কেন এই পাতা

পানুর ইচ্ছা, লেখক হইবেন । বাঙালি, লেখক না হইতে পারিলে নমো নমো করিয়া পাতের সংস্থান যদি বা হয় জাত রক্ষা হয় না - যথা আঁটকুড়া কুলীন । পানু বিস্তর পরিশ্রম করিলেন । দিস্তা দিস্তা রচনাবলী, অমনিবাস চিবাইলেন । প্রথমে কাব্য টানিয়াছিল, কারণ রস - রসে পাঁউরুটি ভিজিল না । পানু ঘটা করিয়া কিছুদিন রবীন্দ্রসঙ্গীত লিখিলেন (ভেঙ্গেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতিরম্যায়, আট হাজার বাষট্টি টাকার দরজা, খর্চা কে দ্যায় ! অথবা, কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া, চৌমাথার মোড়ে দিব পেন্টুল খুলিয়া) হাউ হাউ করিয়া লোকে মারিতে আসিল । সমস্ত অবজ্ঞা করিয়া পানু লিখিয়া চলিলেন । যদ্যপি পানুর কলমের তোড়ে কাব্যলক্ষী কোঁ কোঁ, সম্পাদকের দপ্তরে চিঁড়া ভিজিল না । অতঃপর পানুর দুঃখে ব্যাবেজ সায়েব কম্পিউটার আবিষ্কার করিলেন । বাজারে ব্লগ আসিল । পানু ব্লগার হইলেন । এই পাতা পানুর পাতা । যা তা ।

Thursday, January 29, 2015

আরো বসন্ত



বসন্তপর্যায় গেল আমাকে করলে না তুমি ভালো
কিছুটা সুজলা হলে, বাকী তো বিফলা
ধীরত্ব অর্জন করে তবে গিয়ে প্রত্যয় হলে

এখানে তো ছবি ঝাঁপ দিল
জলে
অবতলে
ছায়া থেকে বিচ্যুত ছবি

ছবির এককগুলো একে অপরের থেকে
সরে গেলে ছাঁট নামে ছাদে ও পলকে
মুখরের থেকে একরোখা দূরে
ভাদরের থেকে অতর্কিত দূরে

যেন কোকুনের কন্দরে এক
মথের অন্তর  স্থল খুঁজে পেল

লাইনের ওপর এমন আছড়ে পড়ছে
কবিতার ম্যানিকিন-গুলো
 সম্পর্ক নয় যেন
দূরত্ব-টুকুই শুধু  যত্নে রাখা যায়

বসন্তপর্যায় গেল আমাকে করলে না তুমি ভালো
গাঢ় হল একটা অনুপস্থিতি
নিবেশের কাছে নিকেশ হয়েই থেকে গেল

লাইনের থেকে চুঁইয়ে নামছে কালি
হাড়ের ভেতর  ব্রেকের ভেতর
খাড়ি মুসুরির ডালে, বুঁদির রায়তায়
আর
খিলানের পায়ে বড় হচ্ছে
ইতস্ততা

অমনোযোগের পাশে
দাগের আঁচড়



বসন্তপর্যায় গেল আমাকে করলে না তুমি ভালো

বাঘ এল পিলিভিত থেকে       ঠিক করুনার কালে
ঠিকরে উঠল জার্মান সিলভারে
এমন কী কোষাকুষি থেকে
রণন ছাড়িয়ে নিয়ে গেল

ভীতিও তো আস্তানা শুধু  জড়িয়ে
থাকার এক প্রবল মোচড়
কাঠের আঙুল নিয়ে
দাহ্য বয়ান নিয়ে
বেমালুম ফার্নেসে ঢোকা
আর অভ্যাসে অভ্যাসে
পরিপার্শ্ব ছাড়াই
জলকে জটিল করে তোলা

কিছুটা প্রান্তি দিয়ে গেল
এতটা ঈমান দিয়ে গেল!
 

No comments:

Post a Comment