অংগ মার্জিত
--
জন্মঃ কোদালী পাড়া, জিলা হুগলিঃ আনুমানিক
খ্রীস্টপূর্ব ৩৪৫-এ । শ্রী মার্জিত পেশায় সৌন্দর্যশিল্পি ছিলেন । খ্রীঃ পূঃ ৩২৬-এ
গ্রীক মহাবীর তৃতীয় আলেকজান্ডারের ভারত আক্রমণকালে তিনি বিশেষ প্রসিদ্ধি লাভ করেন
। পারস্য বিজয় সম্পন্ন করিয়া ভারতে পদার্পণ করিয়াই বিখ্যাত কূটকূটনীতিবিদ শ্রী বিষ্ণুগুপ্ত চাণক্যের কুটিল চালানুযায়ী সমস্ত গ্রীক সেনা কম্বোজদেশী
কুখ্যাত চর্ম উৎকুন দ্বারা আক্রান্ত হন ও কামড়ে কামড়ে চুলকানি রোগে জর্জরিত হইয়া
পড়েন । ঢোল কোম্পানিও ফেল মারিলে শ্রী আলেকজান্ডার প্রসিদ্ধ সন্ত ঋষি তড়িতানন্দের
পরামর্শ অনুযায়ী শ্রী অংগ মার্জিতের শরণাপন্ন হন, ও শ্রী মার্জিতের “বগলকুন্তলচারুসভা”-র
মেম্বারশীপ গ্রহণ করেন । কথিত, অংগ মার্জিত বালক বয়সে এক সুনামির পাল্লায় পড়িয়া
ভাসিতে ভাসিতে দূর্গম চীনদেশ ও জাপান দেশের মধ্যবর্তী “ওকিনাওয়া” দ্বীপে গিইয়া
পড়িয়াছিলেন ও তথায় “খালি হাত” বা “কারাটে” শিল্পের জনক খোদ প্যাট নোরুয়াকি মোরিতার শিষ্যত্ব গ্রহণ
করিয়া “ওয়্যাক্স অন ওয়্যাক্স অফ” নামক অতি দুরূহ প্রকৌশল আয়ত্ত করেন । এই ওয়্যাক্স অন
ওয়্যাক্স অফ কৌশলের মাধ্যমে তিনি গ্রীক সেনার তাবৎ গাত্ররোম ও তৎলিপ্ত উৎকুনকূলের সমূলে বিনাশ করায় মহাবীর
আলেকজান্ডার তাঁহারে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করেন । এই নোবেল পুরস্কার অতি অসাধারণ
তাৎপর্যপূর্ণ কারণ আলফ্রেড বার্নাড
নোবেলের জন্মের ২১৫৯ বৎসর পূর্বেই শ্রী মার্জিত ইহা অর্জন করেন । পরবর্তী কালে
গ্রীক দার্শনিক মেগাস্থিনিস এই কৌশল আয়ত্ত করিয়া গ্রীকদেশে মহিলা সমাজে ইহার
প্রচলন করেন । দূর্ভাগ্যবশত গ্রীস এবং ট্রয়ের যুদ্ধের কারণ হিসাবে ঐতিহাসিকরা ওয়্যাক্স
অন ওয়্যাক্স অফ কৌশলকেই দায়ী করে থাকেন । মহাকবি কালিদাস রচিত কাব্যগ্রন্থ “অভিজ্ঞানম শকুন্তলম”-এর
পরবর্তী কাব্যগ্রন্থ “আয়ে না বালম”-এ ইহার সকরুণ বর্ণনা রহিয়াছে । দক্ষিণ ভারতীয় বংশোদ্ভূত গ্রীক সম্রাট
আগা মেনন-এর ভ্রাতা রাজা মেনেলাউস (তর্জমায়ঃ উৎকুন শ্রেণীর উৎপাত মানিয়া
রাজ্যপালনকারী নৃপতি), উৎকুন সমস্যায় পিড়ীত হইয়াও ইহার প্রতিকারের কোন ব্যবস্থা না
করিলে পাটরাণী হেলেন, মেগাস্থিনিস-এর শরণাপন্ন হন এবং হেড টু বটম ওয়্যাক্স অন
ওয়্যাক্স অফ কৌশলের প্রয়োগ করিয়া বোম্বাই নগরীতে চলচিত্রে অভিনয় শুরু করেন । আপাদমস্তক
রোমহী্নাবস্থায় তাঁহার “মেহবুবা মেহবুবা” নামক রোমহর্ষক নৃত্য দেখিয়া ট্রয় রাজকুমার প্যারিস তাঁহারে
প্রেমনিবেদন করেন ও সাইকেলের হ্যান্ডেলে বসাইয়া ট্রয় নগরীতে নিয়া যান । বাকি হোমার-দেবের
“ইলিয়াড”-এ বর্ণিত আছে ।
শ্রী মার্জিত কতৃক প্রচারিত ওয়্যাক্স অন ওয়্যাক্স অফ কৌশলই প্রচলিত গ্রীক ও রোমান
উত্তরীয় ও টোগা শিল্পের পথ সুগম করে । এই শিল্পের জ্ঞান না থাকায় বাকি পৃথিবী
আচকান, জোব্বা, পাগড়ির ন্যায় বর্বর পোষাকেই অভ্যস্ত থাকিতে বাধ্য হইয়াছিল (দ্রঃ "নিয়তি কেন বাধ্যতে"
চেঙ্গিজ খানের চিত্রের সহিত তুলনীয়) ।
No comments:
Post a Comment