কেন এই পাতা

পানুর ইচ্ছা, লেখক হইবেন । বাঙালি, লেখক না হইতে পারিলে নমো নমো করিয়া পাতের সংস্থান যদি বা হয় জাত রক্ষা হয় না - যথা আঁটকুড়া কুলীন । পানু বিস্তর পরিশ্রম করিলেন । দিস্তা দিস্তা রচনাবলী, অমনিবাস চিবাইলেন । প্রথমে কাব্য টানিয়াছিল, কারণ রস - রসে পাঁউরুটি ভিজিল না । পানু ঘটা করিয়া কিছুদিন রবীন্দ্রসঙ্গীত লিখিলেন (ভেঙ্গেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতিরম্যায়, আট হাজার বাষট্টি টাকার দরজা, খর্চা কে দ্যায় ! অথবা, কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া, চৌমাথার মোড়ে দিব পেন্টুল খুলিয়া) হাউ হাউ করিয়া লোকে মারিতে আসিল । সমস্ত অবজ্ঞা করিয়া পানু লিখিয়া চলিলেন । যদ্যপি পানুর কলমের তোড়ে কাব্যলক্ষী কোঁ কোঁ, সম্পাদকের দপ্তরে চিঁড়া ভিজিল না । অতঃপর পানুর দুঃখে ব্যাবেজ সায়েব কম্পিউটার আবিষ্কার করিলেন । বাজারে ব্লগ আসিল । পানু ব্লগার হইলেন । এই পাতা পানুর পাতা । যা তা ।

Thursday, October 16, 2014

একটা লেখা

যে তুমি ভুল করে ঢুকে পড় কানকোয়
আর পাথরের ভেতর নিবিষ্ট টহল
আর অনুভূতি থেকে ছিটকে যেতে যেতে
যন্ত্রণা কে অতীত করে তোল

অসুখে উপশমে

আমরা কাল বড় হয়ে উঠছিলাম রোদে
আজ উপকূল থেকে উপদ্রুতি
সংবর্ত আসার কথা তাই
কাঁথা শুকাতে দেয়া হয়নি

টিনের মুড়ি মিইয়ে আসছে

জল যাকে ভোগ্য করে তোলে
আর স্থিতি থেকে যে পা সরিয়ে নেয়
ভুল যে তার নিজেরই বিন্যাসে স্যাক্রিলেজের
মতই মহান হয়ে উঠবে

এ কথা চিরপাথরের নয়

এ ব্যাধি সুরকি চুন খয়ের গুড় ও বালির
ধারণায় লেগে থাকে যৌবন পায় ক্রমশ বছরে
রোঁয়া ওঠে সন্দেহ পাপবোধ প্রশ্ন ও বিস্ময় – এই ক্রমে
কাঠের উনুনে ধোঁয়া ও অবয়ব

নির্মাণ আমাকে অস্থির করে আর ভালো রাখে শংকা-কাঁপনে

কীটনাশকের বোতল খুব থেকে যায়
অব্যবহৃত মানুষের কাছে বিপন্নতা
নিয়ে কথা হয়েছিল আর বছর
তবে সীতাপূর রোডে চলতি বাইকে মনে

হল পেরিয়ে তো এলাম অনেক আলস্য ফেরাও হাতে

বারবার করে বেশ অবসর করে
ব্রীজের তলায় সবুজ দানোর কাছে
ভিড় করে ভক্ত ও ক্রেতা
চায়ের দোকানের পেছনে বেয়ারিশ

জলে ডোবা পোড়ে মৃতদেহ স্তিমি স্তিমি ডিকশানে

উৎপ্রেক্ষারহিত আমি ঘুমিয়ে
ঘুমিয়ে কাজে কামে যাই
ফিরি অভ্যাস নিজের মতই জেগে
অন্বয় ফেলে স্বীকারোক্তি ফেলে

No comments:

Post a Comment