বিধিবত, প্রথাগত অগ্নিনির্বাপক ওরফে ডিস্ক্লেইমারঃ
বাঙ্গালা ভাষা হইতে প্যারোডিশিল্পর অন্তর্ধান দেখিয়া পানু দুঃখিত । ভাবিলেন কিচু
করা দরকার । শ্রীরামকৃষ্ণ বলিয়া গিয়াছেন—চ্যারিটি বিগিন্স এট হোম । ফলে পানু নিজেই
চেষ্টায় নামিলেন । মাইকেল-এ অশ্রদ্ধা এ লেখার উদ্দেশ্য নহে । হে মধুসূদন মাফ
করিবেন ।
হে বঙ্গ ভান্ডারে তব বিবিধ রতন; –
(কানা, বোঁচা,
খ্যাঁদা, ছোঁচা, প্যাঁচা্ল, খোকন)
তা সবে, (অবোধ আমি!) অবহেলা করি,
তা সবে, (অবোধ আমি!) অবহেলা করি,
(বিলাতের পথে খুঁজি
টম, ডিক, হ্যারি)
পর-ধন-লোভে মত্ত, করিনু ভ্রমণ
পর-ধন-লোভে মত্ত, করিনু ভ্রমণ
(বেলপত্রে তেল দিয়া ভুলি নিজ ধন)
পরদেশে, ভিক্ষাবৃত্তি কুক্ষণে আচরি।
পরদেশে, ভিক্ষাবৃত্তি কুক্ষণে আচরি।
(প্রমোদ করের হেতু বাঁধা গাড়ি বাড়ি)
কাটাইনু বহুদিন সুখ পরিহরি!
(একবেলা শাক ভাত আলু ছিম বড়ি)
অনিদ্রায়, নিরাহারে সঁপি কায়, মনঃ
অনিদ্রায়, নিরাহারে সঁপি কায়, মনঃ
(ভিটামিনাভাবে তনু পাকাইয়া শন)
মজিনু বিফল তপে অবরেণ্যে বরি; –
মজিনু বিফল তপে অবরেণ্যে বরি; –
(লায়লা ধরিতে গিয়া
প্যায়লা’রে ধরি)
কেলিনু শৈবালে, ভুলি কমল-কানন!
কেলিনু শৈবালে, ভুলি কমল-কানন!
(হাজা, দাদ, চুলকানি, ইনফেকশন)
স্বপ্নে তব কুললক্ষ্মী কয়ে দিলা পরে –
স্বপ্নে তব কুললক্ষ্মী কয়ে দিলা পরে –
(ছুঁসনে ছুঁসনে--
যদি আমারেও ধরে)
“ ওরে বাছা মাতৃ-কোষে রতনের রাজি,
“ ওরে বাছা মাতৃ-কোষে রতনের রাজি,
(ছুঁসনে অলপ্পেয়ে
বেয়াদপ পাজি)
এ ভিখারী-দশা তবে কেন তোর আজি?
(রকেট ছাড়িয়ে কেন
ছোঁড় ছুঁচোবাজি)
যা ফিরি, অজ্ঞান তুই, যা রে ফিরি ঘরে!”
যা ফিরি, অজ্ঞান তুই, যা রে ফিরি ঘরে!”
(গোমুতে আঁচাও বাছা,
নাহাও গোবরে)
পালিলাম আজ্ঞা সুখে; পাইলাম কালে
পালিলাম আজ্ঞা সুখে; পাইলাম কালে
(ব্রান্ডিমত বিসর্জিয়া বাংলামত চালে)
মাতৃ-ভাষা-রূপে খনি, পূর্ণ মনিজালে।।
মাতৃ-ভাষা-রূপে খনি, পূর্ণ মনিজালে।।
(রতন হইয়া বাঁচো রতনের ভালে)
No comments:
Post a Comment