
a premonition of this door
breached

although a door is free from usual constraints
a room is not
so is reality

I have decided to cut reality some slack

Just can’t bear this moaning undercurrent
Sawing
ceaseless

I would pass through the winter
And winter would pass through me

It’s a deal
Where everybody wins
--

শীতে যে ঘনত্ব দখল করেছি
আনুপূর্বিক
সেই এক মারাত্মক ভালো
আমাকে জখম করে গেছে

স্তুতি ও স্তব
যাপন ও ক্ষরণের যে সমস্ত সোসিওনমিক
প্রান্তিকতার
দুয়োরে দোরে
মাইঝরেতে ধরনা ধরণী
দ্বিধা ও দুবিধা

(আমি কিছু প্রান্তিক জিরাফের সম্পর্কে শুনেছি । এই সব জিরাফেরা প্রত্যেক বছর মাঘী পূর্ণিমার দিন উপবাস যাপন করেন, সারাদিন মাটি খোড়েন ও চাঁদ উঠলে আঠেরো হাত গর্তে নেমে ঘাসে মুখ দেন । সি এন এনে ২০১১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি এই প্রতিবেদন দেখা যায় । নতুন প্রজন্মের জিরাফেরা, বিশেষত ডায়াস্পোরিক জিরাফেরা একে বৈপ্লবিক আক্ষা দিয়েছেন । তাঁদের মুখপত্র জানিয়েছেন, এই নতুনের আহ্বান তারা স্বীকার করেন ও আশা করেন পৃথিবীর সমস্ত জিরাফ এই বিপ্লবে যোগ দেবেন ।)

তো, সেই এক মারাত্মক ভালো
আমাকে রুমাল করে গেছে

ব্র্যাকেটশহরে মহিম শিমুলাভাস

আগত হে

মেনীমুখো বসন্তপর্যায়

--
সৌর মন্ডল বললেন – একটা বিড়ি দিন –আমি দেখছি তাঁর গলার ওপর খেলা করছে রজন ও বেহালার তার । সৌর মন্ডল বললেন -- আর ভালো লাগে না, পোঁদে পোঁদে অপার্থিব লগ্নীকরণ ও জ্বালা । জ্বালা মোশাই ! আপনাদের সামুদায়িক রেশন কার্ডের ছাল ঘুনসি ভেদ করে আমার আনুমানিক পিত্তাশয়ে ঢুকে গেছে । পাথর মোশাই পাথর । ঘুঘনি খেয়েছেন কী পাউরুটি হয়েছেন । তারপর আপনার ঘুঘনি আপনার পাউরুটি ক্যোঁৎ ক্যোঁৎ করে কণ্বমুনির ছাগলের পেটে, শালো, ছাগলের পেটে ব্যাথা বোলে কথা । শকুন্তলা মারাবেন না বলে দিচ্ছি । অভিজ্ঞান যত খুশী দাগান পোঁদে, কিডনিতে, রাজা তো হবেন না রাজা আপনাকে চেখে চাউমিন করে দেবে আর পেচ্ছাপ মোশাই পেচ্ছাপই, চাহে সে পেচ্ছাপ গোলাপজল খেয়েই হোক আর কাতলার পেটে বুড়বুড়ি মেরেই হোক । দেখবেন এর পর বিরহী যক্ষিণী কেমন মেঘদূতম দিয়ে চুরোট ধরায় । শালোর কবিতার শখ ! দিন মোশাই একখানা বিড়ি ।
(সূত্রঃ খান্ডবদাহন, বনপর্ব ; সম্পূর্ণ মহাভারত বাই ডঃ পঞ্চানন হালদার, এম ফিল, ডি লিট, আলাস্কা বিশ্ববিদ্যালয়)
--
ব্র্যাকেটশহর
আমি ভাবি সমস্ত ছায়াই
পরিখাসক্ত
চারতলা থেকে যার ঝাঁপ
ফ্রেমবন্দী হয়
বাঘ ডাকে নয়ানজুলিতে
বাঘ ডেকে ওঠে বাথরুমে
সে ডাকের ছায়াগুলি
সমস্ত সৌরমন্ডলের
দর্পণপ্রসূত
বাঘ ডেকে ওঠে আর
নির্বিকার বিড়িখানি জঘনে জঘনে

