প্রিয়
সম্পাদক,
আমি বেড়াতে এসেছি, আপনার ও
আমার অবস্থানগত পার্থক্যের মধ্যে বেড়াতে এসেছি—এখানে
কুড়িয়ে পাচ্ছি রজঃস্বলা ঝিনুকের সারি, মুক্তোর ক্রিস্টালিনিটি থেকে দূরে, আরো
দূরে। প্রিয় সম্পাদক, মানুষের ইতিহাস বলে সভ্যতার পূর্বে সে তার গুহাবাসি আঙুল তুলে
এনেছিল একাধিক ঊরুসন্ধি থেকে আর গুহার দেয়ালে নানা রসের স্থিরচিত্র এঁকেছিল যা
ব্ল্যাকলাইটেই কেবল দৃশ্যমানতা পায়—সে শবর ছিল,
জুগাড়ু ছিল—এক চড়ুইভাতির দিনে বন্ধ হল্ট
স্টেশানে এসে সে মদের হাঁড়ির খোঁজ পেল—আর নেশার
জোগাড়ের জন্য কৃষিকাজের কথা ভেবে উঠল। এর পর সম্পত্তির কথা আসে, উত্তরাধিকারের কথা—এই সূত্রে
তার বৃন্দযৌনতার থেকে সরে আসা। আমি যে আমার উত্তরাধিকারের জন্যে মানুষের মন থেকে
সমাজ থেকে সরে আসব—এও তো স্বাভাবিক, আর যা
স্বাভাবিক তাকে নিয়ে আর যাই হোক যুক্তিগ্রাহ্যতার কথা বলবেন না, প্লীজ। প্রিয় সম্পাদক,
আমাদের অবস্থানগত পার্থক্যের মধ্যে বেড়াতে বেড়াতে আমি কাচের ওপারে দেখতে পাচ্ছি
মানুষের স্বভাব কাঁচা পেঁপের মত সবুজ—নক্ষত্রের জন্য
উদ্দিষ্ট তাদের গানগুলি একের ওপর এক জমে উঠছে—গণনার
জন্য অপেক্ষা করা টাকার বান্ডিলের মত...
No comments:
Post a Comment