বসন্তপর্যায়
গেল আমাকে করলে না তুমি ভালো
কিছুটা
সুজলা হলে, বাকী তো বিফলা
ধীরত্ব
অর্জন করে তবে গিয়ে প্রত্যয় হলে
এখানে
তো ছবি ঝাঁপ দিল
জলে
অবতলে
ছায়া
থেকে বিচ্যুত ছবি
ছবির
এককগুলো একে অপরের থেকে
সরে
গেলে ছাঁট নামে ছাদে ও পলকে
মুখরের
থেকে একরোখা দূরে
ভাদরের
থেকে অতর্কিত দূরে
যেন
কোকুনের কন্দরে এক
মথের
অন্তর স্থল খুঁজে পেল
লাইনের
ওপর এমন আছড়ে পড়ছে
কবিতার
ম্যানিকিন-গুলো
সম্পর্ক নয় যেন
দূরত্ব-টুকুই
শুধু যত্নে রাখা যায়
বসন্তপর্যায়
গেল আমাকে করলে না তুমি ভালো
গাঢ় হল
একটা অনুপস্থিতি
নিবেশের
কাছে নিকেশ হয়েই থেকে গেল
লাইনের
থেকে চুঁইয়ে নামছে কালি
হাড়ের
ভেতর ব্রেকের ভেতর
খাড়ি
মুসুরির ডালে, বুঁদির রায়তায়
আর
খিলানের
পায়ে বড় হচ্ছে
ইতস্ততা
অমনোযোগের
পাশে
দাগের
আঁচড়
বসন্তপর্যায়
গেল আমাকে করলে না তুমি ভালো
বাঘ এল
পিলিভিত থেকে ঠিক করুনার কালে
ঠিকরে
উঠল জার্মান সিলভারে
এমন কী কোষাকুষি
থেকে
রণন
ছাড়িয়ে নিয়ে গেল
ভীতিও
তো আস্তানা শুধু জড়িয়ে
থাকার
এক প্রবল মোচড়
কাঠের
আঙুল নিয়ে
দাহ্য
বয়ান নিয়ে
বেমালুম
ফার্নেসে ঢোকা
আর
অভ্যাসে অভ্যাসে
পরিপার্শ্ব
ছাড়াই
জলকে
জটিল করে তোলা
কিছুটা
প্রান্তি দিয়ে গেল
এতটা
ঈমান দিয়ে গেল!
No comments:
Post a Comment