কেন এই পাতা

পানুর ইচ্ছা, লেখক হইবেন । বাঙালি, লেখক না হইতে পারিলে নমো নমো করিয়া পাতের সংস্থান যদি বা হয় জাত রক্ষা হয় না - যথা আঁটকুড়া কুলীন । পানু বিস্তর পরিশ্রম করিলেন । দিস্তা দিস্তা রচনাবলী, অমনিবাস চিবাইলেন । প্রথমে কাব্য টানিয়াছিল, কারণ রস - রসে পাঁউরুটি ভিজিল না । পানু ঘটা করিয়া কিছুদিন রবীন্দ্রসঙ্গীত লিখিলেন (ভেঙ্গেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতিরম্যায়, আট হাজার বাষট্টি টাকার দরজা, খর্চা কে দ্যায় ! অথবা, কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া, চৌমাথার মোড়ে দিব পেন্টুল খুলিয়া) হাউ হাউ করিয়া লোকে মারিতে আসিল । সমস্ত অবজ্ঞা করিয়া পানু লিখিয়া চলিলেন । যদ্যপি পানুর কলমের তোড়ে কাব্যলক্ষী কোঁ কোঁ, সম্পাদকের দপ্তরে চিঁড়া ভিজিল না । অতঃপর পানুর দুঃখে ব্যাবেজ সায়েব কম্পিউটার আবিষ্কার করিলেন । বাজারে ব্লগ আসিল । পানু ব্লগার হইলেন । এই পাতা পানুর পাতা । যা তা ।

Friday, September 30, 2011

স্বগতোক্তি

An organism thrives on communication—with its surroundings, within its ownself. When you look at a cell monolayer—you find that individual cells are separated by an extracellular matrix— the matrix is shared by surrounding cells. Like cells themselves, the matrix (though technically not alive) also communicates, chemically, physically with the cells. A community-based organism—like human has an extensive external network of shared feelings, emotions (shared consciousness?)—a nurturing ground for celebrations, hysteria and culture and most people spend majority of their time in this shared network.

And then there is a rarely ventured wee bit that resides within you interacts with the outer, experiences all that’s to be experienced and yet it always comes back to its den and thinks, alone. I believe, a song, an art that essentially has what it takes to be popular usually touches you through the shared network, the matrix. It hits a string, the string vibrates, and you exult—sometimes, even before the vibration reaches your core.

I know, I am not good enough—but if I were given the ability for a moment—I would want to touch you in there, directly, in your introspection, in your solitude—a solitude that is never conductive to celebration.

Yeah, I know, I know the heavy atmo above doesn’t go well with panu, literally. I never intended it either, but prolonged oxygen deprivation can do that to you (did you know, it can kill you too ! I mean real effing dead).

So let’s venture into the lighter side of the poop. Elders say, it takes some courage to laugh at yourself. I figured, it takes some more to turn yourself into a laughing stock. So, I took the plunge (with some Dutch helpings) and wrote some lyrics, composed me some songs and started shouting from the rooftop. But then, too much of anything hurts, even laugh. OK, OK I admit that "composing" had its perks, a bit of euphoria while recording it, probably a bit of endorphins due to the good honest labor, especially when you’ve had a coupla drinks. But when I listened to them in sobriety, man O man, these compositions are bloody rotten, so rotten in fact that they actually abuse your senses.

সো, পানু ইস অল ডান অ্যান্ড ডাস্টেড, নো মোর পানুসঙ্গীত, নো মোর অফ দিস ওয়ার্থলেস ক্র্যাপ । পানু বউকে বলেছে, পুজোয় এবার যদি একটা ম্যান্ডোলিন কিনে দেয় ! তা লখণৌএর দোকান পত্র ম্যান্ডোলিন কী বস্তু তাই নিয়ে ধাঁধায় । অতএব পানু অন্য কিছুর সন্ধানে – হয়তো চড়ক মেলায় ঘোরা । হয়তো মাছের ডাক শেখা (ডলফিন নয়, রিয়েল ফিশ) ।

