কেন এই পাতা

পানুর ইচ্ছা, লেখক হইবেন । বাঙালি, লেখক না হইতে পারিলে নমো নমো করিয়া পাতের সংস্থান যদি বা হয় জাত রক্ষা হয় না - যথা আঁটকুড়া কুলীন । পানু বিস্তর পরিশ্রম করিলেন । দিস্তা দিস্তা রচনাবলী, অমনিবাস চিবাইলেন । প্রথমে কাব্য টানিয়াছিল, কারণ রস - রসে পাঁউরুটি ভিজিল না । পানু ঘটা করিয়া কিছুদিন রবীন্দ্রসঙ্গীত লিখিলেন (ভেঙ্গেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতিরম্যায়, আট হাজার বাষট্টি টাকার দরজা, খর্চা কে দ্যায় ! অথবা, কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া, চৌমাথার মোড়ে দিব পেন্টুল খুলিয়া) হাউ হাউ করিয়া লোকে মারিতে আসিল । সমস্ত অবজ্ঞা করিয়া পানু লিখিয়া চলিলেন । যদ্যপি পানুর কলমের তোড়ে কাব্যলক্ষী কোঁ কোঁ, সম্পাদকের দপ্তরে চিঁড়া ভিজিল না । অতঃপর পানুর দুঃখে ব্যাবেজ সায়েব কম্পিউটার আবিষ্কার করিলেন । বাজারে ব্লগ আসিল । পানু ব্লগার হইলেন । এই পাতা পানুর পাতা । যা তা ।

Thursday, June 25, 2015

প্রিয় সম্পাদক



প্রিয় সম্পাদক,

ব্যথা একটা আভা হয়ে রয়েছেএরই মধ্যে আমি খুঁজে বেড়াচ্ছি সুঁচদেখতে দেখতে বাগান থেকে, জাঙ্গাল দেশের থেকে, বাড়িঘর থেকে  রং ঝরে গেলঅথচ ব্যথার রং দ্বিধারই মতন গাঢ়। আপনি বলছিলেন, দ্বিধা হল অনুন্নয়নের ফসল, আমি বুঝতে পারছি আপনার কথা, হ্যাঁ নিজেকে দিয়েইতবে এও দেখছি চিন্তা আর শরীরের মাঝখানে দোনোমনা নিয়ে যা নড়াচড়া করছে তা-ই জীবন। হ্যাঁ, আমি সব্যসাচী সান্যাল, উন্নয়নের দিনে আমি বিশ্বাসের বাইরে, প্রবৃত্তির বাইরে দাঁড়িয়ে দেখতে পাচ্ছি আকাশ, মাটিও দেখতে পাচ্ছি। অথচ মাটিতে শুয়ে আর আকাশের কথা ভাবছি না আর আকাশে পা রেখে দেয়ার পর মাটির কথা ভাববার সময় পাচ্ছি না।

No comments:

Post a Comment