কেন এই পাতা

পানুর ইচ্ছা, লেখক হইবেন । বাঙালি, লেখক না হইতে পারিলে নমো নমো করিয়া পাতের সংস্থান যদি বা হয় জাত রক্ষা হয় না - যথা আঁটকুড়া কুলীন । পানু বিস্তর পরিশ্রম করিলেন । দিস্তা দিস্তা রচনাবলী, অমনিবাস চিবাইলেন । প্রথমে কাব্য টানিয়াছিল, কারণ রস - রসে পাঁউরুটি ভিজিল না । পানু ঘটা করিয়া কিছুদিন রবীন্দ্রসঙ্গীত লিখিলেন (ভেঙ্গেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতিরম্যায়, আট হাজার বাষট্টি টাকার দরজা, খর্চা কে দ্যায় ! অথবা, কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া, চৌমাথার মোড়ে দিব পেন্টুল খুলিয়া) হাউ হাউ করিয়া লোকে মারিতে আসিল । সমস্ত অবজ্ঞা করিয়া পানু লিখিয়া চলিলেন । যদ্যপি পানুর কলমের তোড়ে কাব্যলক্ষী কোঁ কোঁ, সম্পাদকের দপ্তরে চিঁড়া ভিজিল না । অতঃপর পানুর দুঃখে ব্যাবেজ সায়েব কম্পিউটার আবিষ্কার করিলেন । বাজারে ব্লগ আসিল । পানু ব্লগার হইলেন । এই পাতা পানুর পাতা । যা তা ।

Thursday, August 21, 2014

প্রিয় পিয়ক্কড়



প্রিয় পিয়ক্কড়
---

গীর্জা থেকে যে বেরিয়ে আসছে
কালো মেপল আর মরশুমি ফুলের
ভরকেন্দ্রে  সমাধি ফলকে
বিষয় থেকে যে বেরিয়ে আসছে
তড়িঘড়ি আর ফেলে দিচ্ছে সিনেমার টিকিট
আর যে মোমদানি শূন্যে রেখে সরিয়ে ফেলছে
হাত           পর্দার দানানো ধারণায়
চার ছড়িয়ে যে চুঁচড়োর পুকুরে
এক নিরেট ভাষার মধ্যে ছিপ ফেলে বসে আছে

আর কেউজন বাস্পের মধ্যে আলোর মধ্যে
চোখের পাতার ভেতর হারানো উল্কির
জন্য মন খারাপ করতে ভুলে যাচ্ছে

এই এক আটপৌরে পৃথিবী  আমাদের
ত্বকের গভীরে  মাংসে
নোঙ্গর ফেলে  সান্ধ্য পোষাকে  টেবিলের
সামনে  সাবেকী কায়দায়  কলারে
সুতির ন্যাপকিন গুঁজে  অবাধ পোষাকী স্যুপে
মাছিদের ওঠা-পড়া দেখে

দৃশ্যের স্বপক্ষে এই কী যথেষ্ট নয়

কেন তবে তীব্রতায় যাও    কবর
খুঁড়িয়ে   নেভানো চোখের পাতা চিরে
বার কর আর জনমের বাদামি জরুল

বরং মেনে নাও সে বুড়ো চাষীকে
মেনে নাও সকালের কফি কাপে
আলগোছে গ্রাপ্পা ঢেলে নেয়া
আর তার চোখের কোণায় কাকথাবা
সেই তো সহাস্য     বাকীটুকু
বেহালার কাঠ ফুঁড়ে চলে যাওয়া অ্যালয়সঙ্গীত 

তবে প্রকাশ্যেই কথা বল চুমু খাও
মদের দোকানে 
মদের দোকানে
স্তিমিত ঘোড়ার মাঝখানে কালো ঘাসে
রেপসীড ফুলের বিক্ষিপ্তি

সেদিনের সোমব্রেরো টুপি আজ ফেদোরা
হয়েছে   স্থানীয় অর্থনীতি  খানিকটা বদলেছে
পুরোনো অভ্যাস অন্তত শনিবারে
বদলে ফেলাই যায়   অন্তত এক শনিবারে

বারে তো সাধারণত দাম বেশি
তবে বারম্যান মোটামুটি সহৃদয় লোক
ওরা সাথে এনেছিল   মেস্কাল লার্ভা জারানো
 মদ বার টেন্ডার দিয়েছিল একবাটি পুরোনো তাপাস

ওকে দেখ ওই এক আভিধানিক
পৃথিবী  যে নেশা না চাপতে পেরে ২-১ ঘন্টায়
একবার বরফে বেরোয়  হাত জড় করে
ফু দেয় সেঁকে ঘসে আর সিগারেট টানে
গৃহহীন মানুষের সাথে
বাইরে অন্ধকার  ঘোড়াগুলো
পার্কিং লটে গায়ে-গা ভুতুড়ে স্নরটিং