Thursday, September 29, 2011

হরিণ



টুপটাপ টুপটাপ বাথটব গায়
বাথরুম ঘুরে বসে চাঁদের দিশায়
টুপটাপ টুপটাপ তারারা ফোটে
রাতপাখি গান গায় পোকা নিয়ে ঠোঁটে
আড় ভাঙ্গে বেহালায় ঘুলঘুলি জাগে
দলছুট হরিণের চোখে স্মৃতি লাগে

মাংসাশী সেই হরিণ, তোমাকেই খুঁজছে
মজ্জায় ঘাঁটি গেড়ে, তোমাকেই বুঝছে
সমুদ্র থেকে ফিরে, শিং-জোড়া জ্বলছে
মাংসাশী সেই হরিণ, ঘিলু ফাঁক করে চাটছে

হরিণের ছিল পাড়া, হরিণের আখড়া
ক্লান্তি আঁকড়ে ধরলে, কুয়াশায় ঘুম মারা
দালানে বাগানে ছিল, লবনের ঠিকানা
চাঁদমারি আজ সবটাই, পশ্চিমী নিশানা

মাংসাশী সেই হরিণ, তোমার কথাই ভাবছে
জ্যামিতি-প্রবণ দ্বীপে, ক্ষুরে সে ত্রিকোণ ভাঙ্গছে
বোকাবোকা তার দাঁতে পাগলাটে লালা লাগছে
মাংসাশী সেই হরিণ, তোমাকেই খুঁজছে

হরিণের ছিল ঘাঁটি, প্রোটোকলহীন মাটি
ভাষাভাবনার মাঠে, পোঁতা ছিল না খুঁটি
বেড়ারা পোষ্য হলে, ভেড়াদের দঙ্গলে
দলগত সব হরিণ, জিরোয় আস্তাবলে

চামড়ার জ্বালা সত্ত্বেও অ্যাসিডে ভিজছে
মাংসাশী সেই হরিণ, তোমাকেই খুঁজছে
নিজের অন্ত্র দিয়েই, শিঙে জ্যা-রোপণ করছে
আয়নায় ঘাঁটি গেড়ে তোমাকেই দেখছে

Wednesday, September 28, 2011

ভয়



ভাষা ছেড়ে যাবে একদিন, তোয়াক্কা করি না
নীরবতা হারানোর কথা ভাবলেই
ভয় হয়

চোখ দেখে অন্য কোথাও
এলাচের ক্ষেতে জমে ঘ্রাণ
আড়মোড়া ভাঙা জনপদ
গ্লানিতে নিজের অম্লান

দৃষ্টি তো হারিয়ে যাবেই, তোয়াক্কা করি না
আঁধার হারানোর কথা ভাবলেই
ভয় হয়

সমাধান শিস দিলে আসে,
লেজ নাড়ে চাটে তালু গাল
সোয়াস্তি ছেঁটে ফেলে মেঘ
আয়নায় ধরছে সকাল

স্বস্তি তো হারিয়ে যাবেই, তোয়াক্কা করি না
সমস্যা হারানোর কথা ভাবলেই
ভয় হয়

চাবকে উঠছে গতিপথ
লালসা, স্পৃহার এই ঘাত
মোহ ধরে গতির নেশায়
পথে পথে বেড়ে ওঠে ছাদ

গতি করে যাবে বেগতিক, তোয়াক্কা করি না
স্থবিরতা হারানোর কথা ভাবলেই
ভয় হয়

Tuesday, September 27, 2011

পাতি গান



ডুবোজাহাজের পোর্টহোলে, যেই কী-না বৃষ্টিটা ধরবে
অম্নি লগি দিয়ে পেড়ে । শুকতারা পকেটে ভরবে
লাইলাইলাই-লালালা- অসময়ে বাজে বেহালা
লাইলাইলাই-লালালা-শ্রমণের হাতে পেয়ালা

গান লিখে চলি রাতে, দোটানাকবল হাতে
জল জমে ভাবনাতে, নিরাপদ সরলরেখাতে
লাইলাইলাই লালালা— ছড় টানে নিজেই বেহালা
লাইলাইলাই লালালা—ম্যানুভার করে পেয়ালা

