কেন এই পাতা

পানুর ইচ্ছা, লেখক হইবেন । বাঙালি, লেখক না হইতে পারিলে নমো নমো করিয়া পাতের সংস্থান যদি বা হয় জাত রক্ষা হয় না - যথা আঁটকুড়া কুলীন । পানু বিস্তর পরিশ্রম করিলেন । দিস্তা দিস্তা রচনাবলী, অমনিবাস চিবাইলেন । প্রথমে কাব্য টানিয়াছিল, কারণ রস - রসে পাঁউরুটি ভিজিল না । পানু ঘটা করিয়া কিছুদিন রবীন্দ্রসঙ্গীত লিখিলেন (ভেঙ্গেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতিরম্যায়, আট হাজার বাষট্টি টাকার দরজা, খর্চা কে দ্যায় ! অথবা, কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া, চৌমাথার মোড়ে দিব পেন্টুল খুলিয়া) হাউ হাউ করিয়া লোকে মারিতে আসিল । সমস্ত অবজ্ঞা করিয়া পানু লিখিয়া চলিলেন । যদ্যপি পানুর কলমের তোড়ে কাব্যলক্ষী কোঁ কোঁ, সম্পাদকের দপ্তরে চিঁড়া ভিজিল না । অতঃপর পানুর দুঃখে ব্যাবেজ সায়েব কম্পিউটার আবিষ্কার করিলেন । বাজারে ব্লগ আসিল । পানু ব্লগার হইলেন । এই পাতা পানুর পাতা । যা তা ।

Friday, June 5, 2015

প্রিয় সম্পাদক

প্রিয় সম্পাদক,

আমি খা-খা আলোর মধ্যে বসে ভাবছি ভোর হল কী-না! শূন্যতার মধ্যে মোহর মোহর শব্দে ঝরে যাচ্ছে ফুলআমি জিরিয়ে নিচ্ছি নিষ্ক্রিয়তায় পিঠ রেখেএকটা খুব যতি হল মনের মাঝারে আমি ঠিক সেখানেই ধ্বনি ও অর্থের মাঝে বিষক্রিয়ার কথা ভাবতে ভাবতে সেরে উঠছি আর নেমে যাচ্ছি জ্বরের ভেতরে। প্রিয় সম্পাদক, আমি ঠিক জানি না কতদিন কবিতা লিখিনি, কবিতার আড়-মধ্য দিয়ে কতখানি মরচে রাঙ্গানো পথে আজ ভেরেন্ডার জঙ্গল, কাঁটানটে, পা ছড়ে যায় আর অব্যক্ত হয়ে ওঠে স্মৃতি ও করুণারাঙ্গামাটি বলতে এটুকুই বুঝেছি সম্প্রতি...গ্রন্থি  দিয়ে স্নায়ু দিয়ে মায়েলিন শীথ ভেদ করে ভারী ও অবশ শীসার নদী বয়ে যায়--টুকুই ভ্রমণ আমার। ফলে সম্পাদক, আমি জানতে চাইছি আপনার পত্রিকায় না ছাপার জন্য ঠিক কোন ঠিকানায় আমি আমাকে পাঠাব।

No comments:

Post a Comment