কেন এই পাতা

পানুর ইচ্ছা, লেখক হইবেন । বাঙালি, লেখক না হইতে পারিলে নমো নমো করিয়া পাতের সংস্থান যদি বা হয় জাত রক্ষা হয় না - যথা আঁটকুড়া কুলীন । পানু বিস্তর পরিশ্রম করিলেন । দিস্তা দিস্তা রচনাবলী, অমনিবাস চিবাইলেন । প্রথমে কাব্য টানিয়াছিল, কারণ রস - রসে পাঁউরুটি ভিজিল না । পানু ঘটা করিয়া কিছুদিন রবীন্দ্রসঙ্গীত লিখিলেন (ভেঙ্গেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতিরম্যায়, আট হাজার বাষট্টি টাকার দরজা, খর্চা কে দ্যায় ! অথবা, কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া, চৌমাথার মোড়ে দিব পেন্টুল খুলিয়া) হাউ হাউ করিয়া লোকে মারিতে আসিল । সমস্ত অবজ্ঞা করিয়া পানু লিখিয়া চলিলেন । যদ্যপি পানুর কলমের তোড়ে কাব্যলক্ষী কোঁ কোঁ, সম্পাদকের দপ্তরে চিঁড়া ভিজিল না । অতঃপর পানুর দুঃখে ব্যাবেজ সায়েব কম্পিউটার আবিষ্কার করিলেন । বাজারে ব্লগ আসিল । পানু ব্লগার হইলেন । এই পাতা পানুর পাতা । যা তা ।

Sunday, November 30, 2014

বসন্ত আরো



বসন্তপর্যায় গেল আমাকে করলে না তুমি ভালো
সাদা ভাতে খয়রা মাছের ঝোলে ডুব
দিলে একটা অনিচ্ছায় মাছেরই মতন
সাঁতারে বেড়ালে  ঘুলঘুলি ফাঁক করে ফুটল কুসুম
কুসুম ডিম আর বেড়ালের অনিশ্চয়টুকু

যেটুকু পার্থিব আর মিস্টার পারেখ মিসেস পারেখ
আর বেহালার ছড়ে রজনের বাস
থেকে  দাম্পত্যদানি থেকে
সলিউশানের দিকে  বিভাজন রেখে

কিছুটা শান্তি তবে রেখেছিলে রিজার্ভ
ফরেস্টে ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখেছিলে বনের
নীবার ধান আর অঘ্রাণের ডাল থেকে
উড়াল দিচ্ছে  চৈত্রের মত পেটিকোট

No comments:

Post a Comment