কেন এই পাতা

পানুর ইচ্ছা, লেখক হইবেন । বাঙালি, লেখক না হইতে পারিলে নমো নমো করিয়া পাতের সংস্থান যদি বা হয় জাত রক্ষা হয় না - যথা আঁটকুড়া কুলীন । পানু বিস্তর পরিশ্রম করিলেন । দিস্তা দিস্তা রচনাবলী, অমনিবাস চিবাইলেন । প্রথমে কাব্য টানিয়াছিল, কারণ রস - রসে পাঁউরুটি ভিজিল না । পানু ঘটা করিয়া কিছুদিন রবীন্দ্রসঙ্গীত লিখিলেন (ভেঙ্গেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতিরম্যায়, আট হাজার বাষট্টি টাকার দরজা, খর্চা কে দ্যায় ! অথবা, কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া, চৌমাথার মোড়ে দিব পেন্টুল খুলিয়া) হাউ হাউ করিয়া লোকে মারিতে আসিল । সমস্ত অবজ্ঞা করিয়া পানু লিখিয়া চলিলেন । যদ্যপি পানুর কলমের তোড়ে কাব্যলক্ষী কোঁ কোঁ, সম্পাদকের দপ্তরে চিঁড়া ভিজিল না । অতঃপর পানুর দুঃখে ব্যাবেজ সায়েব কম্পিউটার আবিষ্কার করিলেন । বাজারে ব্লগ আসিল । পানু ব্লগার হইলেন । এই পাতা পানুর পাতা । যা তা ।

Monday, February 9, 2015

দুই বসন্ত

বসন্তপর্যায় গেল আমাকে করলে না তুমি ভালো
এমনকী তুলোর বদলে বিপর্যয় ভরে দিলে
                                         বালিশের খোলে
অস্থির করে দিলে একটা সত্ত্বা থেকে
জিভের গঠন

স্বাদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে জড়তা
জড়তার দিকে চোখ ফেরাচ্ছে খাদ
মুখের ভেতর শিউরে উঠছে মদ

এমন কাঁটা হয়ে উঠছে যেন
কোন স্মৃতিই
আর এই খয়েরি চেয়ারে
এই লোহার গোঙ্গানির ভেতর
বসতে ভরসা পাবে না


বসন্তপর্যায় গেলো, আমাকে করলে না তুমি ভালো
রুক্ষ হাসলে আর
ভারসাম্য বিনিময় করে ঢুকে গেলে ছুরির দোকানে

ওদিকে তো বাজারের দিকে
এলিয়ে পড়ছে ধ্বনি ও বর্ণ
শোলার কবিতা আর প্রকাশকাঠামো
মাংস থেকে উড়ে আসছে চপারগমক

তুমি গীর্জার ভেতর থেকে আয়নার ভেতর থেকে
প্রসঙ্গ কিনে এনে দিলে
একটা প্রবাহ দিলে এত অনুকূল
ধাতুর শেকড় থেকে শিহর জাগলো

“একটা খুব ছুরি মেরে...
লক্ষ করেছি তুমি ছুটে গিয়ে পলাতক হলে”

No comments:

Post a Comment