কেন এই পাতা

পানুর ইচ্ছা, লেখক হইবেন । বাঙালি, লেখক না হইতে পারিলে নমো নমো করিয়া পাতের সংস্থান যদি বা হয় জাত রক্ষা হয় না - যথা আঁটকুড়া কুলীন । পানু বিস্তর পরিশ্রম করিলেন । দিস্তা দিস্তা রচনাবলী, অমনিবাস চিবাইলেন । প্রথমে কাব্য টানিয়াছিল, কারণ রস - রসে পাঁউরুটি ভিজিল না । পানু ঘটা করিয়া কিছুদিন রবীন্দ্রসঙ্গীত লিখিলেন (ভেঙ্গেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতিরম্যায়, আট হাজার বাষট্টি টাকার দরজা, খর্চা কে দ্যায় ! অথবা, কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া, চৌমাথার মোড়ে দিব পেন্টুল খুলিয়া) হাউ হাউ করিয়া লোকে মারিতে আসিল । সমস্ত অবজ্ঞা করিয়া পানু লিখিয়া চলিলেন । যদ্যপি পানুর কলমের তোড়ে কাব্যলক্ষী কোঁ কোঁ, সম্পাদকের দপ্তরে চিঁড়া ভিজিল না । অতঃপর পানুর দুঃখে ব্যাবেজ সায়েব কম্পিউটার আবিষ্কার করিলেন । বাজারে ব্লগ আসিল । পানু ব্লগার হইলেন । এই পাতা পানুর পাতা । যা তা ।

Sunday, November 20, 2011

রেখো মা দাশে’রে মনে
সান্যালেও কিছু মনে রেখো
ঠাসবুনোটের দেশে ঘোড়ারুগী
আলগাচরিত এক ফেঁসো
।।.....................।।


সর্বনাম ব্যবহারে উদ্দেশ আসে, উদ্দিষ্টের সাথে কথা । বারতা । আর ডায়ালগ কবিতার পরিপন্থী – এই ধরণের কথা হয়, হয়েছিল একদা আশিতে । বারোটা বাজে আর আমি তুই বলি, তুমি বলি, ব্যবহার করব না করব না করেও আপনিতে পৌঁছে একটু হাঁপিয়ে জল খাই, ইতস্তত করি, প্যান্টের পকেটে হাত ঢুকিয়ে হাল্কা চুলকে নিই ক্রিয়াপদে ঘুঙ্গুর বাজে । বন্ধুরা অনেকে সোজা কবিতা লেখার কথা বলেছিল – সৌমেন, রেণুপদ – আমি কঠিন কবিতা কাকে বলে বুঝি না ওরা সেটা সোজা করে বোঝাতে পারেনি—বেশি নয়, ৩-৪ বছরে টোটাল ঘন্টা দশেক এইসব নিয়ে কথা হয়েছে , এরি মাঝে সিমলিপালে বরফ পড়লো, জাপানে ভূমিকম্প আর নবাবগঞ্জে সেলিম আলির মূর্তি হল – পাখিরা মূর্তি নিয়ে যে কোন বাছবিচার করবে না সেটা জানলেও আশা ছিল, হাজার হোক পক্ষীবিদ তো —
পাখি বলতেই মনে পড়ল—ভাবপ্রবণতা, রবিন রঙের অস্বীকার
অ্যান্ড ডিনায়াল লিডস টু ডিপ্রেশান

অবসাদ

অবসাদ একটি জাঢ্য
অবস্থা
আর গতিহীন কোন কিছুই
প্রতারিত হতে জানে না
এমন কী তা স্বাস্থ্যকর হলেও

হাল্কা হেমন্ত নামে
শীতলতাকে চামড়া পরাতে পরাতে
ভাবি
বাতাসে যে আবেশ থাকবে এ’কথা কেউ কেন জানায়নি
আবেশ যে বাতাস মাত্র এ যদিও জানা ছিল
হাওয়ার আঙ্গিক নিয়ে মাথাব্যথাই
আমাদের খোঁড়া করে তুলল


তার পর অবয়ব তৈরী হয়
অবসাদের
আর অবসাদ এমন অবস্থাপন্ন
জাঢ্যের কারণে
প্রভাবিত হতে ভুলে যায়
ভয় পেতে ভুলে যায় ।

টনটন ফসলে ঢেকে যায় নৌকো
ডুবে যায় আত্মনিগ্রহে
-----------------

এস হে

--------------------

এস হে
লাবণ্য চেনানো পেরেক
ঘাস ফুলের মত ব্রেক
যে দৃশ্য আমাকে দেখেনি
তার ছায়া ঝুলে আছে
পেড়ে নাও
ছবি করে নাও
ভৌত উটের পাশে
কাঠচাঁপা গাছখানি নিভৃতি পাক

--
এই গান, মহাসিন্ধুর ওপার থেকে, এই সব ইন্দ্রানুগত ভেসে আসে ধরা ও ধরণী, ত্বরা ও তরণী, প্রাক মার্কনী –র‍্যাঁবো, রবি, বারীন – মাতাল সোনা হাশিস । নেশা যখন ইন্দ্রিয় পেরিয়ে যায় – বরিশাল থেকে আমিনাবাদ অব্দি হলুদ জলে ওঠে প্রবাহ – যে হলুদ নির্বানের নয়, গর্ভাবস্থা নয়, সুবর্ণাভ গতিচিহ্ন নয় – এক ফেলে আসা ডিকশানের ঘোর ও তার ব্রীড়া ... স্পষ্টত ... ট্রামলাইন আমাদের সাবালক হতে দিল না-- সমস্ত এসো হে, সমস্ত চিল বরাবর ।
--
অতিক্রম একটি অভ্যাস মাত্র – এই ভাবে ভাবতে পারলে সোজা হয়ে আসে দিনকাল । না বুঝেই নিজেকে পেরিয়ে গিয়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে দেখা যায় – কী ভাবে ঈষৎ ঝুঁকে এগিয়ে আসছি, থেমে অগ্রাহ্য করছি, খিস্তি করছি, ভুলে যেতে চাইছি অতিক্রান্ত রাস্তা ... অধিকন্তু ... সময় পেরিয়ে যাচ্ছে ... আর একটি বৈশাখের জন্য দাবদাহের জন্য গলে যাচ্ছে বিচি ... আহবানকারী গান হয়ে উঠছে ... জন্মাতে ভুলে যাচ্ছি, মরতে ভুলে যাচ্ছি ... গাঢ় মৃন্ময় হয়ে যাচ্ছি ... বৃষ্টি ফিরে যাচ্ছে ... না ভিজিয়ে, না ভিজে ।

No comments:

Post a Comment