জ্বলে
নেভে
জ্বলে
--
তথাগত বললেন -- যে কোন বস্তুই একটি ঘণ ও আকরিক গুণ । এই গুণ রোপণ করো ধনুকে ও বন্দুকের ব্রীচে । এই গুণগান থেকে তীব্র ছুটে যাওয়া ভাব, যার গতি সেকেন্ডে মিনিমাম ৩৪৪ মিটার সেই হলো প্রকৃত শব্দভেদী । যা অর্থভেদেও সক্ষম ।
এই হলো বস্তুবাদের গোড়ার কথা ।
আমি বলতে পারিনি-- হে তথাগত, প্রভাবিত হওয়ার জন্য যে অন্তর্জাত নৈপুণ্য লাগে, আমি তা হারিয়ে ফেলেছি
সঙ্ঘবদ্ধ জলে
জলদলে
রাত্রি তিনটের পরে এগোতে রিফিউজ করেছে যে ঘড়িগুলি, সেই সব ঘড়ি আমার আত্মীয় ছিল । তারা বায়ু, সূর্য, বালু, ফুল ও জলের মত গতি ও দিশাশীল ছিল না ।
আমি যা বলতে পারি নি-- সেই সবই ভাববাদের গোড়ার কথা ।

যে কোন সঙ্ঘবদ্ধ জলে, জলদলে, জলকণাগুলি নিজস্ব মৌলতাহীন । জলকণার স্বভাবজ যে জল্কনা – তার ওপর টুকটাক ওড়ে খেলুড়ে ফড়িং । সেই ফড়িং জলাশয়ের ওপর চতুর ও নিবিষ্ট হয়, প্রজনন হেতু ।
জলাশয়ের অ্যাংগল থেকে এই কথা অদ্বৈতবাদের গোড়ার ।

দ্বৈতবাদ নিষিদ্ধ ব্র্যাকেটশহরে ।
--
গাঢ় হয়ে উঠছে বৃষ্টি
অভ্যস্থ হয়ে উঠছে
ব্যর্থ হয়ে উঠছে

এ সমস্তই এক অসমাপ্ত বিছানার কথা
যে জানে গুছিয়ে তোলার মত হাত নেই
বৃষ্টির দিনে দরজায় অভ্রান্ত খটখট নেই
হস্তান্তর বলে কিছু নেই
আস্তিন আর তুরুপ এই সবই পলায়নবাদীদের নিজস্ব স্বান্তনা

দস্তানা কড়ায় ঝুলিয়ে
আঙ্গুলেরা ভিজতে গিয়েছে
--
মিঃ বীন বললেন –Can you give shape to an idea unless it’s dead ?
চকিত অতিক্রমী আলো
সেই আলো তোমাকে দেখেনি ভালো করে
তোমার কাছের ধীর ও লেপ্টে থাকা আলো
সেই বিপজ্জনক
ছায়া হাতে স্যাডিস্ট ভাস্কর হয়ে ওঠে
উদ্দেশ্যমূলক ভাবে ঘাম গড়তে ভুলে যায়

এইসব কথা ডাঙার বিপক্ষে

ঢিল পড়া পুকুরের জলে ওঁত পেতে থাকেন পিকাসো
গতকাল
তাঁর সাথে কথা হয়েছিল
ধারণা নিয়ে
ধারণাপূর্ব অনুভূতি নিয়ে
লালাগ্রন্থি নিয়ে
যা তাজা রুটি বা বর্ষার আস্তাকুড়
যে কোন তীব্র গন্ধে প্রবাহিত হয়
--
আমার প্রকাশভঙ্গীর মধ্য দিয়ে ঘরঘর করে যাচ্ছে
লম্বা মালগাড়ি
মালগাড়ির মধ্যে ভেসে যাচ্ছে তামাক ও কমলালেবুর নির্যাস
পরিত্যক্ত ছাউনিগুলো মাতাল হয়ে উঠছে
ধীর ও বিস্মিত প্রকাশ হয়ে উঠছে

