কেন এই পাতা

পানুর ইচ্ছা, লেখক হইবেন । বাঙালি, লেখক না হইতে পারিলে নমো নমো করিয়া পাতের সংস্থান যদি বা হয় জাত রক্ষা হয় না - যথা আঁটকুড়া কুলীন । পানু বিস্তর পরিশ্রম করিলেন । দিস্তা দিস্তা রচনাবলী, অমনিবাস চিবাইলেন । প্রথমে কাব্য টানিয়াছিল, কারণ রস - রসে পাঁউরুটি ভিজিল না । পানু ঘটা করিয়া কিছুদিন রবীন্দ্রসঙ্গীত লিখিলেন (ভেঙ্গেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতিরম্যায়, আট হাজার বাষট্টি টাকার দরজা, খর্চা কে দ্যায় ! অথবা, কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া, চৌমাথার মোড়ে দিব পেন্টুল খুলিয়া) হাউ হাউ করিয়া লোকে মারিতে আসিল । সমস্ত অবজ্ঞা করিয়া পানু লিখিয়া চলিলেন । যদ্যপি পানুর কলমের তোড়ে কাব্যলক্ষী কোঁ কোঁ, সম্পাদকের দপ্তরে চিঁড়া ভিজিল না । অতঃপর পানুর দুঃখে ব্যাবেজ সায়েব কম্পিউটার আবিষ্কার করিলেন । বাজারে ব্লগ আসিল । পানু ব্লগার হইলেন । এই পাতা পানুর পাতা । যা তা ।

Tuesday, May 31, 2011

সদ্য লেখা

ব্যাখ্যার মধ্যে সুস্থতা নামিয়ে রাখো
ব্যতিক্রম একটা জানলা মাত্র হয়ে ওঠে
কাল ফুল ফুটেছিল
তাই আজ বৃষ্টির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাগান
যেন এই এক সার্থক একঘেয়েমি
এই এক বানচাল হয়ে ওঠা প্রান্ত

ওভাবে বসে থেকোনা
সন্ধান তোমার মধ্যে দীর্ঘ এক আনচান হয়ে উঠবে
ব্যাখ্যারাও বিশ্লেষিত হতে চাইবে
অবিশ্বাসী মুখ পর্যন্ত
দৌড়ে যাবে
বিশ্বাসযোগ্য হাসি


বেডরুমে একটা ভোর হচ্ছে
হলুদ ও ভঙ্গুর হয়ে উঠছে ছায়া
স্বচ্ছ হয়ে উঠছে পূর্ণতার মহড়া

শোনা কথা

কোথায় পড়েছিলাম মনে নেই ; সম্ভবত নৃপেন্দ্র কৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায়ের কোন লেখায় । কলকাতার এক বইদোকানে সান্ধ্য আড্ডা চলছে । মধ্যমণি মহাস্থবির জাতক খ্যাত প্রেমাঙ্কুর আতর্থী । তো, এক আড্ডাধারী সঙ্গে এক হিন্দি কবিকে নিয়ে হাজির হলেন । উত্তর প্রদেশের কবি । আড্ডা চলতে চলতে বাঙ্গালীর প্রিয় বিষয়ে পৌঁছাল -- তুলনা । কে বড় ? রবীন্দ্রনাথ বড় কবি না তুলসী দাস ।
ভয়ংকর তর্ক, প্রায় হাতাহাতির পর্যায়ে । অবশেষে প্রেমাঙ্কুর ঠুকলেন চ্যালেঞ্জ -- পারবি তুলসীদাসের নাম নিয়ে বড়রাস্তার মোড় অব্দি ন্যাংটো ঘুরে আসতে ? হিন্দি কবি বললেন -- তু পারবি (রবীন্দ্রনাথের নাম নিয়ে) ? প্রেমাংকুর তৎক্ষণাৎ জামা-কাপড় খুললেন ও জন্মদিনের পোষাকে টেনে দৌড়, মোড় ঘুরে ও ঘুরিয়ে তব্বে ফিরলেন । রবীন্দ্রনাথের শ্রেষ্ঠত্ব আরো একবার জগত্সভায় ... ইত্যাদি, প্রভৃতি ... ;-)

তিন পৃথিবী ; As promised

রাদ আহমদ / ব্রথেল মালিকের কারপার্ক (ব্রথেল মালিকের কারপার্ক; ২০০৫)

... আর একজন হিস্টিরিয়া-গ্রস্ত মেয়ে
অন্ধকার থেকে উঠে আসা রক্তবমি
ভরে গেল সমস্ত ফ্রিওয়ে – আকাশে ঝুলন্ত তারা
যেন কার কানের দুল – মেয়েটা
হাসতে হাসতে বলল, ঝরনা
ঝরনায় ভরে গেল সমস্ত ড্রেনেজ

মাড়িয়ে মাড়িয়ে আসল এক সাহায্যপ্রার্থী রক্তখেকো কীরকম
আর্তি নিয়ে চেহারায়
তার গাড়ির গ্যারেজে ঘুমাতে থাকা পঞ্চাশটা গাড়ির বাহারে একটা গাড়ির
রেডিও বেজে যায় – জানলা খোলা—যেন মালিক গিয়েছে ... -তে রাস্তার পাশে
রক্তখেকোর ভাষণ ; এখানে চোর আসে – ওই যে দেখ
১৭ ফুট উচ্চতার দেয়াল টম্পকেও চোর আসে

সেদিকে তাকিয়ে – একটা পাখির অবলীলায় আর্তনাদ
কুহু ও কেকা ঝুলে আছে ঝুলে আছে
রাস্তার দুই পাশে ল্যাম্পপোস্ট সংযুক্তকারী তারগুলায়

-- সঙ্গে ইলিশমাছ, রোদে ঝলকানো নদীতে
মোটাসোটা আদুরে বিসনেসম্যান বলে ওঠে কিহে বাহে
ক্যামুন চলতেসে রঙ্গিলা জীবন

আমি বলে উঠি হতাশ ! হতাশ !!
লক্ষ লক্ষ হাঁসের ছানা উড়ে যায় ভোরে
-- তার নীচ দিয়ে দেখ সবুজ গাছেরা দেখ মাদকাসক্তরা দেখ
স্বপ্নে আসক্তরা দেখ – পিলপিল করে তেলাপোকা হয়ে ভেসে যায়

ছোটকালে আঁকা সূর্য যদি হয় তোমার পাকস্থলো
কংকালে অক্ষি গহবর আমি
অন্ধের বৃদ্ধ লাঠির মাথায় দোনোমনা কাঁপছে পৃথিবী

হিস্টিরিয়া-গ্রস্তা হাসছে --- বলছে
সাপ সাপ
ব্রথেল মালিক মুচকি হেসে বলল
খুব সাবধান


মেসবা আলম অর্ঘ্য / মেওয়াবনে গাণিতিক গাধা (মেওয়াবনে গাণিতিক গাধা ; ২০১১)

[ আমার ঘুমের ভেতর থেকে তামাক পুড়িয়ে উঠে যায়
দ্বিতীয় কারো হয়ে যাওয়া যুবতী ]

জ্বরতপ্ত স্বপ্নেও আমি একটা গাধা দেখি যে গাণিতিক
সুনির্দিষ্ট বক্তব্য বয়ে মেওয়া বনে নিয়ে গেছে
এবং সেখানে প্রচুর মেওয়া ফলেছে

গাধা খুব সবুরের জানোয়ার ভেবে
আমার যখন হিংসে হচ্ছে
তখন যুবতীটির সাথে আমার টেলিফোনে কথা হলো
শুনলাম – মুরগী ও পাঁঠার রানের সাথে
সে গভীর ফ্রিজারে শুয়ে আছে – ওখানে উত্তাপ বেশি

আমি জানতে চাই ওখানেও কোনো গাধা আছে কিনা

আমার কথায় যুবতীটি খুব ভয় পেয়ে চমকে ওঠে

আর তার হাত থেকে টেলিফোনটা নাভির উপর পড়ে গলে যায়

আমি স্বপ্নের ভেতর আরেকটা স্বপ্ন দেখতে শুরু করি
সেখানে একমাঠ গাধা
টেলিফোনে কথা বলছে এক গণিতবিদের সাথে


শুভ্র বন্দোপাধ্যায় / বিশ্বাসী মানুষের কথোপকথন (চিতাবাঘ শহর ; ২০০৯)

রোগা, মনখারাপের রুমাল পকেটে নিয়ে চলা মানুষদের সঙ্গে
দেখা যায় ঈশ্বরের কথোপকথন হয় চোখের তলায় জমে থাকা
কালিতে, সোনালি পাথরের গির্জা থেকে বাইরে বেরোলে সে
দেখতে পায় ধীর একটা মেঘলা বেড়াল গির্জার প্রাচীন অব্যবহৃত
অংশের ওপর থেকে তাকে লক্ষ্য করছে

বিশ্বাসী মানুষের সময় পায়ের কাছে সর্বক্ষণ পাক খায়, কালো
গানের পলকা মানুষরা, আমরা, টের পাইনা তরতাজা গ্রীষ্মের
পরিপার্শ্ব, কাঠবেড়ালি, অ্যালুমিনিয়াম রোদ্দুরের চামড়ায়
আলতো হাত বোলাচ্ছেন ঠাকুমা দাদুরা – পুরনো অভ্যেসের
পাশে নাতি নাতনিরা

তারপর সেই রোগা লোকটার এলোমেলো হাতের তালু থেকে
গড়িয়ে নামে বঃসন্ধির রাস্তা, ওই তো জন্মের আতর লুকিয়ে
রয়েছে, সামনে নামা রোব্বারের উপত্যকা ; পাইন মেপলের
আলামেদা পার্ক – অনেক মানুষের সমাগমে, খননে পাওয়া
প্রাচীন ধর্মগ্রন্থের ভেঙ্গে যাওয়া পাতার মত আস্তে আস্তে নমনীয়
হচ্ছে সকাল

অক্ষর মানুষের সব অনুভূতি ধরে রাখতে পারে না, ধবনির
বিমূর্ততার কথা ভাবলে অনেক সময় বোবা হয়ে যেতে হয়,
তাহলে এইসব ছোট উড়ানের দ্রিশ্যগুলো কোথায় যায় ? অন্তত কি
সামান্য দীর্ঘশ্বাস / অশ্রু হয়েও ভাষার দেয়ালে ফুটো করে দিতে
পারে ? ভাষার ফ্রেস্কোয় ? বহু পরে গির্জার দেয়ালের নষ্ট ছবি
উদ্ধার করতে এসে শিল্পীরা যাকে নুনের ছাপ বলে চিহ্নিত
করবেন ...

Monday, May 30, 2011

A few more scribbles

(I know it's a pain, these hopeless scribbles. Next, I will come back with some of my favourite poems from Mesab Alam Arghya, Raad Ahmad and Shubhro Bandyopadhyay and a few anecdotes:-))
----------------------
Behind the closed door
one finds
a premonition of this door
breached

although a door is free from the usual constraints
a room is not
so is reality

I have decided to cut reality some slack

Just can’t bear this moaning undercurrent
sawing
ceaseless

I would pass through the winter
And winter would pass through me

It’s a deal
Where everybody wins
--
Mr. bean said – All realizations are interpretation of data acquired by your senses. Since, all senses are suspect, realizations attained through them are deemed uncertain, suspect.
--
Eventually it all boils down to comprehension
even if you spell it all
it bothers at spots
marooned and wise
memories trying to decrypt their memories
I have spilled enough to know
no memory is worth courting, hanging out with --
in a backyard sun
and then
there are memories that are
felled futures

a tea-cup
that never went back to China
--
Bracketcity, ignorant as I am it took me 37 years to realize, that you actually need an appropriate language of thought. And now I am dumbstruck by its implications, considering the empty graveyards where language blossoms, its coherent fences, colors, strictures, variable degrees of freedoms….
--
Mr. Bean said – life comes a full circle

I am thinking – A circle is a denominator of my own loneliness
permeating through society and landscape
encompassing but leaving things alone to their own loneliness

--
The veritable fences and their
rogue signifiers
colors lapping colors
sounds chastising sounds
obdurate values hardly recognizable in
lengthy satin suits, funny hats
it’s a fair basically
an all night affair
carriages and their defined horses
rein
car
nation

everything is a necessity down here
even this perverse deployment of inevitability

--
Mr. Bean said-- Go easy on these thoughts
as all they lead to is amassing
fear and paranoia


bracketcity
my innards know – this testimony that
the stone yields to the hammer-
is a conspiracy
the stone yields to its own uncertainty
and the hammer yields to its elemental metaphor

Oh I truly believe everything is alive
including you, me, this poem, the stone,
the hammer

It's just that we don’t own a bulletin board
that floats.