এক আনুষ্ঠানিক  পৃথিবীও ছিল এ জগতে
নোনা ও নিথর
--
কফি পীজিয়ে জনাব কমরেড ইটস প্রিট্টি ডিসেন্ট কফি ফ্রম গুয়াতেমালা স্টোররুম মে ইন্ডাকশান হীটার হ্যায় বন্দা কাম কা হ্যায় চুমনে লায়ক হাত তো কমরেড প্রচণ্ড ভী আতে থে য়হাঁ আ ডিসেন্ট সোল নেপাল বর্ডার ইজ প্রিট্টি নিয়ার ইয়ু নো খেড়ি লখিমপুর কালি নদী কে উসপার ইসবার রাপ্তি মে বাঢ় আয়ী পুরা লখিমপুর বহ গয়া তো কাতারনীয়া ঘাট দুধবা মে ওয়াইল্ডলাইফ দে অল শিফটেড টু পিলিভিত ইয়ু নো মানেকাস কন্সটিটুয়েন্সি ইমার্জেন্ট বেসিস পে জন্তু কলোনী নির্মান কিয়া দে আর ডুইং ফাইন সাম অফ দেম গট জবস ইভেন বাট ইয়ু নো অব আফ্রিকাসে জিরাফ, হিপ্পোস আনে লগে হ্যায় অল ইল্লিগাল ইমিগ্রান্টস বাট দেন হোয়াট ডু ইয়ু ডু অ্যাবাউট ইট ইয়ু নো ভোট ব্যাঙ্ক পলিটিক্স তো য়হাঁ তক কী ক্যামেরুনি বব্বর শের ভী গুজরাতি শিখকে ট্রাইং টু গেট অ্যাসিমিলেটেড তো এক দেশি শের ফ্রাস্ট্রেটেড জা কে সরকারি আফিম কা ঠেকা মে ব্যায়ঠ গয়া থ্রেটনিং টু কমিট সুসাইড ইটস আ মেস বেসিক্যালি ওহ হোয়্যার দিস ওয়ার্ল্ড ইজ গোয়িং ...
--
যে ধ্বণির ভেতর জন্মাতে ভুলে
যাচ্ছে নির্দিষ্ট আর্কে আবহমান ঘুরে
যাওয়া ক্যামেরার সামনে ছুঁড়ে ফেলছে
 স্থৈর্য যে মাদারির হাত থেকে শেকল
ছিনিয়ে লাফিয়ে উঠছে বেদনার ছাতে
ভুবনের ডোরা গ্রিড যাকে আর
কোন প্রলোভনেই নামাতে পারছে না

যে উবু হয়ে উগরে দিচ্ছে প্রেরণা তার
নির্মানে কোথায় প্রযোজ্য ছিল চোলাই
দৃশ্যমদ   অবান্তরতা    আর খড় ফুঁড়ে
সারা গায়ে আঁচড় লালসিটে নিয়ে যে মাটি
হাতে বেরিয়ে আসছে প্রেম ও ঐহিক
চেতনাবিহীন    

সে মাটি কাঠামোর তার ইতিহাস
বিলীন ছত্রাকের     মগ্নতার বিপক্ষে
এও কী যথেষ্ট নয়

এই এক  প্রাচূর্যময় পৃথিবী
যার গলিপথ অভিসন্ধিহীন
চূর্ণতাহীন

তবে কেন বাগানে বেড়াও  কেন
সন্ধ্যার আলসে থেকে ঠেলে দাও
মোমের নিষেক  ডিনারের ঘড়ি

বরং মেনে নাও ক্ষতি ও চাঞ্চল্য
বইয়ের দোকানে  ভদ্রাসনে আর সেই
আকীর্ণ ভিখারিকে লক্ষ্য কর
কী ভাবে তার ঘোলাটে আলো ফলো
করে এগিয়ে আসছে পাথর ও জল

এক বোবা ও চলনসই পৃথিবীও ছিল
এ জগতে  পরিতাপহীন





De Rerum Natura

টাইটাস লুক্রেটিয়াস ক্যারস
খ্রীঃ পূঃ ৯৯-৫০ (আনুমানিক)
Of the nature of things

Translator, Leonard, William Ellery, 1876-1944


For Sabya,

Verse from the guy who started it all

12.10.2012

John


জন ম্যাক্লাওড, ডাক্তার, বিজ্ঞানী ।  স্ত্রী লিজ (এলিজাবেথ) ডিস্ট্রিক্ট এটর্নি, শুনিয়েছিল স্পোরাডিক মর্গের গল্প ।   জন ১৬ বছর বয়েস থেকে ডায়াবিটিসে, পেশাদার লেভেলের কায়াকিং গ্রুপে সারা পৃথিবী ।  শারীরবিদ্যার ক্লাসে ওয়ালেস স্টিভেন্স এবং... গাট ফিলিং ...
--
আর যে বেরিয়ে আসছে জিমখানা
থেকে প্রচলিত ওকের টেবিল থেকে
খাড়ির দিকে ঠেলা-গাড়ি করে
নিয়ে যাচ্ছে ভারী আলো  শক্ত ও সম্পৃক্ত
বিবেচনাবোধ থেকে একটা একটা ছাড়িয়ে ফেলছে আঙুল

সমাজ থেকে বেরিয়ে আসতে আসতে
কেটে ফেলছে আক্ষরিক নখ আর নখের উপমা
কোন রূপকেই তার ঝাপসা হওয়া আর
হয়ে উঠছে না 

তবে কেন চেনা যাবে না তার
খরখরে গলা আর গলার ওপর
ধ্বনির গ্যারোটি-দাগ

তার মৃত্যু বিষয়ের নয় বস্তুর
দানানো বিশ্বাসের নয়  শুধু
এক সারল্য-আশ্রিত অনুভূতিময়

