কেন এই পাতা

পানুর ইচ্ছা, লেখক হইবেন । বাঙালি, লেখক না হইতে পারিলে নমো নমো করিয়া পাতের সংস্থান যদি বা হয় জাত রক্ষা হয় না - যথা আঁটকুড়া কুলীন । পানু বিস্তর পরিশ্রম করিলেন । দিস্তা দিস্তা রচনাবলী, অমনিবাস চিবাইলেন । প্রথমে কাব্য টানিয়াছিল, কারণ রস - রসে পাঁউরুটি ভিজিল না । পানু ঘটা করিয়া কিছুদিন রবীন্দ্রসঙ্গীত লিখিলেন (ভেঙ্গেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতিরম্যায়, আট হাজার বাষট্টি টাকার দরজা, খর্চা কে দ্যায় ! অথবা, কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া, চৌমাথার মোড়ে দিব পেন্টুল খুলিয়া) হাউ হাউ করিয়া লোকে মারিতে আসিল । সমস্ত অবজ্ঞা করিয়া পানু লিখিয়া চলিলেন । যদ্যপি পানুর কলমের তোড়ে কাব্যলক্ষী কোঁ কোঁ, সম্পাদকের দপ্তরে চিঁড়া ভিজিল না । অতঃপর পানুর দুঃখে ব্যাবেজ সায়েব কম্পিউটার আবিষ্কার করিলেন । বাজারে ব্লগ আসিল । পানু ব্লগার হইলেন । এই পাতা পানুর পাতা । যা তা ।

Tuesday, February 3, 2015

বসন্তপর্যায় গেলো



বসন্তপর্যায় গেলো, আমাকে করলে না তুমি ভালো
আগ্রহ থেকে শুরু করে অবশেষে সঞ্চয়ে এলে
ফ্রীজের শরীরে অন্তর্মুখী হয়ে উঠেছে অক্ষর
ডিপ্রেশানে   ইনফিরিওরিটির

ডৌলেকিছুটা নিবেশ আর অনেকটা অতর্কিত
একদিন জটিলতা জন্মসিদ্ধ ছিল
সাইকোসিসের পাশে বেদানার মত
আর একদিন জন্ম এসে বসেছিল

ওভেনের পাশে 
জাহাজের ভাষার ওপর
জলের ইমিউনিটি নিয়ে

কোথাও প্রতীত হয়েছিল কুয়াশার দাগ
সুরম্য থেকে
সবিশেষ থেকে

বসন্তপর্যায় গেলো, আমাকে করলে না তুমি ভালো
শুধুমুধু স্বাতন্ত্র দিয়ে জেরবার করে দিয়ে গেলে
ফাল্গুন থেকে কাক ডাকছে একক একক
নেমপ্লেট থেকে ঝরছে স্মৃতি ও বর্ষাকাল

কীসের একক যদি সেটুকুই লুকিয়ে রইল
তবে পরিচয় কোনখানে থাকে
কোনখানে থাকে ইতস্তত
ভুলে যাওয়ার দিকে মাথার নিবেশ

স্বরের ভেতর খামোখাই যতি করে দিলে
ভোরকেও চিহ্ন করে দিলে

No comments:

Post a Comment