--
Mr. Bean said -- however futile it may be, the humane urge to define anything and everything is imperative, despite the irresolution. This process eventually leads you to accept the futility but not without relevant questions. These questions redefine what you essentially are.

--
trappings are quite common in
this landscape
routinely evaluated
serene
hollow
yet
brimming with life
trapped
and the trapper never asks for
your ID
It's not the destination
but the framework of a sustainable prose.
avid ears
wet ideas
ambivalent
punctuated words that
give shape to a cemetery
lingering in the shadow of
hallowed windows
This city
will enable you to write
these green faces
percolating light through
green eyes
silent green words
leaching down
nourishing
dead plants

--
And the decanter and the decanter's metaphor and its vulnerability and its innerself sloshing at the hand's approach and the hand, its guarded manicure and the featureless hesitation travelling from the hand to the decanter and the sloshing innerself succumbing to the hand's loneliness and its nowheredom and the etymology of the inner sloshing and its despotic truewhereness, mouth’s gullibility and…


Damn it Mr. Bean, It was never my ambition to write a memorable line, I just wanted to write a memorable pause.


Mr. Bean said -- It’s alright to feel cheated as this is the only emotion that truly is existential in principle. By the way, did you know that “morality” is a by-product of the sense of being cheated.

Yet you float your elemental belongingness in unknown water, yet you acquire newer fears, yet you go searching for avoidable traps, yet you learn to love the arena where you have tasted your gore, bile, soliloquy, pride, helplessness, your continuum … time and again. Yet time and yet again…


Mr. Bean said -- Epigenetics is the heritable changes that take place without altering the genetic sequence – your habits/surroundings may switch off/ on genes by just methylating or demethylating them...

and my fears now know-- I thought, so I became...time and again... yet time and yet again...
Oh how my fears inherit their fears...

--
It hurts ! This petulance
Mr. bean repeats – wisdom is the art of unlearning the obvious…
Fucked up, I am so fucked up…
He says: abandon this drama, theatrics

How do I unlearn my nourishments
my soul
That undulates on a fulcrum of
Non & Yon

bugger you and bugger all, Mr. Bean

--
Mr. Bean said-- Ignorance is the strongest force, beware.

Am I merely the interpretation of my own undiscovered coordinates
An imperfection conjoins the values of this sublingual weather
My only regret is that I am forged to remember
Oh I figured out—to forget is to attain freedom in its truest

Let me appreciate a bronze-flower a flesh-flower
and their muted decorum
striving to bury
the immediate sense of necessity
Interpreting me through my follies
Interpreting me through their follies

--
these streets you will walk again

Mr. bean said-- seasons change
so do
street signs



a teardrop on a copper jacket
a teardrop on a copperhead

once everything had a season
now a season has it all

I know for sure
Even if I do not belong
my absence will hunt me out

my absence will hunt me down


--
Mr. bean said-- Ask questions, if you may, but never seek an answer – every answer is a trap.


And then there are illusions
every illusion needs a face
a decapitated body does not exude transparency
It's a slow winter
we talk more about
the nature of stories
appropriate for a winter like this
about coiled springs
emotions
a distant frozen harbor
dead images of dead ships
buoyed up to float
buoyed up to last

we wonder if transparency
is truly a reflection that beams with a certain sense of assurance
I don't have much problem with my transparency then

Its one gorgeous winter
for a springloader
in search of strategic structures
immortal faces
that came out to bask in
paltry sun

Sunday, May 29, 2011

Silk & Underwear

Silk

An Aprilness touched me twice
dug its pencil-heel in my eyes


Today was a perfect spring day. Cloudless. Spring-buds on every tree, though closed. Two more days of this light and heat and springtune will swirl out of them.

Praeclaraus secundum nex

A spring-molecule, speed - the third of light, hits me, and my shadow, my unorbiting travels to you. Energy that is generated when the shadow returns to its original orbit will make this poem glow.

April 25th

I want to cleave my head in half and want to show you the void. I and my poetry, born from the same source have traveled to two opposite poles.

A moth sits on the new lamp. It’s just April, where did the cocoon form? Will it live till June? They live only for two weeks! “Sabya” gets funny. Bring the book, bring the book. What’s the Family? Genus? Is it an early one ? A new species ? OMG, we are famous ! A Swedish spring where the sun stays up late, even at 10 in the evening. A small hill outside my kitchen window. The old gnarled oaks, strapping birches. Sabya says – remember Bolpur in July ? The sericulture farm ? Crows flying, a feast in the air, silk-season. Cocoons, scales, bargaining. Where will the cocoons go ? The handloom, spun-silk. Silk on lady’s bags, shirts, winter scarves.
- Sabya, am I a moth ?
- What ! you don’t have faith in old Mr. Darwin any more ?
- Seriously Sabya, am I a moth?

I do not walk together with my art. From a source we both are born and then the art travels its own way and I mine. There is nothing before or after. Just two different directions. Poetry follows its own urge and I my own, to live and recreate. What happens to the origin? Does it survive? What happens to the notes of creation? Does it get immersed in boiling water and turn into a bubble ? No one remembers the note Sabya, no one understands its tongue. When you come back to the origin, what do you see? A void in the skin of water? A void ? An emptiness? With every poem a recurrence? How many times do you have to come back to such sorrow? Pathos ! Pathos !

The moth flew towards July, its
meanings towards November
and the notes of its moulting hormone
bubbled through water.

As if monoliths were hewn from empty people
transmitting a recurrence
As if recurrence was a lamentation and
we lost its meaning in our own emptiness.

Lost ! for habit has its own way of
dealing with consciousness
and fear is an essential that molds habit.
Lost, for loss is a word that recurs without mercy.

We could identify our jerseys
only in the dialect of a broken mirror
and time became an evening wash
we put on our faces and went to bed.

Think of a magic that is devoid of reality
A reality that’s emptied of magic

Think, what does it take – fear/habit/loss-
for our granaries to moult.
And heaving enormous diaphragms,
gleaming wings, the meanings of moth
fly into a surgical table.



About points and a pair of clean underwear

Problem is, a point is thinking about me
while I am trying to think about points
separately, one by one, without a line connecting line
any linear equations
and thus couldn’t dry my clothes
Well, not a problem though, you won’t want your dirty linen washed
in the pub
My father used to say – It’s imperative that one wears clean undergarments.
Dying in a dirty one could shame you to death.
I knew, a point is thinking about me
since I am thinking about points.
They have dug up the roads
heavy rains
heaping soil
flowing soil
mud beach
sewage river.
I can’t,
so the window weeps.
I wouldn’t have believed a few days ago
how believable incoherence could be
until we attempt to describe it in our limp language.
What color a point should carry –
Let the point’s infinitesimal smallness decide that
Here, coconut groves
ocean
an oblong moon
doesn’t exist
A green dot beside a
blue one
a distant purple dot
a smoking “Sabya”
a red dot
glowing
ebbing
NO LINES


Does a point see me and other points
this way ?


You would think
step by step a picture is made,
a man.
By putting your chin on your palm
you build leisure
By putting yourself in leisure
you build reflections
a past
a future.


And a point thinks
how the sound of a bomb detonating
outside your window
would travel from your skin
to create an instant new past and future


Beside an ultra-violet dot
I lay my clothes, still smelling of scrub-soap
on grasses
where
I have lost
a teak forest
a bungalow
a water-well with bougainvillea
not in absent-mindedness
but in purposeful certainty.
Is regret the first true consciousness ?
Is remorse the first sign of intellect ?
My window would only reflect me
wet, broken
desperately in search of a tune to repair itself.


Does the point want to say –
“Sabya, Sabya – lines and melodies are unnecessary
as both want to communicate”.
I feel the need to urinate
I know in wet and cold visceral blood circulation increases.
Yet, I want to follow the melody to that
great and earthly motel
where in a white bathtub
flows a stream of yellow
in its true wholeness.
Is stream a line too with an extra dimension of fluidity?
Oh cerebrum ! the right or the left
where do I put my stream ?
Where does the stream become a stone ?
The stone, that I am looking upon.
Me, the stone is looking at.
As I change my viewing angle
you change your color, texture.
I too change my color, texture
from your angle – isn’t it ?
A changed me I will see you.
A changed you, you will see me.
I am “Sabya” and I am the stone.
But irrespective of everything
My underwear is vocal, pure and clean.

hybrids

মনে রবে কী না রবে আমারে (Would you forget-forget me not )

I mean, remembering is a thought-process itself
There always is a chance to slip

মানে কিছুটা তো চ্যুতির খেয়ালে /////// I mean, just for the sake of slipping
চ্যুতি//////////////////////////////////////////////////////////////// slipping
ছুটি........................................................................oblivion
মনে না পড়ার থেকে / মনে পড়া থেকে=== from remembering and not
রবে কী রবে না থেকে ????????????????????????????? from would -won't you
উঠে আসা আদল ও ছাঁচ >>>>>>>>>>>> the shapes and the casts that grow

মনে সে আমার মনে নাই +++++++++++++++++++++++++I remember it not

frankly, either I don't remember
or
don't even want to think about it

When the spring terminates
you won't remember --
Ruminating bed-springs
Greening windows
Cat-tails
And the late blooming fall-flowers

It was supposed to be romantic
It always is supposed to be romantic
Without false lashes
Mascara
words
And those drop-dead zones of
Ethereal funk

And going back to the pottery-laden earth
I scarcely found the sand
I came looking for
Sometime anytime in past

When there were still horses and sunshine
Reed mats, straw hats, sunglasses, tanning lotions
And horses
In these lands
Making hay ...

মনে নাই

Nothing
should actually be there

We always move from where we started
and come back just to prove
that it is not the same anymore

things have changed
elements have stopped existing,
you are a no-you
me a no- me
so it never is a question of remembering
it was never

মনে নাই



আমার মল্লিকা বনে
১।
আমার মল্লিকা বনে
যখন প্রথম ধরেছে কলি
I guess, it’s alright to grab a beer
and not think
Or
think of
mortars and crayons
walls and lesions
and the muck and what is in it for the potter
Fingers
Relations
আমার মল্লিকা বনে
Fuck ! Fuck !
Where did that broken flower pot come from ?

I mean, stretch them as you might
do relations actually break ?

You watch the moroseness melting away
Into you in the mirror
Your left is my right
may I borrow what is left of you.

মানে, মল্লিকা বনে
Tying up your shoelaces is a hazard
You should be looking at the mirror
At the bud
what’s being nipped right now
Should talk to the IT guy
And the AC guy and
The milkman
And his cat
And
The threads
I am picking up
২।
আমার মল্লিকা বনে
The therapist said--
Gender awareness is vital
Now I am left undecided
whether my gender is aware of me

মানে, আমি তো স্বচ্ছতম দ্বীপে
দুপুর দুপুর রোদে আলমারি খুলে ছুঁড়ে ফেলছি
কংকাল ও তৎসংক্রান্ত চামড়া ও প্রসাধনীরাশি
আর আমার পোষা ধ্বনিগুলি
নির্বিকার উড়ে লুকিয়ে পড়ছে
সন্যাসিনীদের তোয়ালের ভাঁজে
এত মন্দ্র এত ঘেমো এত চিরন্তন
ঝিমুনি ছুটছে রগে রগে
আমি আর কোনো নিরাময়জনিত
অসুখে জাস্ট ভুগতে পারছি না

আমার মল্লিকা বনে

Aamaar mallikaa bone

The therapist said:
Awareness is not always physical
It may usually be subconscious
Again I am left wondering
Does my gender dream about me ?