ফ্রিকশান, সঙ্ঘাতহীন
দোনোমনাহীন এক খোকাটে পৃথিবীর


আমার পাঠ এরকম দাঁড়াচ্ছে আর্যনীল মুখোপাধ্যায়

গির্জা থেকে, ধর্ম-প্রতিষ্ঠান থেকে যে বেরিয়ে আসছে সে গির্জার বাইরের কবরে যায়, ফুল দিতে। পরের পংক্তি পড়ার আগে পর্যন্ত এগুলো নিছক তথ্য, একটা বিবৃতি। তার পরেই কিন্তু বিষয় থেকে একজন বেরিয়ে আসছে। এখানেই 'বিষয়' 'গির্জা' একে অন্যের রূপক হয়ে দাঁড়ায়। এগুলোকেই আমি ক্রিয়া-রূপক বলতে চেয়েছি। একাধিক প্রবন্ধে আছে।
Action metaphor যা দুটো বিশেষ্য, বিশেষণকে একই ক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে মিলিয়ে দেয়, আসলে এরা আপাত সম্পর্কহীন। বেরিয়ে আসছে গির্জা থেকে, বেরিয়ে আসছে বিষয় থেকে - এখানে 'বিষয়' কে আর আক্ষরিক অর্থে দেখা যায় না। বিষয় মুহূর্তে institutionalized হয়।
অনেক ইঙ্গিত এবার স্পষ্ট - সমাধি, কার? সমাধির ফুল কীসের? মৃত্যুর উপচর্যা আর সে মৃত্যু
বিষয়ের। সেই 'death of the subject' কি? যে কেবল এটুকুই জানে তাই ভাববে। আমি ভাববো না। ভাববো বিষয় থেকে বেরিয়ে আসা, তাকে পরিত্যাগ করে চলে আসা, যা যা মৃত, যা মৃতের পুষ্পসজ্জা, তাকে ফেলে রেখে আসা। একটা গোটা celebrationকে পরিত্যাগ করা। এখানে একটা প্রতিরোধও আসছে - চালু পোস্ট-মডার্ন ধারণাকে redefine বা reconsider করার প্রবণতা। যে বিষয় মৃত নয়, তার মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসা চাই। এর পরেই আরো একটা বেরিয়ে আসার কথা। সিনেমা হল থেকে (টিকিট ফেলে দেওয়া হলো, মানে শো খতম)। পর্দা - যা এখনো এক বিমূর্ত মাধ্যম কিছুটা, তার থেকে তৈরি (দানানো -kerneled) যে নান্দনিক (মোমবাতি, যা কিনা আবারো গির্জার কথা মনে করায়, প্রতিষ্ঠানের) তাকে শূন্যের মধ্যে রেখে চলে আসার কথা আসছে। Eliticism? তাকে ফেলে আসা? আর একটা পরিত্যাগ, ভিন্ন এক মাধ্যম থেকে পাওয়া অনুপ্রেরণাকেও। তার বিমূর্ততাকে। এখানে যদি আমি আমার লেখালিখির অনেকটার একটা criticism পাই, পেতেই পারি কিন্তু। সেভাবেই দেখি আপাতত। বেশ, তারপর?


তার পর একজন ব্যক্তিগত স্মৃতি থেকে গুটিয়ে
নিচ্ছে স্নায়ুর শিকড় আর চারিয়ে দিচ্ছে
ভারসাম্যের বাইরে    কোন ইতিহাসই তার
জন্য যথেষ্ট নয়   এমন কী চিরকালীন
কোন স্থিতাবস্থা বন্দোবস্ত এই মুহূর্তে  আর
সে মেনে  উঠতে পারছে না ।

আমার পাঠ এরকম দাঁড়াচ্ছে আর্যনীল মুখোপাধ্যায়

তারপর নিরেট ভাষার মধ্যে চারা ছেড়ে যে ছিপ ফেলে বসে আছে তার কথা আসে। এখানে এক তীব্র
sarcasm - যারা ভাষাবাদী তাদের প্রতি, যারা ভাবেন ভাষাই সব, বিষয়কে বাদ দিয়ে ভাষাকে প্রধান করার কথা যা আমার মনে হয় দারুণ exotic ফুচকার খোল বানিয়ে তাতে ঘাস ভরে জলে ডুবিয়ে খাওয়ার মতো।

এর পরের ছত্রে কবির নিজের অনুসন্ধানের কথা, অনুতাপহীন এক
‘loss’ বা 'হারানোর' কথা - যা আমরা ধরতে পারছিনা, যা আমাদের এড়িয়ে চলে যায়। যার উপস্থিতি সম্বন্ধেই আমাদের কোনো হুঁশ নেই, তার অনুপস্থিতি অনুশোচনাহীন। কত দেখা, বোঝা আছে রোজকার আটপৌরে জীবনে, যার নাগাল না পেয়েই 'সাধারণ' কবি কী মজামে! কী আত্মবিশ্বাসী! (আটপৌরে শব্দটার সাথে একটা বসনিক চিন্তা আসতে পারতো। পশমিক, বসনিক, কাপড়, বুনন, অতয়েব লিপি। এইসব হিন্ট আনা যেত। কেননা আটপৌরে শব্দটা শাড়ি থেকে এসেছে আটপুর গ্রামের কাপড় থেকে। কাজেই সেই সূত্রকে দারুণভাবে এখানে ব্যবহার করা যায় এক গোপন সাজেশান হিসেবে কাপড় ও বুননকে ইঙ্গিত করে।)


