কেন এই পাতা

পানুর ইচ্ছা, লেখক হইবেন । বাঙালি, লেখক না হইতে পারিলে নমো নমো করিয়া পাতের সংস্থান যদি বা হয় জাত রক্ষা হয় না - যথা আঁটকুড়া কুলীন । পানু বিস্তর পরিশ্রম করিলেন । দিস্তা দিস্তা রচনাবলী, অমনিবাস চিবাইলেন । প্রথমে কাব্য টানিয়াছিল, কারণ রস - রসে পাঁউরুটি ভিজিল না । পানু ঘটা করিয়া কিছুদিন রবীন্দ্রসঙ্গীত লিখিলেন (ভেঙ্গেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতিরম্যায়, আট হাজার বাষট্টি টাকার দরজা, খর্চা কে দ্যায় ! অথবা, কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া, চৌমাথার মোড়ে দিব পেন্টুল খুলিয়া) হাউ হাউ করিয়া লোকে মারিতে আসিল । সমস্ত অবজ্ঞা করিয়া পানু লিখিয়া চলিলেন । যদ্যপি পানুর কলমের তোড়ে কাব্যলক্ষী কোঁ কোঁ, সম্পাদকের দপ্তরে চিঁড়া ভিজিল না । অতঃপর পানুর দুঃখে ব্যাবেজ সায়েব কম্পিউটার আবিষ্কার করিলেন । বাজারে ব্লগ আসিল । পানু ব্লগার হইলেন । এই পাতা পানুর পাতা । যা তা ।

Wednesday, October 14, 2015

কিছু শোনা, বাকী বোনা




পরামাণিকের পো, যারে কয় স্বভাব-কবি। ছুতোরকে দেখলে এই বলল-- ওরে ও ভাই ছুতোর/ তোর কিসের চাপান উতোর, তো ওই রোগা কামারকে দেখে ফুট কাটলো-- সোনাই পোনাই কামার/ হাপর কি তোর মামার?/ক্যাংটা হাতে পেটাস লোহা/ শব্দ বেরোয় তামার। 

পাড়ার গয়লা কালো, কবি না হলেও কবিতা পড়ে, প্রিয় কবি শ্রী শ্রী অবোধ সরকার। একদিন, তাকেও পরামাণিকের পো দিয়ে বসল খোটা—“মিশকালো গয়লা, গায়ে বড় ময়লা। গয়লা তো ক্ষেপে যাকে বলে ক্ষীণ! সেও গলা কাঁপিয়ে রিটালিয়েট করল –“নাপিতের পোঙ্গায় ডান্ডা! পরামাণিক তো হেসে খুন, বলে মিললো না তো। গয়লা বললো—“তাতে কী? লাগলো তো? 

No comments:

Post a Comment