কেন এই পাতা

পানুর ইচ্ছা, লেখক হইবেন । বাঙালি, লেখক না হইতে পারিলে নমো নমো করিয়া পাতের সংস্থান যদি বা হয় জাত রক্ষা হয় না - যথা আঁটকুড়া কুলীন । পানু বিস্তর পরিশ্রম করিলেন । দিস্তা দিস্তা রচনাবলী, অমনিবাস চিবাইলেন । প্রথমে কাব্য টানিয়াছিল, কারণ রস - রসে পাঁউরুটি ভিজিল না । পানু ঘটা করিয়া কিছুদিন রবীন্দ্রসঙ্গীত লিখিলেন (ভেঙ্গেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতিরম্যায়, আট হাজার বাষট্টি টাকার দরজা, খর্চা কে দ্যায় ! অথবা, কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া, চৌমাথার মোড়ে দিব পেন্টুল খুলিয়া) হাউ হাউ করিয়া লোকে মারিতে আসিল । সমস্ত অবজ্ঞা করিয়া পানু লিখিয়া চলিলেন । যদ্যপি পানুর কলমের তোড়ে কাব্যলক্ষী কোঁ কোঁ, সম্পাদকের দপ্তরে চিঁড়া ভিজিল না । অতঃপর পানুর দুঃখে ব্যাবেজ সায়েব কম্পিউটার আবিষ্কার করিলেন । বাজারে ব্লগ আসিল । পানু ব্লগার হইলেন । এই পাতা পানুর পাতা । যা তা ।

Sunday, May 29, 2011

মৎস্য ধরিব খাইব সুখে

মাছ ধরা ; আর্যনীল
মাছ কোটা ; বারীন
সাবুর পাঁপড় ; আর্যনীল
মুইঠ্যা ; সব্য
খাদ্যযোগ ও ডেজার্ট ; শংকর


মাছ ধরা/ আর্যনীল মুখোপাধ্যায়

মাছ ধরা একটা শেখার জিনিস, সময় লাগে
যার অভাব সর্বত্র ছিলো
এখন যে অপেক্ষা শিখছি, মাছেদেরও বাদ দিয়ে

অতীত গেলাসে আর গলবে না
কোন রাস্তা আসবে না কোন জানলা
গানের ফেলা খোলসে এক ছটাক সুরগন্ধ নেই পর্যন্ত

কাহাদের বাসিতাম ভালো যাহারা জানে কে ভালো কিনা কোথায় !

এমন গিট উত্তেজনার সবখানে দেওয়া
একটা জাদুগর খুলতে লাগবে

মুখ খুঁজছি একটা ধুলো কাটিয়ে শিল্পমেলায়

ভাসতে ভাসতে গিয়ে সাগরকোমরে কোথায় ছিলো ভয় পাবার কথা

এই বারোটা পংক্তি হলো আজ এখনো দুটো বাকী

সর্বোচ্চ যে মেয়েটার হাসি ও পাখনা আছে, ঢেউ আছে
তার শরীরে বালি থাকুক পূর্ণিমা পর্যন্ত চাই

মাছ (কোটা) / বারীন ঘোষাল

যদি জীবনের কথা বলো
আর বলো মৎস্যপ্রণালী থেকে সমুদ্রের দিকে যেতে যেতে

তিনটি যুবতী থেকে তিনকিলো মাছের দূরত্ব
অব্দি রূপোলি গুণ খয়েরী বোঁটায় ঢেকে যায়
তুমি গাছ চেনো ফুল চেনো
ও হো !
কত চেনো প্রগলভ বাদামী !

তুমি মাছ ছাড়াতেও জানো
জানো জাপটে ধরে বাদ দিতে মেয়েমানুষের রূপোকথা
তিনটি যুবতী তবু রূপোলি আঁশের দিকে টানে

যদি জীবনের কথা বলো
সী বীচের ফুলবাগানের, তুমি, ওহো!
টপাটপ যত ছেঁড়ো
সব হাসি খয়েরী বোঁটায় ফিরে আসে ।


সাবুর পাঁপড়/ আর্যনীল মুখোপাধ্যায়



চিতল মাছের মুইঠ্যা/ সব্যসাচী সান্যাল





খাদ্যযোগ/ শংকর লাহিড়ী

খাওয়ার আগে যে ক্ষুধা, সেই হল প্রকৃত খাবার
তাকে খাও,--- একথাই মুখার্জীরা আমাকে বলেছে;
আমিও তো একথাই আক্ষরিক সত্য, এই জ্ঞানে
বসে আছি ।
নীরব আতার দেহে দাঁত বসাবার আগে থমকিয়ে, ভেবে,
আপেলের জেলি থেকে চামচ উঠিয়ে এনে, পুনরায় ভেবে,
ফলহীন র’য়ে গেছি, -- ফলভোগ মুখার্জী করেছে ।

একবার সে আমাকে ফলের আত্মার চেহারা
দেখালো সম্পূর্ণ, সেই স্রোতোধারা, ফলের নদীটি
ফলের পাহাড় থেকে নেমে এসে মিশে যায় ফলের সাগরে;
অতঃপর রোদের কিরণে
তারই নীল আত্মা উড়ে মহাকাশে গিয়ে মিশে যায় ।
--- শুনে আমি মুগ্ধ হই, আমি তাকে প্রণিপাত করি ।

এখন রয়েছি ব’সে, অপেক্ষায় নয় আর, শুধু এই গভীর আশ্বাসে ;
বস্তুতঃ একলা নয়, রয়েছে আমাকে ঘিরে আত্মাদল অসংখ্য বিপুল,
তাদের কোনটা ফুল, কেউ ফল, ন্যাশপাতি, আপেল;
-- ঐ মহাকাশ থেকে আমাকে স্নিগ্ধ করে বেদানার অমর আত্মারা ।

No comments:

Post a Comment