Speaking of dreams
You can dream about what you dreamt
last night
I dreamt about a budding lavatory
In the gloomiest laalbagh slum
Radiating an enormous happy-pink glow
That has supposedly come with its
State of the art integrated air-conditioner
There, in a shower of
Divine urine
I discover something about my being
And my gender’s being

Pity, it’s all gone now
No traces, whatsoever

The therapist said—
You obviously will get used to them
These bungled transmissions
Woodworks and the facade of trees
The drums, the lousy front that
You put on
Adversaries and boats
Musky elevators that stopped carrying
gender issues
and tulip-struck nuns

মানে, মল্লিকা বনে

Scribbles

Defining a room

I was supposed to call you
And here I am
Trying to decipher the meaning of a room
Whether it defines the space it holds within
Or the space without
Or even memories
Dreams
Clinging to it
Clinging to the moments
Of changing shadows
Giving it shape
Snatching them away


I was supposed to call you
And yet here I am, running away
In the variable pursuit of a design
It rained yesterday
or
It didn’t
And the spirits of umbrellas groaning
In premonition of an arcade
Going down

A market is placed somewhere
Between probabilities
And here I am
Ready to trade the last
remains of wonder
for a semblance of meaning

Going Fishing

So, it’s been a pretty long
Winter
Lack of sunlight
In no uncertain metaphor
Now that the temperature soars
I guess, fishing is not out of question
anymore.
Markets are thriving again on the rumor of growth
The tribals are back with home-made curd
Vegetables, catches of miniscular carps

We all are interested in growth
Degradable or not
Growing together is the culture alright
Well, everything grows in culture
Market, ambition, desire to elitisize
The threshold into the elitist world
Despair
Everything grows in culture
Even bacteria

Coming back to grief
Well,
Does anything grow in grief
Except
Probably
“you”

For me fishing was never an option in reality
It was rather the prospect of fishing
So in cultivating grief
I stumbled upon mirrors
More concave than ones sold in the auto-shops
Well, metaphors are always uncertain
Though not the concept of metaphor
Can a mirror really be a metaphor
without your participation
I ask

It had been a season of haze
Though now there is sunlight
The haze still
Is meandering
Yesterday I whispered to myself
I will whisper to myself again

I will go fishing this time

Art and Therapy

The therapist said --
Poetry is all about treatment
The morning dose of Prozac
And the related contemplation of multiple suicides
It’s always about what you don’t see
Using a song as filter or not
Doesn’t matter
It always is what you don’t see
Coming, going
Wandering under lampshades
On the bathroom tiles
And always reciprocating with what it doesn’t see
You open the innards of a road out
The unseen gutters and the brothels
Dingy curtains, plush pink sofa-sets
Used syringes, the sudden gale
The uptown flower market
Banana and melon peels
And the rings of Saturn around your left ball
And they all are reciprocating with what they don’t see

see, the game of hide & seek
has essentially 3 games in it
hide
seek
hide and seek the essence of what shall remain hidden, including you


Do you matter?
Do I matter?
For the record, I no longer do see the therapist
And me


Art, society , therapy and relevant mosquitoes

The therapist said—what is art
But an organic
accessibility to intuition
a superfast feed-forward reaction leading to a non-value
before you can say “shit !”
(the action is hidden for the time being)
alienation is what a performing artist does best
so, try define society
in terms of art and
bingo !
Gentlemen, you have successfully reached The VOID
It’s been a long time
Since we watched TV together in a shallow room
Taking care not to drop blueberries on the couch
Meeting eyes on an instinctive basis
Mosquitoes : Anopheles, Aedis, Culex
Smile, grimace
And the loft had its fair share of spiders
Weaving, sitting idle, not a single mosquito in the web
A perpetually dark toilet
Water stains
I mean, see, although you have moved to a better house
3 bed rooms, living cum dinning, 2 toilets and a kitchen
Can’t help miss the studio
It’s the miseries that bond people
Make a society
You want to call the new house a home
Bring on the
Leaking shower
Switchboards that come out
when you literally pull the plug
And there you go ...

Alienation is what a performing artist does best
While truly pursuing a de-alienation
Without caring to know
How very similar it may look
The mirror image is always reversed


How do I write in Bangla ?

Any train is supposed to have
its relevant mosquitoes
and I come to think Bangla is a rather obdurate
archaic and heavy language
good for drapes on dark walls
odd curvings
on Burma-Teak
or even for putting plasters
on yellow urinals
laced with graffiti

Gabbar and Basanti
watching Sholay
a coffee table, between them
no coffee
popcorns on white china
and an orange light
descending
directly over the popcorns
on the popcorns
only on the popcorns

there you have it
Talking about Zen
body is not free of matter
The mind is
take the train
moving solidly
and the relevant mosquitoes
and inertia
the mind can be free of matter
but is not from the concept of matter
and
it's not about unlearning the mosquitoes
but their bites

Coming back to Gabbar and Basanti
Coming back to Bangla as such
I bring back the coffee
it's a green light now
descending on an oak table
It's oak because
it has to be heavy
to have an impact
difficult to tear from
the brain cells declaring the table as a table

Someone told me to write about "sirens"
not the Greek ones but industrial hooters
and my brain
perpetually tries to decipher
the dog dangling from the balls
of the nightwatchman in wee hours
wails

and this whole thing happens
when I try to think in Bangla
and drink the morning tea with powdered milk
so this dilemma
the enormous Bos horns
one west one east
should ask Holub
which one to take on



(Miroslav Holub: a Czech poet and immunologist, suffered from this dilemma to write in English or Czech: the motivations were different though: to be famous (English) or write freely (Czech)

Dilemma: The word is obtained from the horns of a bull, The question is which one to avoid ? )




The Indian whisper

Sometimes it takes just a whisper
To do the trick
You sit down
Relieve yourself
Of the smudge
Left on your retina
And look again
Search for another source
The same shit that they call a soul
Well, smudge and soul almost always make a good pair
Here, the explorer exclaims
Why the crowd
--the Nawab is flying paper-kite
It’s nothing to do with reality as such
It’s the river that paints itself
Upon reaching the banks
Among huts, coconut groves
Washing women
Dyeing laundries
Flying red and yellow
There used to be paper-kite tournaments
Shadows of the contestants, the kites and the flight
Gale
still floating, distorted a bit here a bit there
It’s not a dream either
See, they always are the co-existing factors
If one fails the other succumbs too.
I mean, we have a festival called “holi”
It’s a dyeing/dying game, basically
Interpret it as you wish
And you shall know—
Of nights, of rights
Of pervading songs
Roasting meats
And whispering flower wristlets
And the returning explorer exclaiming
Why the crowd
--the Nawab is being arrested by the British

(On his journey to Tibet, Rahul Sankrityayan was passing through Lucknow. He saw a large crowd on the bank of Gomti and upon enquiry found out that the crowd was witnessing Wajir Ali Shah’s skills in flying a paper kite. While returning from Tibet, through Lucknow, he again saw a large crowd on the bank of Gomti and was informed that the Nawab was being led in chains by the British. I came upon this anecdote in one of Dr. Irfan Habib’s speeches)



Drinking from new cups

At least we got new cups
Not styrofoam but the real china
And a road winds through
Relative obscurity of a bird sanctuary
We drink in sips
And poetry is not about a point
I mean not wanting to score a point
Or make one either
The marsh right now harbours
Egrets, cormorants
Crested herons, blue, black, white
No declarations
They will go back March/April
And the haze will dissolve
It’s never about a point
Or the road
Or the strolling as such
I mean, art does start from a point
Or points interfering, merging , clashing, chasing or simply
Choosing not to exist
A tit-lark will sing, if it wants to
We drink in sips
We will drink in sips
An algae-crusted boat meanders
Sometimes there is a breeze
And vague smells
Memory is not a place to stop
And search for the obvious
Isn’t the search supposed to be for the corners
Bends, faces--
dark, obscure in their past versions
Unseen.
Basically,
A mirror can teach you
That, farther you go from yourself
Objectivity increases
It’s all about visibility of the wounds
Isn’t it
Sipping from fresh china
Counting tea-leaves notwithstanding
Is subjective

What we are drinking, does not matter
As long as the cup is new
And china it must be
Coming back to art
The black flock flies
Haze permeating among the ranks
Time is a distance
That can be measured
Without much physical activity or fuss
And a tit-lark sang,
Question is, did it want to sing ?
The road bends its own way
The points a notion in Brownian motion
We drink in sips

মৎস্য ধরিব খাইব সুখে

মাছ ধরা ; আর্যনীল
মাছ কোটা ; বারীন
সাবুর পাঁপড় ; আর্যনীল
মুইঠ্যা ; সব্য
খাদ্যযোগ ও ডেজার্ট ; শংকর


মাছ ধরা/ আর্যনীল মুখোপাধ্যায়

মাছ ধরা একটা শেখার জিনিস, সময় লাগে
যার অভাব সর্বত্র ছিলো
এখন যে অপেক্ষা শিখছি, মাছেদেরও বাদ দিয়ে

অতীত গেলাসে আর গলবে না
কোন রাস্তা আসবে না কোন জানলা
গানের ফেলা খোলসে এক ছটাক সুরগন্ধ নেই পর্যন্ত

কাহাদের বাসিতাম ভালো যাহারা জানে কে ভালো কিনা কোথায় !

এমন গিট উত্তেজনার সবখানে দেওয়া
একটা জাদুগর খুলতে লাগবে

মুখ খুঁজছি একটা ধুলো কাটিয়ে শিল্পমেলায়

ভাসতে ভাসতে গিয়ে সাগরকোমরে কোথায় ছিলো ভয় পাবার কথা

এই বারোটা পংক্তি হলো আজ এখনো দুটো বাকী

সর্বোচ্চ যে মেয়েটার হাসি ও পাখনা আছে, ঢেউ আছে
তার শরীরে বালি থাকুক পূর্ণিমা পর্যন্ত চাই

মাছ (কোটা) / বারীন ঘোষাল

যদি জীবনের কথা বলো
আর বলো মৎস্যপ্রণালী থেকে সমুদ্রের দিকে যেতে যেতে

তিনটি যুবতী থেকে তিনকিলো মাছের দূরত্ব
অব্দি রূপোলি গুণ খয়েরী বোঁটায় ঢেকে যায়
তুমি গাছ চেনো ফুল চেনো
ও হো !
কত চেনো প্রগলভ বাদামী !

তুমি মাছ ছাড়াতেও জানো
জানো জাপটে ধরে বাদ দিতে মেয়েমানুষের রূপোকথা
তিনটি যুবতী তবু রূপোলি আঁশের দিকে টানে

যদি জীবনের কথা বলো
সী বীচের ফুলবাগানের, তুমি, ওহো!
টপাটপ যত ছেঁড়ো
সব হাসি খয়েরী বোঁটায় ফিরে আসে ।


সাবুর পাঁপড়/ আর্যনীল মুখোপাধ্যায়



চিতল মাছের মুইঠ্যা/ সব্যসাচী সান্যাল





খাদ্যযোগ/ শংকর লাহিড়ী

খাওয়ার আগে যে ক্ষুধা, সেই হল প্রকৃত খাবার
তাকে খাও,--- একথাই মুখার্জীরা আমাকে বলেছে;
আমিও তো একথাই আক্ষরিক সত্য, এই জ্ঞানে
বসে আছি ।
নীরব আতার দেহে দাঁত বসাবার আগে থমকিয়ে, ভেবে,
আপেলের জেলি থেকে চামচ উঠিয়ে এনে, পুনরায় ভেবে,
ফলহীন র’য়ে গেছি, -- ফলভোগ মুখার্জী করেছে ।

একবার সে আমাকে ফলের আত্মার চেহারা
দেখালো সম্পূর্ণ, সেই স্রোতোধারা, ফলের নদীটি
ফলের পাহাড় থেকে নেমে এসে মিশে যায় ফলের সাগরে;
অতঃপর রোদের কিরণে
তারই নীল আত্মা উড়ে মহাকাশে গিয়ে মিশে যায় ।
--- শুনে আমি মুগ্ধ হই, আমি তাকে প্রণিপাত করি ।

এখন রয়েছি ব’সে, অপেক্ষায় নয় আর, শুধু এই গভীর আশ্বাসে ;
বস্তুতঃ একলা নয়, রয়েছে আমাকে ঘিরে আত্মাদল অসংখ্য বিপুল,
তাদের কোনটা ফুল, কেউ ফল, ন্যাশপাতি, আপেল;
-- ঐ মহাকাশ থেকে আমাকে স্নিগ্ধ করে বেদানার অমর আত্মারা ।

Saturday, May 28, 2011

গন্ডারের সহিত কমুনিকেশান ; বাই শ্রী গদাই লস্কর

ব্লগ খুলেচি দেখে গদাই পুলকে পালক । দীর্ঘক্ষণ চুলকে ফুলকে বললে -- দাদা আমার লেখা দু'একটা কী মার্কেটে যাবে না ?
বিস্তর ঝুলোঝুলি ! বাধ্য হয়ে এই পোস্ট ; চোকে ছোট দেখলে ইমেজ ফাইলে ক্লিক করুন অন্য জানলায় আতশকাচ রয়েচে -- গোদা দেকাবে ।

নতুনের কোন দুঃখ নেই ?

নতুনের কোন দুঃখ নেই ?

