কেন এই পাতা

পানুর ইচ্ছা, লেখক হইবেন । বাঙালি, লেখক না হইতে পারিলে নমো নমো করিয়া পাতের সংস্থান যদি বা হয় জাত রক্ষা হয় না - যথা আঁটকুড়া কুলীন । পানু বিস্তর পরিশ্রম করিলেন । দিস্তা দিস্তা রচনাবলী, অমনিবাস চিবাইলেন । প্রথমে কাব্য টানিয়াছিল, কারণ রস - রসে পাঁউরুটি ভিজিল না । পানু ঘটা করিয়া কিছুদিন রবীন্দ্রসঙ্গীত লিখিলেন (ভেঙ্গেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতিরম্যায়, আট হাজার বাষট্টি টাকার দরজা, খর্চা কে দ্যায় ! অথবা, কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া, চৌমাথার মোড়ে দিব পেন্টুল খুলিয়া) হাউ হাউ করিয়া লোকে মারিতে আসিল । সমস্ত অবজ্ঞা করিয়া পানু লিখিয়া চলিলেন । যদ্যপি পানুর কলমের তোড়ে কাব্যলক্ষী কোঁ কোঁ, সম্পাদকের দপ্তরে চিঁড়া ভিজিল না । অতঃপর পানুর দুঃখে ব্যাবেজ সায়েব কম্পিউটার আবিষ্কার করিলেন । বাজারে ব্লগ আসিল । পানু ব্লগার হইলেন । এই পাতা পানুর পাতা । যা তা ।

Tuesday, September 27, 2011

পাতি গান



ডুবোজাহাজের পোর্টহোলে, যেই কী-না বৃষ্টিটা ধরবে
অম্নি লগি দিয়ে পেড়ে । শুকতারা পকেটে ভরবে
লাইলাইলাই-লালালা- অসময়ে বাজে বেহালা
লাইলাইলাই-লালালা-শ্রমণের হাতে পেয়ালা

গান লিখে চলি রাতে, দোটানাকবল হাতে
জল জমে ভাবনাতে, নিরাপদ সরলরেখাতে
লাইলাইলাই লালালা— ছড় টানে নিজেই বেহালা
লাইলাইলাই লালালা—ম্যানুভার করে পেয়ালা

ক্রসিং-এ ঘুমোয় কুয়াশা, ঢিমে চালে চলে রাস্তা
লিফট নেমে আসে দরদর, আজীবন অফিস ফেরতা
লাইলাইলাই-লালালা- নেমে আসে খাদে বেহালা
লাইলাইলাই-লালালা-ছুটি চায় ক্লান্ত পেয়ালা

আঙ্গুরবাগানে রোদ্দুর, কাল ফের সবুজ ঝরবে
চাদরে জড়ানো যন্ত্রে মাংস মজ্জা ফের ধরবে
লাইলাইলাই লালালা—কড়ি কাঠে বাজে বেহালা
লাইলাইলাই লালালা- হেমলকে ডোবে পেয়ালা

No comments:

Post a Comment