কেন এই পাতা

পানুর ইচ্ছা, লেখক হইবেন । বাঙালি, লেখক না হইতে পারিলে নমো নমো করিয়া পাতের সংস্থান যদি বা হয় জাত রক্ষা হয় না - যথা আঁটকুড়া কুলীন । পানু বিস্তর পরিশ্রম করিলেন । দিস্তা দিস্তা রচনাবলী, অমনিবাস চিবাইলেন । প্রথমে কাব্য টানিয়াছিল, কারণ রস - রসে পাঁউরুটি ভিজিল না । পানু ঘটা করিয়া কিছুদিন রবীন্দ্রসঙ্গীত লিখিলেন (ভেঙ্গেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতিরম্যায়, আট হাজার বাষট্টি টাকার দরজা, খর্চা কে দ্যায় ! অথবা, কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া, চৌমাথার মোড়ে দিব পেন্টুল খুলিয়া) হাউ হাউ করিয়া লোকে মারিতে আসিল । সমস্ত অবজ্ঞা করিয়া পানু লিখিয়া চলিলেন । যদ্যপি পানুর কলমের তোড়ে কাব্যলক্ষী কোঁ কোঁ, সম্পাদকের দপ্তরে চিঁড়া ভিজিল না । অতঃপর পানুর দুঃখে ব্যাবেজ সায়েব কম্পিউটার আবিষ্কার করিলেন । বাজারে ব্লগ আসিল । পানু ব্লগার হইলেন । এই পাতা পানুর পাতা । যা তা ।

Tuesday, February 21, 2012

আমাদের ভাবনারা প্রকাশ্যেই
নিজেদের গুটিয়ে ফেলছে অবয়ব থেকে
একটা গাঢ় সন্দেহের মধ্যে
ঢুকে যাচ্ছে
যে সন্দেহের মধ্যে নির্দেশ নেই
দিক নেই
পরিমাপযোগ্য কোন নিস্তব্ধতা নেই

শুধু এক বোবা কুকুরের মাটি খুঁড়ে যাওয়া
একটা হারিয়ে যাওয়া পায়ের হাড়ের
অনস্তিত্বকে প্রমাণ করার জন্য

--
স্বভাবতই আমাদের স্বাস্থ্যকামনাগুলো
ঘন ও প্রাচুর্যময়
এইসব দিনে
যন্ত্রণার কথা মনে পড়ে
যেভাবে ট্রেনে কাটা পড়া
পায়ের পাতাও চুলকায়

শেকলের স্মৃতির মধ্যে
যতই স্বচ্ছ হোক কুকুরের ঘাড়
সন্দেহ বলে কোথাও আর কিচ্ছু থাকে না ।
--
ভাবো পূর্ণতার কথা
যে কেবলই অস্তিত্বের মধ্যে হারিয়ে যেতে চায়
সমস্ত ওজন নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে
আর ফিরে আসে
সমস্ত পূর্ণতা সমেত
তার শুন্যতার কথা ভাবো

ভাবো তার বিশ্বাসহীনতার কথা
সন্দেহরহিত অবিশ্বাস্যতার কথা
--
তবে স্মৃতিও একটা অস্বীকার
বা অস্বীকারের মহড়া
আমাদের ছায়ার ভেতর থেকে
ফিরে আসা
শেকলের আভাসকে
যে বদলে নেয়

বকলসের প্রান্ত ও অবস্থানকে
ঘুরিয়ে দিয়ে
ধীরে ধীরে আপাতপূর্ণতায় ঢুকে যায়

ঘাড়ের ওপরের ভার
কব্জিতে নেমে আসে
--

Sunday, February 19, 2012

কিছুক্ষণ মৃত্যু এসে বসে রয়েছে খাটের পাশে ইজিচেয়ারে
তার এক তোলা পায়ে আঙুরলতা, হাজার কাঁটার বনান্তরী
কিছুক্ষণ অন্তত একদিন মরে যাবার হয়তো আগে
তাকে দেখা যায়, দেখতে পায় কেউ অনেকে


একটা অনুষঙ্গ আমাদের প্রাপ্য
শেষমেষ যার নাম হয়তো নির্জনতা
হয়তো জরুরী অবস্থা
হয়তো
শৈশবের বাড়ি, সারাজীবনের বাড়ি
বসার ঘরের ফাটল
ছাই ভেদ করে কইমাছের কানকো
পরিচিত বিপন্নতাগুলো
আলোকিত খানিকটা অবস্থা
যা যন্ত্রণার, টনটনে প্রতিক্রিয়াময়
এরপরও অন্ধকার থাকে
শব্দের আসল স্বরূপগুলি
স্বরূপের পালকেরা
পড়ে থাকে নির্মম মাঠে


একটা স্বান্তনা আমাদের প্রাপ্য হয়ে ওঠে
ভুলে যাওয়ার মত অন্তর
মৃত্যুকে একটা অবস্থান ভেবে নেবার মত ভুল
--
একটা ভুল চিনিয়ে দিচ্ছে
পরবর্তী ভুলকে
তবে, ভুলও একটি ইন্দ্রিয়
যে হাসির মধ্যে দিয়ে
আক্ষেপের মধ্যে দিয়ে
শৃংখলাকে বুঝে নিতে চায়
দৃশ্যময় ও সাদৃশ্যময়
পরিচিতিগুলোর দিকে হাত বাড়িয়ে দেয়
ছ্যাঁকার সম্ভাবনাকে অগ্রাহ্য করে
--
ভুলও কী একধরণের বিশ্বাস তবে
বা বিশ্বাসও কী একধরণের ভুল
যা আছে তাই আমরা আছি
বা যা আছে তাই আমরা নেই

আমাদের নির্জনতাগুলো
চেয়ে থাকে শাদা ও বন্ধুর এক পৃথিবীর দিকে
যার কোন আবরণ নেই
আবরণের লেশমাত্র নেই
--
ঘুম ভেঙ্গে গেলে লক্ষ্য করি
শাদা এপ্রন পরে
আমাদের পরীক্ষাগুলো
আমাদের নেড়ে চেড়ে দেখছে
আমাদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কথা বলছে
অস্ফুট গলায়
সেসব অস্পষ্টতার মধ্যে
সৌজন্য থাকে-- আমাদের পরীক্ষার দিনে
যে সৌজন্য কোথাও ছিল না

হাত গুটিয়ে ফেলার মত
ভয় পাওয়ার মত
এক টুকরো
শেকলও আর পড়ে থাকে না ।
--
আর যন্ত্রণার কথা মনে পড়ে
দুঃখ হয়
পুরোন যন্ত্রণাকে ফিরিয়ে আনা যায় না
অনুভূত করে নেওয়ার মত অবশিষ্ট কিছু নেই
নতুন একটা যন্ত্রণার জন্য দাঁতে দাঁত চেপে
অপেক্ষা করি
সংস্থাপনের জন্য
ক্রিয়াশীল ছায়াগুলো সুলভ্য হয়
চোখের নীচে
খেলা করে
--
ধরে নেওয়া ভাল
ব্যবস্থা একটি তরল অবস্থা মাত্র
বিশ্বাসের জমাটতা থেকে যে নিজেকে ছাড়িয়ে আনে
তার পর নিশ্চেষ্ট বসে থাকে
অ্যাকোয়ারিয়ামের দিকে মুখ করে
প্রতীত হয়ে ওঠে ঝিঁঝিডাক
যা সাকুল্য
বিশ্বাস ও অবিশ্বাস দুয়েরই
--
এরপর অবশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠে
আমাদের বেড়ে ওঠা
পুরষ্কার ও শাস্তির দিকগুলো চিনে ফেলা
না-না স্ট্রেসর-এর পরিপ্রেক্ষিতে
আয়ত্ত করা বূহ্যভেদের কৌশল
সন্তরণক্ষমতা

আমাদের দৃষ্টির অগোচরে
আমাদের সমস্যারা
দাঁড়িয়ে থাকে শাদা এপ্রনে
নোটবুকে টুকে নেয়
আমাদের যতটুকু
পরিমাপযোগ্য