তবে চল এই গোপন সাজেশান ধরে
আটপুরে যাইসেও তো কাহিনী হয়
তার তাঁতে বোনা মিথ এত ঘন হল
যে গা ছড়ে গেল জরিতে তবুও সে গাঁয়ের
কোনো শ্রেণীস্তর আভিজাত্য পেলনা কখনো

মানুষের লিপির শুরুতে  ছিল এক চিতচোর
যার চিত্ত ছিল কী-না জানা নেই আর
জন্মাবধি কান ছিল কালা
ফলে সে শব্দের উন্মেষ দেখে ঠোঁটের
বিবর্তনে   কাঠামো থেকে কাঠামোয়
পিছলে যাওয়া আকারে    আঁকে তাকে
শিলায় ছিলায় টান ও পোড়েনে
বোবা তো বহিন তার   লক্ষ্য করে
কালার খোদাই আর সূঁচের ডগায়
মকশো হয় কালার অক্ষর   

একদিন তারে টেনে
নিল শুকরসন্ত্রাস  ঝোপে বাদাবনে

চোখের অরণি ভেজা  আগুন তো
জ্বলে না    জবাকুসুমসংকাশে
ও সেই কালার বহিন বোবা    
কালার উন্মেষে ভর দিয়াই তার ব্যাবাক কাঁদন
কাঁথার ফোঁড় থেকে   মাকু ও ববিনে
আড়বান্ধা সুতার ভিতরে তার উথাই পাথাই

সেই হইল আদি লিপি 


এ কাহিনী এক্ষণের । এই কাহিনী এক তাৎক্ষণিক অসত্য ।
তবে আটপুর সতত আছে হাওড়া জিলায় (আঁটপুর) আর
সে গ্রাম বড়ই বর্ধিষ্ণু হয়ত সাধারণতার বিক্রী-বাট্টা বেশী বলে

তবু সত্যও বড় হয় দুধ খায়   মাংসে
আসক্তি বাড়ে আক্রার সময়ে  ডুমো
হয়ে ওঠে সজনে ডাঁটার দিনকাল

সত্য থেকে যে বেরিয়ে আসে আর হ্যাঙ্গার
থেকে তুলে নেয় মুখোশ  আয়নার সামনে
কপাল থেকে খুলে নেয় জ্বর ও নিরাময়
তার সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন করার দিন গেছে

বরং এক হলুদ ফোকাসে দৃঢ় হয়ে
ওঠে মাংসল কিমোনো  কাগজের
পর্দার থেকে ছুলে নেয়  স্বচ্ছতা
এমন স্বচ্ছতা যা দিয়ে নখ কাটা যায়
 
বিব্রত না হয়েই

এক পরিমিত পৃথিবীও থাকে মশারির ভেতরে
আর শরীরের সমস্ত  ল্যাকটেট কার্বন নিংড়ে
ভেজানো ফেরোমনে মশাদের তেষ্টাকে ডাকে

গীর্জা একটা ছিল আমাদের মোহল্লা হুদিংগা'-তে, স্টকহোম কাউন্টি । আর সারা বছর কালো পাতা ঢাকা এক অদ্ভূত মেপল । সেদিন মিডসামার ছিল মনে পড়ে সকাল থেকেই মদ খাচ্ছিলাম, ফোন করছিলাম প্রব (দে)-দাকে তার পর মেলায় গিয়ে কঙ্কর গাধার পিঠে চড়া । ঘুরতে ঘুরতে গীর্জায় -- কালো মেপলের পাশ দিয়ে খানিকটা জমি মরশুমি ফুলে ভরা, তারপর রাস্তা, আবার মরশুমি ফুল তার পর বিস্তৃত কবরখানা । সেখানে অনেকক্ষণ বসে ছিলাম নেশাগ্রস্ত । আর এক কাঠ ঠোকরার ক্রমাগত প্রহার । এই লেখা শুরু হয় ওই দৃশ্য হঠাৎ মনে পড়ায় । এই লেখা লিখতে লিখতে গড়ে ওঠাকোন জমা অনুভূতি ছাড়াই   কালো মেপল, চলতি সৌন্দর্যের  অনুপাতে কুৎসিতই বলা চলে আর তার অপোজিটে মরশুমি রঙের ফোয়ারা । মনে হল অবজেক্টিভ থাকতে এর ভরকেন্দ্রে থাকাই শ্রেয় । কিছুদিন ধরে আগে পড়া ইনফার্নো মনে পড়ছিল তার সুত্র ধরে  ডারলিম্পলের হোলি ল্যান্ড-এর পরিব্রাজন । সে গীর্যা ক্যাথলিক ছিল না প্রোটেস্টান্ট, নাকি গ্রীক অর্থোডক্সমনে পছিল না ।  তারপর মনে হল এই এক বিষয় একে ত্যাগ করা যাক গীর্জা ও বিষয় দু'ই প্রতিষ্ঠান কখনো এক, কখনো একে অপরের পরিপূরক-- ত্যাগ করা যাক । দৃশ্য ও বিষয় থেকে বেরিয়ে আসা যাক-- সিনেমার টিকিট তাড়াতাড়ি না ফেললে এর রেশ চলবে । কবিতা এক আলোকিত অবস্থা-- যে বলে-- তার প্রতি করুণার বশে ফেলে দিলাম অন্ধকার গির্জার মোমবাতি । নাহ তাকে শূন্যে রেখে সরিয়ে নিলাম হাত । সিনেমার পর্দা পুড়ছে । পর্দা শব্দটা অনেক অর্থ নিয়ে আসে -- চোখের পর্দা থেকে,রহস্যের, প্রথা-- তার ধারণার কথা -- মনে হল পর্দা'র জায়গায় কারটেন ব্যবহারে তো যবনিকা বেশি প্রাধান্য পেত, আর ড্রেপস বললে ? ভাষার কথা মনে পড়ল । নিজেকে নিয়েই শ্লেষ, মনে পড়ল -- চুঁচুড়া, চিনসুড়া, চুঁচড়ো -- আমাদের অক্ষমতা এমন কি উচ্চারনের অক্ষমতা থেকেও ভাষা গড়ে ওঠে -- অথচ এই নিয়ে কী প্রবল এক্সিস্টেন্সিয়ালিস্ট আদিখ্যাতা আমাদের ভাষা এত এক ঠুনকো জিনিস অথচ কী অদ্ভুত ভাবে সে মানুষের স্বপ্নকেও নিয়ন্ত্রন করে ? একে আমি কী চোখে দেখব ।
 তার পর এক বড় কবিতা লিখতে চাইলাম । পরিবেশ বানাতে চাইলাম । রেটোরিক বোরিং হয়ে যায় ডিস্ট্র্যাকশানের অভাবে আর এক্ষেত্রে ডিস্ট্র্যাকশান কিছু ক্ষয় কিছু স্মৃতি কিছু হাইব্রিডাইজেশান ও সিন্থেসিস নিয়ে তৈরিযা খুব ইম্পর্ট্যান্ট নয় ।
যে অগোছালো এক বিছানায়
ক্রমাগত পথ ভুল করে
আর নির্দেশের অভাবে
বস্তু থেকে খুলে নেয় রং
ও তরঙ্গ     প্রতিসরণ তাকে
 কিইবা শেখাবে

