কেন এই পাতা

পানুর ইচ্ছা, লেখক হইবেন । বাঙালি, লেখক না হইতে পারিলে নমো নমো করিয়া পাতের সংস্থান যদি বা হয় জাত রক্ষা হয় না - যথা আঁটকুড়া কুলীন । পানু বিস্তর পরিশ্রম করিলেন । দিস্তা দিস্তা রচনাবলী, অমনিবাস চিবাইলেন । প্রথমে কাব্য টানিয়াছিল, কারণ রস - রসে পাঁউরুটি ভিজিল না । পানু ঘটা করিয়া কিছুদিন রবীন্দ্রসঙ্গীত লিখিলেন (ভেঙ্গেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতিরম্যায়, আট হাজার বাষট্টি টাকার দরজা, খর্চা কে দ্যায় ! অথবা, কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া, চৌমাথার মোড়ে দিব পেন্টুল খুলিয়া) হাউ হাউ করিয়া লোকে মারিতে আসিল । সমস্ত অবজ্ঞা করিয়া পানু লিখিয়া চলিলেন । যদ্যপি পানুর কলমের তোড়ে কাব্যলক্ষী কোঁ কোঁ, সম্পাদকের দপ্তরে চিঁড়া ভিজিল না । অতঃপর পানুর দুঃখে ব্যাবেজ সায়েব কম্পিউটার আবিষ্কার করিলেন । বাজারে ব্লগ আসিল । পানু ব্লগার হইলেন । এই পাতা পানুর পাতা । যা তা ।

Thursday, January 5, 2012

হাত

তোমার স্তিমিত হাতে
ধ্বনি ও স্বরূপ দুই ক্রীড়াশীল
অল্প অল্প ভাপ ওড়ে
আলগা হয়ে যায় বিকেল
আঘাতের কথা মনে পড়ে
সারল্যের কথা
পূর্ণতা কী ভাবে অব্যবহৃত হয়ে থেকে যায়
তার কথা, স্তিমিত হাতের কথা
অল্প অল্প ভাপ ওড়ে
--
সময় নয় ঘড়িটিই একটা ধারণা
আর ধারণা মাত্রেই যে অপারগ
ধার নেই, ভার নেই
ধারণ করতে পারে না বহন করতে পারে না
এটা বুঝতে এতদিন ঘড়ি পরে বেড়ালাম
মিথ্যে মিথ্যি কব্জিতে রোদ পড়ল না বহুকাল
--
হাতের কাছেই আছে সব কিছু
স্পর্শটুকু ছাড়া
এমনকী ভুল করে ভুলে যাওয়া
ঠিক করে নেওয়ার মত অঙ্ক
আর কত লোক হাত নেড়ে চলে গেল
চিনে না চিনে
সবাইকে বলি-- ভালো থাক তোমাদের হাত
হাতে লেখা মতামতগুলো
ভালো থাক হাতে হাতে অতঃপররাজি
--
টেবিলে তরঙ্গ ছিল
খানিকটা পড়ে আছে আঁচ
অবারিত আর্বান হাতে কাঁপা-কাঁপা গ্রামীণ কবিতা
আমিও লিখেছি
টেবিলে তরঙ্গ ছিল
তাহাতে পড়িয়াছিল কৃষ্ণচূড়ার ছায়া
শহুরে ও ফিকে কৃষ্ণকায়
হাতের ছায়ার পাশে অর্থহীন অথচ
মানানসই
--
শুশ্রূষা কাহার হাতে – এমত প্রশ্নের উঠানে ঝাড়ু পড়ে – পাতাগুলি ওড়ে শুদ্ধশীল । প্রতিশ্রুতিময় সেই সব পাতা, চোখের, হাতের, কবিতার খাতার, অজস্র যাতনার পাতা । আঘাতের মতই সরল ও বিবেচনাহীন ।
--
দূরের কাঠামোগুলি আলোকিত ছিল, ফলে দূর, দূরতর ছিল । ভারসাম্য ছিল—দৃশ্য যেমনই হোক, দৃষ্টিতে যে ভারসাম্য থাকে... এইসব আমাদের ঋণী থাকার গল্প, অনুভূত হয়ে ওঠার প্ররোচনা ও পদ্ধতিময় ...রাত বাড়ছিল, আলো বাড়ছিল, ছায়া বাড়ছিল—দূরগুলি দূরতর ছিল । অল্প অল্প ভাপ উড়ছিল ম্যুরাল কারখানায় ।

No comments:

Post a Comment