কামিনরা চুন গুলছে ক্যানেস্ত্রায়। ঘটাং ঘটাং শব্দ হচ্ছে। গোয়েন্দার
চায়ের লিকারে ফোঁটা ফোঁটা শাদা সময়… এবড়োখেবড়ো দাঁতের ওপর হলদে হয়ে আসা সময়…শীতের ভোরে হাইড্রেন্ট দিয়ে ধোঁয়া
ধোঁয়া সময় বেরিয়ে আসছে মিশতে চাইছে আস্তে সুস্তে বড় হয়ে ওঠা আবহাওয়ায়। গোয়েন্দা জানেন এক সময় আর অপর
সময়ের জোড়ের চিহ্নটুকুই বিপন্নতা। গোয়েন্দা এই চিহ্নের তদারকি করছেন। মাঝে মাঝে চায়ের কাপে চোখ রেখে দূরত্বের কথাও ভাবছেন।
কেন এই পাতা
পানুর ইচ্ছা, লেখক হইবেন । বাঙালি, লেখক না হইতে পারিলে নমো নমো করিয়া পাতের সংস্থান যদি বা হয় জাত রক্ষা হয় না - যথা আঁটকুড়া কুলীন । পানু বিস্তর পরিশ্রম করিলেন । দিস্তা দিস্তা রচনাবলী, অমনিবাস চিবাইলেন । প্রথমে কাব্য টানিয়াছিল, কারণ রস - রসে পাঁউরুটি ভিজিল না । পানু ঘটা করিয়া কিছুদিন রবীন্দ্রসঙ্গীত লিখিলেন (ভেঙ্গেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতিরম্যায়, আট হাজার বাষট্টি টাকার দরজা, খর্চা কে দ্যায় ! অথবা, কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া, চৌমাথার মোড়ে দিব পেন্টুল খুলিয়া) হাউ হাউ করিয়া লোকে মারিতে আসিল । সমস্ত অবজ্ঞা করিয়া পানু লিখিয়া চলিলেন । যদ্যপি পানুর কলমের তোড়ে কাব্যলক্ষী কোঁ কোঁ, সম্পাদকের দপ্তরে চিঁড়া ভিজিল না । অতঃপর পানুর দুঃখে ব্যাবেজ সায়েব কম্পিউটার আবিষ্কার করিলেন । বাজারে ব্লগ আসিল । পানু ব্লগার হইলেন । এই পাতা পানুর পাতা । যা তা ।
No comments:
Post a Comment