(এই রিক্ততা  এই অতিরিক্ততা...)

বরং বিভোর হয় তার পশুপালনের
স্পৃহা ও দমন    কলাপাতা থেকে ঘুরে
তেঁতুলপাতায় মন রাখা

এক জটিল ও ঘাঘু পৃথিবীও ছিল এইখানে
জরুরী অবতরণের ক্ষণে নির্বিকার চুমুকের পাশে


স্মৃতি তথ্য তবে শুধুই তথ্য কী? স্মৃতি যে ইমোশান উদ্রেক করে তা-কী নতুন না তা স্মৃতির অংশ-- এইখানে এসে বিচলিত হই । রসায়নের কথা ভাবি-- যা গাঁঠবন্ধন ও গাঁঠস্থলন এই দুই প্রক্রিয়ায় নির্মাণ করে চলে । চলন্ত মগজ যদি স্মৃতি-কে নতুন কনটেক্সট দিয়ে যায় ক্রমাগত তবে কী স্মৃতির নিরেট রঙে ফাটল জুড়বেযাতে চোখ রেখে ক্যালাইডোস্কোপ আর পীপ-শো ? তবে নৈর্ব্যক্তিকতা কী? সে কী স্মৃতি থেকে বিচ্যুত এক স্টীয়ারিং যে ক্রমাগত ট্রেনের টিকিট কাটে আর ছিঁড়ে ফেলে নয়ানজুলিতে ? যৌনতার কথা মনে পড়ে সিগমুন্ড ফ্রয়েডের নামোল্লেখেই যে পাশ ফিরে শোয় আর তার সমস্তা অনিচ্ছা মাড়িয়ে তছনছ করে ঘরের পর্দা ছিঁড়ে জিঘাংসাচুমু খেতে খেতে হুড়মুড় ঢুকে পড়ে হাতের থাবায় জাংজাং (পাগল হ্যাটার আর অ্যালিসবালিকা) বুকবুক ক্যামেরাচোখো ট্যাকঁঘড়িসম্বল ছেয়ে খরগোশ...যে নেকড়ের থেকে আজীবন বিচ্যুত আছে ...


যে বেরিয়ে আসছে অনুমোদন থেকে
আর যে বালুঘড়ি থেকে সরিয়ে রাখছে পারম্যুটেশান
যে আর ভরকেন্দ্র নিয়ে বিচলিত হচ্ছে না
বড়জোর বাদাম খাচ্ছে বাদাম গাছের নীচে
তার স্মৃতির বাদাম  দুধে ডুবে গেছে

এইতো চর্যা আমাদের আন্তরিক নিষেকের
মেঘ থেকে জল নয় রামধনু নয়      এক বিকীরণের
নির্মান যা এস্কেপ ভেলোসিটি ছাড়িয়েও শেষ মেষ ধরা
পড়ে গেল  নির্মিত উপগ্রহদের মানসবীক্ষণে
আর তার নির্লিপ্তি জড় করে তেল ও মধুতে
জারিয়ে এখন সে বাকলাভা আমাদের পরিবর্তিত
জিভে বাকচ্যুতি ঘটিয়ে চলেছে...

