কেন এই পাতা

পানুর ইচ্ছা, লেখক হইবেন । বাঙালি, লেখক না হইতে পারিলে নমো নমো করিয়া পাতের সংস্থান যদি বা হয় জাত রক্ষা হয় না - যথা আঁটকুড়া কুলীন । পানু বিস্তর পরিশ্রম করিলেন । দিস্তা দিস্তা রচনাবলী, অমনিবাস চিবাইলেন । প্রথমে কাব্য টানিয়াছিল, কারণ রস - রসে পাঁউরুটি ভিজিল না । পানু ঘটা করিয়া কিছুদিন রবীন্দ্রসঙ্গীত লিখিলেন (ভেঙ্গেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতিরম্যায়, আট হাজার বাষট্টি টাকার দরজা, খর্চা কে দ্যায় ! অথবা, কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া, চৌমাথার মোড়ে দিব পেন্টুল খুলিয়া) হাউ হাউ করিয়া লোকে মারিতে আসিল । সমস্ত অবজ্ঞা করিয়া পানু লিখিয়া চলিলেন । যদ্যপি পানুর কলমের তোড়ে কাব্যলক্ষী কোঁ কোঁ, সম্পাদকের দপ্তরে চিঁড়া ভিজিল না । অতঃপর পানুর দুঃখে ব্যাবেজ সায়েব কম্পিউটার আবিষ্কার করিলেন । বাজারে ব্লগ আসিল । পানু ব্লগার হইলেন । এই পাতা পানুর পাতা । যা তা ।

Friday, June 19, 2015

প্রিয় সম্পাদক,

প্রিয় সম্পাদক,
 
আলো তো সঙ্ঘাত
প্রিজমের ক্ষত থেকে
অনিচ্ছা থেকে ঠিকরে ওঠা
ব্যাথা ও উন্মেষ

আলো বলতে আমি দোনোমনার কথা বুঝি, কখনো এক হলুদ প্রতিধ্বনির কথাও ভাবি যে ভেড়াদের নৃশংস চৌকো দাঁতের দিকে এগিয়ে দেয় রেটিসেন্ট নেকড়ের দাবনা। প্রিয় সম্পাদক আলো বলতে আমি দেখতে পাই, পার্কে, বুলেভারে, ফাঁসে, বুঁদির রায়তায়, রক্তের মধ্যে গজিয়ে ওঠা অসংখ্য কনফেশান বুথ— অভ্যাস মত আস্তিন খুলে উন্মুক্ত করি তাস আর জন্মান্তরের উল্কি—আলো বলতে আমি পাশের গলির থেকে শুনতে পাই অবিশ্বাস্য জড়তা নিয়ে কে যেন বলছে—হাম কা ছোড় দে গোরি, হামার ধরম লেই যা…

No comments:

Post a Comment