Saturday, February 18, 2012

ছটফটে কুকুরের থেকে শিকলকে নিষ্কৃতি দিতে দিতে
স্পর্শের কথা ভাব, তার পরিসীমার কথা
ভুলে যাও—শেকল একটা অস্বচ্ছ ধারণা মাত্র
যে কুকুরের কাছে চিরকাল স্বচ্ছ থাকতে চেয়েছে
--
বড়জোর অনুপস্থিতি
অদৃশ্য হয়ে উঠবে না কেউ
একধরণের পতন সর্বত্র, সবজায়গায়
নিহিত—এটা জানার পরও
পতনশব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায়
আর অনুনয়, শুধু অনুনয় আমাদের ধরে ফেলে
প্রতিধ্বনির মধ্যে ডুবিয়ে দেয় নিজেকে
স্তব্ধতার মধ্যে
--
সংঘর্ষের আগে যে আবহাওয়া গ্রহণযোগ্য ছিল
যথেষ্ট নিরাপদ ছিল আমাদের একা থাকার
অভিযোগ ও ইচ্ছেরা
আর উৎসকে অস্বীকার করে
রঙ বদলে ফেলা আলো
নেমে যাচ্ছিল

এভাবেই আমাদের নেমে আসা

শেকলের কাছে ঋণী থাকার স্পৃহায় ঘেমে ওঠা ঘাড়

বাতাসের দৃশ্যমানতার কথা ভেবে দেখার

সময় ছিল না ।
--
দৃষ্টি বলতেই
অদৃষ্টের কথা মনে পড়ে
কপালের কথা
ঠিক মাঝখানে
কালো ও নিখুঁত ফুটো
ছোট ক্যালিবার
পিস্তলচ্যুত

খুনী ফিরে গেছে অনেকক্ষণ

এখন পরিস্থিতি ফিরছে
--
জড়তা যদি একটা পরিস্থিতি হয়
তবে অনস্বীকার্য
হয়ে ওঠে তার প্রবাহমানতার দাবী

ওফ ! এই মহিমাময় জীবন
ওফ ! আমাদের সীমাবদ্ধতা
--
--
কিছুটা তো রহন সহন
কিছুটাকে নিভৃতিতে পায়
হাত থেকে খসে পড়ে কাঁসার গেলাস
কোথাও শব্দ বাজে
কোথাও বাজে না

আশংকার সাথে দেখা হয়
কুশল বিনিময়
হাত নেড়ে যে যার মতন
ঢুকে পড়ি ব্যঞ্জনার মধ্যে
অনুভূতির মধ্যে

--
বিছানায় কারা জেগে আছে
জেগে আছে মোদ্দা কথারা
শান্ত একটা ঘুম প্রতীক্ষা করে
প্রতীয়মান হয়ে ওঠার কথা ভাবে

শেকল বাইরেই রয়ে গেছে
ভয় হয়—যদি বরফ পড়ে
যদি চোর আসে
অন্যধরণের পায়ে
হাল্কা শীত শীত করে

বিশ্বাস ছাড়া কেউ জেগে থাকে না ।
--
বিশ্বাস যদি স্থির হয়
তবে জড়তাও একধরণের বিশ্বাস
এইসব আলোচনা হয় শেকলের সাথে
সামোভারে হুইশল বাজে
ভাপ ওড়ে
কিছুটা আমাকে ঢাকে
কিছুটা শেকল
অন্তরীণ উপকথাগুলি
চকচক করে
--

Wednesday, February 15, 2012

An unmanned poem

We were born of habits
Our habitats never chose us
Into fables we ingressed
Our fables digested us
--
Looking back…
First time I felt whole
Was after I was sucked hollow
By the troll
It ate my heart, gnawed at the bones
Scooping stomach juice
Onto ice-cream cones
Liver it ate fried
Intestines raw
Of kidneys it made a pie
And threw a chunk to the crow

And it burped and it picked its teeth
And we went our ways
I’ve been serene ever since
--
When you can’t define the hollow
Call it serenity
And I thought a profound sadness deserves
To be called serene
But it’s our guilt
That fills the space
Between
You
Me
And our gods
Who were serene to beginwith

A rigid burst of air between the scapulae
--
You mind! Do you mind
That the guilt is gone
And so is the local coal vendor
Our premises will be clean now
Clean and a clinical loneliness
Fluttering mindlessly

Our eyes hurt no more
Than it should in blinding light
--
A sob that escapes
A whore who regrets
Between banners
Our guilt is spread
To be eaten and faecalized

I’ve not seen your face
Since long
And haven’t faced my patience
Yet
your face and my patience
Meet between sobs

Regret is convex
I should’ve known.