তবে কেন চেনা হবে ভূমি      কেন তার ইকোবিহ্বল
প্রচারযন্ত্রে মার খাবে আমাদের ভেঙ্গে
গড়ে ওঠা ইকোসিস্টেম সুক্ষ নীশ আর তার
নতুন প্রজাতির অচেনা থাকার দাবী

ওহে মানসমুকুর আমি জানি আমি জানি আমি জানি...জানি...জানি...
লাক্ষায় আটকা পড়া স্বর তোমার অভিসন্ধি  গূঢ় ছিল
তবে প্রযোজ্য ছিল না

পরিমাপহীনতায় কে বাঁচিতে চায়
নিদাঘের ঝটিকায় পরিমাপহীন
চালচুলো  এমন কী হাতি উড়ে যায়

আমাদের  যাদুঘরও নেই
আমাদের খুদকুড়ো কিছু    কেন্দ্রের কাছে
আঁকা এক পটভূমিতে রোপিত হয়েছে
আমরা তো তাঁর কাছে ঋণী
সেই হিজ মাস্টার অ্যান্ড
 হিজ পোলায়েট
ভৌ

...তিনি চলে যাবেন চলে যাবে তাঁর নিরক্ষর সিগনেচার বেড়ে উঠবে তাঁর উত্তরাধিকার কোঠা জিরেত জমি নিড়েন কর্ষণ আয়ু ও সমাধিকল্প যা কিছু মিডিয়ানের কাছাকাছিতা হল অতীত ... আর তাঁর এরর-বারের বিচ্যুতিগুলো ভ্রান্ত ও সন্ত্রস্ত বসে থাকবে পিছনবাগানে অথবা ক্লজেটখাদানেএরা ভূত ... কোনদিন এদেরো শরীরে কার্বনকে ঠেলে সিলিকা ঢুকবেপ্রামাণ্য ও দীর্ঘস্থায়ী হবে তারা নতুন মর্যাদায় এন্তার ঘ্যাম খাওয়া এইসব প্রত্নবিচ্যুতিমানে শ্রীভূতজাপটে ধরবে যাকে তিনি গবেষক লিখবেন প্রান্তিকতার প্রামাণ্য পুঁথি তিনি চলে যাবেন চলে যাবে তাঁর নিরক্ষর সিগনেচার বেড়ে উঠবে তাঁর...

তবে মসিয়েঁ জগাই অ্যান্ড সেনর মাধাই
মানে আসলি নকলি সব প্রকারেরই
প্রান্তিকতারও ভেদ ভাব হয়
কিছুকে কেন্দ্র পায়   কিছুকে কেন্দ্রাতিগ
মার্জিনালাইজেশান
আর তাঁদের প্রত্যেকের অন্তরে
ডিফল্ট গরিমা নিয়ে
এক একটি কেন্দ্রের বাস যার বসন আলাদা
তবে কোরকস্বরূপ এক-- ক্ষমতালাভার

তবে স্যার মায়ার স্বরূপ নিয়ে একটু প্রবলেম
মায়াবতী টু মায়াকভস্কি যতদূর বিস্তীর্ণ হোক চক্রবাল
পোঁদে ফোঁড়া হলে
অন্ধ ও চক্ষুষ্মান কারই বা কিবাদিন কিবারাত

এই ভৌত পৃথিবীর কান ঘেঁষে
এক পরিমাপযোগ্য পৃথিবীও ছিল এ জগতে
বাটখারা টেপ ফিতে হীন

থাক সে কথা বরং আমরা আজ পাঠ করি সৃষ্টিতত্ত্ব বাবু ভাইয়া ওউর মিসিজ অ্যান্ড মিসগিভিংস ওম শান্তি
সৃষ্টির আদিতে  কুছ নহী থা তো আকৃতিহীন এই পৃথিবীর উপরিভাগে অন্ধকার জলের উপর কেবল ভাসিতে ছিলেন কর্পোরেট আত্মাদ্য মেকর অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউটার । কর্পোরেট বলিলেন--

লেট দেয়ার বি লাইট

--জন্ম নিলেন হামফ্রে ডেভি পিছনে পিছনে এডিসন আর ফীবাস কার্টেল--

কর্পোরেট বলিলেন এইযে পৃথিবী দেখিতেছ ইহা চ্যাপ্টা ইহার দুই মেরু-- পূব অ্যান্ড পচ্চিম
তিনি বলিলেন

ইস্ট ইজ ইস্ট ওয়েস্ট ইজ ওয়েস্ট
দ্য টোয়েন শ্যাল নেভার মিট

ফলে হাঁটুতে নেমে এল পাজামা

তিনি বলিলেন

নেসেসিটি ইজ দ্য মাদার অফ ইনভেনশান

অ্যান্ড ভোয়ালা !  জন্ম নিল ভেলক্রো পাজামা

ইদানীং পৃথিবীর আকৃতি গোলক-সদৃশ...মানে শান্তি ওম
যে বেরিয়ে আসছে রঙের প্রকোপ থেকে
আর কুড়িয়ে নিচ্ছে ভাঙ্গনের ক্রম
নিজের অভ্যন্তরে সার্থক এক অন্ধকারের
মধ্যে ধ্বসে পড়তে পড়তে
যে বুঝতে পারছে সমস্ত মহাবিশ্ব নির্মাণের
বিরুদ্ধে তবু নির্মাণ এক চান্স অ্যাক্সিডেন্ট
যে ঘটার জন্য গলা বাড়িয়েই আছে ...

