কেন এই পাতা

পানুর ইচ্ছা, লেখক হইবেন । বাঙালি, লেখক না হইতে পারিলে নমো নমো করিয়া পাতের সংস্থান যদি বা হয় জাত রক্ষা হয় না - যথা আঁটকুড়া কুলীন । পানু বিস্তর পরিশ্রম করিলেন । দিস্তা দিস্তা রচনাবলী, অমনিবাস চিবাইলেন । প্রথমে কাব্য টানিয়াছিল, কারণ রস - রসে পাঁউরুটি ভিজিল না । পানু ঘটা করিয়া কিছুদিন রবীন্দ্রসঙ্গীত লিখিলেন (ভেঙ্গেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতিরম্যায়, আট হাজার বাষট্টি টাকার দরজা, খর্চা কে দ্যায় ! অথবা, কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া, চৌমাথার মোড়ে দিব পেন্টুল খুলিয়া) হাউ হাউ করিয়া লোকে মারিতে আসিল । সমস্ত অবজ্ঞা করিয়া পানু লিখিয়া চলিলেন । যদ্যপি পানুর কলমের তোড়ে কাব্যলক্ষী কোঁ কোঁ, সম্পাদকের দপ্তরে চিঁড়া ভিজিল না । অতঃপর পানুর দুঃখে ব্যাবেজ সায়েব কম্পিউটার আবিষ্কার করিলেন । বাজারে ব্লগ আসিল । পানু ব্লগার হইলেন । এই পাতা পানুর পাতা । যা তা ।

Thursday, September 29, 2011

হরিণ



টুপটাপ টুপটাপ বাথটব গায়
বাথরুম ঘুরে বসে চাঁদের দিশায়
টুপটাপ টুপটাপ তারারা ফোটে
রাতপাখি গান গায় পোকা নিয়ে ঠোঁটে
আড় ভাঙ্গে বেহালায় ঘুলঘুলি জাগে
দলছুট হরিণের চোখে স্মৃতি লাগে

মাংসাশী সেই হরিণ, তোমাকেই খুঁজছে
মজ্জায় ঘাঁটি গেড়ে, তোমাকেই বুঝছে
সমুদ্র থেকে ফিরে, শিং-জোড়া জ্বলছে
মাংসাশী সেই হরিণ, ঘিলু ফাঁক করে চাটছে

হরিণের ছিল পাড়া, হরিণের আখড়া
ক্লান্তি আঁকড়ে ধরলে, কুয়াশায় ঘুম মারা
দালানে বাগানে ছিল, লবনের ঠিকানা
চাঁদমারি আজ সবটাই, পশ্চিমী নিশানা

মাংসাশী সেই হরিণ, তোমার কথাই ভাবছে
জ্যামিতি-প্রবণ দ্বীপে, ক্ষুরে সে ত্রিকোণ ভাঙ্গছে
বোকাবোকা তার দাঁতে পাগলাটে লালা লাগছে
মাংসাশী সেই হরিণ, তোমাকেই খুঁজছে

হরিণের ছিল ঘাঁটি, প্রোটোকলহীন মাটি
ভাষাভাবনার মাঠে, পোঁতা ছিল না খুঁটি
বেড়ারা পোষ্য হলে, ভেড়াদের দঙ্গলে
দলগত সব হরিণ, জিরোয় আস্তাবলে

চামড়ার জ্বালা সত্ত্বেও অ্যাসিডে ভিজছে
মাংসাশী সেই হরিণ, তোমাকেই খুঁজছে
নিজের অন্ত্র দিয়েই, শিঙে জ্যা-রোপণ করছে
আয়নায় ঘাঁটি গেড়ে তোমাকেই দেখছে

1 comment:

  1. Shubho Bijoya Sabya...abaro bhalo laglo..onekdin pore samay holo hana debar kobitar jogote...bhalo thakben...Aryanil er kachhe aapnader kotha shuchhilam ar moja pachchhilam..Aryanil ke bandhu pawa bhagyer byapar bole mone kori, aar apnader kobita path kore nijeke dhonyo bodh kori..

    ReplyDelete