কেন এই পাতা

পানুর ইচ্ছা, লেখক হইবেন । বাঙালি, লেখক না হইতে পারিলে নমো নমো করিয়া পাতের সংস্থান যদি বা হয় জাত রক্ষা হয় না - যথা আঁটকুড়া কুলীন । পানু বিস্তর পরিশ্রম করিলেন । দিস্তা দিস্তা রচনাবলী, অমনিবাস চিবাইলেন । প্রথমে কাব্য টানিয়াছিল, কারণ রস - রসে পাঁউরুটি ভিজিল না । পানু ঘটা করিয়া কিছুদিন রবীন্দ্রসঙ্গীত লিখিলেন (ভেঙ্গেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতিরম্যায়, আট হাজার বাষট্টি টাকার দরজা, খর্চা কে দ্যায় ! অথবা, কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া, চৌমাথার মোড়ে দিব পেন্টুল খুলিয়া) হাউ হাউ করিয়া লোকে মারিতে আসিল । সমস্ত অবজ্ঞা করিয়া পানু লিখিয়া চলিলেন । যদ্যপি পানুর কলমের তোড়ে কাব্যলক্ষী কোঁ কোঁ, সম্পাদকের দপ্তরে চিঁড়া ভিজিল না । অতঃপর পানুর দুঃখে ব্যাবেজ সায়েব কম্পিউটার আবিষ্কার করিলেন । বাজারে ব্লগ আসিল । পানু ব্লগার হইলেন । এই পাতা পানুর পাতা । যা তা ।

Sunday, September 20, 2015

গোয়েন্দা গল্প -১



লাউমাচার পেছনে সূর্য ডোবে গোয়েন্দা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেন তার আভা মাটি ফুঁড়তে ফুঁড়তে ঢুকে যায় তামাশারঙ্গা কেঁচো গোয়েন্দা দেখেন নীহারিকা অব্দি তাঁর দৃষ্টি তদারক করে ছায়ার নোনা হাওয়ায় দৌঁড়ে যাওয়া মানুষ বিস্মিত করে তাঁকে হাতে চায়ের মগ তুলে নিতে নিতে তিনি তারও তদারকি করেন দূরে বন্দরের আলো মুখে বসন্তের দাগওলা মানুষেরা তাস পেটায় এনামেল একটা প্রতিধ্বনি জলের ভেতরে ডোবে গোয়েন্দা মানুষের ধর্মের কথা ভাবেন গোয়েন্দা বোঝেনঠিক যেখানটায় ঘোড়ার পিঠ থেকে পড়ে যায় মানুষ, সেখানটাই মানুষের অবস্থানযা ক্রমে স্বপ্নে চেতনে সহজাত হয়ে ওঠে 

No comments:

Post a Comment