এও এক অন্তর্বর্তী বারান্দার কথা
যে প্ররোচনা দেয় চলনসই বৃক্ষদের
বলে --এইবার চীয়ারবিথীকা হয়ে ওঠো
অনুপম পমপম
প্রার্থনা ও কুঠার ছাপিয়ে উঠছে কুকারের সিটী
হিংস্র হয়ে উঠছে কুমড়ো সেদ্ধ, মান কচু, উচ্ছে সেদ্ধ
--
মালগাড়ি ও রান্নাঘরের পর আবার
বৃষ্টিতে ফিরে আসি
এখন বৃষ্টি নেই
রোদ নেই
ভেজবার প্রশ্ন নেই
শুকিয়ে ওঠার প্রয়োজন নেই
যা নেই তাই চিহ্নক
চিহ্নিত বস্তুসমূহে
যার চওড়াবরণ বোঝা যায়
--
এ সমস্তই এক অসমাপ্ত কাচের জানলার কথা
যিনি তাঁর সমূদয় নিয়ে বিছানা হওয়ার
কথা ভাবেন ও ঘষটে ঘষটে
নিজেকে অনচ্ছ করে তোলেন
চিহ্নগুলি মাথা গলিয়ে দিচ্ছে অস্তিত্বে
তাদের পিঠের কাচ ডুকরে উঠছে
--
শব্দ স্পর্শ করে লেখা ভরা যোনি
স্পর্শের ঘরে ঢোকে সাপ
সাপের মর্মে থাকে “অতঃপর” ধ্বনি
ধবনির অন্তরালে ......
ব্র্যাকেটশহর – এই এক ভাস্বর মদ
যার নেশা পাথর-কুঁদিয়ে হয়ে ওঠে
আগলায়, ঠোকরায়
লিরিকের গলিতে বিশ্বাস বর্জন করে
সর্বাঙ্গ কড়া নাড়ে
অভিব্যাক্তি ছাড়াই
ঢুকে যায়
নিরীক্ষায়
দাঁতে
প্রমায়
কোন কিছুই আর পড়ে থাকে না
তবু “অতঃপর” উপচিয়ে ওঠে
এরপরও প্রয়োজন হয়
প্রামান্য পথ,
কুয়াশা ও
সেবাসদনের মত সায়া
দু’খুঁটির মাঝে ঝুল খাওয়া
মৌসুমির হেতু
--
জলবায়ু আসে,
সেই আলগা বলয় যার জরায়ুর ছায়া
গাছ ও দালানে
বিতরিত সমপরিমানে
এসেছ, সেই
কবে থেকে অনুষঙ্গের ভেতরে বসে আছ
খেয়াল থাকে না
যেন খেয়ালের চেয়ে আর কোন কোথা ত্রিভুবন
যন্ত্রনাভোগ করতে ভুলে যাচ্ছে
গলে যাওয়া ফেরিওলার

একান্ত ঝাঁকা হয়ে উঠছে
--
তারপর শুধুই নির্মাণ হয়ে থেকে যায় দোতলার প্রেরণা আর বিলম্বিত ফল বসন্তে ঝরে । আমার সমস্ত অনুমান, পদ্ধতি, অজৈব টেক্সচার উশৃঙ্খল হয়ে ওঠে । কোথাও সাঁতারপটু ভাষার শরীরে ঘাই মারে ডুবন্ত ভাষা ।
ফলের ভেতর স্তিমিত হয়ে আছে খুলে দেখানোর বীজ
বীজের ভেতর নস্ত্য এপ্রন
সতর্ক হয়ে ওঠা গোধূলি ও নিয়মিত
সাড়ে নটার পুল পারাপার
এই আমার অবিকল ভাষা-- যে ভাষায় আর্ট ও ইন্ডাস্ট্রি দু’ই শিল্প । দীর্ঘাকায় হয়ে ওঠে খনিজ বেগুন, বোঁটা ও সংলগ্ন কাঁটা, বিজন হয়ে ওঠে । পরিমাপগ্রস্ত হয়ে ওঠে ।
আমার কাল্পনিক হেতুর পাটায় নির্লিপ্ত হয়ে ওঠে দড়ি ও ওলন, অন্ধ কর্নি । ব্র্যাকেটশহর আমি ঠিক কোথায় গাঁথব এই নতি, নান্দনিক দোলনের আভা ! কোন শান্ত কঙ্ক্রীটে ধীর ও অনিবার্য হয়ে উঠবে সমস্ত আকস্মিকতার মূল্যবোধ, আমার হেরে যাওয়ার সূচনা ।
--
ব্র্যাকেটশহরে
তামাশাপন্থী বাঘ আর তাঁর
পেডান্টিক নড়ন
বিশ্বাস ভাঙতে ভাঙতে পাথর
নিজেই হয়ে ওঠে বেলে ও হলুদ
সুক্ষ রন্ধ্রগুলো ভরে ওঠে কেতাবী গর্জনে
হলুদের পাশে বিস্মিত হয়ে আছে
বাকী যা হলুদ
বসেছে হলুদ বাঘ হলুদ খোঁপায়