আদেখল্যের হইল ঘটি, খাবল খাবল চিঁড়া খাতি । ব্লগার হইয়াই লাফাইয়া চুড়ান্ত । কী করি, সরকার বাহাদুর ১৫ দিনের পেটারনিটি লীভ দিয়েছেন । কাজের মধ্যে বাচ্চা সামলানো । হাগু/হিসু পরিষ্কার, দুধ খাওয়ানো আর ঘুমের বারোটা । ফলে অফুরন্ত সময় ।

হাগুর কথায় মনে পড়লো – সইত্য সেলুকাস, লাঞ্চে চ্যবনপ্রাশ, বিচীত্র (টাইপো নয়) এ দ্যাশ । ভারতবর্ষের চেয়ে দেবতা, মনীষী, মহামানব পৃথিবীর কোথায় ? আমার বাথরুম পায়খানা আমাকেই পরিষ্কার রাখতে হবে এইটুকু জানবার জন্য একজন মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর প্রয়োজন হয় । তেত্রিশ কোটি দেবতা কম পড়ে – “ইংরাজী” নামক এক দেবী রিসেন্টলি মাঠে নেমেছেন – ইন্টারভিউ উৎরে দেবার তাগিদে । দস্তুর মত মঠ মন্দির । বাঙালিরে দাবায়া রাখবে ক্যামনে ! ভারত এগোইতেছে, বাঙালি দৌড়াইবার তাগিদে ধুতি ছেড়ে বারমুডায় । উনিশ কুড়ি, মহিলা অগ্রগতি, পরকীয়া শিক্ষা, হাওয়াইয়ান লাউ চিংড়ি সঙ্গে পঞ্চান্ন হাজার বাবা, শেতলার থান, শনি মন্দির, কিচেন ড্রয়ারের দেবী (যিনি ড্রয়ারে চামচ আটকে বন্ধ হইবার থেকে গেরস্তরে ফুলস্টীম রক্ষা করিয়া থাকেন), স্টেশান সংলগ্ন বটতলায় বাপী তান্ত্রিক, মারণ, উচাটন, বশীকরণ, দূরকীয়া, পরকীয়া, স্বকীয়া, কেয়াকিয়া, দোর বানচোত কুছনেহিকিয়া-- সঅব । কাস্টমারের পোষাক বদলাইয়া যায় ।

এরি মধ্যে স্টেডি রবীন্দ্রজয়ন্তী । ১৫০ বছর পূর্তি, পরিবারবর্গ, আত্মীয় স্বজন চান করে লাল পাড় সাদা শাড়ি লিঙ্গভেদে গরদের পাঞ্জাবি -- টিভির সামনে । আবৃত্তি শিল্পীরা তেড়েফুঁড়ে লুটিয়ে লুটিয়ে (কন্ট্রাডিকশান ইজ দ্য ট্রুয়েস্ট
ডিকশান ফলোয়িং পোস্টমর্ডান ডিস্যাস্টার), নৃত্য – গীতি – “হে নূতন দেখা দিক আরবার”, “বাঁধ ভেঙ্গে দাও বাঁধ ভেঙ্গে দাও”...

পানুর ব্রেনের সাইজ অর্ধভূক্ত সুপারির ন্যায় – পানু বুঝিতে অক্ষম “হে নূতন দেখা দিক আরবার”-এর নূতনটি কী ? শুধু নূতন আকুতি ? বাঁধটি কোন বাঁধ ? নাকী রবীন্দ্রনাথ যেই নূতন কে দেখতে চেয়েছিলেন, যে অচলায়তন ভেঙ্গে উঠতে চেয়েছিলেন-সেই নূতন? অহো, আজো সেই নূতন দেখা পড়ে নাই অ্যান্ড রবীন্দ্রনাথ নিজেই এক অচলায়তনে পরিনত হয়েছেন।

বিষ্ণু দে, সুধীন্দ্রনাথ, অমিয় চক্রবর্তী, সমর সেন কয়েকটি নাম মাত্র ? কেদার ভাদুড়ি-কে কে চেনে ? নরেশ গুহ ? সজল বন্দোপাধ্যায়, শ্যামল সিংহ-- এঁরা কারা ? এরকম হাজার হাজার-- কেউ নূতন ছিলেন না (বানিজ্য এঁদের কারোর মধ্যে বিক্রয়প্রমিস পেলে অবশ্য আগামী ৭৫ বছরে এঁদের কেউ নূতন হয়ে উঠতেই পারেন-- যথা জীবনানন্দ)  । আজকের লোকেরা কেউই আজ প্রাসঙ্গিক নয় । প্রাসঙ্গিক বানিজ্য, প্রাসঙ্গিক নস্টালজিয়া, প্রাসঙ্গিক আজো শুধু “হে নূতন দেখা দিক আরবার”...

কোথাও পানুর ইচ্ছের মধ্যে বসে থাকেন একজন স্বদেশ সেন, তাঁর আনা দু’আনার মালা, পরিষ্কার ঠান্ডা ঘরের মেঝেয় রাখা শুশ্রূষা, স্নানের মধ্যে এক অতি সমতল শীত, ট্রাইসাইকেলের সোনার তারের মত শব্দ – নাহ তিনিও প্রাসঙ্গিক নন, আমরা কেউই প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখি না ।


নতুনের কোন দুঃখ নেই/ স্বদেশ সেন

নতুন কোথায় থাকে, নতুনের কোন দুঃখ নেই ?
মানুষ যেমন করে কুসুমপাতার ঠোঙ্গা বাঁধে
সেভাবেই বাঁধো তুমি মেঘ থেকে জল নামানো পাতা ?

তুমি সেই পাতা যার আকার ভরেছে চুয়াগন্ধ
সেই অপরূপা যার চুড়ি বাজে আর চোখ হাসে ?

কখনো বাসনা হয় – মেয়ে হলে ব্রোচ দেবো তাকে
কখনো সুবর্ণগুল দিয়ে খোঁজে মোমের আরক
রাঙ্গা ঠোঁট, মাজা দাঁত, নবনিযুক্ত ডুরে শাড়ি
সম্পূর্ণ পশমে রাখো পা

স্তরে স্তরে নির্জনতা তোমার চিবুকবিন্দু
হাতে ধরে থাকে
নাকি কোন প্রকৃত উন্মাদ
ঋতুভাঙ্গা কোয়া কুরে খায়
প্রিয় তারপলিন ছেঁড়ে
কামড়ে ধরে বীজের পাহাড়

তার দুঃখ অবেলায়, তার দুঃখ সমস্ত পল্লীতে ।

নতুন কোথায় থাকে, নতুনের কোন দুঃখ নেই ?

Friday, May 27, 2011

ঝাঁকা

জলবায়ু আসে,
সেই আলগা বলয় যার জরায়ুর ছায়া
গাছ ও দালানে
বিতরিত সমপরিমানে
এসেছ, সেই
কবে থেকে অনুষঙ্গের ভেতরে বসে আছ
খেয়াল থাকে না
যেন খেয়ালের চেয়ে আর কোন কোথা ত্রিভুবন
যন্ত্রনাভোগ করতে ভুলে যাচ্ছে
তাপে গলে যাওয়া ফেরিওলার

একান্ত ঝাঁকা হয়ে উঠছে

মোদো গান লিরিক (lyric)

কুন্তলে তব হেনা
বীয়ারে জেগেছে ফেনা
আর কিছু চাইছে না
পাবলিক হৃদয়

তুমি মামু বড় রিস্কি
আলপিন হাতে ফ্রিস্কি
বোধোদয়ে হুইস্কি
তোমার হোক বিজয়

বিধি কী হইল বাম
ঘড়িতে মধ্য যাম
বোতলে তলানি রাম
চুমুকে সূর্যোদয়

মহুয়ার পলিপ্যাক
গীটারের ঝিনচ্যাক
(তবু) কুকুর ডাকিছে ঘ্যাঁক
(এই) বেদনা অক্ষয়

বদ্দি বলেছে প্যানিক
অ্যাটাকে ঘটি’তে খানিক
জিন সহযোগে টনিক
উদ্দাম নিরাময়

প্রেম-প্রীতি চীনে পটকা
জীবনে যাবৎ খটকা
লিটার দু’তিন ভডকা
সেবনে উজাড় হয়

তুমি মামু দেখি স্পিকটি
নট হয়ে জানো ভিকট্রি
আমার ভ্যাটে যে সিক্সটি
নাইন না হলে নয়

চুল্লু-ভর পানি
(আমি) তাহারে মহান মানি
(আমি) নীলাকাশে টানি ঘানি
(ও হো) আমি কী প্রতিভাময়

আজকাল এই ট্রেন্ডি
(আমি) কুয়োয় ঢালছি ব্র্যান্ডি
চন্ডালিকার ঠান্ডি
পরশ পেলে তো হয়

(ভ্রাতা সাগরনীল ও এই অধম সইত্যযুগে সোমরসের একছত্র মার্কেট সাবোটেজ করতে কলিযুগ ঘুরে এই গান লেখে । গান্টি সোমবারে লেখা । গান্টি যে কোন সুরে গাওয়া যেতে পারে, তবে, শ্রদ্ধেয় মান্না দে’র “হয়তো তোমারি জন্য/ হয়েছি প্রেমে যে বন্য “-এর সুরটি আইডিয়াল মনে হয় ।

সাবধানবাণীঃ মাল খেয়ে লাফালাফি করা ভাল নয় । ঝাঁপতাল ব্যবহার না করাই ভাল ।)

Thursday, May 26, 2011

কৃতি বাঙালি, বিস্মৃত বাঙালি ; বিশ্বকোষ (প্রথম সংস্করণ)

কৃতি বাঙালি, বিস্মৃত বাঙালি ; বিশ্বকোষ
সংকলক ; সব্যসাচী সান্যাল (প্রথম সংস্করণ ; আপডেট চলিবে )

--
কে সি নাগ ওরফে কালাচাঁদ নাগ, নাগ বংশে জন্মগ্রহণ করেন, খ্রিষ্টপূর্ব ১৯৩৩ শে । পিতার নাম অর্জুন সেন, মাতা; উলুপী নাগ, বৈমাত্রেয় ভাই বভ্রুবাহন মণিপুরী । বভ্রুবাহন কালাচাঁদের অত্যন্ত প্রিয় ছিলেন । পিতা অর্জুন, "জাস্ট সিগ্রেট কিনে আসছি" বলিয়া মহাপ্রস্থানের পথে গমণ করিলে জ্যেষ্ঠ কালাচাঁদ কনিষ্ঠ বভ্রুবাহনেরে সন্তানরূপে কোলে মাথায় তুলিয়া মানুষ করেন । কথিত-- নাগের মাথার মণি প্রবাদটির উৎপত্তি এইখানে ।
কালাচাঁদ পাপারাৎজির জ্বালায় পিতৃপরিচয় উপেক্ষা করিয়া মাতৃপরিচয় গ্রহণ করেন । জন্ম হইতেই কালাচাঁদ অঙ্ক শাস্ত্রে প্রভূত প্রতিপত্তিশালী ছিলেন । কথিত,পাণিণী একদা মজলিশে অঙ্ক ভুল বলিলে কালাচাঁদ মাতৃজঠর হইতেই তাহাকে তিন খন্ড মেটিরিয়া মেডিকা ছুড়িয়া মারেন । ক্ষুব্ধ পাণিণী এই শারীরিক ও মানসিক অপমানের প্রতিবাদ করিয়া নিউ দিল্লী তিসহাজারি আদালতে একান্ন দফা মামলা দায়ের করেন । কিন্তু অভিযুক্ত কালাচাঁদ মাতৃজঠরে অবস্থিত থাকার দরুণ জজসায়েব হিজ হাইনেস বংশলোচন বটব্যালের নজরের অগোচরভূক্ত হইবার কারণে মোকদ্দমা কল্পিত বলিয়া পরিগণিত ও ডিসমিস হয় । ১৯৮৩ খ্রীঃ-এ পাণিণীর বংশধর শ্রী রাম রাও তাতিনেনি “অন্ধা কানুন” নামে এক চলচিত্র নির্মাণ করেন যা পাণিণী বনাম মাতৃগর্ভস্থ কালাচাঁদের আইনি লড়াইয়ের এক গুরুত্বপূর্ণ দলিল ।
কালাচাঁদ,আইজ্যাক নিউটন ও তাঁহার অনুজ হাইজ্যাক নিউটনের গৃহশিক্ষকতা করিয়াছিলেন । তাঁহার অপর বিখ্যাত ছাত্রদের মধ্যে আরকিমিডিস, বাবু বঞ্জুল ব্যানারজী, সোক্রাত, দেকার্ত, ও নিধিরাম হালদার বিশেষভাবে উল্লেখ্য ।
সূত্র; হোকশাস্ত্র, পরিচ্ছেদ ৩৭, প্রিঃ ২৫৩।