ক্রসিং-এ ঘুমোয় কুয়াশা, ঢিমে চালে চলে রাস্তা
লিফট নেমে আসে দরদর, আজীবন অফিস ফেরতা
লাইলাইলাই-লালালা- নেমে আসে খাদে বেহালা
লাইলাইলাই-লালালা-ছুটি চায় ক্লান্ত পেয়ালা

আঙ্গুরবাগানে রোদ্দুর, কাল ফের সবুজ ঝরবে
চাদরে জড়ানো যন্ত্রে মাংস মজ্জা ফের ধরবে
লাইলাইলাই লালালা—কড়ি কাঠে বাজে বেহালা
লাইলাইলাই লালালা- হেমলকে ডোবে পেয়ালা

ধারণা



(কৃতজ্ঞতা অনুপম রায়ের একটি কবিতা-র প্রতি-- অনুপমের অনুমতি ছাড়া তুলে দিলাম--
বিশ্ব (১)
রাখো তোমার চোখ আমার চোখের নিচে। তোমার লেগে থাকা দূরদর্শিতায় আমি আমার দেহ রাখি। আমাদের হাজার হাজার ফিলামেন্ট জ্বলে ওঠে এক সমুদ্র আলো তাই আমাদের শয্যা ধুয়ে দেয়। সেখানে জন্ম দাও তুমি আমার ভেতরে এক বিশাল পৃথিবী যেখানে এক তৃতীয়াংশ তুমি আর বাকিটা তোমার কন্সেপ্ট।)


তোমার প্রেরণা ঘোরে মাঝরাতে
দোলা দেয় পার্কের নদী
পিয়ানোর রীড বসে পাবে’র দেয়ালে
ব্রোঞ্জবালিকারা গায় নিরবধি
--যেওনা যেওনা উড়ে পাখি ! ও পাথরের পাখি !

তোমার চেয়েও ছেয়ে থাকে, তোমার বাহানা
তোমার চেয়েও ভালোবাসি, তোমার ধারণা

যতটা তোমাকে ছুঁতে চাই
তারো বেশী পেতে চাই না
ইচ্ছে গুটিয়ে নিই বারবার
আঙ্গুলে ছাপানো ঠিকানায়-
--আমার যাওয়ার কোন ইস্যু নেই --যাবো না । যাবো না ।

তোমার চেয়েও ছেয়ে থাকে, তোমার বাহানা
তোমার চেয়েও ভালোবাসি, তোমার ধারণা

তোমার ঠিকানা ওড়ে দিনমানে
নিমপাতা ঝরে ঝরে পড়ে—
ধুমজ্বরের কাছে ঋণি থাকি
ঋণি থাকি অন্ধকারে –
--কম্বলে মন ঢেকে রাখি । আর বেরোতে চাই না

তোমার চেয়েও ছেয়ে থাকে, তোমার বাহানা
তোমার চেয়েও ভালোবাসি, তোমার ধারণা

বর্ণভেদের আলো ভেদ করে
রং লাগে ঋতুর বাগানে
জন্মান্ধের কাছে খুঁজে দেখ
বরণের আসল মানে
চোখ জোড়া হারাক হলুদ কলুদ বনে – আমি দেখবো না

তোমার চেয়েও ছেয়ে থাকে, তোমার বাহানা
তোমার চেয়েও ভালোবাসি, তোমার ধারণা

Friday, September 23, 2011

pain

When I am hurt, do I judge the blow or the hand attached to it ? The best I can probably do is judge my pain. And then again can you truly judge pain ? Pain is a colour whose intensity is unquantifiable. Can you remember pain ? You quantify the scar and then the scar becomes a filter and you sit on that throne-- judge.

Thursday, September 22, 2011

ছায়া (লিরিক)



বসে আছি, আছে আমাদের নীরবতা রাখা
ছায়াগুলো, সেরে ফেলছে জরুরী যত কথা
আমাদের আছে বালুঘড়ি, আর ঘড়ি নিয়ে লোফালুফি খেলা
বেলা পড়ে অন্য কোথাও । এখানে সবটাই অবেলা

ঘড়ির ভেতর চাঁদ ওঠে, উনুনে উথলে ওঠে দুধ
চাঁদের ছায়ার সাথে তুঁতবনে, ভালো না থাকাই মানে সুখ
কাকে ছোঁব
তোমায়, না তোমার ছায়ার চিবুক ?

