কেন এই পাতা

পানুর ইচ্ছা, লেখক হইবেন । বাঙালি, লেখক না হইতে পারিলে নমো নমো করিয়া পাতের সংস্থান যদি বা হয় জাত রক্ষা হয় না - যথা আঁটকুড়া কুলীন । পানু বিস্তর পরিশ্রম করিলেন । দিস্তা দিস্তা রচনাবলী, অমনিবাস চিবাইলেন । প্রথমে কাব্য টানিয়াছিল, কারণ রস - রসে পাঁউরুটি ভিজিল না । পানু ঘটা করিয়া কিছুদিন রবীন্দ্রসঙ্গীত লিখিলেন (ভেঙ্গেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতিরম্যায়, আট হাজার বাষট্টি টাকার দরজা, খর্চা কে দ্যায় ! অথবা, কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া, চৌমাথার মোড়ে দিব পেন্টুল খুলিয়া) হাউ হাউ করিয়া লোকে মারিতে আসিল । সমস্ত অবজ্ঞা করিয়া পানু লিখিয়া চলিলেন । যদ্যপি পানুর কলমের তোড়ে কাব্যলক্ষী কোঁ কোঁ, সম্পাদকের দপ্তরে চিঁড়া ভিজিল না । অতঃপর পানুর দুঃখে ব্যাবেজ সায়েব কম্পিউটার আবিষ্কার করিলেন । বাজারে ব্লগ আসিল । পানু ব্লগার হইলেন । এই পাতা পানুর পাতা । যা তা ।

Saturday, February 7, 2015

বসন্ত কিছু আরো

বসন্তপর্যায় গেলো, আমাকে করলে না তুমি ভালো
ক্যামেরার চোখ থেকে গতি
নিয়ে এলে আর শ্লথ এক বসলে বিশ্রামে
উপার্জন হতে
গ্লাসের বিচার হতে সরিয়ে রাখলে মদ

পাশের বাড়ির থেকে অনন্ত
প্রতিশ্রুতিহীন শুধু কুকুরের ডাক-- এমত অবস্থায়
অক্ষরের পাশে নামিয়ে রাখলে অক্ষর
মৃদু অসমান

আমি তো দেখেছি কী ভাবে সম্পর্ক
চাগিয়ে ওঠে যোনির শিখরে – শিথিলতার দিকে
কীভাবে এগিয়ে যায় ঘাঘু বিবর্তন

ত্রিশির কাচের খল স্বচ্ছতায় বিভক্ত হয় কথা ও উন্মেষ
--

বসন্তপর্যায় গেলো, আমাকে করলে না তুমি ভালো
একাকী ভ্রু’য়ের মাঝে ছিলে উতরোল
পলকাটা কপালেও জ্বরের ভূমিকা নিয়ে
কিছুটা কৌমী আর কিছুটা বিপর্যয়

বাকীটা তো বাস্তবিক ছায়া
স্পর্শের ঘাঁটির ভেতর খানিক তন্দ্রাময়
খানিক চকিত
নিছক আত্মার মত অহেতুগরজ
বৈচিত্রের মাঝে ঝানু সমতল

নকল হারের মাঝে ছিলে
গৃহস্থের আক্ষেপেও ছিলে

বস্তুর ব্যাপকতা ছুঁয়ে ছুঁয়ে
দেখেছিলে নৈশ-ইস্তাহার

No comments:

Post a Comment