--
খগেন্দ্রনাথ, পদবী বর্জিত । পিতা ও মাতার পরিচয় জানা নাই । খগেন্দ্রনাথ সম্পর্কে আলগা কিছু তথ্য ছাড়া – (যথা – সৃষ্টি নাম্নী এক বালিকার জন্মকালে খগেন্দ্রনাথ ও তাঁহার পোষা স্টেরয়েডপুষ্ট শতফণাবিশিষ্ট হুমদো হলহলে সর্প উভয়েই তিরিশ বোতল কোরেক্স পান করিয়া গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হন । ঘুমন্ত খগেন্দ্রনাথকে শবদেহভ্রমে তাঁহার নাভিস্থলে এক অতিকায় পদ্মফুল অঙ্কনপূর্বক অ্যান্ডরোমিডা নক্ষত্রপুঞ্জ হইতে আগত এক চতুর্মস্তকযুক্ত এলিয়েন বৃদ্ধ শবসাধনায় মগ্ন হন) বিশেষ কিছু, কিছুদিন আগেও জানা ছিল না । বর্তমানের উইকিলিক নামক তথ্যলিক বাবদ কয়েকটি চাঞ্চল্যজনক খবর জনসাধারণের গোচরে আসিয়াছে । যথা – খগেন্দ্রনাথ পেশাগত ভাবে এক সফল ইন্টিরিয়র এবং এক্সটিরিয়র ডেকোরেটার হইলেও, খ্রিষ্টপূর্ব ৫৪৩-এ শ্রী গোউটামা বুঢঢা (মাই ঘড ! সমেত) –র শিষ্যত্ব গ্রহণ করিয়া পূনর্জন্মে পারদর্শী হইয়া ওঠেন । এবং পরপর দশবার সুদূর পঞ্জাবমুলুকের হোঁশিয়ারপুর জিলায় অবতার সিংহ নামে জন্মগ্রহন করেন (পরিপূর্ণ স্মৃতিসমেত)। দশ দশবার পৃথিবীর (হোঁশিয়ারপুরের) বর্ধমান ক্রমাবনতি দেখিয়া ক্ষুব্ধ এবং যার পর নাই তিতিবিরক্ত খগেন্দ্রনাথ, শ্রীল শ্রীযুক্ত অ্যাডলফ হিটলারের পিউরিটান ধর্মে দিক্ষিত হইয়া শান্তিপূর্ণ উপায়ে পৃথিবীর মানুষকে এক শুদ্ধ জাতি ও এক শুদ্ধ জিনপুলে পরিনত করিবার অভিপ্রায়ে পৃথিবীর সর্বপ্রথম স্পার্মব্যাঙ্কের স্থাপনা করেন ও নিজ শুক্রানুর ব্যাপক বিতরণের ব্যবস্থা করেন । তাঁহার প্রথম খরিদ্দারদের মধ্যে পান্ডুজায়া কুন্তি ও মাদ্রী উল্লেখযোগ্য । আজ খগেন্দ্রনাথ বাপোঁ কা বাপ বলিয়া বাঙ্গালির হৃদয়ে পুনর্স্থাপিত ।


--
গদাই লস্কর । পিতা, ফাদার লস্কর । মাতা, মাদার লস্কর । জন্মস্থান লস্করপাড়া, ভুষিগ্রাম । থানা, বিন্তিপুর ।
গদাই লস্কর তাঁহার পিতা মাতার কনিষ্ঠ সন্তান । ফাদার ও মাদার লস্করের প্রথম সন্তান স্বনামখ্যাত শ্রী লোক লস্কর-এর পরিচিতি তাঁহার পরাক্রম ও শারীরিক শক্তির জন্য সুবিদিত (কথিত-- শ্রী লোক লস্কর একাকী ১৬জন সবল মানুষের সমান কার্যক্ষম ছিলেন। এবং আজিকার বাংলাভাষায় লোক লস্কর শব্দটির বহুবচনীয় ব্যবহার, জেষ্ঠ্য লস্কর ভ্রাতার অমিতবীর্য হইতেই উৎপত্তি লাভ করে )।

চরকসংহিতা অনুযায়ী গদাই, ওবিসিটি (মুটানি) রোগের বিশ্বের সর্বপ্রথম উদাহরণ । শ্রী লোক লস্করের পরাক্রমে ভীত সন্ত্রস্ত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, সি আই এ ও সর্বভারতীয় তস্কর সমিতি তাঁহাকে উপরিপর প্রচেষ্টা সত্ত্বেও দাবাইয়া রাখতে অকৃতকার্য হইলে উল্লেখযোগ্য জনপ্রিয় দ্রুতখাদ্যশিল্পী ম্যাকডোনাল্ড সায়েব-এর সহযোগে বিস্তর গবেষণার পর উক্ত কোম্পানিগণ ভুষিগ্রামে প্রথম বার্গার ও মিষ্ট ভুড়ভুড়ির (সোডার) বিপণী স্থাপিত করে । জেষ্ঠ্য ভ্রাতার নিষেধ সত্ত্বেও গদাই উক্ত বিপণীর মনোহর ও অতীব মেটাবলিক আলস্য প্রদায়ক খাদ্যবস্তুর মোহে পড়িয়া অকালে ভয়ংকর ওবিসিটি গ্রস্ত হন । তাঁহার থপ থপ কাফ্রী হস্তিনীর ন্যায় নিরলস পদচারণায় ও আইন্সটাইন বর্ণিত আপেক্ষিকতাবাদ দরুন ব্যাপক ভরজনিত সময় ও পরিসরের বিকৃতির কারণে চাষী জমিতে ফাটল ধরে, ও ভুষিগ্রামস্থিত এক গুপ্ত আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ উন্মুক্ত হইয়া ভুষিগ্রামকে লাভাস্রোতে বিলীন করিয়া দেয় । উক্ত আগ্নেয়গিরির নাম ভুষিভিয়াস, যাহা বর্তমানে ইতালি দেশের নাপোলি জনপদের নিকট বর্তমান । ভুষিভিয়াস ইতালিতে কি করিয়া পৌছায় তাহা নিয়া পন্ডিত সমাজ দ্বিধাবিভক্ত । বিখ্যাত আফগান ভূতাত্ত্বিক জেরুজালিম খাঁ-র মতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কালে এক কন্টিনেন্টাল ড্রিফট-এর সুবাদে ভুষিভিয়াস আগ্নেয়গিরিটি ছিটকাইয়া গিয়া ইয়োরোপে পতিত হয় । অপরপক্ষে ইতালীয় ভূতাত্ত্বিক জিয়োভাগ্নি আলোকবর্তিকার মতে ইতালির অধিকর্তা বেনিটো মুসোলিনি খোদ ভারত সফরে আসিয়া, আগ্নেয়গিরিটি তাঁহার স্ত্রীর কাঁচুলির ভিতর ভরিয়া আবগারি দপ্তরের নজর এড়াইয়া আকাশপথে ইতালি পাচার করেন । আগ্নেয়গিরির উত্তাপে মুসোলিনি বা তাঁহার স্ত্রী যে বিন্দুমাত্র ক্ষতিগ্রস্ত হন নাই তাহার কারণ হিসাবে জিয়োভাগ্নি, মুসোলিনি দম্পতির পোক্ত ডিপ্লোম্যাটিক ইমিউনিটির উল্লেখ করেন ।

সূত্রঃ ভুষিভিয়াস এন আন্দান্তে এলিজি রোমা নাপোলি মারাদোনা অ্যান্ডা কারাবিনিয়েরি – বাই জিয়োভাগ্নি আলোকবর্তিকা ।


--
ঘড়িয়াল দাস ওরফে গ্যাভিয়ালিস গ্যাঞ্জেটিকাস । পূরাণে বর্ণিত প্রথম বাঙালি যিনি খোদ পোপ বেনেডিক্ট ১ ও অ্যান্থনি ফিরিঙ্গির পাল্লায় পড়িয়া রোমান ক্যাথলিক ধর্ম গ্রহণ করিয়াছিলেন এবং নিজ নাম পাল্টাইয়া শুদ্ধ লাতিন নাম রাখিয়াছিলেন । ঘড়িয়াল, বঙ্গদেশে প্রস্তুত সুইস ঘড়ির জনক বলিয়া পরিচিত । যদিও বিশিষ্ট ঐতিহাসিক “অতীতেন্দ্র হাঁসদা”-র মতে তিনি সুইস ঘড়ির এক দালাল ব্যতীত আর কিছু নহেন । অতীতেন্দ্র বাবুর মতে সুইস ঘড়ির আসল নির্মাতা সুন্দরবনের নিকটে ওয়াচগঞ্জ জনপদের টাল্লু জনগোষ্টী । ঘড়িয়াল, শায়েস্তা খাঁ-র হুকুমে তাঁহার পরিবারবর্গের নিমিত্তে ১৩৫০টি সুইস ঘড়ি নির্মাণ করাইয়াছিলেন । দিল্লীর জনপদে সেই ঘড়িগুলি আমির ওমরাওদের দৃষ্টি আকর্ষণ করিলে তাঁহারা নিজদিগের নিমিত্তে ঘড়ি নির্মাণের জন্য হুলুস্থুল শুরু করিলে শায়েস্তা খাঁর কনিষ্ঠা বিবি শাস্তি খাঁ ঈর্ষার বশে ঘড়িয়াল দাসকে পঞ্চাশ ধামা স্বর্ণ বাতাসা মজুরী দিয়া ঘড়ি শিল্পের ত্বরিত নাশের বন্দোবস্ত করেন । তাঁহার আদেশে ঘড়িয়াল দাস সর্বভারতীয় তস্কর সমিতির মাধ্যমে টাল্লু জনগোষ্টীর মধ্যে সেই স্বর্ণ বাতাসার বিতরণ করিলে অচিরেই ঘড়ি প্রস্তুতকারীদের অঙ্গুলি ফুলিয়া কদলীবৃক্ষে রূপান্তরিত হয় এবং সুক্ষ ঘড়ি নির্মাণ শিল্প ধবংসপ্রাপ্ত হয় । এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে টাল্লু জনগোষ্ঠী মহাকরণের সম্মুখে এক ব্যাপক শোক ও ক্ষোভ ধর্নাসভার আয়োজন করে । নিজ করতুত গোপন করিতে ঘড়িয়াল উক্ত ধর্নায় অংশগ্রহণপূর্বক চুল্লু সেবন করিয়া প্রভূত অশ্রুবিসর্জন করেন । কুম্ভীরাশ্রু প্রবচনটির জন্ম এই ঘটনা হইতে উদ্ভূত ।