আমার চোখের পাতা নড়ছে না
--
ভাঙা আয়নায় শোধন সামগ্রী
চুমুর বিরোধাভাস
সেও এক গলি
যেখানে দমকল ঢোকে না
ফল মার্কেটের ভোঁতা হাওয়া
গাঁদাফুলও কাম্য কাম্য মনে হয়

এসময় বসময়
বসন্ত ধুঁয়াধার লাগে
রাত তিনটেয় ধড়ফড় করে উঠি,
এক বাঞ্চোত কোকিল আর এক
পিউকাহা
প্রেম ঢাউস হয়ে ওঠে
গুঙিয়ে ওঠে সিরাপগ্রন্থি

ওকে খানিকটা মন্দ করে দে মৃদু করে দে
--
লেখার আশ্বাসে লেখা পংক্তি
ভোজে ও পার্বণে
ভাবি— এক কোনদিন ইঁদুরকলের কথা
যে ইঁদুরের থেকে বিচ্যুত হয়ে আছে
অভাবে কাতর হয়ে আছে
অর্ধমনস্ক তার রুটি ও পরিক্রমা

ব্যাখ্যাতীত
বসে থাকে মতির আড়ালে
একটু একটু মাথা বাড়িয়ে
ফাঁদকে প্রলুব্ধ করে
তার বাঁচনভঙ্গী
অভাব ঢাকার মত পর্যাপ্ত প্রভাব
--
পড়ে পাওয়া শান্ততা
অবিকল হয়ে আছে এক হপ্তা
এসময় আমি ক্ষমাকেও ক্ষমা করে দিতে
ইতস্তত করবো না
এমন আপ্রাণ কথা বল
যেন নির্জনতাও খাপ
খেয়ে যায়
সবটুকু
সবর্ণ দুধ
দুধের মৌলগুলি শাদা ও উন্মাদ হয়ে ওঠে
আমার মতই সুস্থ ও অবিচল হয়ে ওঠে

অনবরতে পাওয়া সুস্থতা
অবিকল হয়ে আছে এক হপ্তা
এসময় আমি ঘুণপোকাদেরও খোখলা করে দিতে
ইতস্তত করবো না
--
এরপর দৃশ্য বন্ধ করে
ঢুকে পড়ি পাতার ভেতর
রিপু বেয়ে আন্দাজ ওঠে
দেখার ভেতর সেভাবে থাকার কথা ছিলো না
চেনার মত শুকনো স্বল্পতা
ঘুরে বসাবার মত কোল
খুব দূরে চলে গেছে যাওয়া
যাওয়ার হাত ধরে পরিষ্কার চলে গেছে মন
ভাবনার চোখে অন্য কে আর তেমন ভাব
কুলিয়ে ওঠার মত নুন
--
নিজের নুনের কাছে ফিরে আসি
ঘাড় গুঁজে বসে আছে দিশা ও বিদিশা
খুব রাত্রি হয়
ঝিম ধ’রে গোটানো কপাটে
আঙ্গুল থেকে ছাড়িয়ে আনি জড়তা
শাদা প্লেটে রাখি
মূল্যবান করি
ভোর হয়
আলো ছপছপ ক’রে ঢোকে আমার প্রতিবিম্ব
তার প্রকাশ ভঙ্গিমা
ভাবি কোথায় লেগেছে অসামান্য আলস্যঋতু
যাবতীয় মৌল, মৌলের অকারণগুলি
ফিরে এল
তবু মায়াটি এল না
দু’একটা দেখার মধ্যে বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকে
দু’একটা শোনার ভেতর চলে যাওয়ার শব্দ
প্রতিধবনির মধ্যে ঢুকে যাই
বেজে উঠি ফাঁকা মানুষের নিরালম্ব স্পৃহা
‍‍‍--
দেখি
ঘোরের আড়ালে রেখে দিচ্ছ ঘড়ি
আর বলে উঠছ রাত বারোটার আগে
ফাটিয়ে বেরোতে পারবে না
রাস্তা
অন্যমনস্ক
তৃতীয় শুঁয়োপোকাটি
এই সময় সতর্কতা নিয়ে খেলা করে
আলগোছে কিঙ্কন বাজে
পাতার ভেতর বানচাল হয়ে ওঠে প্রকৃতি

