উদ্যত উদার কুঠার
কব্জির গাঢ় সঞ্চালন
নিগূঢ় নিবিড় প্রিয় পাপ
কপালে ছোঁয়াই সযতন
(না-কী) সেও থাকে হোথা অকৃপণ
সেও ভাসে দ্বিধাহীন জলে
আমিও ভেসেছি অনিবার
আজীবন কুয়াশার ছলে
রজ্জুযোগে সর্প রাখি ঘরে
কান্ধে কেতু নয় রন্ধ্রে শনি
বিবেকের কক্ষে পুষি বিছা
হননের আমি কীইবা জানি
সুন্দরবন ও গুয়ের্নিকার মধ্যবর্তী রেলস্টেশানে নেমে পড়েন প্লেটো ও ট্রেনের জানলাসমূহ । অইখানে ভীতি – ভীতির অন্তরালে সপ্তদশ শতাব্দীর কালো টেলিফোন, গরম জলের ব্যাগ, টায়ারের চটি, কবি-তকমা ঝেড়ে ফেলা ইথিওপিয়ার বন্দুক ব্যবসায়ী এবং বহুপ্রচলিত অনুকম্পায়ী রাত্রি । এরপর ধাতুর ঝরনার সাথে ক্রমাগত শুভেচ্ছা বিনিময় করতে থাকে আমাদের অবদমন আর সেই কর্কশ ঝমঝমের ভেতর স্পষ্ট হয়ে ওঠে বন্দুক ব্যবসায়ীর উচ্চারণ – শিথিলতার অব্যবহিত আগে যে বিস্ময় – সে’ই হনন । বলাই বাহুল্য, সেই সময় রবি, আমাদের রবীন্দ্রনাথ, চতুর্দশবর্ষীয় এক বালক মাত্র । আর ব্যাখ্যা, ঘাতকের মানেবইগুলো নীলাভ এক দ্যুতির মধ্যে ঘোরাফেরা করে, নিজেই হারিয়ে যায়, ফিরে আসে – যন্ত্রণারহিত । এক স্বপ্নভঙ্গের নোটিশ আমাদেরও প্রাপ্য হয়ে ওঠে । এই সেই আলো যা ব্যবহার্য নয় । এই সেই প্ররোচনা যা বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য নয় । এই সুস্থতা, এই হত্যা ।
কেন এই পাতা
পানুর ইচ্ছা, লেখক হইবেন । বাঙালি, লেখক না হইতে পারিলে নমো নমো করিয়া পাতের সংস্থান যদি বা হয় জাত রক্ষা হয় না - যথা আঁটকুড়া কুলীন । পানু বিস্তর পরিশ্রম করিলেন । দিস্তা দিস্তা রচনাবলী, অমনিবাস চিবাইলেন । প্রথমে কাব্য টানিয়াছিল, কারণ রস - রসে পাঁউরুটি ভিজিল না । পানু ঘটা করিয়া কিছুদিন রবীন্দ্রসঙ্গীত লিখিলেন (ভেঙ্গেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতিরম্যায়, আট হাজার বাষট্টি টাকার দরজা, খর্চা কে দ্যায় ! অথবা, কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া, চৌমাথার মোড়ে দিব পেন্টুল খুলিয়া) হাউ হাউ করিয়া লোকে মারিতে আসিল । সমস্ত অবজ্ঞা করিয়া পানু লিখিয়া চলিলেন । যদ্যপি পানুর কলমের তোড়ে কাব্যলক্ষী কোঁ কোঁ, সম্পাদকের দপ্তরে চিঁড়া ভিজিল না । অতঃপর পানুর দুঃখে ব্যাবেজ সায়েব কম্পিউটার আবিষ্কার করিলেন । বাজারে ব্লগ আসিল । পানু ব্লগার হইলেন । এই পাতা পানুর পাতা । যা তা ।
No comments:
Post a Comment