শব্দ স্পর্শ করে লেখা ভরা যোনী
স্পর্শের ঘরে ঢোকে সাপ
সাপের মর্মে থাকে “অতঃপর” ধ্বনি
ধবনির অন্তরালে ......
ব্র্যাকেটশহর – এই এক ভাস্বর মদ
যার নেশা পাথর-কুঁদিয়ে হয়ে ওঠে
আগলায়, ঠোকরায়
লিরিকের গলিতে বিশ্বাস বর্জন করে
সর্বাঙ্গ কড়া নাড়ে
অভিব্যাক্তি ছাড়াই
ঢুকে যায়
নিরীক্ষায়
দাঁতে
প্রমায়
কোন কিছুই আর পড়ে থাকে না
তবু “অতঃপর” উপচিয়ে ওঠে
এরপরও প্রয়োজন হয়
প্রামান্য পথ,
কুয়াশা ও
সেবাসদনের মত সায়া
দু’খুঁটির মাঝে ঝুল খাওয়া
মৌসুমির হেতু
কেন এই পাতা
পানুর ইচ্ছা, লেখক হইবেন । বাঙালি, লেখক না হইতে পারিলে নমো নমো করিয়া পাতের সংস্থান যদি বা হয় জাত রক্ষা হয় না - যথা আঁটকুড়া কুলীন । পানু বিস্তর পরিশ্রম করিলেন । দিস্তা দিস্তা রচনাবলী, অমনিবাস চিবাইলেন । প্রথমে কাব্য টানিয়াছিল, কারণ রস - রসে পাঁউরুটি ভিজিল না । পানু ঘটা করিয়া কিছুদিন রবীন্দ্রসঙ্গীত লিখিলেন (ভেঙ্গেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতিরম্যায়, আট হাজার বাষট্টি টাকার দরজা, খর্চা কে দ্যায় ! অথবা, কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া, চৌমাথার মোড়ে দিব পেন্টুল খুলিয়া) হাউ হাউ করিয়া লোকে মারিতে আসিল । সমস্ত অবজ্ঞা করিয়া পানু লিখিয়া চলিলেন । যদ্যপি পানুর কলমের তোড়ে কাব্যলক্ষী কোঁ কোঁ, সম্পাদকের দপ্তরে চিঁড়া ভিজিল না । অতঃপর পানুর দুঃখে ব্যাবেজ সায়েব কম্পিউটার আবিষ্কার করিলেন । বাজারে ব্লগ আসিল । পানু ব্লগার হইলেন । এই পাতা পানুর পাতা । যা তা ।
No comments:
Post a Comment