কেন এই পাতা

পানুর ইচ্ছা, লেখক হইবেন । বাঙালি, লেখক না হইতে পারিলে নমো নমো করিয়া পাতের সংস্থান যদি বা হয় জাত রক্ষা হয় না - যথা আঁটকুড়া কুলীন । পানু বিস্তর পরিশ্রম করিলেন । দিস্তা দিস্তা রচনাবলী, অমনিবাস চিবাইলেন । প্রথমে কাব্য টানিয়াছিল, কারণ রস - রসে পাঁউরুটি ভিজিল না । পানু ঘটা করিয়া কিছুদিন রবীন্দ্রসঙ্গীত লিখিলেন (ভেঙ্গেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতিরম্যায়, আট হাজার বাষট্টি টাকার দরজা, খর্চা কে দ্যায় ! অথবা, কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া, চৌমাথার মোড়ে দিব পেন্টুল খুলিয়া) হাউ হাউ করিয়া লোকে মারিতে আসিল । সমস্ত অবজ্ঞা করিয়া পানু লিখিয়া চলিলেন । যদ্যপি পানুর কলমের তোড়ে কাব্যলক্ষী কোঁ কোঁ, সম্পাদকের দপ্তরে চিঁড়া ভিজিল না । অতঃপর পানুর দুঃখে ব্যাবেজ সায়েব কম্পিউটার আবিষ্কার করিলেন । বাজারে ব্লগ আসিল । পানু ব্লগার হইলেন । এই পাতা পানুর পাতা । যা তা ।

Thursday, June 2, 2011

স্পৃহা

নিজের কাছেই ফিরে আসি
ঘাড় গুঁজে বসে আছে দিশা ও বিদিশা
খুব রাত্রি হয়
ঝিম ধ’রে গোটানো কপাটে

আঙ্গুল থেকে ছাড়িয়ে আনি জড়তা
শাদা প্লেটে রাখি
মূল্যবান করি

ভোর হয়
আলো ছপছপ ক’রে ঢোকে আমার প্রতিবিম্ব
তার প্রকাশ ভঙ্গিমা
ভাবি কোথায় লেগেছে অসামান্য আলস্যঋতু

যাবতীয় মৌল, মৌলের অকারণগুলি
ফিরে এল
তবু মায়াটি এল না

দু’একটা দেখার মধ্যে বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকে
দু’একটা শোনার ভেতর চলে যাওয়ার শব্দ

প্রতিধবনির মধ্যে ঢুকে যাই
বেজে উঠি ফাঁকা মানুষের নিরালম্ব স্পৃহা

No comments:

Post a Comment