বসে আছি, আছে আমাদের নীরবতা রাখা
ছায়াগুলো , সেরে ফেলছে জরুরী যত কথা
শব্দের ছায়া পড়ে দৃশ্যের গায়ে, দৃশ্য ঘুমিয়ে পড়ে একা
রং জমে অন্য কোথাও । এখানে ক্যানভাস ফাঁকা

চোখের ভেতর গান ভাসে, মনে না পড়ার মত মুখ
মুখের ছায়ায় আমলকি বনে, কারো মনে না থাকাই সুখ
কে ভাসে জলে
আমিই, না আমার ছায়ার চিবুক ?

বসে আছি, আছে আমাদের নীরবতা রাখা
ছায়াগুলো হারিয়ে ফেলছে সব কথকতা

(কৃতজ্ঞতা ; হাওয়া মোরগের মন-- আর্যনীল মুখোপাধ্যায়)

(গানগুলো রেকর্ড করা সুর দিতে দিতে । জিন্দেগীতে গান শিখিনি । তালফাল জানি না তায় রাসভকন্ঠী -- সুর কম অসুর বেশী -- When I listen to them myself, I feel quite apologetic for posting them in public -- তবু, পোস্ট করা জাস্ট লিরিক গুলোর জন্য । এগুলোর just নাম "পানু সঙ্গীত" হতে পারে -- বাই কুমার পানু :-)

মহড়া (লিরিক)



শান দিই আলসেমিতে প্রগলভ বারে
স্পৃহা আমার রাত্রি চালায় দুলন্ত শহরে
চোখ রাখা চোখদানিতে, ঘাম ধরে হিমে
স্পৃহার আমার দারুণ মাসল, ডেলি যায় জিমে

সুন্দর হেঁটে বেড়ায় রাস্তায়, মাঠে,
আমাদের বয়স বাড়ে দিনের ওপিঠে

হাওয়া চলে পাঁউরুটিতে, হাওয়া ঘোরে জ্যামে
দখিনের দরজা খোলা ছিল সাবধানে
মোমবাতি, শীতলপাটি, অ্যালবাম, হীরে
সংজ্ঞা ও ব্যবধান ফিরিয়ে গেছে চোরে

যতি ধরে গতির গায়ে, পাগলাটে মতি
ছুটিরও তো পাওনা থাকে কর্মবিরতি

শান দিই ভদ্রতাতে, ভোঁতা হয় মানে
স্পৃহা আমার স্যুটেড বুটেড—পাতার চুট্টা টানে
ছাউনিতে হামলে পড়ে কুকারের সিটী
ন্যাপকিন কোলে স্পৃহা খায় গুড়-রুটি

হাওয়া জমে যন্ত্রণাতে, ফিকে হয় ওড়া
রাত হাঁটে কাঁধে নিয়ে দিনের মহড়া

Saturday, September 17, 2011

যাও পাখি



যাও পাখি, যাও পাখি

পিষ্টে যাচ্ছে আলো পিষ্টে যাচ্ছে মুখ
বিষাদের স্বকীয় প্রিজমে
তীরের ঠিকানা বুকে বুনো শুয়োরের চাল
আবহাওয়া অফিসের বনে

যাও পাখি, যাও পাখি

গিয়েছ, সকালের স্মৃতি নিয়ে
বিজনে রাতের কাছে গোপনে
বলেছ, নির্বিবাদের ভাষা
বায়ু, ফল, ভাসা ভাসা, বয়ানে

শীত আর তেমন করে ঝরবে না
আঁখের খোসায় শিখা ধরবে না

যাও পাখি, যাও পাখি

যত দীর্ঘ চুমু ততই ঠোঁটের ফাঁকে
নির্জনতার বাসা বাড়ে
প্রতিধ্বনির লোভে শব্দ হারিয়ে ফেলি
নোনা ধরা দেয়ালে দেয়ালে

