কেন এই পাতা

পানুর ইচ্ছা, লেখক হইবেন । বাঙালি, লেখক না হইতে পারিলে নমো নমো করিয়া পাতের সংস্থান যদি বা হয় জাত রক্ষা হয় না - যথা আঁটকুড়া কুলীন । পানু বিস্তর পরিশ্রম করিলেন । দিস্তা দিস্তা রচনাবলী, অমনিবাস চিবাইলেন । প্রথমে কাব্য টানিয়াছিল, কারণ রস - রসে পাঁউরুটি ভিজিল না । পানু ঘটা করিয়া কিছুদিন রবীন্দ্রসঙ্গীত লিখিলেন (ভেঙ্গেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতিরম্যায়, আট হাজার বাষট্টি টাকার দরজা, খর্চা কে দ্যায় ! অথবা, কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া, চৌমাথার মোড়ে দিব পেন্টুল খুলিয়া) হাউ হাউ করিয়া লোকে মারিতে আসিল । সমস্ত অবজ্ঞা করিয়া পানু লিখিয়া চলিলেন । যদ্যপি পানুর কলমের তোড়ে কাব্যলক্ষী কোঁ কোঁ, সম্পাদকের দপ্তরে চিঁড়া ভিজিল না । অতঃপর পানুর দুঃখে ব্যাবেজ সায়েব কম্পিউটার আবিষ্কার করিলেন । বাজারে ব্লগ আসিল । পানু ব্লগার হইলেন । এই পাতা পানুর পাতা । যা তা ।

Wednesday, January 15, 2014

একটা লেখা



(১১ মাস না লেখা না পড়ার পর যা হয় আর কী ! মর্চে ধরে... )

শীত লাগে, জাড়া লাগে, ঘোরকালো আকাশী প্রদেশে এবছর বৃষ্টি হয় ভারী
কুয়াশাও পর্যুদস্ত করে
ভাবি যদি কুড়িয়ে পেতাম উৎপল বাবুবসন্ত দিনের চটি
মরিয়ম, এ আকাঁড়া রিলিপে লিখতে পারতুম আবার কোলাপুরী সিরিজ

নেহাত সময় নেই, তাই গান নেই
উপমার গতি নিয়ে খুব সন্দিহান
ব্যায়লাবাদক         রিপু করে কদ্দিন চলবে
প্রভাতে প্রভাতে  কাঁচা হলুদ ও মাউথওয়াশ
মাইকামাইন পার করা হাসি ঝানু ও অপ্রাঞ্জল
--
কাকে ছুঁয়ে আছ
তোমাকে ছুঁয়েছে তার প্রবেশপ্রণালী
ছত্রাকে জিন দিয়ে বসে আছে ক্ষয়
দেখ তার জানুদেশ লাল

এই রাত্রি এই তার নিয়মের খোল
পরতে পরতে আমাদের জমে থাকা
বিস্ময় নিয়ে কোথাও আর কেউ কথা বলবে না
তোমারও কমিক লাগে তোমারও রিলিফ লাগে
প্রয়োজন নিয়ে কথা ব্যাথা ঘন লাগে
বারান্দার থেকে ঘুরে এলে 
ঘাড় গুঁজে বসে থাকলে
আলগা করে দিলে অনস্তিত্বকে
আর ছুঁয়ে থাকলে না নিজের আঙ্গুল
তবে রাত ...
--
কেন না রাত
কেন কীনা ভেজা রিক্সায়
মুছে ফেলা তেঁতুলগাছের ছায়া
ঘুম ফুঁড়ে বেগে ছত্রাখান
দুলদুলের সাদামাঠা ঘোড়া
প্রশ্ন কমন পড়ে অথচ উত্তর
কেমন প্রশ্ন এড়িয়ে   ভেসে যায়
ভেসে ভেসে যায়
--
(অন্তরা)

রাত লেগে তোর চোখের বালিতে
রাত লেগে তোর সোহাগ নালিতে
আমার গন্ধ ফুরিয়ে আসছে
তুঁতবনে