এ সমস্তই এক ভুল প্রতীকের আত্মসমালোচনা
যে জানে ভাষার কোন যথার্থতা নেই
বারোটার পরে কোন একটা নেই
--
এরপর মানদণ্ড
ঢুকে যায় মানভঞ্জনে
কার চোখের ভেতর দিয়ে দেখছো হে চাঁদু, কার পরিকল্পনা তোমার মাথার ভেতর প্ল্যান হয়ে আছে ? বাংলায় লিখছি বলেই মাথা কিনে নিয়েছ না-কী ? বাংলায় জন্মেছি বলেই আধো আধো হাতে নামিয়ে রাখতে হবে ব্রীড়াশীল সন্ধ্যাপ্রদীপ ? না-কী মলে, সিনেমাভান্ডারে, বার্গারবিপণীতে খোলাবাজারনীতির অংশ হয়ে গিলতে হবে অভ্যন্তরীন সামন্তবাদগ্রস্ত ডাঁটাচচ্চড়ি, আইরিশ কফি ? যেমন আমার পিতৃপুরুষ ধারাগিরিতে দুদিনের স্বাস্থ্যোদ্ধারে গিয়ে সর্বপ্রথম আবিষ্কার করেন গিরিমল্লিকা, বাগান বানান, আর লোকাল চোখেরা সেই সব বাগানের বংশজ দারোয়ান হয়ে, গিরিধারী মিশির হয়ে ও বাঁশের ডান্ডা হয়ে রয়ে যায় । বাংলায় লিখছি বলেই আন্টির চুলে ধামাভরা দিশা ও বিদিশা, আর বালের নিজস্ব নান্দনিকতাকে স্ল্যাং বলে বাল্টি বালটি জলে ধুয়ে ফেলতে হবে খাতা ?
--
Such are tangible alternatives
of reality
A footbridge hibernating
among detonations
distorted spaces among continuum of confusion
scared shitless of their own images
portrayed in tireless museums
hugging themselves

And here you are
Worried about your forgotten medication
---
এমন নিবিড় ভাবো যেন সমস্ত লক্ষ্যই
স্থির হযে আছে সীমিত ভেদের
দিকে পিঠ ফিরে যেন
হেলদোল বলে কিছু নেই

যেন কোথাও কিছুই আর ঘটবে না
আমাদের সমস্যাগুলো নড়াচড়ার জায়গা
পাবে পুষ্ট হবে রপ্ত হয়ে
উঠবে গানে নাচে ছবিআঁকার খাতায়
এমনকি এই লেখাগুলোকে কবিতা বলতে
ইতস্তত করবেন প্রাসঙ্গিক কবিরা
এই যে স্কোয়্যার পাস নিজের সঙ্গে
এটাকে তোতলামি ভাবা অস্বাভাবিক নয়
এমনকি মননের লিঙ্গহীনতাকে
কব্জিকেন্দ্রিক মনে হতেই পারে
মীমাংসার কাছে ঋণী থাকবে না
এমন পর্দা কোন চানঘরে
এর পরে রোদ ভেজে ব্র্যাকেটশহরে

