বসন্তপর্যায় গেল আমাকে করলে না তুমি ভালো
রুদ্ধ করে দিলে আর শ্বাস করে
দিলে আর আমরা আমাদের সবুজ ছায়া সমেত
কাঠের চেয়ারে একটু উদগ্র
ঝুঁকে
টেবিলে সম্পর্ক রাখা
আর সম্পর্ক বড় হতে হতে
গিলে ফেলছে আমাদের
পকেটে হাত রেসকোর্সে নিজাম প্যালেসে
শিসে আর অগোচরে উগরে দিচ্ছে
হাতঘড়ি বাউটি এমন কী আমাদের
প্রচুর পার্থক্যগুলো
সিনট্যাক্সের জটিলতাগুলো
ওয়ার্ডপ্রসেসর থেকে একটা
জানলা খুলে ভোর হচ্ছে
একটা খুব আলোমত কার্সার
ডেকে উঠছে মোরগের বদলে
এমনকী লঘুতা থেকে
গুরু হতে যাচ্ছে বসন্ত
ঘুম এসে ফিরে গেল তবু
করলে না ভালো
বসন্তপর্যায় গেল আমাকে করলে না তুমি ভালো
একটা কমলা পারা ডাক
দিলে জলে ও বিন্যাসে
ধবধবে বিছানায় লাল অন্ধকার
আয়ত পর্ণমোচী আর নিমেষের মত ঝরে পড়া
করলে না ভালো তুমি চেয়ে তো
দেখলে না নিসর্গে অতীতে যেটুকু ছিল না
অস্বীকারে ঠিক রয়ে গেছে
অবসর থেকে মুখ ফেরা নেমে গেলে
চিড়িকপতিংগা
আঙ্গুলের খুরাফাত থেকে ভেজা
বিস্তার থেকে জরা থেকে
চর্চা ও ছই থেকে নদীর কাঠামো
থেকে পিস্তল শানিয়ে
নেমে গেলে...
কেন এই পাতা
পানুর ইচ্ছা, লেখক হইবেন । বাঙালি, লেখক না হইতে পারিলে নমো নমো করিয়া পাতের সংস্থান যদি বা হয় জাত রক্ষা হয় না - যথা আঁটকুড়া কুলীন । পানু বিস্তর পরিশ্রম করিলেন । দিস্তা দিস্তা রচনাবলী, অমনিবাস চিবাইলেন । প্রথমে কাব্য টানিয়াছিল, কারণ রস - রসে পাঁউরুটি ভিজিল না । পানু ঘটা করিয়া কিছুদিন রবীন্দ্রসঙ্গীত লিখিলেন (ভেঙ্গেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতিরম্যায়, আট হাজার বাষট্টি টাকার দরজা, খর্চা কে দ্যায় ! অথবা, কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া, চৌমাথার মোড়ে দিব পেন্টুল খুলিয়া) হাউ হাউ করিয়া লোকে মারিতে আসিল । সমস্ত অবজ্ঞা করিয়া পানু লিখিয়া চলিলেন । যদ্যপি পানুর কলমের তোড়ে কাব্যলক্ষী কোঁ কোঁ, সম্পাদকের দপ্তরে চিঁড়া ভিজিল না । অতঃপর পানুর দুঃখে ব্যাবেজ সায়েব কম্পিউটার আবিষ্কার করিলেন । বাজারে ব্লগ আসিল । পানু ব্লগার হইলেন । এই পাতা পানুর পাতা । যা তা ।
No comments:
Post a Comment