যাও পাখি, যাও পাখি

সারারাত দীর্ঘশ্বাসের কাছে
জ্বালিয়ে রেখেছ মোমবাতি
এসেছ, ফিরে নিজেই নিজের কাছে
অর্ধেক লবণের স্মৃতি

এ’রাত তোমাকে ছেড়ে যাবে না
(তবু) ঘুমের আদলে ঘুম নামবে না

যাও পাখি, যাও পাখি

Thursday, September 15, 2011

আলসে



আলসে
--------
চাঁদ আছে চাঁদে
বাঘ আছে বনে
সংরক্ষন আছে
বাঘেদের মনে
হরিণীর জন্য ব্যাকুলতা

গাং আছে বানে
ঢেউ আছে টিনে
টিংচার আয়োডিন
আছে সাবধানে
ভুবনে প্রেমের ফাঁদ পাতা

ক্রীক শ, ক্রীকি শ
তুমি যাও, আমি যাব না

স্পাইডারম্যান আছে
বিপণীগগনে
ফুলবিক্রেতা আছে
কবরবাগানে
পুজোর জন্য বেলপাতা

জালফাল নন্দিত
ভ্যানিটিসামানে
জাহাজের মাস্তুল
আদার দোকানে
ডন, সারিডন, হেডব্যথা

ক্রীক শ, ক্রীকি শ
তুমি থাক, আমি থাকব না ।

আমি সামান্যই জানি
বস্তুবাদ
বিক্রয়যোগ্য
অবসাদ
ফলে অভাব বুঝি না

চাঁদ,ফুল প্রসবিত
মরুভুমি
তার বালি কোথাকার
দালানে লেগেছে
আমি কিছুই জানি না

ক্রীক শ, ক্রীকি শ
তুমি কাঁদো, আমি কাঁদবো না ।


ফাগুন হুলিয়ে এলে
তুমি আসো
পুরোনো বাংলা গানে
ভালোবাসো
বলো—এসো, বাইরে, দেখ, রোদ সোনা

হোলস্টার থেকে ছোঁড়
ভঙ্গিমা
পা ফেললেই, ঝামা
শ্যামলিমা
বাট, মামনি, ডোন্ট গেট মী রং--আমি রং কানা

ক্রীক শ, ক্রীকি শ
তুমি গাও, আমি শুনবো না ।

Wednesday, September 14, 2011



তিমির ! ডাকলে-- নিহিত পাখিরা নেমে আসে
এই ব্যালকনি নিরত আমার
ঘুরে ওঠা সিঁড়ি
ভিতরতলী হয়ে শালবন নেমে গেছে রীতিবিচ্যুত
ভাবি চোখ, ভাবি দেখা
সীমান্ত থেকে আয়নায় চোখ রাখা
ভাবি মুখ, ভাবি দীর্ণতা
ভাবি কত ভালো তুমি
তোমার চেয়েও ভালো তোমার মুখোস
চোখ গলে গলে তিমিরই তো খসে
তিমির ! ডাকলে-- নিহিত পাখিরা নেমে আসে

Friday, September 9, 2011

লেখা

ধ্বনি জ্বলে আপেল বাগানে
নিরাময় হয়ে ওঠা সেই সব ধ্বনি
আকরিক তামা
তামার খনিতে গজিয়ে ওঠা কৃষ্ণতুলসী
ফলের মজ্জার দিকে তাক করে
গান ও রণন
ফলশ্রুতি
খুনী নেমে আসে
ফল ও শ্রুতির প্রতি
নির্মোহ

তার কামড়ের গঠন
উদাসীন
--
ঘুমাও, ধাক্কা দিও না
জল পড়ে যাচ্ছে বাথরুমে
বাইরে বৃষ্টি পড়ছে
খুনীর পায়ের ছাপ স্থগিত রয়েছে
আমাদের হাতের মত নির্মোহ ছাপ
জল উপচে উঠছে বাথরুমে
বাইরে আলো সাঁতরাচ্ছে
কেউ আসে নি, কেউ আসবেও না
ও শুধু ঘুম ধাক্কা দিচ্ছে দরজায়
এ ছাড়া আর কিছুই থাকার কথা ছিল না
এ ছাড়া আর কিছুই থাকে না

