ঘষা কাচ—প্রথা
প্রথার ওপারে ফাঁকা ও প্রশস্ত নতজানু
লাট খায় রূপের রিবন
চরিত্র এখানে থাকে না
সাবলীল বাসাগুলো বাড়ি হয়ে গেছে
কবেই
আটপৌরে বিস্ময় ঝুলে
থাকে ব্যালকনি কাঁপানো তারে
ঠাপ ওঠে ঠাপ পড়ে
জলে ও ভঙ্গুরে
যত দূরে যাও বৃত্তাকার অল্পখানিক ঢেউ
শেষতক কেন্দ্রেই ফেরে (পিরিয়ড) শেষ হয়ে যায়
সাঁঝের বিষয় ফিরিল কুলায়
লেখা ফিরিল না ঘরে
গান হয় এইসব গান হয় কিছুটা সুরেলা
শ্বাস । আঘাত । ফাঁকা ও প্রশস্ত
জলে । ভঙ্গুরে
বাকীটা সংকেত
সংকেত যে একটা ডিকশান – এ তোমাকে বিদ্যালয় শেখাবে না । হাম্পু করে দেবে । সোজা সোজা বল । ফিকশানি গান গাও – রাজার কুমার পঙ্খীরাজে । আকাশ থেকে পঙ্খীরাজ লেদে দিলে কি হবে জানতে যেও না – যতদূরসম্ভব ত্রস্ত বাংলায় ফাঁকা ও প্রশস্ত মনোনিবেশের কথা বল । ডুবন্ত মানুষ’কে বল—জলই জীবন । জলে চাঁদ পড়ে – চাঁদের শৌচকর্মাদি, চাঁদের সাবান কই ? না-কি দেহ ভাসে,
কার দেহ ?
তার দেহ –আটারলি মরণোত্তর ।
(সোজাসুজি বলতে গেলে-- যে শালা ডুবে মরে, সেই শালা মরে ভাসে)
--
আলো ক্রমে আসিতেছে ..................
নিভে
নিভাননী জাম বাটি হাতে খই দুধ খায়
বেপাড়ার মেঘ এসে র্যা লা মেরে যায়
কালিদাসে নেই সেই সব থান্ডার মেঘ
কেঁদো কেঁদো মেঘ
শীতের ডগায়
শিমুল নিভিয়াছিল প্রাক্কালে
এখন সে পাতায় পল্লব
শীত কালে এ মাহ ভাদর
ভরা ভরা ঘড়া ঘড়া
এভাবেই আলগা মলাটে ধরা পড়ে যাবে ! এতটাই ঈশ্বরামি ! ওহো গায়ে লাগে । গায়ে লাগে এইসব প্রজন্মরহিত সমাধান । জন্ম এসে জড়ো হয় হাতে, প্রান্ত এসে জড়ো হয় হাতে – জড় ফুলে নিকেশের আলো – বোঝা যাবে কি ভাবে নষ্ট হয়েছি ? কিভাবে প্রভুরা নষ্ট হয়ে যায় ? নষ্ট মানুষ আর নষ্টামি -- কোন পাহাড়ে, সৈকতে তারা হামা টানে ? এরপর অপলক হয়ে ওঠো তুমি, প্রগলভ হয়ে ওঠে কথা । ঘুম পায় বেধড়ক । ঘুমাতে পারি না ।
ক্লান্তি আমার ক্ষমা কর প্রভু
লিখতে পারি না, গায়ে জল থেমে গেছে আটকে রয়েছে পোস্টারের মত তার হুলিয়া দৌড়চ্ছে ডেকে আনছে ক্রমান্ধ গান রাত্রি বরাবর কত লেখা থাকে কত সুর থাকে বোবা বালকের ম্যান্ডোলিন গাধার ক্ষুরের চাট সামলে উঠতে চাইছি অথচ পারছিনা হে নান্দনিক হে গলিত স্থিরতা বোধ জন্ম বহুবার উদ্ধৃত নুন ও শরীর । বাতায়নসারি্র সামনে একা তাল গাছ ।
ওহো ক্লান্তি আমার ।
ওহো ক্ষমা তোমার ।
এসো, তোমাকে মতান্তর করে সঞ্চয় করি ।
কেন এই পাতা
পানুর ইচ্ছা, লেখক হইবেন । বাঙালি, লেখক না হইতে পারিলে নমো নমো করিয়া পাতের সংস্থান যদি বা হয় জাত রক্ষা হয় না - যথা আঁটকুড়া কুলীন । পানু বিস্তর পরিশ্রম করিলেন । দিস্তা দিস্তা রচনাবলী, অমনিবাস চিবাইলেন । প্রথমে কাব্য টানিয়াছিল, কারণ রস - রসে পাঁউরুটি ভিজিল না । পানু ঘটা করিয়া কিছুদিন রবীন্দ্রসঙ্গীত লিখিলেন (ভেঙ্গেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতিরম্যায়, আট হাজার বাষট্টি টাকার দরজা, খর্চা কে দ্যায় ! অথবা, কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া, চৌমাথার মোড়ে দিব পেন্টুল খুলিয়া) হাউ হাউ করিয়া লোকে মারিতে আসিল । সমস্ত অবজ্ঞা করিয়া পানু লিখিয়া চলিলেন । যদ্যপি পানুর কলমের তোড়ে কাব্যলক্ষী কোঁ কোঁ, সম্পাদকের দপ্তরে চিঁড়া ভিজিল না । অতঃপর পানুর দুঃখে ব্যাবেজ সায়েব কম্পিউটার আবিষ্কার করিলেন । বাজারে ব্লগ আসিল । পানু ব্লগার হইলেন । এই পাতা পানুর পাতা । যা তা ।
No comments:
Post a Comment