গোয়েন্দা জানেন, অস্তিত্ব মানেই প্রমাণসাপেক্ষ হতেই হবে এমনটা নয়। গোয়েন্দা বোঝেন, বিভ্রান্তিই একমাত্র অনুমেয় পদ্ধতি। সুক্ষতার ভেতর যখন গুটিয়ে আসে সুক্ষতার ধারণাটুকু, স্থুল না হলে তাকে কেউ আর বুঝে উঠতে
পারবে না। গোয়েন্দা জানেন তাঁর আত্মজীবনীর
মধ্যে সুক্ষ সমস্ত অপমানের কথা লেখা থাকবে, উষ্ণ অসোয়াস্তি বা শীতল মরচে, সমস্ত
কথাই যথাস্থানে পৌঁছে দেয়ার বন্দোবস্ত থাকবে।
কেন এই পাতা
পানুর ইচ্ছা, লেখক হইবেন । বাঙালি, লেখক না হইতে পারিলে নমো নমো করিয়া পাতের সংস্থান যদি বা হয় জাত রক্ষা হয় না - যথা আঁটকুড়া কুলীন । পানু বিস্তর পরিশ্রম করিলেন । দিস্তা দিস্তা রচনাবলী, অমনিবাস চিবাইলেন । প্রথমে কাব্য টানিয়াছিল, কারণ রস - রসে পাঁউরুটি ভিজিল না । পানু ঘটা করিয়া কিছুদিন রবীন্দ্রসঙ্গীত লিখিলেন (ভেঙ্গেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতিরম্যায়, আট হাজার বাষট্টি টাকার দরজা, খর্চা কে দ্যায় ! অথবা, কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া, চৌমাথার মোড়ে দিব পেন্টুল খুলিয়া) হাউ হাউ করিয়া লোকে মারিতে আসিল । সমস্ত অবজ্ঞা করিয়া পানু লিখিয়া চলিলেন । যদ্যপি পানুর কলমের তোড়ে কাব্যলক্ষী কোঁ কোঁ, সম্পাদকের দপ্তরে চিঁড়া ভিজিল না । অতঃপর পানুর দুঃখে ব্যাবেজ সায়েব কম্পিউটার আবিষ্কার করিলেন । বাজারে ব্লগ আসিল । পানু ব্লগার হইলেন । এই পাতা পানুর পাতা । যা তা ।
Thursday, September 24, 2015
Wednesday, September 23, 2015
গোয়েন্দা গল্প-৩
কামিনরা চুন গুলছে ক্যানেস্ত্রায়। ঘটাং ঘটাং শব্দ হচ্ছে। গোয়েন্দার
চায়ের লিকারে ফোঁটা ফোঁটা শাদা সময়… এবড়োখেবড়ো দাঁতের ওপর হলদে হয়ে আসা সময়…শীতের ভোরে হাইড্রেন্ট দিয়ে ধোঁয়া
ধোঁয়া সময় বেরিয়ে আসছে মিশতে চাইছে আস্তে সুস্তে বড় হয়ে ওঠা আবহাওয়ায়। গোয়েন্দা জানেন এক সময় আর অপর
সময়ের জোড়ের চিহ্নটুকুই বিপন্নতা। গোয়েন্দা এই চিহ্নের তদারকি করছেন। মাঝে মাঝে চায়ের কাপে চোখ রেখে দূরত্বের কথাও ভাবছেন।
Monday, September 21, 2015
গোয়েন্দা গল্প-২
গোয়েন্দা গভীর। তাঁর পায়ের কোন
শব্দ হয় না। তিনি খিচুড়ির প্লেটে ভাজা মাছটির উল্টোদিক থেকে চেঁছে নেন খিচুড়ির
কণা, সময়, দেশি মদের দোকান। গোয়েন্দা গভীর। তিনি পূর্বপুরুষের পায়ের আওয়াজ টের
পান। গোয়েন্দা জানেন, গভীরতা মানুষকে সংকুচিত করে আকারে, আকাঙ্ক্ষায়। ফলে একশো
চল্লিশ বর্ণের ট্যুইটারও তাঁর গায়ে ঢলঢল করে।
ভাজা মাছের থেকে সরে ঢুকে পড়েন
তিনি শুকনো লঙ্কায়, তেজপাতায়, দানা দানা মালকামুসুরে। চোখে চশমা তুলে নেন। নোটবুকে
মাছের দাম টোকেন। প্লেট থেকে তিতপুঁটি ঝাঁপ দ্যায় জলে।
Sunday, September 20, 2015
গোয়েন্দা গল্প -১
লাউমাচার পেছনে সূর্য ডোবে। গোয়েন্দা
খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেন তার আভা। মাটি ফুঁড়তে
ফুঁড়তে ঢুকে যায় তামাশারঙ্গা কেঁচো। গোয়েন্দা
দেখেন। নীহারিকা অব্দি তাঁর দৃষ্টি তদারক
করে ছায়ার। নোনা হাওয়ায় দৌঁড়ে যাওয়া মানুষ
বিস্মিত করে তাঁকে। হাতে চায়ের মগ তুলে নিতে নিতে তিনি তারও তদারকি করেন। দূরে বন্দরের আলো। মুখে বসন্তের দাগওলা মানুষেরা তাস পেটায়। এনামেল একটা প্রতিধ্বনি জলের ভেতরে ডোবে। গোয়েন্দা মানুষের ধর্মের কথা ভাবেন। গোয়েন্দা বোঝেন—ঠিক যেখানটায় ঘোড়ার পিঠ থেকে পড়ে যায় মানুষ, সেখানটাই মানুষের অবস্থান—যা ক্রমে স্বপ্নে চেতনে সহজাত হয়ে ওঠে।
Subscribe to:
Posts (Atom)