কেন এই পাতা

পানুর ইচ্ছা, লেখক হইবেন । বাঙালি, লেখক না হইতে পারিলে নমো নমো করিয়া পাতের সংস্থান যদি বা হয় জাত রক্ষা হয় না - যথা আঁটকুড়া কুলীন । পানু বিস্তর পরিশ্রম করিলেন । দিস্তা দিস্তা রচনাবলী, অমনিবাস চিবাইলেন । প্রথমে কাব্য টানিয়াছিল, কারণ রস - রসে পাঁউরুটি ভিজিল না । পানু ঘটা করিয়া কিছুদিন রবীন্দ্রসঙ্গীত লিখিলেন (ভেঙ্গেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতিরম্যায়, আট হাজার বাষট্টি টাকার দরজা, খর্চা কে দ্যায় ! অথবা, কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া, চৌমাথার মোড়ে দিব পেন্টুল খুলিয়া) হাউ হাউ করিয়া লোকে মারিতে আসিল । সমস্ত অবজ্ঞা করিয়া পানু লিখিয়া চলিলেন । যদ্যপি পানুর কলমের তোড়ে কাব্যলক্ষী কোঁ কোঁ, সম্পাদকের দপ্তরে চিঁড়া ভিজিল না । অতঃপর পানুর দুঃখে ব্যাবেজ সায়েব কম্পিউটার আবিষ্কার করিলেন । বাজারে ব্লগ আসিল । পানু ব্লগার হইলেন । এই পাতা পানুর পাতা । যা তা ।

Wednesday, February 11, 2015

বসন্ত আরো দুই



বসন্তপর্যায় গেলো, আমাকে করলে না তুমি ভালো
জানলা থেকে হাত নাড়লে
হাত নেই একথা জেনেও
হাত ও শরীরের ধারণা ছাড়াই
এমন জানলা থেকে

যে আমাকে ভেতর থেকেও নিরাপদ রাখে
পড়াতে বসায়, বোঝায়, সাম্প্রতিক ইতিহাস নিয়ে
ফেসবুকে আমার কমেন্টগুলো নিয়ে  কেউ কিছু আপত্তিকর
ভেবে উঠছে না।  আমি ফুলদানির থেকে অ্যাকোয়ারিয়াম থেকে
টবের ক্যাকটাস মাছের অসন্তুষ্টি থেকে সম্পূর্ণ নিরাপদ...
এমনকী ফ্রীজের গায়ে চেটকানো বর্ণলিপির থেকেও

অথচ
                 আমি বাগানের থেকে বেড়ার থেকে...
                 বেড়ার ওপর জমা বরফের থেকে...
                  ভারসাম্যহীন বহেড়া গাছের থেকে ...
                  কেন্দ্রের ওপর জমা প্রান্তিকতার ঝুলধুলো থেকে...


 
বসন্তপর্যায় গেলো, আমাকে করলে না তুমি ভালো
দ্বিধার বদলে গতি জুড়ে জাড্যতা দিলে
কেমন সাবলীল    খসড়া থেকেই
পূর্ণতা খুঁজে পেলে প্রস্তাবে এসে

অথচ আমি দেখেছিলামযুক্তির নিয়ন্ত্রণটুকুই যুক্তি
বাকী তো ঈশপের খুলির ভেতরে অর্কিডছেঁড়া কুয়াশা

ভালো করলে না তুমি গঠনের দিনে
ভরকেন্দ্র অন্যত্র রোপণের দিনে
চেয়ে দেখলে না
বৃক্ষ যেদিকে বাড়ে তাপে ও আর্দ্রতায়

                                                          প্রতিবিম্বে বেড়ে ওঠে ঘুণের মরাল

No comments:

Post a Comment