কেন এই পাতা

পানুর ইচ্ছা, লেখক হইবেন । বাঙালি, লেখক না হইতে পারিলে নমো নমো করিয়া পাতের সংস্থান যদি বা হয় জাত রক্ষা হয় না - যথা আঁটকুড়া কুলীন । পানু বিস্তর পরিশ্রম করিলেন । দিস্তা দিস্তা রচনাবলী, অমনিবাস চিবাইলেন । প্রথমে কাব্য টানিয়াছিল, কারণ রস - রসে পাঁউরুটি ভিজিল না । পানু ঘটা করিয়া কিছুদিন রবীন্দ্রসঙ্গীত লিখিলেন (ভেঙ্গেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতিরম্যায়, আট হাজার বাষট্টি টাকার দরজা, খর্চা কে দ্যায় ! অথবা, কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া, চৌমাথার মোড়ে দিব পেন্টুল খুলিয়া) হাউ হাউ করিয়া লোকে মারিতে আসিল । সমস্ত অবজ্ঞা করিয়া পানু লিখিয়া চলিলেন । যদ্যপি পানুর কলমের তোড়ে কাব্যলক্ষী কোঁ কোঁ, সম্পাদকের দপ্তরে চিঁড়া ভিজিল না । অতঃপর পানুর দুঃখে ব্যাবেজ সায়েব কম্পিউটার আবিষ্কার করিলেন । বাজারে ব্লগ আসিল । পানু ব্লগার হইলেন । এই পাতা পানুর পাতা । যা তা ।

Wednesday, January 30, 2013

অংগ মার্জিত (বিশ্বকোষ চলিতেছে)



অংগ মার্জিত
--
জন্মঃ কোদালী পাড়া, জিলা হুগলিঃ আনুমানিক খ্রীস্টপূর্ব ৩৪৫-এ । শ্রী মার্জিত পেশায় সৌন্দর্যশিল্পি ছিলেন । খ্রীঃ পূঃ ৩২৬-এ গ্রীক মহাবীর তৃতীয় আলেকজান্ডারের ভারত আক্রমণকালে তিনি বিশেষ প্রসিদ্ধি লাভ করেন । পারস্য বিজয় সম্পন্ন করিয়া ভারতে পদার্পণ করিয়াই বিখ্যাত কূটকূটনীতিবিদ  শ্রী বিষ্ণুগুপ্ত চাণক্যের কুটিল চালানুযায়ী সমস্ত গ্রীক সেনা কম্বোজদেশী কুখ্যাত চর্ম উৎকুন দ্বারা আক্রান্ত হন ও কামড়ে কামড়ে চুলকানি রোগে জর্জরিত হইয়া পড়েন । ঢোল কোম্পানিও ফেল মারিলে শ্রী আলেকজান্ডার প্রসিদ্ধ সন্ত ঋষি তড়িতানন্দের পরামর্শ অনুযায়ী শ্রী অংগ মার্জিতের শরণাপন্ন হন, ও শ্রী মার্জিতের বগলকুন্তলচারুসভা-র মেম্বারশীপ গ্রহণ করেন । কথিত, অংগ মার্জিত বালক বয়সে এক সুনামির পাল্লায় পড়িয়া ভাসিতে ভাসিতে দূর্গম চীনদেশ ও জাপান দেশের মধ্যবর্তী ওকিনাওয়া দ্বীপে গিইয়া পড়িয়াছিলেন ও তথায় খালি হাত বা কারাটে শিল্পের জনক খোদ প্যাট নোরুয়াকি মোরিতার শিষ্যত্ব গ্রহণ করিয়া ওয়্যাক্স অন ওয়্যাক্স অফ নামক অতি দুরূহ প্রকৌশল আয়ত্ত করেন । এই ওয়্যাক্স অন ওয়্যাক্স অফ কৌশলের মাধ্যমে তিনি গ্রীক সেনার তাবৎ গাত্ররোম  ও তৎলিপ্ত উৎকুনকূলের সমূলে বিনাশ করায় মহাবীর আলেকজান্ডার তাঁহারে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করেন । এই নোবেল পুরস্কার অতি অসাধারণ তাৎপর্যপূর্ণ  কারণ আলফ্রেড বার্নাড নোবেলের জন্মের ২১৫৯ বৎসর পূর্বেই শ্রী মার্জিত ইহা অর্জন করেন । পরবর্তী কালে গ্রীক দার্শনিক মেগাস্থিনিস এই কৌশল আয়ত্ত করিয়া গ্রীকদেশে মহিলা সমাজে ইহার প্রচলন করেন । দূর্ভাগ্যবশত গ্রীস এবং ট্রয়ের যুদ্ধের কারণ হিসাবে ঐতিহাসিকরা ওয়্যাক্স অন ওয়্যাক্স অফ কৌশলকেই দায়ী করে থাকেন । মহাকবি কালিদাস রচিত কাব্যগ্রন্থ অভিজ্ঞানম শকুন্তলম-এর পরবর্তী কাব্যগ্রন্থ আয়ে না বালম-এ ইহার সকরুণ বর্ণনা রহিয়াছে । দক্ষিণ ভারতীয় বংশোদ্ভূত গ্রীক সম্রাট আগা মেনন-এর ভ্রাতা রাজা মেনেলাউস (তর্জমায়ঃ উৎকুন শ্রেণীর উৎপাত মানিয়া রাজ্যপালনকারী নৃপতি), উৎকুন সমস্যায় পিড়ীত হইয়াও ইহার প্রতিকারের কোন ব্যবস্থা না করিলে পাটরাণী হেলেন, মেগাস্থিনিস-এর শরণাপন্ন হন এবং হেড টু বটম ওয়্যাক্স অন ওয়্যাক্স অফ কৌশলের প্রয়োগ করিয়া বোম্বাই নগরীতে চলচিত্রে অভিনয় শুরু করেন । আপাদমস্তক রোমহী্নাবস্থায় তাঁহার মেহবুবা মেহবুবা নামক রোমহর্ষক নৃত্য দেখিয়া ট্রয় রাজকুমার প্যারিস তাঁহারে প্রেমনিবেদন করেন ও সাইকেলের হ্যান্ডেলে বসাইয়া ট্রয় নগরীতে নিয়া যান । বাকি হোমার-দেবের ইলিয়াড-এ বর্ণিত আছে । শ্রী মার্জিত কতৃক প্রচারিত ওয়্যাক্স অন ওয়্যাক্স অফ কৌশলই প্রচলিত গ্রীক ও রোমান উত্তরীয় ও টোগা শিল্পের পথ সুগম করে । এই শিল্পের জ্ঞান না থাকায় বাকি পৃথিবী আচকান, জোব্বা, পাগড়ির ন্যায় বর্বর পোষাকেই অভ্যস্ত থাকিতে বাধ্য হইয়াছিল (দ্রঃ "নিয়তি কেন বাধ্যতে" চেঙ্গিজ খানের চিত্রের সহিত তুলনীয়)

No comments:

Post a Comment