কেন এই পাতা

পানুর ইচ্ছা, লেখক হইবেন । বাঙালি, লেখক না হইতে পারিলে নমো নমো করিয়া পাতের সংস্থান যদি বা হয় জাত রক্ষা হয় না - যথা আঁটকুড়া কুলীন । পানু বিস্তর পরিশ্রম করিলেন । দিস্তা দিস্তা রচনাবলী, অমনিবাস চিবাইলেন । প্রথমে কাব্য টানিয়াছিল, কারণ রস - রসে পাঁউরুটি ভিজিল না । পানু ঘটা করিয়া কিছুদিন রবীন্দ্রসঙ্গীত লিখিলেন (ভেঙ্গেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতিরম্যায়, আট হাজার বাষট্টি টাকার দরজা, খর্চা কে দ্যায় ! অথবা, কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া, চৌমাথার মোড়ে দিব পেন্টুল খুলিয়া) হাউ হাউ করিয়া লোকে মারিতে আসিল । সমস্ত অবজ্ঞা করিয়া পানু লিখিয়া চলিলেন । যদ্যপি পানুর কলমের তোড়ে কাব্যলক্ষী কোঁ কোঁ, সম্পাদকের দপ্তরে চিঁড়া ভিজিল না । অতঃপর পানুর দুঃখে ব্যাবেজ সায়েব কম্পিউটার আবিষ্কার করিলেন । বাজারে ব্লগ আসিল । পানু ব্লগার হইলেন । এই পাতা পানুর পাতা । যা তা ।

Wednesday, June 10, 2015

প্রিয় সম্পাদক



প্রিয় সম্পাদক,



এই ১১টা ৩২-শে এসে আমি কবিতা লিখছি না। গাড়ির মধ্যে হাওয়া বইছে। মাড়ির মধ্যে বিশদ করে হাওয়া বইছে। আমি পাতে ফলের হাড় আর কানকো ফেলে উঠে পড়ছি পরমুখী বাতাসে। কথা হচ্ছিল মানুষের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে। শবরদিনের শেষে ছন্দের বদলে সলিউবল তন্তু নিয়ে আরো মনোযোগী হওয়ার প্রয়োজন ছিল। অথচ তন্তু বলতে শুধু কোমরের কথাই ঘুরে ফিরে আসেসমস্ত মাত্রায়। আমি ডুবতে ডুবতে ডুবন্ত মানুষের ধর্মের কথা ভাবি, তার জিরে, মৌরির কথা, বুকের ভেতর বেড়াতে বেড়াতে রান্নাঘরের দিকে আসার কথাআর আঁশের স্মৃতিতে চকচক করে ওঠে জল। ডুবতে ডুবতেও এক ফালি তৃষ্ণার কথা মনে পড়ে। এই হাওয়ার সময়েও খুব মনে পড়ে।

No comments:

Post a Comment