কেন এই পাতা

পানুর ইচ্ছা, লেখক হইবেন । বাঙালি, লেখক না হইতে পারিলে নমো নমো করিয়া পাতের সংস্থান যদি বা হয় জাত রক্ষা হয় না - যথা আঁটকুড়া কুলীন । পানু বিস্তর পরিশ্রম করিলেন । দিস্তা দিস্তা রচনাবলী, অমনিবাস চিবাইলেন । প্রথমে কাব্য টানিয়াছিল, কারণ রস - রসে পাঁউরুটি ভিজিল না । পানু ঘটা করিয়া কিছুদিন রবীন্দ্রসঙ্গীত লিখিলেন (ভেঙ্গেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতিরম্যায়, আট হাজার বাষট্টি টাকার দরজা, খর্চা কে দ্যায় ! অথবা, কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া, চৌমাথার মোড়ে দিব পেন্টুল খুলিয়া) হাউ হাউ করিয়া লোকে মারিতে আসিল । সমস্ত অবজ্ঞা করিয়া পানু লিখিয়া চলিলেন । যদ্যপি পানুর কলমের তোড়ে কাব্যলক্ষী কোঁ কোঁ, সম্পাদকের দপ্তরে চিঁড়া ভিজিল না । অতঃপর পানুর দুঃখে ব্যাবেজ সায়েব কম্পিউটার আবিষ্কার করিলেন । বাজারে ব্লগ আসিল । পানু ব্লগার হইলেন । এই পাতা পানুর পাতা । যা তা ।

Sunday, June 7, 2015

প্রিয় সম্পাদক--৩




প্রিয় সম্পাদক,

বানানের শুদ্ধতা নিয়ে বুঝতে পারছি আপনার অনুযোগ, এদিকে মোমবাতির তলায় ঘাম, ৪৫ ডিগ্রি, জানেন ৪২-ডিগ্রিতে কম্পিটেন্ট ব্যাক্টিরিয়ার মধ্যে হিট শকে ফরেন ডি এন এ ঢুকিয়ে দেয়া যায় আর সে তারপর অপারগ নিজের বাঁচার থেকে চোখ সরিয়ে উৎপাদন করে সোনা—আমি সোনায় দাঁত বসিয়ে দেখছি শুদ্ধতা—আকাশ থেকে ভাগ্যের ছায়া পড়ছে মাটিতে আকাশ থেকে কুচি কুচি অভাব ভেসে বেড়াচ্ছে—আমি শুদ্ধতার স্বাদহীনতার ভেতর থেকে দেখতে পাচ্ছি ফিলামেন্টের অ্যালয়ে মাছি বসছে আর আলোয় কাঁটা হয়ে উঠছে শালবন।

প্রিয় সম্পাদক, আমি জানি আপনি জটিলতা পছন্দ করেন না। ট্যাক্স রিটার্ন-এ যতটুকু জটিলতার প্রয়োজন, হিসেবের বাইরে থাকতে যতটুকু দরকার, সিঁড়ি বেয়ে উঠতে যৎসামান্য যতটুকু, প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে যতটুকু, রাতের দিকে  ঘোড়ার ছপটি হাতে আপনার চোখ উরুসন্ধির দিকে চকচক করে, লালা গড়ায়—প্রাইমাল জটিলতা—এই সব এইটুকু ছাড়া—কবিতা তো সোজা সাপ্টা মানুষের কথা প্রকৃতির কথা হওয়া উচিত—জেনারেশান গ্যাপ, ছেলের সাথে বনিবনা নেই, বৌ কে বোঝা মুস্কিল, নিজেকেও নিজের আর্জ, ইম্পালস সময়ে সময়ে অবোধ্য লাগে—এত ইংরেজি শব্দের কী প্রয়োজন…আই এগ্রি, আমি সহমত, প্রচন্ড সহমত আজ মোতিয়া বেলির গন্ধে কী ভাবে জানি না, নাকের বদলে চোখে জল এল… কোথাও শিশুবেলার বাগান থেকে…আমি ফিরে তার জটিলতা দেখি, সারল্যের সাথে একসাথে বসে সেও পুতুল খেলছে…।

No comments:

Post a Comment