কেন এই পাতা

পানুর ইচ্ছা, লেখক হইবেন । বাঙালি, লেখক না হইতে পারিলে নমো নমো করিয়া পাতের সংস্থান যদি বা হয় জাত রক্ষা হয় না - যথা আঁটকুড়া কুলীন । পানু বিস্তর পরিশ্রম করিলেন । দিস্তা দিস্তা রচনাবলী, অমনিবাস চিবাইলেন । প্রথমে কাব্য টানিয়াছিল, কারণ রস - রসে পাঁউরুটি ভিজিল না । পানু ঘটা করিয়া কিছুদিন রবীন্দ্রসঙ্গীত লিখিলেন (ভেঙ্গেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতিরম্যায়, আট হাজার বাষট্টি টাকার দরজা, খর্চা কে দ্যায় ! অথবা, কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া, চৌমাথার মোড়ে দিব পেন্টুল খুলিয়া) হাউ হাউ করিয়া লোকে মারিতে আসিল । সমস্ত অবজ্ঞা করিয়া পানু লিখিয়া চলিলেন । যদ্যপি পানুর কলমের তোড়ে কাব্যলক্ষী কোঁ কোঁ, সম্পাদকের দপ্তরে চিঁড়া ভিজিল না । অতঃপর পানুর দুঃখে ব্যাবেজ সায়েব কম্পিউটার আবিষ্কার করিলেন । বাজারে ব্লগ আসিল । পানু ব্লগার হইলেন । এই পাতা পানুর পাতা । যা তা ।

Sunday, February 8, 2015

বসন্ত


বসন্তপর্যায় গেল আমাকে করলে না তুমি ভালো
একটা প্রসার দিয়ে গেলে
তরঙ্গ থেকে একটা অবরোহ
ফুটন্ত গালায় বসছে
যেন মোহর      যেন     নামের জরীয়া

ঝিলের মর্মে ঢুকে আঙ্গুলের ক্ষত
অনুমেয় হল

একটা আলো হয়ে ছিলে
মৃত খদ্যোতের শেষ প্রতিরোধ হয়ে ছিলে

ঠান্ডা একটা উঠেছে সূর্য
কুয়াশার ধারণাকে পরিস্ফুট করে
ফেব্রুয়ারির বাঁকে

ঢেকে যাচ্ছে ট্রাফিককিরণ

1 comment: