কেন এই পাতা

পানুর ইচ্ছা, লেখক হইবেন । বাঙালি, লেখক না হইতে পারিলে নমো নমো করিয়া পাতের সংস্থান যদি বা হয় জাত রক্ষা হয় না - যথা আঁটকুড়া কুলীন । পানু বিস্তর পরিশ্রম করিলেন । দিস্তা দিস্তা রচনাবলী, অমনিবাস চিবাইলেন । প্রথমে কাব্য টানিয়াছিল, কারণ রস - রসে পাঁউরুটি ভিজিল না । পানু ঘটা করিয়া কিছুদিন রবীন্দ্রসঙ্গীত লিখিলেন (ভেঙ্গেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতিরম্যায়, আট হাজার বাষট্টি টাকার দরজা, খর্চা কে দ্যায় ! অথবা, কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া, চৌমাথার মোড়ে দিব পেন্টুল খুলিয়া) হাউ হাউ করিয়া লোকে মারিতে আসিল । সমস্ত অবজ্ঞা করিয়া পানু লিখিয়া চলিলেন । যদ্যপি পানুর কলমের তোড়ে কাব্যলক্ষী কোঁ কোঁ, সম্পাদকের দপ্তরে চিঁড়া ভিজিল না । অতঃপর পানুর দুঃখে ব্যাবেজ সায়েব কম্পিউটার আবিষ্কার করিলেন । বাজারে ব্লগ আসিল । পানু ব্লগার হইলেন । এই পাতা পানুর পাতা । যা তা ।

Sunday, June 7, 2015

শূন্যতা (লিরিক)



তুমি গেয়েছিলে তাই এই শূন্যতা, জীর্ণতা পাবে না কখনো
ফিরতি হাতের টানে ফুটেছে লকেট ফুল এখনো তখনো

ভীড় করে আসে আলো রাতারাত জ্বলে স্মৃতি জ্বলে
এলাচের ক্ষেত থেকে কুয়াশা-শহর কথা বলে
ভাষা তার কবেকার আহতের অনুবাদ শুধু
এই গান শূন্যতা এই গান তল্লাট ধুধু

তুমি গেয়েছিলে তাই এই শূন্যতা, জীর্ণতা পাবে না কখনো
ফিরতি হাতের টানে ফুটেছে লকেট ফুল এখনো তখনো

এই গান সাদাখাতা এই গান কলমের ছুটি
নৈশব্দের দিকে এক পা বাড়িয়ে রাখা টুঁটি
আমাদের পূর্ণতা চিরকাল থাকবে অচেনা
শুধু তোমার শূন্য দিয়ে তোমাকেই বার বার চেনা

তুমি গেয়েছিলে তাই এই শূন্যতা, জীর্ণতা পাবে না কখনো
ফিরতি হাতের টানে ফুটেছে লকেট ফুল এখনো তখনো

No comments:

Post a Comment