কেন এই পাতা

পানুর ইচ্ছা, লেখক হইবেন । বাঙালি, লেখক না হইতে পারিলে নমো নমো করিয়া পাতের সংস্থান যদি বা হয় জাত রক্ষা হয় না - যথা আঁটকুড়া কুলীন । পানু বিস্তর পরিশ্রম করিলেন । দিস্তা দিস্তা রচনাবলী, অমনিবাস চিবাইলেন । প্রথমে কাব্য টানিয়াছিল, কারণ রস - রসে পাঁউরুটি ভিজিল না । পানু ঘটা করিয়া কিছুদিন রবীন্দ্রসঙ্গীত লিখিলেন (ভেঙ্গেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতিরম্যায়, আট হাজার বাষট্টি টাকার দরজা, খর্চা কে দ্যায় ! অথবা, কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া, চৌমাথার মোড়ে দিব পেন্টুল খুলিয়া) হাউ হাউ করিয়া লোকে মারিতে আসিল । সমস্ত অবজ্ঞা করিয়া পানু লিখিয়া চলিলেন । যদ্যপি পানুর কলমের তোড়ে কাব্যলক্ষী কোঁ কোঁ, সম্পাদকের দপ্তরে চিঁড়া ভিজিল না । অতঃপর পানুর দুঃখে ব্যাবেজ সায়েব কম্পিউটার আবিষ্কার করিলেন । বাজারে ব্লগ আসিল । পানু ব্লগার হইলেন । এই পাতা পানুর পাতা । যা তা ।

Thursday, January 15, 2015

বসন্ত (আরো দু'ই)



বসন্তপর্যায় গেল আমাকে করলে না তুমি ভালো
ওদিকে তো ক্রিস্টাল হিম সেটল করছে কাশগড়ে
চিনিবাগে   উইঘুর বাজার থেকে থৈ থৈ করছে  আহত
খচ্চর সামোভার হান কেরানীর বুটে অভ্যস্ত ফাটল

যেমন হত্যার কাছে এসে নিসংশয় হয় শিল্প
তেমনই নিভৃতি ঘাড়ে ফুলে ফলে অন্তরীন হলে
একটা বিকেল গড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে
রেশম রূটের ওপর উড়ছে তোমার সুতির শার্ট

যেন গাজন থেকে কার্তিকের মিথগুলো গুজ্জর
অধ্যুষিত পাহাড়ে নামল
শেষবার গ্রীকসেনা এখানেই দেখেছিল আগুনের
ছায়া আর রেশম ঘাঘরায়  দৃঢ় ও সংবদ্ধ  নিতম্বশ্রেণী

বসন্তপর্যায় গেল আমাকে করলে না তুমি ভালো
ছায়ার প্রকোপ থেকে ছাড়িয়ে আনলে বেতের শরীর
দুধারি অর্থ দিয়ে মন্থিত হলে   আর   কেলাসিত হল নিরাবেগ
এই তো বিপর্যয় বাকীটুকু বোরিং পৃথিবী

বাকীটুকু সূঁচের ফুটোয় স্মৃতি পারাপার
ঝড়ের মধ্যিখানে ঝড়ের আওতা থেকে দূরে
রেখে দেয়া চিবুকের নিবিষ্টতাটুকু
করেছিল চিকচিক দূরে ও

চোখের ছাউনি জুড়ে  জল ছিল
নাকী বালি-- আঘাত জানেনি
আঘাতের শূন্যতা থেকে   শূন্যতার ভেলোসিটি থেকে
খুব পালিয়ে যাচ্ছিল বেহালার ছড়