তবে কেন অরণ্যের তরে অরণ্যে রোদন
বৈষম্যই এক মূল প্রাকৃতিক বল
এ কথা জেনেও তুমি আধুনিক আরণ্যক হলে

কাঠের ফুলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে লোহার
উদ্বেগ
যাকে তুমি নিরাশ্রয় কর সেই আমার নির্মান

শুধু চূর্ণতাসম্বল এক পৃথিবীও ছিল এ জগতে
সঙ্ঘাত থেকেই গড়ে ওঠা যার   অনুক্রমের তোয়াক্কা ছাড়াই

আমি তো মিথ্যা বলব ভাল আছি
জানি বিশ্বাস কৃপাকণাবাহী
নৈঋতে সুরুয়াগর্ভা মেঘে
সন্দেহ কেটে দেখা দেয় মানুষের  চাঁদের প্রকাশ
কলা  জোয়ার ও  নিরিসে-র প্রজননমেলা
আমার ভেতরে চাঁদ ও চাঁদের ওপিঠ
এক সঙ্ঘাতফসল  পৃথিবীরই কণা
জড় করা বঞ্জর বিশেষ  যে শ্যাওলা পর্যন্ত
উৎপাদনে অক্ষম আমি সত্যি বলব
ভাল আছি      সন্দেহে সিনিকপনায়
বিস্ময়চ্যুত আর বিশ্বাসচ্যুত
ভাল আছি ঘায়ের কন্দরে  উদগ্র আঙ্গুলের
পরিচর্যা নিয়ে      আমি হে মর্মবিলা
খুব সহজেই ব্যথার প্রেমের কথা ছোট ছোট
শূন্যতা থেকে নতুন শূন্যতায় পৌঁছে যাওয়ার
প্রক্রিয়া বোঝাতে পারব না

সেও ভাল থাকে বোবা মানুষের ব্যাকড্রপে
অন্ধের প্রপাতচারণে  ব্রেললিপি মুছে ফেলা
নিতান্ত অজ্ঞা  তাকে ঘিরে ধরে আর আত্মহত্যার
প্রেরণাকে  সার জল দেয়   সুসমীচিনের
পাশে নামিয়ে রাখে আঁতকে ওঠার অক্ষমতা

যে বেরিয়ে আসছে জন্ম থেকে
আর ঢুকে যাচ্ছে ঘুমের সন্ত্রাসে
মাটির  ছত্রাকের  স্পৃহা নিয়ে
রূপকের ধারণার পাশে
যে উবু হয়ে পাথর ঘসছে  পাথরের প্রতীকে
আর যে আশ্বাস নিয়ে বানরের থাবা নিয়ে
ছুটে যাচ্ছে সান্দ্রতার বিপরীত
স্রোতে এক চরিত্রের  দোনামনায়

তার অতীতের মৌলগুলি স্ফীত হয়

সুখনাসীজনে   

হাঁটাই বেড়েছে ছেড়েছ অনেককিছু
 ডায়াবিটিসের দিনে
চিনি  নুন তেলও অল্প স্বল্প  বিষয়
সর্বনাম  বার্তা নাটক গান...  ত্যাগ স্বাস্থ্যকর
তবু সেও তো সংস্কার  কিছুটা  তাকেও ত্যাগ
করে এই লেখা পড়

দেখ কী ভাবে জলে পড়ে আছি নিস্ক্রিয়
হুডিনির মত   হাত পা শেকলে   তবে এর মধ্যে
যৌনতা খুঁজবেন না প্লীজ
পরিবর্তনশীল কিছু নেই আমাদের
বেড়াতে যাওয়ার স্থানভূমে
শুধু ধকধক ধকধক শব্দে বয়েসের বেড়ে ওঠা

বরং বিশ্বাসযোগ্যতা দিই কবরচাষীকে
আর তার সপ্তাহান্তের বাধাকপি চাষ
হাতে সন্ধিপত্র ঝুলিয়ে ঝাঁঝাঁ ঝরে যাওয়া
মিথেনপ্রপাত থেকে থির বিজুরিতে

অসমাপ্তি এরকমই      ভাল থাকে
দাহ্য পাম্পে তারল্য থেকে সচকিত
গ্যাসীয় কেওসে ছুটে যাওয়া বর্ণমালা তার
দেয়ালে মেঝেতে বানানের ছলে দে-শ-লা-ই লেখে ।

যে বেরিয়ে আসছে নান্দনিকতা থেকে
ব্যবহার আর ভাবপ্রবণতা থেকে
আর এক ক্রমাগত রং বদলানো সূঁচের
ফোঁড়ে সেলাই করছে জিভ  তার কোন আশা
নেই   হৃদে, গাজনে, সূচিকাভরমে  কোনকিছুতেই
সে আর শান্তি দেখে না

দুই অ্যাটাচড পৃথিবীও ঝুলে ছিল কসাইয়ের শিকে
শুধু মাংসের সংহতির পরিচয় হিসেবে   তাদের পরিচয়
কোন পঞ্জিকায় ছিল না

হাল্কা মূর্ত ছিল বায়ানুবাতাস কিছুটা বিমূর্ত
ছিল অবদমনের দিকে শাস্তি ফিরে পাওয়া
যখন খুব একটা কোথাও ছিল না ঘর বাড়ি
এমন কী ভূগোল থেকেও নিজেকে
ছাড়িয়ে নিচ্ছিল ইতিহাস   দাক্ষিণাত্য থেকে
ফিরছিল আওরংজেব    শিক-কাবাব হাতে
আমি লগ আউট করছিলাম জানলা থেকে
পতিতাপল্লী থেকে ঘর ভাড়া
আদায় করছিল প্রিন্স দ্বারকানাথ
কেয়াঝোপ গন্ধ ছাড়ছিল একটা
ছুঁচো ঘরঘর ঘুরে বেড়াচ্ছিল ঝিরিঝিরি
সাপের সরণে সারা পৃথিবীতে উদ্দেশ্যসাধন
হচ্ছিল বিধেয় নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছিল
নিউটনের আপেল বিদিশার অন্ধকারে
হুড়মুড় ঢুকে পড়ছিলাম নাব্যতা
ছাড়াই  পূর্ণতার হাতজোড় সত্বেও

বয়েসের দিকে এগিয়ে আসছে গাছ
এগিয়ে আসছে পাথর ও গরম পাথরে

সিজল সিজল অনুকৃতি...