--
ঙটাও ঙরাও। সুকৃতি বাঙালি । জন্ম ইন্দোনেশিয়ার বোর্ণিয়ো । তিন বছর বয়েসে কুসঙ্গে পড়িয়া ডঃ মর‍্যু-র দ্বীপে গিয়া হাজির হন । ডঃ মর‍্যুর জেনেটিক কাঁচির প্রকোপে তিনি অবিলম্বে কমলাবরণ ধারণ করেন । ৩২ বছর বয়েসে ঙটাও তাঁহার ২৯ বছরের গভীর সাধনখোদনের ফল থেমস নদীর সুড়ংগ দিয়া পলায়ন করিয়া ব্রিটানি দ্বীপের ভুঁইফোঁড়ন করিয়া ওঠেন । উইলিয়াম ডিরোজিও সায়েব তাঁহার কাহিনী শুনিয়া দয়া পূর্বক পত্রপাঠ (পত্রটি কাহার সে বিষয়ে বিশদ জানা যায় নাই) তাঁহাকে বোর্ণিয়ো দ্বীপে জাহাজ মারফত পাঠাইবার বন্দোবস্ত করেন । বারমুডা ত্রিকোনের প্রকোপে জাহাজডুবি হইলে, অসহায়, ভাসমান ঙটাও তাঁহার উজ্জ্বল ও দ্যুতিময় কমলা গাত্রবরণের কারণে ট্রয় হইতে প্রত্যাগত বীর ওদিসিউস-এর নেত্রগোচর হইলে ওডিসিউস তাঁহার জীবনরক্ষা করেন । মহাভূজ ও পরাক্রমশালী ঙটাও প্রাণরক্ষার বিনিময়ে ওদিসিউস-এর হৃত রাজ্য ও রাণীর উদ্ধারে প্রভূত সহায়তা করেন । রাজা ওডিসিউস কৃতজ্ঞতা স্বরূপ তাঁহাকে এক কাষ্ঠ নির্মিত অশ্ব প্রদান করেন যাহা জলে স্থলে গগনে বিচরনে সক্ষম । উক্ত ঘোড়া চড়িয়া ঙটাও তাঁহার পিতৃ পুরুষের দেশ ভারতে পদার্পণ করেন । আরব্য রজনী গ্রন্থে লিপিত রইয়াছে যে ভারতে আসার পথে তিনি বোগদাদ, দামাস্কাস ও চুলবুলিস্থানে বিভিন্ন কৃতিত্বের নিদর্শন রাখেন । অভাগা ভারত দেশের আমলা, মন্ত্রী ও পন্ডিতেরা টেলিকম কেলেঙ্কারি ও তৎসম্বন্ধিত যোগাযোগ ব্যবস্থার গন্ডগোলে বীর ঙটাও সম্পর্কে সম্যক অবহিত না থাকিবার কারণে ঙটাও প্রভূত অপমানের শিকার হন । এমন কী স্বাস্থ্য বিভাগ তাঁহার ঘোর দ্যুতিময় কমলা গাত্রবর্ণের কারণে তাঁহাকে দূরারোগ্য বোগদাদী ন্যাবায় আক্রান্ত মনে করিয়া আইসোলেশান ওয়ার্ডে রাখিবার বন্দোবস্ত করেন । অবশেষে জাতিপুঞ্জের তৎকালীন নেতা শ্রী বুত্রোস বুত্রোস ঘালি ও ইন্টারন্যাশিওনাল অ্যান্টি অ্যাপারথায়েড ফ্যাসিস্ট কমিটির হস্তক্ষেপে ভারত সরকার তাঁহাকে সান্মানিক নাগরিকত্ব ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে একটি গ্রাম প্রদান করেন । ঙটাও নিজ গ্রামের নাম কমলাফুলি রাখিয়া তাহাতে পৃথিবীর প্রথম টিয়াপাখি প্রজনন ও সংরক্ষন কেন্দ্র স্থাপনা করেন ।

--
চপলচিত্ত চ্যাটার্জী । প্রথম বাঙালি সাইকায়াট্রিস্ট । চপলচিত্তর পিতা স্থিরচিত্ত চ্যাটার্জী নদীয়া জিলাস্থিত ফুলিয়া গ্রামে আটাকলের ব্যবসায় করিয়া ফাঁপিয়া ওঠেন । তাঁহার অঙ্গুলি ও উদরস্ফিতীর সঙ্গে সঙ্গে প্রভূত চিত্তস্ফিতী ঘটিলে অস্তিরচিত্ত হইয়া তিনি মরমর হইলে, তাঁহার ফুলিয়া গ্রামোস্থিত মনোহারিনী দেবী মেমোরিয়াল বিদ্যালয়ের, ক্লাস এইট পাশ পূত্র চপলচিত্ত পিতার রোগ প্রশমনের উপায় খুঁজিতে স্কটল্যান্ডের এডিনবরায় যান । তথায় মনোপযুক্ত চিকিৎসকের সন্ধানলাভে বিফল চপলচিত্ত নিজেই চিকিৎসা বিদ্যা অর্জন করেন ও স্বদেশে প্রত্যাবর্তনপূর্বক পিতাকে ফের স্থিরচিত্ত করিয়া তোলেন । স্কটদেশে বিরাজকালীন চপলচিত্ত ব্যাগপাইপ নামক বাদ্যযন্ত্রটি নিষিদ্ধ করিয়া লকনেস মনস্টার নামক অতীব ভীতিপ্রদায়ক প্রাগৈতিহাসিক প্লিসিওসোরাস গোতৃভূক্ত প্রাণীটিকে সুস্থ করিয়া তোলেন । লকনেস মনস্টার বর্তমানে শ্যামদেশের পাটাগং মনাস্টারিতে নিরামিষ ভোজন করিয়া লামা হইবার প্রচেষ্টা করিতেছেন। কিছুদিন পূর্বে এক থুতু-নিক্ষেপ প্রতিযোগিতায় দক্ষিন আমেরিকার লামাদের পরাজিত করিয়া শীর্ষস্থান দখল করিলে শ্রী তান্সেন লামা তাহাঁকে ভবিষ্যতের তারকা বলিয়া উল্লেখ করেন ।


--
ছত্রধর মাহাতো । বাঙ্গালা মুলুকে জন্মগ্রহন করিলেও ছত্রধরের কর্মস্থান মারাঠা দেশ । ছত্রধর যৌবনে মহাভারতে বর্ণিত রাজা শিশুপালের পিতৃব্য কেসিপাল মহাশয়ের ছত্রনির্মাণ ফ্যাক্টরির দক্ষ কারিগর ছিলেন । বর্গী ভাস্কর পন্ডিত তাঁহাকে অপহরণ করিয়া মারাঠা দেশে নিয়া গেলে ছত্রধর প্রথমে ঈষৎ গাঁই গুঁই করিলেও অদূর ভবিষ্যতে ছত্রপতি শিবাজীর জীবন ও সংগ্রাম দ্বারা অভিভূত হইয়া তাঁহার নিমিত্তে অতীব সুচারু মসলিন ছত্র নির্মাণ করিয়া ও তাঁহার মস্তকে ছত্রধারণ করিয়া খ্যাতিলাভ করেন । ঐতিহাসিক অতীতেন্দ্র হাঁসদার মতে তাহাঁর ছত্রধর নামটি এই সূত্রেই পাওয়া । পলাশীর যুদ্ধে ছত্রধর তাহাঁর ছাতা লইয়া লর্ড ক্লাইভকে ডুয়েলে চ্যালেঞ্জ জানান । দুর্ভাগ্যবশত এই ডুয়েল চলাকালীন তিনি উঁচট খাইয়া নিজ ছত্রবিদ্ধ হইয়া বীরগতি প্রাপ্ত হন । নবীন চন্দ্র সেন মহাশয় রচিত “পলাশীর যুদ্ধ” নামক কবিতায় ছত্রধর মাহাতোকে, ছত্রধর্ম্মাহত বলিয়া অভিহিত করা হইয়াছে ।


--
জামালগোটা খান । সুশ্রুতের কৃতী ছাত্র । ইনি হিউয়েন সাং-এর সহিত চীনের ইউনান প্রদেশে গিয়া ইউনানি চিকিৎসার প্রবর্তন করেন । জামালগোটা খান, তাঁহার সুযোগ্যা পত্নী সোনাপাতা খান ও সতীর্থ গবেষক গুলবুদ্দিন ইশব এই তিন চিকিৎসকের নিদানে বঙ্গমাতার কোষ্ঠকাঠিন্য রোগমুক্তি হইয়া বহু কৃতি বাঙ্গালির নির্গমনের পথ প্রশস্ত হয় । কলিকাতার ধাপা অঞ্চলের কৃপায় আজো যে দীন দুঃখী শিক্ষিত বাঙালি শীতকালে ৪ টাকায় একটি ফুলকপির বাচ্চা কিনিতে পারে তাহার অন্যতম শ্রেয় এই চিকিৎসকত্রয়ীর প্রাপ্য ।


--
ঝরাপাতা পাল । কৃতি রাজনিতীবিদ। ঝরাপাতার ন্যায় এনার ম্যানিফেস্টো যত্রতত্র উড়িয়া পড়িতে থাকিলে ও ডানবাম সর্বনীতির মানুষের উঠান দখল করিলে গোটা বাঙ্গালার মানুষ মিলিয়া তাহাকে নিরস্ত করিবার অভিপ্রায়ে “ঝরাপাতা গো আমি তোমারি দলে “ ঝরাপাতা গো যেও না ঝরে” ইত্যাদী সঙ্গীত রচনা করেন । ফল কী হইয়াছিল সে বিষয়ে ইতিহাস অবগত নহে ।


--
ঞআর্থক নঞ । জন্ম ভিয়েন্তিয়েন । বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী যিনি নাসিকাসঙ্গীতকে শিল্পের পর্যায়ে তুলিয়া আনেন ।তাঁহার শিষ্যদের মধ্যে শচীনদেব, কুন্দনলাল সহগল, মুকেশ ও হিমেশ রেশমিয়া প্রভূত খ্যাতি লাভ করেন ।


--
টোটাল চন্দ্র কোটাল । জন্ম বঙ্গদেশে হইলেও ইনি বিভিন্ন দেশে তাঁহার কর্মের নিদর্শন রাখিয়া গেছেন । বিখ্যাত ওলন্দাজ ফুটবলার ও কোচ যোহান ক্রুয়েফ টোটাল চন্দ্রের ফুটবল খেলা দেখিয়া তাঁহাকে বাতাবীনেবু ন্যাশানাল ইলেভেন দল হইতে হল্যান্ড দেশে নিয়া গিয়া সেইখানে এক অদ্ভূত কার্যকরী ফুটবল শৈলীর প্রচলন করেন যাহা আজিকার পৃথিবীতে “টোটাল ফুটবল” নামে সর্বজনবিদিত ।

--
ঠাকুরমাতা সহায় ও ঠাকুরদাদা সহায় । এই সহায় দম্পতি ভয়ংকর ছেলেধরা বলিয়া কুখ্যাত ছিলেন । যেই ঝুলির মাধ্যমে তাঁহারা সমগ্র বঙ্গদেশে তাঁহাদের অপহরণের জাল বিছাইয়াছিলেন তাহা আজো কলিকাতা জাদুঘরে নীল তিমির বেলীনের পার্শে সংরক্ষিত রহিয়াছে । শ্রী দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার মহাশয় এই সহায় দম্পতির যাবতীয় অপকর্মের দলিল তাঁহার ঠাকুরমার ঝুলি ও ঠাকুরদার ঝুলি গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করিয়াছেন । সহায় দম্পতির অপহরনগুলির মধ্যে লালকমল-নীলকমল, ব্যঙ্গমা-ব্যাঙ্গমী, বুদ্ধু-ভুতুম, রাক্কস-খোক্কস, দৈত্য –দানা ও লীলাবতী-ইলাবতী এই সমস্ত জোড়া অপহরণ বিশেষ রূপে উল্লেখ্য । কথিত সহায় দম্পতি ইয়োরোপ ভ্রমণে গিয়া গ্রীম ভাইদের অপহরণ করেন ও তাহাদিগকে বিনা পারিশ্রমিকে বাংলায় শিশু সাহিত্য লিখিতে বাধ্য করেন ।


--
ডাকবাবু অধিকারী । বিশিষ্ট হরবোলা । ইনি জিরাফের ডাকে পারদর্শী ছিলেন ।


--
ঢোলগোবিন্দ দাম । প্রখ্যাত সাংবাদিক । সংবাদপত্র আবিষ্কারের পূর্বে ইনিই ঢোল বাজাইয়া সংবাদ বিতরন করিতেন । কথিত ইঁহার পূর্বপুরুষ আফ্রিকা মহাদেশ হইতে আসিয়াছিলেন ।




--
ণগেণ শেণ । বিরল (দন্ত) বাঙালি । এক জেনেটিক গ্যাঁড়াকলের শিকার শ্রী ণগেণ শেণের জন্মাবধি দন্তোতপাদ না হওয়ায় হতাশ ণগেণ দন্ত্য বর্ণ পরিত্যাগ করেন । ইনিই প্রথম বঙ্গভাষায় মুর্ধণ্য “ত” উরুশ্চারণ করিয়া খ্যাতি লাভ করেন ।


ত ১
--
তথাগত পাঁড়ুই । ইনি কোথাগত তাহা নিয়া বিশেষ জানা যায় না । তবে যে কোন অকুস্থলে (তথায়) তাঁহার আগমন রেকর্ড সময়ে ঘটিত । উনবিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ট গোয়েন্দা বলিয়া তথাগত নাম করিয়াছিলেন । ইনি কেবল মাত্র মুথাঘাসের উপর বিচালি, ইদুঁরবিষ্ঠা দেখিয়া ও দয়েলের ডাক শুনিয়া রঘু ডাকাতের গুপ্ত আড্ডার সন্ধান করিয়া তাঁহারে বন্দী করেন । বাস্কারভিলার কুইত্তা কেসে ইনি শার্লক হোমসকে টেক্কা দিয়া সেই কুইত্তাকে ধরিয়া তাহার পেটের ভিতর হইতে সমস্ত গোপন তথ্য বাহির করেন ও তাঁহাকে রাজসাক্ষী বানান । সেই ঐতিহাসিক মামলায় বাস্কারভিলার কুইত্তার বয়ানে এক ভয়ংকর ষড়যন্ত্রে ব্রিটিশ সরকারের কেষ্টু বিষ্টু, মাতাহারি, হাইন্রিখ ডিমলার, ডেভিড বেকহ্যাম, লেডি গাগা, জন ম্যাকেনরো ও স্যার বলাই মল্লিকের জোগসাজস প্রমাণিত হয় । ব্রিটিশ কোনান ডয়েল সায়েব উদ্দেশ্যমূলক ভাবে উক্ত ঘটনার বিবরণাবলী হইতে তথাগত পাঁড়ুইকে সরাইয়া শার্লক হোমসকে জয়যুক্ত করেন ।

