কেন এই পাতা

পানুর ইচ্ছা, লেখক হইবেন । বাঙালি, লেখক না হইতে পারিলে নমো নমো করিয়া পাতের সংস্থান যদি বা হয় জাত রক্ষা হয় না - যথা আঁটকুড়া কুলীন । পানু বিস্তর পরিশ্রম করিলেন । দিস্তা দিস্তা রচনাবলী, অমনিবাস চিবাইলেন । প্রথমে কাব্য টানিয়াছিল, কারণ রস - রসে পাঁউরুটি ভিজিল না । পানু ঘটা করিয়া কিছুদিন রবীন্দ্রসঙ্গীত লিখিলেন (ভেঙ্গেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতিরম্যায়, আট হাজার বাষট্টি টাকার দরজা, খর্চা কে দ্যায় ! অথবা, কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া, চৌমাথার মোড়ে দিব পেন্টুল খুলিয়া) হাউ হাউ করিয়া লোকে মারিতে আসিল । সমস্ত অবজ্ঞা করিয়া পানু লিখিয়া চলিলেন । যদ্যপি পানুর কলমের তোড়ে কাব্যলক্ষী কোঁ কোঁ, সম্পাদকের দপ্তরে চিঁড়া ভিজিল না । অতঃপর পানুর দুঃখে ব্যাবেজ সায়েব কম্পিউটার আবিষ্কার করিলেন । বাজারে ব্লগ আসিল । পানু ব্লগার হইলেন । এই পাতা পানুর পাতা । যা তা ।

Monday, June 22, 2015

প্রিয় সম্পাদক



প্রিয় সম্পাদক,

মধ্যাহ্ন চেগে ওঠে বিরতিশহরে কর্ম কোথাও নেই আমের সিজনে উত্তরদেশের ফলে ছেয়ে গেছে বাজার বিপণী। আলুবোখারায় দাঁত রেখে বুঝিবর্জন ভাষাকে সরল আর ভাবনাকে জটিল করে তোলে। সারল্যের প্রসঙ্গে মনে পড়ল এত পারফিউমের দোকান চারপাশে আমি আর গন্ধ দিয়ে ফুলকে চেনার কথা ভাবতে পারি নাকাচের জানলার কাছে যদি বিশ্বাসযোগ্য না হয়ে উঠতে পারে তবে আর ফুল কীসের? বরং লজ্জিত থাকি ফলের পরই ফুলের প্রসঙ্গে আসার কারণে। আমার সমস্ত পতন শুধু ছায়ার ভেতর, অভ্যাসের ভেতরছায়া থেকে, অভ্যাস থেকে নিজেকে ফেলে দিতে দিতে এ সমস্ত বুঝতে পারি

No comments:

Post a Comment