সব অবিকল থাকে সৃষ্টির দিনে
শুধু এক বুনো খিদের ঝাপটে  ভাষা ও প্রকাশ
দিশাহীন ভরগতি  নিয়ে হামলে পড়ে
জন্মের সংস্কার আর শিলীত শিক্ষার শরীরে

তখনো তোমার হাত মাথার অজান্তে
সীমানার প্রান্তরেখা জড়ো করে ল্যাসো
বানাচ্ছে  আর ছুঁড়ে দিচ্ছে ধাবমান
পোচারের দিকে

ওইতো অভ্যাস  যা প্রতিবর্ত
ক্রিয়ার আড়ালে   ভাবনা থেকে
ছুটি নেয় তালুতে লুকিয়ে ফেলে সিগারেট
আর মাথা নীচু    সম্মতি জানায়

সব অবিকল থাকে সৃষ্টির দিনে
শুধু ব্যক্তি একটু গাঢ় হয়ে ওঠে ঔদ্ধত্যে
সন্তর্পণে অভ্যাস ডিঙ্গিয়ে ছিটকিনি খুলে

অ্যাসিডের ভেতর ক্ষারের ভেতর ঢুকে যায় ...

সিদ্দত সে সির্ফ আহ নিকলতা হ্যায়ঁ কবিতা শুধুই নিজের সাথে এক বন্দোবস্ত । নাহ আমাকে কবিতা পায় না, ঘোরে থাকি না । আজ পর্যন্ত কবিতার কথা ভাবতে ভাবতে ট্যাক্সি বাস অচেনা উরু কারো সাথে ধাক্কা লাগেনি । মাল খেয়ে হ্যালু খেয়ে এক দানা লিখিনি কখনো । সচেতন নির্মান করেছি ধান্দায় নয়, মহৎ তাগিদে নয় শুধু মাত্র নিজের সাথে কিছুটা সময় কাটানোর জন্য । কবিতা বরং খানিকটা স্বার্থপরতা দিয়েছে, নিজের অন্ধকারে লুকিয়ে নিজের সাথে কথা বলার স্বাধীনতা দিয়েছে যা পৃথিবী আমাকে দিতে অক্ষম । হ্যাঁ একটা ঔদ্ধত্য জাগে সেও এক নিজস্ব মানুষ তাকে হয়ত আগামী ৫-৭ বছরে তাড়িয়ে ফেলতে পারব । আজ নয় । আজ তাকে আমার প্রয়োজন । তো...

সব অবিকল থাকে সৃষ্টির দিনে
শুধু ব্যক্তি একটু গাঢ় হয়ে ওঠে ঔদ্ধত্যে
সাবধানে নিজেকে ডিঙ্গিয়ে ছিটকিনি খুলে
নিজের ভেতরে ঢুকে যায়

যে ঘুরে আসছে অন্তর থেকে নৈরাজ্যে
যে মতামতের পাশে শুইয়ে রাখছে অন্তর্বাস
যে মাথার ভেতর থেকে বার করে আনছে
আজন্ম আলোর ভরসা থেকে বিচ্যুত ক্রীস্টাল
তাকে দুমড়ে পাকিয়ে বানিয়ে নিচ্ছে আয়না
তাকে যতই ঘুরিয়ে আন সংশ্লেষে  বাকে  উস্কানি দাও
সে তার নিজের মতনই ম্রিয়মাণ  আপাদমস্তক

অবশেষে ইন্দ্রিয়গোচর হয় অতল তুষের
ঢল   উপদ্রুত অঞ্চল থেকে ট্রেন ছাড়ে অবিরাম
রাইট টাইমে  সঠিক তারিখ থেকে ক্যালেন্ডারের
দিকে  এগিয়ে আসে অনিবার্য ধাত্রীবিদ্যা
অতিরেক কিছু নেই  এই ঠাসবুনোটে
জমা পিচে ট্রাকের চাকার দাগ ছাড়া

নড়াচড়া নয় বরং তার কোয়ার
কন্দরে শানিয়ে ওঠা উপদ্রবই জীবন
এই সব আমাদের সংগ্রহ করা কথা   জল
থেকে যে জীবন কে ছাড়িয়ে টেবিল ভরিয়ে রাখল
তার সমস্ত বই ভাসতে ভাসতে ... পৃথিবী গোলাকার
বলে তার মাস্তুল এক সময় ছোট হতে হতে
পরমাণু হয়ে গেল...

হ্যাঁ নিজেকেই রিজেক্ট করতে করতে ঘন হয়ে ওঠা ফের ফিকে হয়ে যাওয়া-- এই আমার একমাত্র । বই ছাপি একারণেই-- নিজেকে চোখের সামনে একত্রে দেখলে রিজেক্ট করতে সুবিধে হয় । যে আপেলের মাংস কুরে কুরে শেষ করে আনছে এ কথা জেনেই যে সে আপেলেরই কীট একটি নির্দিষ্ট আপেল ছাড়া তার কোন পরিচয় ঘর বাড়ি নেই তার করুণাকে ভাব ।