তারতম্যে ঝুল খায় বেগুনি জাঙিয়া
--
অর্থের বিনিমযে সমস্ত বিকৃতি সয়ে নেবে
তবেই না ভাষা
এমন কী স্ত্রীরোগ, এনিমা
লভ্য ও বিতরণীয় নিরাময়
যেমন প্রামাণ্য গর্তগুলো রাস্তা
ঝাকাতে থাকলে
দু একটা অনুসরণযোগ্য উঠে আসে পথ‌
যে পথগুলো রোজ সম্পর্কের মধ্যে
নেমে যায়
উৎকণ্ঠার মধ্যে
নির্দিষ্ট কোন বিষযে পৌঁছে দেয়ার মত‌
আর কোন শব্দ পড়ে থাকে না
‍‍--
এরপর তুমিও অপারগ
হাসিমুখে খুলে দেখাবে অন্ত:সার
অস্বীকার পর্যন্ত দৌড়ে যাবে
হাসপাতালের আকাশও আজ নির্মল‌
যেন স্বচ্ছতার মধ্যে অনুভবগুলো
কলসপত্রী হয়ে আছে
খাপ পেতে আছে
যেন আকার বলতে কিছু নেই
নিরাকার বলে কেউ নেই
শুধু গ্রন্থি থেকে স্নায়ু পর্যন্ত এক চলাচল‌
চলাচলের ওপর
থেকে থেকে
প্রকাশ উড়ছে
‍‍--
এখন
অপেক্ষা নিয়ে ভাবতে পার‌
সীমাবদ্ধতা নিয়ে ভাবার দরকার নেই
সে নিজেই নিজের তদারকিতে সক্ষম‌
যেমন লিঙ্গের কাঠামোর ভেতর‌
নমনীয় হয়ে থাকে ধাতু
ওঠে
নামে
ভালবাসায় পারঙ্গম হয়ে ওঠে
নির্ধারিত যদি পাই কোনো বা একটি দিন‌
সেও যেন প্রগলভ হয়
জিভে সাপটে নেয় কাঁটাগাছ‌
আর মূকাভিনয় ভরে দেয়
কাঁটার অমনোযোগে
সন্দেহ নিয়ে ভাবতে পার‌
তার নবীকরণ‌ নিয়ে
দূরে বসে লক্ষ্য করতে পার‌
কী ভাবে চলচ্ছক্তি হারাচ্ছে ভাষা
হাঁটু মুড়ে
শিহরণ কামড়ে ধরছে
--
ফুল শেষ হলে তবেই শিমুলে পাতা
সংশ্লিষ্ট সালোক
এত ঘন এত সন্নিবিষ্ট
কোন আবেশ বিশ্বাস করতে পারছে না
“আবেশ” একটা শব্দ মাত্র

সমস্ত জড়তা নিয়ে আছড়ে উঠছে
কাঁপবে না
কে এমন প্রামাণ্য ভুবন
কে এমন লোহার লৌহ

দুঃখ হয়
ল্যাংড়া চড়াই ছাড়া
কোন পাখিই আর হার্দিক হবে না
ভাল লাগে
ডানার চেয়েও এই যে প্রবল
ঠোঁটের মাকড়

স্বাভাবিক প্রেরণাগুলোও আজ ক্ষমার অযোগ্য

হয়ে ওঠার গায়ে
ধাপ দু’এক মাত্র সিঁড়ি

ভাল লাগে
এইটুকু সম্পন্ন ধরে
আমাদের নেমে আসা
তোমার সামান্য আলগোছ

পরিসীমার বাইরের প্রচলন
কৌপীন হয়ে তার লেশ
অন্ধকারের কাছে আঁধারের তাৎপর্যগুলো
ফিরিয়ে নিচ্ছে অভিধা
ফিরিয়ে নিচ্ছে সমাধিফলক
কত বাহ্য আর কত সামাজিক জনপ্রিয়
হয়ে উঠবে কবিতা
বারবার ব্যবহৃত রজনীপাখি

যেন সেই দুটো একটা দেখা
যেন সেই কাঠের মেঝের মত
দুরুস্ত ও ভব্য ঘরোয়া
ব্যবহারযোগ্য অসুখ
কলমের ছায়া যার ওপর
থমকে দাঁড়ায় মুহূর্ত কয়েক
পরের লাইনে চুঁইয়ে পড়তে ইতঃস্তত করে
নিহিত রশ্মির কাছে অনুকরণীয়
এক যথাসম্ভব হয়ে ওঠে

ভাবো কতটুকু অনুনয়
গিয়েছে গাছের কাছে
কতটুকু নীরবারিজল
এমনকী সহজাত আবহাওয়া নিয়ে
খাবার টেবিলে ন্যস্ত মোমবাতি