রাত লেগে তোর হাড়ের কালিতে
রাত লেগে তোর ভিতরখালিতে
আমার জন্ম হারিয়ে যাচ্ছে
প্রাণপণে
--
ইয়ে রাত খুশনসীব হ্যায়

             নষ্ট হয়ে যাই প্রভু
হেভেনে হেভেনে
চিকচাক চিকচাক ম্যারাকাস বাজে
কোমরমন্থন
ক্ষীন ও অপসৃয়মান গাঁড়ের কলিজা প্রভু
(দোষ নিও না)
ক্রাইসিস মাত্রেই পোস্টমডার্ণ   বোধ হয়
--
তবে বাস্তবায়িত হও
হে তাৎপর্যহীন শৌখিন বায়ু
কিছু দয়া ফেলে যাও   গুড়তামাকের ঝুলি
বাতাসতাড়িত স্পৃহা
ইগো ও করুণা
কনফ্লিক্টজনিত  চালু চরাচর
ছন্দে লেখার মত
কিছু কিছু শৌখিন স্পৃহা
--
হে বিপুল সদ্ভাবনা   নিরন্তর ক্রুর কলকাঠি
নিকষ মর্মে বেঁধা  স্থুল ফটকিরি
দ্যাখো ঐ রৌদ্রে গরাদে    উবু মালিকানা
বিশেষিত কনুই সমেত হাত, হাতঘড়ি
--
তবে অপচয় বুঝি, বুঝি ধারামুক্ত ধারাবিবরণী
আর্তি নাজুক অর্থে  ধাতুমনস্কতা
চিরুণিতল্লাশে ফাঁকতালে ধরা পড়া
মোমের ইশকুল
এক উৎকীর্ণ ভাবগাছ থেকে অপার স্থলের
 দিকে কাপাস যাত্রা
--
ইয়ে রাত ভিগি ভিগি

ফলে কার্পন্য ভুলি
কল্যানমস্তু
গৃহীর গোয়ালে বোলেরো
গাভীন হোক      ভরে যাক পেট্রোপয়োধি
--
অদম্য মাংস পোড়ে মেচেতার মর্মে
সংহত মাংসে কমনীয় কূটমন্ত্রণা
ভুল হয়,    ভালো হয় সার্বজনীন
বিপথিক জাঁতাকলে নিশ্ছিদ্র ঘুম হয়
ঘুম থেকে উঠে ভাবি--

যাকে জন্ম বলি সেও এক পথ মাত্র
অপূর্ণতার কাছে বন্ধক রাখা এক মূক তাঁতকল
--


কিছুটা অনুসৃজন যাকে বলে সেরকম

মানে রাত,
মানে দেখা যাচ্ছে না কিছুই গ্যাসবাতি নেই এই তল্লাটে
তবু
ঘোড়াবাদাম গাছ কাঁটাফল বিছিয়ে রেখেছে
এ আমার নাক ঠিক বোঝে

রাত কে রাত পা বাঁচিয়ে চলি

ওপারের বাগানে আপেলফুলের দিন জেগে ওঠে

পড়ন্ত ভিস্যুয়াল-এ ঢুঁ মেরে আসা
লোহিত ফড়িং
--
যেন কেজো কথা
যেন শনাক্তকরণ এই মাঝরাতে
বিবৃত হয়ে যাও তাও ভ্যালা
বিবৃতি মিবৃতি দিতে যেও না মাইরি
অবান্তরতার সপক্ষে ঘাই মারা মানে মামু
অনন্তজোখিম
সব পাখি ঘরে ফেরে
যে পাখি ফেরে না সে শালার চোদ্দগুষ্টি পক্ষীই নয়
কহতব্য নয়

প্রভু রূপচাঁদ কি কবহুঁ ঘরে ফিরিয়াছিলেন ?