ত ২
--
তিমির বিদারী দাম
--
কৃতি পেটো শিল্পী
--

--
থরহরি দাস । প্রথম বাংলা নির্বাক চলচিত্রের নির্দেশক । ক্রন্দনের অব্যবহিত আগে সুচিত্রা সেন, মধুবালা, মালা সিনহা ও গীতা দত্তের ঠোঁটের ডান পাশ ঈষৎ উচ্চে উঠিয়া যে ভাবে কাঁপিয়া উঠিত – কথিত সেই প্রকাশভঙ্গিমা শ্রী থরহরি দাসের সৃষ্টি ।



--
দিগন্তব্যাপী পোঁদ । পঞ্চাশের বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক বলিয়া পরিচিত । সত্তর হইতে নব্বই দশক অবধি চুড়ান্ত জনপ্রিয় হইলেও আজ কেবল মাত্র ভূত ঝাড়িবার নিমিত্তে বিক্রীত সরিষার বিজ্ঞাপনেই
তিনি ও তাঁহার শিল্পকর্ম সীমাবদ্ধ । তিরিশের দশকের কবিকুল বাংলা সাহিত্যে ইউরোপীয় আধুনিক বিচারধারা ও স্টাইলের আমদানি করেন ও বঙ্গসাহিত্যের মৌলিকতা বিসর্জনের অপরাধে পরবর্তীতে প্রচুর ধিক্কার লাভ করেন । দিগন্তবাবু ও তাঁহার সহকারী শিল্পীরা বঙ্গসাহিত্যে এই প্রভূত ক্ষতিকর ইউরোপীয় প্রভাব দূর করিতে আমেরিকান বীট কবিদের শরণাপন্ন হন । তাঁহাদের প্রভাবে তৎকালীন বাঙালি কবির স্টেপল খাদ্য-- স্টেপলার, গাজর, গাঁজা, সন্দেশ, গঁদ ও ভুষি হইতে কেবল মাত্র “বীটে” পরিবর্তিত হয় । দিনের পর দিন বীট খাইয়া এই কবিকূল রক্তবর্ণ ধারণ করেন ও কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের সুপ্রসিদ্ধ দাড়ি দিয়া পাপোষ নির্মাণ শিল্পের পত্তন করিয়া প্রভূত অর্থলাভ করেন । পরম প্রতিপত্তিশালী এই কবিরা রাত্রির কলিকাতার একছত্র শাষনভার গ্রহন করেন । বস্তুত গ্রীক দার্শনিক প্লেটো, হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের কবিশক্তিতে ভয়ভীত হইয়া তাঁহার রিপাবলিক হইতে সমগ্র কবিকে নির্বাসন দিবার পর এই প্রথম কোন কবিকুল দেশের শাসনভার নিজহস্তে তুলিয়া নিতে সক্ষম হন । কলিকাতার রাস্তার উড়ে কনস্টেবল, উচ্চ পুলিশ অধিকারী হইতে দুর্দান্ত আমলা সবাই এই কবিদের শাষনে চমৎকৃত হইয়া কবিতার অনুরাগী হইয়া ওঠেন । কবিতার এই জনপ্রিয়তা পৃথিবী ইহার আগে কদাপি দেখে নাই । ভারতবর্ষে চিনি কেলেঙ্কারী ঘটনার পর বী্ট দুষ্প্রাপ্য হইলে টেকনোবীটের আমদানি হয়, যাহা বীটের ন্যায় পুষ্টি কারক ছিল না । পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবে এই কবিদের প্রতিপত্তি কমিয়া গিয়া আজ সরিষা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ।


--
ধর্মরাজ রায় । বিখ্যাত বিচারপতি । ইনি একমাত্র বাঙালি বিচারপতি যিনি সরকারী ভাতা গ্রহণ না করিয়া নিজ মহিষ শকটে আদালতে যাতায়াত করিয়া থাকেন ।


--
নির্মল কর ও তস্য ভ্রাতা মঙ্গল কর বঙ্গদেশে তাঁহাদের পরম জনহিতৈষী কার্যকলাপের জন্য বিখ্যাত । কুন্তলীন খ্যাত কেমিস্ট হেমেন বোস মহাশয়ের সাথে কোলাবোরেট করিয়া উক্ত ভ্রাতৃদ্বয় এক সুগন্ধী গামছার আবিষ্কার করেন যাহা মর্মের মলিনতা মুছাইয়া তাহাকে নবজীবন প্রদানে সক্ষম । উক্ত ভ্রাতৃদ্বয়ের এই আবিষ্কার ব্যবহারপূর্বক প্রভূত উপকার পাইয়া শ্রী রজনীকান্ত সেন এই ভ্রাতাদের স্মরণে তাঁহার অমর গীতি “তুমি নির্মল কর মঙ্গল কর মলিন মর্ম মুছায়ে” –র রচনা করেন ।

প ১
--
পটলবাবু পোদ্দার । একনিষ্ট নারীবাদী বলিয়া পরিচিত প্রিয়াংশু পোদ্দার কেন এফিডেভিট করিয়া নিজনাম পটলবাবু পোদ্দার-এ পরিবর্তিত করিয়াছিলেন সে সম্পর্কে বহুমত থাকিলেও সর্বাপেক্ষা বলিষ্ঠ মতানুযায়ী পটলবাবু তাঁহার আদ্যন্ত ভিক্টোরিয়ান ও গোঁড়া অশ্লীলতাবিরোধী আদর্শ চরিতার্থ করিতে এই চুড়ান্ত আত্মত্যাগ করেন । প্রখ্যাত ঐতিহাসিক বরেন্দ্রনাথ ধাড়া’র মতে – মহারাণী ভিক্টোরিয়া ও তাঁহার অনুগামীগণ বিশ্বাস করিতেন ফল ও সব্জি ব্যতীত অন্য কাহারো অন্ডকোষের প্রয়োজন নাই । আঙ্গুর, আপেল, পটল, এমন কী কলার বিচি নির্দোষ হইলেও মানবসহ অন্যান্য ইতর পুরুষ প্রাণীর বিচি সর্বতো প্রকারে অশ্লীল ও দেয়ারফোর পরিত্যাজ্য । পটলবাবু ১৮৪৪ খ্রীস্টাব্দে সর্বভারতীয় খাসীকরণ সভার প্রেসিডেন্ট মনোনীত হন ও গণখাসীকরণ চালু করেন । পারস্য, বোগদাদ, ও সিরিয়ার সুলতানকূল, মুঘল ও নবাবী হারেমে তাঁহার প্রতিপত্তির কথা লিপিত রইয়াছে । নিজ বিচি পরিত্যাগহেতু পটলবাবু এক অতীব দুঃসাধ্য সাধনা পথ অবলম্বন করেন । জানা যায় বিচি বর্জনহেতু পটলবাবু উক্তাংগে বিলাত হইতে আমদানি করা একস্ট্রা টাইট রাবার ব্যান্ড বাঁধিয়া লুঙ্গি উত্থাপন করিয়া নেবুতলা উইমেন্স কলেজের প্রাচীরে বসিয়া থাকিতেন । একাদশ বৎসরের দীর্ঘ সাধনার পর পটলবাবুর বিচি খসিয়া পড়িলে তৎকালীন ইংরাজ ভাইসরয় “দাউশ্যালনটকমিটঅ্যাডাল্টারি থমসন” সায়েবের মারফত এই সংবাদ বিলাতে পৌঁছায় । বিলাতি সংবাদপত্র “টাইমস” ফলাও করিয়া এই খবর ছাপে । তাঁহারা পটলবাবুর অন্ডকোষদুটির নামকরণ করেন হাম্পটি ডাম্পটি । আজ বহুযুগ পর “হাম্পটি ডাম্পটি স্যাট অন আ ওয়াল” ছড়াটি বহুলপ্রচলিত রহিলেও ছড়াটির উৎস বিস্মৃতির গর্ভে বিলীন ।

প ২
--
পান্থমহিম সিকদার । মূকাভিনয়ের জনক । ইনি জন্মাবধি মূক ও বধির ছিলেন । ভাগ্যানুসন্ধানে পান্থমহিম জাহাজী খালাসীর চাকুরি লইয়া গ্রীস দেশে পদার্পন করেন । তৎকালীন গ্রীসদেশে দৈনিক মজুরের ঘোরতর অভাব ছিল । পান্থমহিম বাতায়ন পরিষ্কারের কাজে বিশেষ প্রসিদ্ধি লাভ করেন । গ্রীক অভিবাসন দপ্তর একবার বিদেশী হটাইবার পরিকল্পনা করিয়া এক অভিযান চালাইলে ভীত সন্ত্রস্ত পান্থমহিম পার্থেনন সংলগ্ন পানদোকান হইতে এক খাবলা চুন মুখে মাখিয়া ও দুইখিলি গুন্ডিপানে ঠোঁট রাঙ্গাইয়া গোরা সাজিয়া পলায়ন করেন । তাহার পর হইতে তিনি চুন ও পান না খসাইয়াই আজীবন ব্যতীত করেন ।
তৎকালীন গ্রীক সম্রাট ঘটকর্পর হেলিওদোরাস এক চন্দ্রযান প্রস্তুত করেন । পান্থমহিম সেই চন্দ্রযানের সাফাই কর্মচারী নিযুক্ত হন । চন্দ্রযান উৎক্ষেপণ কালে বধির পান্থমহিম সাবধানবার্তা জানিতে না পারায় চন্দ্রে পৌঁছান ও চন্দ্রভূমির উপর তাঁহার অতীব সাবধান চলাচল-ই আজ “মুন ওয়াক” বলিয়া প্রসিদ্ধ । গ্রীক কবি লুকান ও বিখ্যাত গ্রীক বক্তা এলিয়াস অ্যারিস্টাইদেস তাঁহাদের বর্ণনায় পান্থমহিমকে অমর করিয়াছেন । বলাই বাহুল্য “প্যান্টোমাইম” শব্দটি পান্থমহিমের অপভ্রংশ মাত্র । যদিও বাঙ্গালির খ্যাতির প্রতি ঘোরতর অসূয়া পোষনকারী ইংরাজ পন্ডিতদের মতে প্যান্টোমাইম শব্দটি “নির্বাক পাতলুন” হইতে উদ্ভূত ।


--
ফোড়েন্দ্র নাথ দালাল । রেসের মাঠ হইতে সিনেমা হল, সাট্টার ঠেক হইতে রিয়েল এস্টেট, সব্জি বাজার হইতে ট্রেনের টিকেট ঘর, নির্বাচনের আসন হইতে রাজগদ্দি – ফোড়েন্দ্র নাথ সর্বত্র বিরাজমান মুস্কিল আসান বলিয়া পরিচিত । শোনা যায় লর্ড ক্লাইভের পলাশীর যুদ্ধ জয়ের পিছনেও ইহার ভূমিকা অসীম ।



--
ব্যক্তিগতলিখনভঙ্গিমা বসু । উক্ত অবলারে কবি উৎপল কুমার বসু বাদাম পাহাড়ে হারাইয়া ফেলিয়া তাহাকে বিখ্যাত করিয়া তোলেন । পুরো সত্তরের দশকেই দৈনিক উৎকণ্ঠা স্তম্ভে (এগনি কলামে) বিজ্ঞাপন পড়িত – লিখনভঙ্গিমা তুমি যেখানেই থাক ফিরে এস – ইতি-- । বলাই বাহুল্য পুরো সত্তরের দশক তিনি ফেরেন নাই । পোস্টমডার্ন বিপর্যয়ের পর তাঁহার ফেরার কথা মাঝে মাঝে কানে আসে ।


--
ভারত সরকার । ভারত সরকার ও তাঁহার কনিষ্ট ভ্রাতা রাজ্য সরকার যে অতি গুরুত্বপূর্ণ বাঙালি এই কথা প্রচলিত রহিলেও এই ভ্রাতাদ্বয় আজো রহস্যের অন্তরালে । ইহাঁদের অস্তিত্ব নিয়াও পন্ডিতজনের মধ্যে প্রভূত সন্দেহ রহিয়াছে ।