ফিরে তাকানো খাবারের গুঁড়ো
এমন এগিয়ে আসছে শ্বাসনালীর দিকে
যেন দু’একটা দ্বিরুক্তি
আর কোন অর্থ রাখে না
--
উদ্যত উদার কুঠার
কব্জির গাঢ় সঞ্চালন
নিগূঢ় নিবিড় প্রিয় পাপ
কপালে ছোঁয়াই সযতন
(নাকী) সেও থাকে হোথা অকৃপণ
সেও ভাসে দ্বিধাহীন জলে
আমিও ভেসেছি অনিবার
আজীবন কুয়াশার ছলে
রজ্জুযোগে সর্প রাখি ঘরে
কান্ধে কেতু নয় রন্ধ্রে শনি
বিবেকের কক্ষে পুষি বিছা
হননের আমি কীইবা জানি
সুন্দরবন ও গুয়ের্নিকার মধ্যবর্তী রেলস্টেশানে নেমে পড়েন প্লেটো ও ট্রেনের জানলাসমূহ । অইখানে ভীতি – ভীতির অন্তরালে সপ্তদশ শতাব্দীর কালো টেলিফোন, গরম জলের ব্যাগ, টায়ারের চটি, কবি-তকমা ঝেড়ে ফেলা ইথিওপিয়ার বন্দুক ব্যবসায়ী এবং বহুপ্রচলিত অনুকম্পায়ী রাত্রি । এরপর ধাতুর ঝরনার সাথে ক্রমাগত শুভেচ্ছা বিনিময় করতে থাকে আমাদের অবদমন আর সেই কর্কশ ঝমঝমের ভেতর স্পষ্ট হয়ে ওঠে বন্দুক ব্যবসায়ীর উচ্চারণ – শিথিলতার অব্যবহিত আগে যে বিস্ময় – সে’ই হনন । বলাই বাহুল্য, সেই সময় রবি, আমাদের রবীন্দ্রনাথ, চতুর্দশবর্ষীয় এক বালক মাত্র । আর ব্যাখ্যা, ঘাতকের মানেবইগুলো নীলাভ এক দ্যুতির মধ্যে ঘোরাফেরা করে, নিজেই হারিয়ে যায়, ফিরে আসে – যন্ত্রণারহিত । এক স্বপ্নভঙ্গের নোটিশ আমাদেরও প্রাপ্য হয়ে ওঠে । এই সেই আলো যা ব্যবহার্য নয় । এই সেই প্ররোচনা যা বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য নয় । এই সুস্থতা, এই হত্যা ।
--
ব্যাখ্যার মধ্যে এভাবে সুস্থতা নামিয়ে রাখো
ব্যতিক্রম একটা জানলা মাত্র হয়ে ওঠে
কাল ফুল ফুটেছিল
তাই আজ বৃষ্টির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাগান
যেন এই এক সার্থক একঘেয়েমি
এই এক বানচাল হয়ে ওঠা প্রান্ত
ওভাবে বসে থেকোনা
সন্ধান তোমার মধ্যে দীর্ঘ এক আনচান হয়ে উঠবে
ব্যাখ্যারাও বিশ্লেষিত হতে চাইবে
অবিশ্বাসী মুখ পর্যন্ত
দৌড়ে যাবে
বিশ্বাসযোগ্য হাসি
বেডরুমে একটা ভোর হচ্ছে
হলুদ ও ভঙ্গুর হয়ে উঠছে ছায়া
স্বচ্ছ হয়ে উঠছে পূর্ণতার মহড়া
বেডরুম লাগোয়া প্রশ্নপত্র

--
Mr.Bean বললেন-- Ask questions, if you may, but never seek an answer – every answer is a trap.

And then there are illusions
every illusion needs a face
a decapitated body does not exude transparency

It's a slow winter
we talk more about
the nature of stories
appropriate for a winter like this
about coiled springs
emotions
a distant frozen harbor
dead images of dead ships
buoyed up to float
buoyed up to last

we wonder if transparency
is truly a reflection that beams with a certain sense of assurance
I don't have much problem with my transparency then

It’s one gorgeous winter
for a springloader
in search of strategic structures
immortal faces
that came out to bask in
paltry sun

--
হে আদ্যন্ত ডালিম, নির্জ্ঞান কী ?
-- নির্জ্ঞান একটি কুয়াশা
হে আদ্যন্ত ডালিম, প্রজ্ঞা কী ?
-- প্রজ্ঞা একটি কুয়াশা
হে আদ্যন্ত ডালিম, তবে নির্জ্ঞান ও প্রজ্ঞার পার্থক্য কী ?
-- নির্জ্ঞানের নিজস্ব আছে এক অন্ধকার । প্রজ্ঞার অন্তর্বর্তী এক আলো – যা কুয়াশাভেদে অক্ষম ।
এই সেই আলো যার অর্জনই একমাত্র হেতু । এই সেই আলো যা ব্যবহার্য নয় ।

এর পর ভোর হয়
উদ্যোগ নড়ে চড়ে ব্র্যাকেটশহরে
ফল ব’লে আর কিছুই
বাগানে বাজারে পড়ে থাকে না ।

যা নেই তা’ই চিহ্নক – চিহ্নিত বস্তুসমূহে যার আকাঙ্খাটুকু দেখা যায় ।

http://www.kaurab.com/kau34/po034sabsan00.html