কেন এই পাতা

পানুর ইচ্ছা, লেখক হইবেন । বাঙালি, লেখক না হইতে পারিলে নমো নমো করিয়া পাতের সংস্থান যদি বা হয় জাত রক্ষা হয় না - যথা আঁটকুড়া কুলীন । পানু বিস্তর পরিশ্রম করিলেন । দিস্তা দিস্তা রচনাবলী, অমনিবাস চিবাইলেন । প্রথমে কাব্য টানিয়াছিল, কারণ রস - রসে পাঁউরুটি ভিজিল না । পানু ঘটা করিয়া কিছুদিন রবীন্দ্রসঙ্গীত লিখিলেন (ভেঙ্গেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতিরম্যায়, আট হাজার বাষট্টি টাকার দরজা, খর্চা কে দ্যায় ! অথবা, কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া, চৌমাথার মোড়ে দিব পেন্টুল খুলিয়া) হাউ হাউ করিয়া লোকে মারিতে আসিল । সমস্ত অবজ্ঞা করিয়া পানু লিখিয়া চলিলেন । যদ্যপি পানুর কলমের তোড়ে কাব্যলক্ষী কোঁ কোঁ, সম্পাদকের দপ্তরে চিঁড়া ভিজিল না । অতঃপর পানুর দুঃখে ব্যাবেজ সায়েব কম্পিউটার আবিষ্কার করিলেন । বাজারে ব্লগ আসিল । পানু ব্লগার হইলেন । এই পাতা পানুর পাতা । যা তা ।

Monday, December 8, 2014

দু'বসন্ত



বসন্তপর্যায় গেল আমাকে করলে না তুমি ভালো
নিখিল কে নিহিল করলে সন্দেহে  সন্দেহে

হয়ত দেখার ভুল তবুও দেখতে
পাই নিহিল বিশ্বেও  জল পড়ে পাতা নড়ে
ফুল ফোটে চাঁদ ওঠে  বিশেষ্য ক্রিয়াশীল হয়

গতির নিয়মের বিপরীতে গিয়ে
কিছুটা তো প্রামাণ্য পায়

আর তুমি স্ক্যান্ডাল নীল জলে স্নান করে
পরিচ্ছন্ন  হয়ে ওঠ
শিস দিতে দিতে ম্যাটারনিটি ওয়ার্ড
পার হও   চাবি খুলে ঢুকে যাও লাভ হোটেলে


বসন্তপর্যায় গেল আমাকে করলে না তুমি ভালো
বস্তুবাদে আক্রান্ত হয়েও কেমন বস্তু থেকে ক্ষমা
চেয়ে  নিষ্ক্রান্ত হলে 
ওবেসিটি ক্লিনিকের কুড়াদানি স্নেহ থেকে
এথিক্যাল ক্লিয়ারেন্সের নখড়া
টপকে  তাকে কোলাজিনেস দিলে স্টেম সেল
যত্নে তুললে কালচার ডিশে  মানে বরণ করলে    যাকে বলে
তেল ও সিন্দুর সহ দূর্বা ও চন্দনে
মিডিয়াম থেকে ছুটে যাচ্ছে সিগন্যাল
রিসেপ্টরের দিকে

কোষের নিজেরই এক এথিক্যাল প্রশ্নপত্রে
সায় দিতে ধরাশায় দিতে...

No comments:

Post a Comment