কেন এই পাতা

পানুর ইচ্ছা, লেখক হইবেন । বাঙালি, লেখক না হইতে পারিলে নমো নমো করিয়া পাতের সংস্থান যদি বা হয় জাত রক্ষা হয় না - যথা আঁটকুড়া কুলীন । পানু বিস্তর পরিশ্রম করিলেন । দিস্তা দিস্তা রচনাবলী, অমনিবাস চিবাইলেন । প্রথমে কাব্য টানিয়াছিল, কারণ রস - রসে পাঁউরুটি ভিজিল না । পানু ঘটা করিয়া কিছুদিন রবীন্দ্রসঙ্গীত লিখিলেন (ভেঙ্গেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতিরম্যায়, আট হাজার বাষট্টি টাকার দরজা, খর্চা কে দ্যায় ! অথবা, কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া, চৌমাথার মোড়ে দিব পেন্টুল খুলিয়া) হাউ হাউ করিয়া লোকে মারিতে আসিল । সমস্ত অবজ্ঞা করিয়া পানু লিখিয়া চলিলেন । যদ্যপি পানুর কলমের তোড়ে কাব্যলক্ষী কোঁ কোঁ, সম্পাদকের দপ্তরে চিঁড়া ভিজিল না । অতঃপর পানুর দুঃখে ব্যাবেজ সায়েব কম্পিউটার আবিষ্কার করিলেন । বাজারে ব্লগ আসিল । পানু ব্লগার হইলেন । এই পাতা পানুর পাতা । যা তা ।

Tuesday, March 25, 2014

লেখা



হে প্রজ্ঞাশীল হে আলোকপুরিয়া
আমি অন্ধকার
আমার করুণা থেকে বঞ্চিত হয়ো না ।
--
ভুলে ফেলা পথে টোটেম বাইকার
দিন যায়, দিনের প্রতিবেশী সেও যায়
রক্ষণশীল ভুল
অঘোর করুণা পথে অকপট ধাতুর শরীর
কেন বোঝো নাই, অবসাদ এক ব্যাপ্ত ইন্দ্রিয়
আমাদের বাগানেও চূর্ণতা ছিল
জমিয়ে রাখার মত দাঁতের ফিলিং
--
কিছু ফুটপ্রিন্ট রেখে যাব শুকরের মেদে
এর বেশী প্রত্যাশা কোরো না ।

এখন জলের শেষ, কার্বন, গণিত
আমাদের প্রচলনে অপচয় আছে
ভুল আছে, লোভের মহড়ায় হেরে যাওয়া
সন্ততি ও তাদের শ্রেণীসংগ্রাম
যেভাবে দক্ষতা ভাবি সেভাবেই তোমারও
কথা ভাবি হে আরাধ্য ক্লজেটকঙ্কাল
--
মনে রেখ গুহাচিত্র, মনে রেখ ইডিয়মসমৃদ্ধ ভাষা
গীর্জার চূড়া থেকে খসে পড়তে পড়তে
বাঁকের কাছে ঝুঁকে আসতে আসতে
ফলিত স্পৃহায় মনে রেখ
আমার তো কথা নেই, কিছু নেই বলবার মত
ফলে আমাকেই যেমন তেমন করে
মনে রেখ
বিরতির কাছে এসে
চিহ্নের সবল হয়ে ওঠা
দ্বিধার বিপক্ষে যারা থাকে
তাদের আয়নায় পরিচয় ওঠেনি কোনদিন
বলিরেখার কাছে গভীরতা দাবি করা মুখ
আমিও তোমাকে ভুলব না
--
শুধু ভয় হয়
যদি পদ্ধতিই বড় হয়ে ওঠে
ঢেকে ফেলে সমস্ত সন্দেহ
আমার দীর্ণতা থেকে  মুক্ত হয়ে যায় ছায়া
ছায়ার ফাটল
হে ক্লজেটকংকাল
সংশয় আমাকে সুস্থ রেখেছে
জল ও কাপড়
আর তার ভারসাম্যহীন স্মৃতি
এই সব গভীর আমার
ডুব দাও, ঘাই মারো
মাপতে এস না ।
--
তবুও দৃশ্যের কাছে ঋণী
আমি তো  অনির্দেশ
চেয়ে গেছি
চিহ্নের কাছে,  তার ত্রুটিদের কাছে
অস্বীকারের চেয়ে প্রামাণ্য আর কিছু নেই
এ কথা জেনেও গর্তে হাত ভরে
খেলাপ ধরিনি  
যখন দৃঢ় হয়ে ওঠে আলো
নাব্যতা ভুলে, জ্বলে ওঠে জানলার ছায়া
শীত শীত করে
চাদর টেনে নিই

No comments:

Post a Comment