অ্যাট লিস্ট রাতে ?
--
ফলে মিস্টির শো-কেসে
ঝুলিয়ে রাখছি ভেনেশিয় খড়খড়ি
মাছি তো গন্ধে আসে
মানুষ বিজ্ঞাপনে
যাগগে ভালোই হল এগদিকে
অক্ষরবৃত্ত ও ছন্দহীন কবিতায়
কার্ডিয়াক অ্যারিদমিয়া হতে পারে
মিস্টার সচদেবের পার্টিতে
ডঃ নরেশ কুন্ডু বলছিলেন
কালও ফ্রয়েড সায়েব বিপিনবিহারী হলে ...

যাকে বলে ধর্মের কল
বাতাসেও নড়ে      ভ্যাকিউমে আরো বেশী নড়ে

(বাকী সব কল একানড়ে; ঘেঁটে গেল জানি,  তবু ঠিক, জানেনই তো, সামলাতে পারলুম না)

--

তো যা বলছি, যে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে দেখতে গিয়ে বুঝলাম, শালা সব ভোঁ ভাঁ কেউ কোত্থাও নেই । একটা ব্যবসা ব্যবসা গন্ধ ঘুরছিলো ঠিকই কিন্তু সে যেন পেন্সিলের পদপ্রান্তে কালোছোপ ঘেউ । হেই মা জিন্ময়ী ইকি গ্যাঁড়া, ইকি ঘটকর্পূর কেস !

অথচ আমি দেখতে পাচ্ছিলাম এক ঘনগাছ সমস্ত ডগ যার শীতে পুড়ে কালোযেন এক একটি পাখি সবুজ ফাটিয়ে এসে স্থানু বসে আছে আর এক খাদক স্প্যারো হক (শিকরে) বার বার ঝাঁপিয়ে পড়ছে, শেষ মুহুর্তে নিজেকে বাঁচিয়ে নিয়ে ডানা মেলে জরিপ করছে, ফের তার অগাধ ঝাঁপিয়ে পড়া । ওফ তার গাঢ় অবিশ্বাস !

--
 

7 comments:

  1. This comment has been removed by the author.

    ReplyDelete
  2. যা হয় আর কি , এগার মাস না পড়লে ,মর্চে
    ধরে , আমার ও সেই দশা আর কি, তা সেই মর্চে সরাবার জন্য পানুর খাতা যা তা র শরণাপন্না হলাম । একটা প্রশ্ন 'কেন কীনা ভেজা রিক্সায় ' কি kyon ki na র অনুবাদ কি ? অনেক দিন পরে ফিরে এসে বেশ ভাল লাগল ।

    ReplyDelete
  3. hNya sanchita di... Jadio anubaad bolbo naa... probaasI dialect-e chole aase aar ki...

    ReplyDelete
  4. This comment has been removed by the author.

    ReplyDelete
  5. "কিছু দয়া ফেলে যাও
    ছন্দে লেখার মত
    কিছু কিছু শৌখিন স্পৃহা"

    Comment cliche hobey hoyto, kinto goto ek bochchorey amar poRa sob sera shobdoguchcho.

    Dhirey dhirey poRchhi. Koyekbar poRchhi, koyekdin dhorey. Ekbochchor chhuTi niley jodi lekha jay "ফলে মিস্টির শো-কেসে/ ঝুলিয়ে রাখছি ভেনেশিয় খড়খড়ি/ মাছি তো গন্ধে আসে/ মানুষ বিজ্ঞাপনে", tobey se chhuTi nehat theme thaka noy, onorthok noy.

    ***************************************************

    duTo banan thik korey abar post korlam

    ReplyDelete
  6. FoTkey, ki bolbo...utsaaho pelaam... natun kore lekhar ichche Jaage...

    Sabya

    ReplyDelete
  7. Ekdom i chole ase onek Hindi r Bangla rupantor amader i ojante, sotti bolchhi mon bhalo hoye jai tomar lekha pore , mane Panur kachhe ele

    ReplyDelete