কেন এই পাতা

পানুর ইচ্ছা, লেখক হইবেন । বাঙালি, লেখক না হইতে পারিলে নমো নমো করিয়া পাতের সংস্থান যদি বা হয় জাত রক্ষা হয় না - যথা আঁটকুড়া কুলীন । পানু বিস্তর পরিশ্রম করিলেন । দিস্তা দিস্তা রচনাবলী, অমনিবাস চিবাইলেন । প্রথমে কাব্য টানিয়াছিল, কারণ রস - রসে পাঁউরুটি ভিজিল না । পানু ঘটা করিয়া কিছুদিন রবীন্দ্রসঙ্গীত লিখিলেন (ভেঙ্গেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতিরম্যায়, আট হাজার বাষট্টি টাকার দরজা, খর্চা কে দ্যায় ! অথবা, কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া, চৌমাথার মোড়ে দিব পেন্টুল খুলিয়া) হাউ হাউ করিয়া লোকে মারিতে আসিল । সমস্ত অবজ্ঞা করিয়া পানু লিখিয়া চলিলেন । যদ্যপি পানুর কলমের তোড়ে কাব্যলক্ষী কোঁ কোঁ, সম্পাদকের দপ্তরে চিঁড়া ভিজিল না । অতঃপর পানুর দুঃখে ব্যাবেজ সায়েব কম্পিউটার আবিষ্কার করিলেন । বাজারে ব্লগ আসিল । পানু ব্লগার হইলেন । এই পাতা পানুর পাতা । যা তা ।

Wednesday, November 12, 2014

বসন্তপর্যায় গেল আমাকে করলে না তুমি ভালো (তিন স্বদেশ)



বসন্তপর্যায় গেল আমাকে করলে না তুমি ভালো
আমি যন্ত্রণার ভিতরে সেঁধিয়ে যেতে যেতে বুঝতে পারছিবেঁচে আছি
আর হতাশার ভেতর সেঁধিয়ে যেতে যেতে বুঝতে পারছিবেড়ে উঠছি
কলমের রেখা ও ফলন দুই আমাকে
পেড়ে ফেলছে অংকে  করুণায়
শেষ পর্যন্ত
যা মিলল না তাই অংক আর
যা মিলে গেল সেই কবিতা

এ-সব তোমার কথা-- আমাকে শুনিও না

আমি বরং মদের গ্লাস ঠোঁটে
তুলে কফির প্রত্যাশা করি
মাথাব্যথায় আর সবুজ সংবেদ
লিখতে লিখতে ফিকে ও হলুদ হয়ে আসে
আমি রিয়েল এস্টেট আর ট্যাক্স সেভিংস
খুব জাহ্নবী জাহ্নবী ...
লিঙ্কন কবরে চামেলির রেণু
ওহো গোরস্থান মানে কী মানুষের পেচ্ছাপও পাবে না
সংবদ্ধ পাকুড় থেকে বসন্তপর্যায়
দেয়াল টপকে আমলা বনের
দিকে ফল শেষ আর
চাগিয়ে ওঠা ফাঁক ফোকর
নুনের খাড়ির পাশে বেঁটে মানুষের
সন্দর্ভ জোয়ান হয়ে এল
একটা কামিনী থেকে অনেকটা ঝরে
আলগা  পৃথিবী  আমাকে করলে নারে ভালো


 বসন্তপর্যায় গেল আমাকে করলে না তুমি ভালো
শীতের প্রাক্কালে ঘুঘু ডাকছিল টারটল ডাভ
ওদিকে কিছুটা তো
ফাঁদ ও ডেকেছিল
মাতমে কাতানে বেনারস থেকে আলগা ডেকেছিল
ঘুণ ও চলন আর মলিন মলম
আমি তো ইমোশানে  গুটিয়ে গেলাম
এমনকি শিশ্নসমেত    বাতাবরণে
ঘামে   মোটা হাওয়া বসল অকস্মাৎ
রূহ আর রূহ
আর মানে ঘিয়ের চাপাটি
কাঁচা অরহড় দাল রসুনে রসুনে
খিদে পায়  বাঞ্চোত  বসন্তবনে
ডাগর বসন্ত         আমি
শীর্ণতার ভেতর নামিয়ে দেখছি পা
গভীরতা কতটা ডিসেপ্টিভ
ভাবনার ইকোগুলি
ফিরে আসছে
দুপুর গড়িয়ে ক্ষীণ     বসন্তপর্যায়
সেও স্নান ফান সেরে  উঠে আসছে
ফাঁদ থেকে


 বসন্তপর্যায় গেল আমাকে করলে না তুমি ভালো
সিল্যুয়েট থেকে নেমে গেলে
কাঁড়ি কাঁড়ি ছায়াতে নেমে গেলে
মাচান থেকে ছিটকে পড়ল শসা
আর শসার ধারণা
সালাদ অয়েলে   লেবুর নির্যাসে
সেখানে মেধার জিভ ফুটে আছে
আর খুব অধরা বাজারে  কৃতি ও কার্পণ্য
ত্রাসে ত্রাসে জোকার হিলছে
ফণাখানা নিমজ্জ রেখে
আমাকে তো ঘুরে তুমি দেখলে না
আমার পিঠের দাগ তোমার সুমুখে তাই
চক্কর কাটল হে  কানপুরে দেবা শরীফের
কাঁচা রাস্তায়  কত  প্লব হয়ে উঠেছে প্রকৃতি
তরই ফুলের পাশে সারাটা ছায়ায় তুমি
বসিয়ে রাখলে বেখেয়াল
সিল্যুয়েট থেকে নেমে গেলে আমার
নির্যাস থেকে খুব নেমে গেলে...

No comments:

Post a Comment