কেন এই পাতা

পানুর ইচ্ছা, লেখক হইবেন । বাঙালি, লেখক না হইতে পারিলে নমো নমো করিয়া পাতের সংস্থান যদি বা হয় জাত রক্ষা হয় না - যথা আঁটকুড়া কুলীন । পানু বিস্তর পরিশ্রম করিলেন । দিস্তা দিস্তা রচনাবলী, অমনিবাস চিবাইলেন । প্রথমে কাব্য টানিয়াছিল, কারণ রস - রসে পাঁউরুটি ভিজিল না । পানু ঘটা করিয়া কিছুদিন রবীন্দ্রসঙ্গীত লিখিলেন (ভেঙ্গেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতিরম্যায়, আট হাজার বাষট্টি টাকার দরজা, খর্চা কে দ্যায় ! অথবা, কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া, চৌমাথার মোড়ে দিব পেন্টুল খুলিয়া) হাউ হাউ করিয়া লোকে মারিতে আসিল । সমস্ত অবজ্ঞা করিয়া পানু লিখিয়া চলিলেন । যদ্যপি পানুর কলমের তোড়ে কাব্যলক্ষী কোঁ কোঁ, সম্পাদকের দপ্তরে চিঁড়া ভিজিল না । অতঃপর পানুর দুঃখে ব্যাবেজ সায়েব কম্পিউটার আবিষ্কার করিলেন । বাজারে ব্লগ আসিল । পানু ব্লগার হইলেন । এই পাতা পানুর পাতা । যা তা ।

Saturday, January 31, 2015

বসন্ত (নতুন)

বসন্তপর্যায় গেল আমাকে করলে না তুমি ভালো
রাঢ়ের আঁচল থেকে বিহারের দিকে
ফিরে এলে
কার্পণ্য নিয়ে কিছু নিপুণ ব্যবহারে
স্মিতকথনের মত এলে

বাবলা-কাঁটায় বিদ্ধ হচ্ছে রোদ
জলার ওপরে চুঁইয়ে পড়ছে
অবরোধ

পুটপুট করে ধুলো ফেড়ে গেল
মিলমালিকের স্কুটারের স্মৃতি
একটু জালিম চলে গেল-
খড় কাটার শব্দ উঠছে-- নাসরীন নাসরীন

আর তুমি
পাথরের ভেতর পরব হয়েই
থেকে গেলে

No comments:

Post a Comment