গোয়েন্দা গভীর। তাঁর পায়ের কোন
শব্দ হয় না। তিনি খিচুড়ির প্লেটে ভাজা মাছটির উল্টোদিক থেকে চেঁছে নেন খিচুড়ির
কণা, সময়, দেশি মদের দোকান। গোয়েন্দা গভীর। তিনি পূর্বপুরুষের পায়ের আওয়াজ টের
পান। গোয়েন্দা জানেন, গভীরতা মানুষকে সংকুচিত করে আকারে, আকাঙ্ক্ষায়। ফলে একশো
চল্লিশ বর্ণের ট্যুইটারও তাঁর গায়ে ঢলঢল করে।
ভাজা মাছের থেকে সরে ঢুকে পড়েন
তিনি শুকনো লঙ্কায়, তেজপাতায়, দানা দানা মালকামুসুরে। চোখে চশমা তুলে নেন। নোটবুকে
মাছের দাম টোকেন। প্লেট থেকে তিতপুঁটি ঝাঁপ দ্যায় জলে।
কেন এই পাতা
পানুর ইচ্ছা, লেখক হইবেন । বাঙালি, লেখক না হইতে পারিলে নমো নমো করিয়া পাতের সংস্থান যদি বা হয় জাত রক্ষা হয় না - যথা আঁটকুড়া কুলীন । পানু বিস্তর পরিশ্রম করিলেন । দিস্তা দিস্তা রচনাবলী, অমনিবাস চিবাইলেন । প্রথমে কাব্য টানিয়াছিল, কারণ রস - রসে পাঁউরুটি ভিজিল না । পানু ঘটা করিয়া কিছুদিন রবীন্দ্রসঙ্গীত লিখিলেন (ভেঙ্গেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতিরম্যায়, আট হাজার বাষট্টি টাকার দরজা, খর্চা কে দ্যায় ! অথবা, কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া, চৌমাথার মোড়ে দিব পেন্টুল খুলিয়া) হাউ হাউ করিয়া লোকে মারিতে আসিল । সমস্ত অবজ্ঞা করিয়া পানু লিখিয়া চলিলেন । যদ্যপি পানুর কলমের তোড়ে কাব্যলক্ষী কোঁ কোঁ, সম্পাদকের দপ্তরে চিঁড়া ভিজিল না । অতঃপর পানুর দুঃখে ব্যাবেজ সায়েব কম্পিউটার আবিষ্কার করিলেন । বাজারে ব্লগ আসিল । পানু ব্লগার হইলেন । এই পাতা পানুর পাতা । যা তা ।
No comments:
Post a Comment