প্রতীক এসে ঘুরে গিয়েছে সন্ধ্যেয়
কামড়ের শব্দটুকু পড়ে আছে
দুধের গেলাসে
--
আছি, তাই সমস্যা রয়েছে – গতিপথ, ভবঘুরে, ট্যারচা শহরে টনটনে ফুল—টার্মিনালে ঘুমন্ত বেহালাবাদকের মুখে চ্যাপলিন গোঁফ আর ছায়া – আর ছায়া – সমাধানের প্রকোপে তিরতির – একরত্তি । এসময় ভারী মোক্ষম হয়ে ওঠে দুপুর, পায়ে পায়ে জলের দিকে এগিয়ে যাওয়া বেড়ালের স্বপ্ন, বেড়ালের স্বপ্ন থেকে পালিয়ে যাওয়া মাছ । আর ভাবতে খারাপ লাগে এই বিজনের মধ্যেও হস্তক্ষেপ হয়ে আছি, সমস্যাসমেত ।

যেভাবে থাকতে চাইনি – জলে অবসর ছুঁড়ে দিল কেউ—নড়বড়ে আলো –সর হয়ে ওঠে গতিপথ । গতিরা কোথায় যায় ? আকারের পাশে বসাবার মত প্রকার – প্রকারের অন্তর্স্থলে ঘন হয়ে ওঠা ভেদ, সমাধান ।

আছি তাই সমাধান নেই বা সমাধান আছে তাই আমি নেই –

যেভাবে থাকতে পারা যায় –ঈষৎ গণিতে, ঈষৎ প্রামাণ্য—বাকীটুকুর জন্য বরফ ঠেলতে ঠেলতে জমাট হয়ে ওঠা ছায়ার – কার্পণ্য জমে, অভিব্যক্তি, কুয়াশা, স্পন্দন – এই এক্ষুনি বৃষ্টি পড়ছে অবতল আয়নায়, কাল বৃষ্টি পড়েছিল উত্তলে ।

না থাকার যুক্তি নেই—বেড়াতে গেছে – রাণাঘাট লোকালে – মদনপুর, শিমুরালি, চাকদা, পায়রাডাঙ্গা—গীর্জার চুড়ো থেকে দেখা আমবাগান আর ফলসাগাছের ডালে লালশিরা – মুল্যাঁরুজের উইন্ডমিলের পাশে স্ট্রোবিং গোলাপি আলোয় গোপাল গিফট শপ । যুক্তি ভাবে ডন কিহো, আপদ শ্বাপদ, আর যুক্তিহীন আমি সরে পড়ি পিগালের বিবিধ অন্তরে । এভাবে ভাবতে পারা যায় –ট্রামলাইন দেখলেই গলা সুড়সুড় করে আর ধোঁয়াটে দারচিনির গন্ধ ঘুরে বেড়ায় হাতঘড়ি, বেল্টে, স্কার্টের হেমে –ছায়ার চোখের থেকে ধার করা আলোয় ধুয়ে ফেলি চোখ – রবি ঠাকুরের মত আমার চোখও গোলাপি গোপাল হয়ে ওঠে ।

গিফটশপ

তৃষ্ণা বসে আছে – ওইখানে যাও – পোঙাটি মারাও।

বার টেন্ডার, ধর্মেও নয়, সাম্যেও নয়, আমি জিরাফের খুলির ভেতর থেকে চাইছি নীল ছাপ আমার নীল অন্তঃস্থলে হলুদ হয়ে উঠছে স্নেহ, পদার্থ ও ক্রমে ভাসমান সাইকেল । দেরী নয়, হারপুন ছোঁড়ো । আর কিছু পরে চাঁদ ফুঁড়ে চলে যাবে স্পৃহা—বর্মসমেত । রুটি আর হালুয়া হাতে জেগে উঠবে শহর । সমস্যা । সমাধান । কামড় ।