--
মামামা বন্দোপাধ্যায় । মা’র চাইতে মামা বড় হয় কিন্তু মামা অপেক্ষা বৃহৎ নরহরি মামামা । মামামা এক প্রবল ঝঞ্ঝাপূর্ণ ব্যক্তিত্ব-- যিনি একাধারে পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ অপরাধারে সঙ্গীত ও চিত্র শিল্পী এবং যার পর নাই কবি । শ্রদ্ধেয় ঈশ্বর গুপ্ত মহাশয় মামামার জনসভার প্রত্যক্ষ দর্শণ করিয়া অভিভূত হইয়া এক সঙ্গীত রচনা করেন –
গঞ্জিকাসুধা করিয়াছি পান শুনিয়াছি নিজ কর্ণে
মামামা ধরেন রবীন্দ্রগীতি কান ঢাকি ভাঙা বর্মে
বাপরে কী গান জান আনচান শুনিয়া কিডনি ব্যাঁকা
মামামা চেঁচান “একলা চলো” পাব্লিক চলে একা




--
যদু মাস্টার বঙ্গের সর্বাপেক্ষা রহস্যাবৃত চরিত্র । ইনি বিদ্যালয়ের মাস্টার বলিয়া জ্ঞাত হইলেও সে নিয়া ভিন্নমত আছে । কোন কোন পন্ডিতের মতে ইনি পোস্ট মাস্টার হইলেও রেল স্টেশানের সহিত ইহার ওতপ্রোত সম্মন্ধ হইতে প্রতীত হয় যে ইনি স্টেশান মাস্টার হইলেও হইতে পারেন আবার স্টেশনাস্থিত গাঁটকাটাদের মাস্টরও হইতে পারেন । যদ্যপি স্টেশানমাস্টারের ট্রেন ধরিতে তড়িঘড়ির কথা ভাবিলে আশ্চর্য লাগে । তদুপরি তাঁহার এই চিরকালীন শ্বশুর বাড়ি গমণের ঘটমান বর্তমানের কথা ভাবিলেও বিভিন্ন প্রশ্নের উদ্রেক হইয়া থাকে যথা – যদু কী একদারগ্রস্ত ? না-কী বহুদারগ্রস্ত কুলীন ? কিন্তু তাঁহার পদবীর উল্লেখ না থাকায় সে প্রশ্নের মীমাংসা আজও হয় নাই । উপরন্তু তাঁহার পা পিছলাইয়া আলুদ্দম হইবার ঘটনা থেকেও পরিষ্কার আন্দাজ করা সম্ভব নয় যে দমের আলুটি তাঁহার দেহের ঠিক কোন স্থানে অভিব্যাক্তি পায় ।


--
রবিনন্দন ক্রুশো
--
শ্রী রবীন্দ্রনাথ ক্রুশোর জ্যেষ্ঠ পুত্র রবিনন্দন ক্রুশো প্রথম বাঙালি ভূয়াবিষ্কারক (এক্সপ্লোরার) ছিলেন । স্কট ও আমুন্ডসেন সায়েব উত্তর ও দক্ষিন মেরুর অস্তিত্ব ও তৎসংক্রান্ত চুম্বকীয় শৈত্য (সইত্য) আবিষ্কারেরর পূর্বেই রবিনন্দন পূর্ব ও পশ্চিম মেরু আবিষ্কার করেন । এই মেরুকরণ আজো পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী বিকর্ষন শক্তি বলিয়া পরিচিত । প্রখ্যাত দর্শনবিদ কার্লড ম্যাক্স সায়েব এই শক্তির উপর নির্ভর করিয়াই তাঁহার আজো প্রাসঙ্গিক তত্ত্ব – “ইস্ট বিলংস টু ইস্ট অ্যান্ড মেকস বীয়র, ওয়েস্ট ড্রিঙ্কস অ্যান্ড এনলার্জেস ইটস ওয়েস্ট লাইন অ্যান্ড দেয়ারফোর দ্য টু এন্ডস শ্যাল নেভার মীট” –এর স্থাপনা করেন । একবিংশ শতাব্দীর পন্ডিতেরা এই মতের বিপক্ষে “গ্লোবালাইজেশান” নামক পাল্টামত চালু করিয়া কলিকাতায় গ্লোব সিনেমা-র মাধ্যমে পশ্ছিমা অর্থনীতির প্রচলনের প্রচেষ্টা করিলে ভয়ংকর বার্ড ফ্লু তে আক্রান্ত হইয়া পৃথিবীর সমস্ত পক্ষী ফ্লাই ফ্লিউ ফ্লূ হইয়া গেলে বিশ্ব জুড়ে প্রবল অর্থাভাব হয় । শিল্পোদ্যোগ ও কৃষি উভয়েই ওবামা, ওসামা, দামামা ও মামামায় আক্রান্ত হইয়া অবশেষে ঘোর কলিকালের জন্ম হয় ।

পূর্ব ও পশ্চিম মেরু আবিষ্কার কালে এক ভয়াবহ জাহাজডুবির শিকার রবিনন্দন ব্রাজিল ও হংকং –এর সীমানায় পান্তালুন নামক দ্বিপে আটকাইয়া পড়েন ও দীর্ঘ একত্রিশ বৎসর নারিকেল ও কাঁকড়া খাইয়া বাঁচিয়া থাকেন । এই দ্বিপে বসবাসকালীন এক ভয়ানক আদমখোর জনজাতির লাঞ্চ টেবিল হইতে এক অধিবাসীরে রক্ষা করিয়া রবিনন্দন তাঁহার পরিচারক হিসাবে মোতায়েন করেন । উক্ত পরিচারকটি নিজ পরিচয় ও সমগ্র স্মৃতি বিস্মৃত ছিলেন, ফলে রবিনন্দন তাঁহাকে নতুন নাম, পরিচয় ও সচিত্র ভোটার আই ডি কার্ড প্রদান করেন । রবিনন্দন যেই দিন এই অধিবাসীরে রক্ষা করেন সেই দিন শুক্রবার ছিল, ফলে দিন-ক্ষন-তিথি মিলাইয়া রবিনন্দন তাহার নাম রাখেন –“আঠারোইজ্যৈষ্ঠকৃষ্ণপক্ষেদ্বিপ্রহরদ্বাদশঘটিকাদ্বিতীয়শুক্রবার বৃশ্চিকলগ্নে” । পরম কৃতজ্ঞ আঠারোইজ্যৈষ্ঠকৃষ্ণপক্ষেদ্বিপ্রহরদ্বাদশঘটিকাদ্বিতীয়শুক্রবার বৃশ্চিকলগ্নে একনিষ্ট ভাবে দীর্ঘ পঞ্চবিংশতি বৎসর রবিনন্দনের সেবা করিয়া মস্তকে নারিকেল পতনাঘাত হইয়া দেহত্যাগ করেন । প্রিয় পরিচারক আঠারোইজ্যৈষ্ঠকৃষ্ণপক্ষেদ্বিপ্রহরদ্বাদশঘটিকাদ্বিতীয়শুক্রবার বৃশ্চিকলগ্নের মৃত্যুতে তীব্র শোকাবিভূত রবিনন্দন সমুদ্রতটে বসিয়া তিন বোতল নারিকেল মাধ্বী পান করিয়া দেশে ফিরিবার স্থির করেন ও সেই মুহূর্তে নিজ অবস্থা বর্ণনা করিয়া এক দীর্ঘ পত্র লিখিয়া ও তাহারে বোতলে ভরিয়া সমুদ্রে নিক্ষেপ করিতে গেলে তিনি ও তাঁহার হস্তধৃত পত্রসমেত বোতল উভয়েই সমুদ্রে পড়িয়া যান ও এক সুনামি আসিয়া উভয়কেই ভাসাইয়া তমলুক বন্দরে নিয়া যায় । শোক, কারণ ও সমুদ্রবারি পানহেতু বাকরুদ্ধ রবিনন্দন তমলুক তীররক্ষীর (কোস্ট গার্ড) –এর প্রশ্নের জবাব দিতে অক্ষম হইলে তাঁহাকে সোমালি গুপ্তচর সন্দেহে তমলুক জিলা হাজতে বন্দী রাখা হয় । অবশেষে তাঁহার উকিল পরমানন্দ মাহাতো বোতল ও বোতলের তথ্য আবিষ্কার করিলে তিনি ছাড়া পান ও সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় অবিলম্বে বঙ্গবীর হিসাবে মাসিক ৫৫২ টাকা পেনশানলাভ করেন ।

সূত্রঃ রবিনন্দন ক্রুশোর জীবনী ; লেখক দানিয়েল ডেঁপো



--
লালবরণ সামন্ত । ইনি সুদূর রাশিয়া ও চীন হইতে বিভিন্নপ্রকার মার্কসবাদ শিখিয়া তাঁহার সাথে তন্ত্র ও আদি ও অকৃত্তিম ভারতীয় সামন্তবাদ মিলাইয়া এক মিশ্র সমাজবাদের প্রতিষ্ঠা করেন । ইহা বঙ্গ সহ ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে প্রভূত জনসমর্থন লাভ করিয়া ঘোরতর বিপ্লব আনিয়া ফেলে । এই বিপ্লব চাষী জমিতে রোপণ করিলে পরম আধ্যাত্মিক তত্ত্বসমূহ ও কারখানায় নিয়োগ করিলে সামাজিক বিষয়মুক্তির উপাদান প্রস্তুত হয় । এরি প্রভাবে দীর্ঘদিন ধরিয়া বঙ্গদেশে সামন্ততান্ত্রিক সমানাধিকার চলিয়া আসিতেছে । বর্তমানে এই বিপ্লবের প্রবল সার্থকতা এই বিপ্লবের অপসারণের জন্য ঘটমান নতুন বিপ্লবের মধ্য দিয়া চিত্রিত ।


--
শক্তি বল । বিখ্যাত দেহচর্চাবিদ । খর্বতায় তিন ফুট হইলেও ব্যাপক প্রস্থে তিনি হারকিউলিস-রেও হার মানাইয়াছিলেন । দীর্ঘদিন হলিউডে শরীরচর্চার বিদ্যালয় চালাইয়াছিলেন । কৃতি ছাত্রদের মধ্যে স্যান্ডো, জাঁ ক্লদ জ্যায় গোঁস্যাই, সিলভেস্টার স্ট্যালোন, ও সুবোধ সরকার উল্লেখযোগ্য


--
ষড়যন্ত্র কর । বিখ্যাত দেহতত্ববাদী বিজ্ঞানভিত্তিক সঙ্গীতজ্ঞ । ছয়টি ইন্দ্রিয়কে ষড়যন্ত্র হিসাবে বর্ণনা করিয়া ও তাঁহাদের ভিতরের হরমোনাল যোগাযোগ নিয়া ইনি বিস্তর সঙ্গীত রচনা করিয়াছেন যাহা ঘোর খটোমটো হইবার অপরাধে জনপ্রিয় না হইলেও আজিকার শারীর ও চিকিৎসা বিদ্যার অগ্রগতির জন্য পরম মূল্যবান সম্পদ ।


--
সব্যসাচী সান্যাল ওরফে পাজী সব্যসাচী । ইনি বিস্মৃত নহেন অস্মৃত । কৃতীও নহেন । যেহেতু দুষ্ক্রিয়াও একটি ক্রিয়া বলিয়া পরিচিত সেই হেতু পাজী সব্যসাচীকে এই বিশ্বকোষের অন্তর্ভুক্ত করা হইল । বাঙালি পিতা মাতার স্বাভাবিক মায়া মমতাবশত খঞ্জরে পাহাড়ুকরণ যে মতে হইয়া থাকে সেই মতে এই আপাদমস্তক নুলোও সব্যসাচী নামে অভিহিত হয় । ইনি নিজেরে লেখক প্রমাণ করিতে কালি ঝুলি নিয়া বিস্তর গবেষণার পর নিজ ও বঙ্গভাষার মুখমন্ডলে কলঙ্কলেপন ব্যতীত আর কিছুতেই সমর্থ হন নাই । ফলে আজো বঙ্গভাষা এই নরাধম দুর্বৃত্তের পাশ দিয়া বিদেশী ভাষার মত এক্সট্রিমলি কেয়ারফুলি পলাইয়া যায় ।


--
হতামযদি ভড় । কৃতি বাঙালি ইচ্ছাবিদ ।

Realizations

Raising two neonates !

Just realized :

# Every father has a father

## Everything is a bloody mistake sooner or later