কেন এই পাতা

পানুর ইচ্ছা, লেখক হইবেন । বাঙালি, লেখক না হইতে পারিলে নমো নমো করিয়া পাতের সংস্থান যদি বা হয় জাত রক্ষা হয় না - যথা আঁটকুড়া কুলীন । পানু বিস্তর পরিশ্রম করিলেন । দিস্তা দিস্তা রচনাবলী, অমনিবাস চিবাইলেন । প্রথমে কাব্য টানিয়াছিল, কারণ রস - রসে পাঁউরুটি ভিজিল না । পানু ঘটা করিয়া কিছুদিন রবীন্দ্রসঙ্গীত লিখিলেন (ভেঙ্গেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতিরম্যায়, আট হাজার বাষট্টি টাকার দরজা, খর্চা কে দ্যায় ! অথবা, কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া, চৌমাথার মোড়ে দিব পেন্টুল খুলিয়া) হাউ হাউ করিয়া লোকে মারিতে আসিল । সমস্ত অবজ্ঞা করিয়া পানু লিখিয়া চলিলেন । যদ্যপি পানুর কলমের তোড়ে কাব্যলক্ষী কোঁ কোঁ, সম্পাদকের দপ্তরে চিঁড়া ভিজিল না । অতঃপর পানুর দুঃখে ব্যাবেজ সায়েব কম্পিউটার আবিষ্কার করিলেন । বাজারে ব্লগ আসিল । পানু ব্লগার হইলেন । এই পাতা পানুর পাতা । যা তা ।

Tuesday, May 31, 2011

শোনা কথা

কোথায় পড়েছিলাম মনে নেই ; সম্ভবত নৃপেন্দ্র কৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায়ের কোন লেখায় । কলকাতার এক বইদোকানে সান্ধ্য আড্ডা চলছে । মধ্যমণি মহাস্থবির জাতক খ্যাত প্রেমাঙ্কুর আতর্থী । তো, এক আড্ডাধারী সঙ্গে এক হিন্দি কবিকে নিয়ে হাজির হলেন । উত্তর প্রদেশের কবি । আড্ডা চলতে চলতে বাঙ্গালীর প্রিয় বিষয়ে পৌঁছাল -- তুলনা । কে বড় ? রবীন্দ্রনাথ বড় কবি না তুলসী দাস ।
ভয়ংকর তর্ক, প্রায় হাতাহাতির পর্যায়ে । অবশেষে প্রেমাঙ্কুর ঠুকলেন চ্যালেঞ্জ -- পারবি তুলসীদাসের নাম নিয়ে বড়রাস্তার মোড় অব্দি ন্যাংটো ঘুরে আসতে ? হিন্দি কবি বললেন -- তু পারবি (রবীন্দ্রনাথের নাম নিয়ে) ? প্রেমাংকুর তৎক্ষণাৎ জামা-কাপড় খুললেন ও জন্মদিনের পোষাকে টেনে দৌড়, মোড় ঘুরে ও ঘুরিয়ে তব্বে ফিরলেন । রবীন্দ্রনাথের শ্রেষ্ঠত্ব আরো একবার জগত্সভায় ... ইত্যাদি, প্রভৃতি ... ;-)

No comments:

Post a Comment