জগৎপিতা ৯লাধরঃ নেপালের ৯চ্ছবি রাজ বংশের শেষ প্রতিভূ, যিনি সনাতন বৌদ্ধ ধর্মের সহিত সমস্ত সংশ্রব ত্যাগ করিয়া শাক্তত্ব গ্রহণ করিয়াছিলেন । জগৎপিতা ৯লাধর ১৮৭৫ খ্রীস্টাব্দে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং জনপদে জন্মগ্রহণ করেনঃ মাতা ৯লাবতী ৯চ্ছবি, পিতাঃ জগৎঠাকুদ্দা ৯লাসাগর ৯চ্ছবী। জগৎপিতা ১২ বৎসর বয়সে অতীশ দীপঙ্করের জন্মভূমি বজ্রযোগিনী গ্রামে গিয়া হলাসনকেন্দ্রিক তন্ত্র শিক্ষা করিয়া, অধিকতর তন্ত্রশিক্ষার্থে কামরূপ কামাখ্যায় পদার্পন করেন। সেই স্থলে প্রখ্যাত জর্মন দার্শনিক ফ্রেড্রিক এঙ্গেলস-এর সহিত তাঁহার সাক্ষাৎ হয় ও তাঁহার সাধনার মোড়বদল হয় । পূর্বে তন্ত্রবিদ্যায় গুরুবাদ প্রবল থাকিবার কারণে তাহাতে যুক্তিপূর্ণ আলোচনা বা ডায়ালেক্টিক্স-এর কোন পরিসর ছিল না। এঙ্গেলস সায়েবের সহিত আলোচনার প্রেক্ষিতে জগৎপিতা ডায়ালেক্টিক তন্ত্রবাদ নামক সাধনায় লিপ্ত হইয়া পড়েন ও উচ্চউচ্চতর শিক্ষার্থে খোদ জর্মন দেশে গমন করেন । জর্মন দেশে এঙ্গেল সায়েবের সহকর্মী প্রখ্যাত সমাজবিজ্ঞানী ও দার্শনিক কার্ল মার্ক্স সায়েবের সহিত পরিচয় ও ঘোর ডায়ালেক্টিক আদানপ্রদাণ-এর পর তিনি মার্ক্সীয় তন্ত্রবাদ নামে এক নূতন সাধনা পথের আবিষ্কার করেন । ঐতিহাসিক বরুন ধাড়া’র মতে – “এ হওয়ারই ছিল, ভেবে দ্যাকো, তন্ত্রে কী জরুরী ? না জবাফুল আর রক্ত, এমনকী কারণকেও লোকে লালপানি বলে, ফলে লাল ও লাল মিলে যে লালেল্লাল হবে তাতে আর সন্দেহ কোতায়” – বলাই বাহুল্য এই প্রগূঢ় যুক্তি মানিতে বিশ্বের পন্ডিতকূলের কোনপ্রকার অসুবিধা হয় নাই । ১৯১৩ খ্রীস্টাব্দে, জর্মনি হইতে রুশ দেশে বেড়াইতে গিয়া জগৎপিতা রুশী বিপ্লবের সম্মুখীন হন । বলশেভিক পার্টির মুখ্য তন্ত্রাচার (পুং পার্টি সদস্যদের নিয়মিত ক্ষৌরকর্মের মাধ্যমে গুপ্তাংগ মসৃণ রাখা)– তাঁহাকে যার পর নাই আকৃষ্ট করে ও ফলে ভ্লাদিমির এলাচ লেনন-এর অনুরোধে মার্ক্সীয় তন্ত্রযোগে অর্থডক্স কিরিস্তান তান্ত্রিক গ্রিগরি রাসপুটিনের মোকাবিলায় তিনি রাজী হন । রাসপুটিন যোগ-এর সর্বাপেক্ষা দুরূহ, দূর্গম পথ “ভোগযোগ”-এ নিতান্ত পারদর্শী ছিলেন ও তৎকালীন পৃথিবীতে এক দূরারোধ্য, দূর্লঙ্ঘ্য, দূর্দমনীয়, দূর্ধর্ষ, দুঁদে, দুশমন হিসাবে পরিচিত ছিলেন । এলাচ লেনন ও জগৎপিতা প্রচূর পরামর্শ করিয়া রাসপুটিনকে ধরাধাম হইতে বিলীন করিবার উদ্দেশ্যে আফ্রিকা হইতে একশত গোরিলার আমদানি করিয়া, রাসপুটিনের কুশপুত্তলিকার দাড়িতে ভোদকা ও শুষ্ক মরিচের গুড়ায় সিক্ত কদলী বাঁধিয়া এই গোরিলাদলকে প্রশিক্ষণ দেন । খিয়োনিয়া গুসেভা নামক এক প্রাক্তন পতিতা ও সন্ত ইলিওদোর-এর নেতৃত্বে উক্ত গোরিলাদল রাসপুটিনকে ২৯-শে জুন ১৯১৪-এ আক্রমণ করে । কিন্তু মহাযোগী রাসপুটিন প্রবল ছুরিকাহত হইয়াও, যোগবলে নিজেরে সারাইয়া তোলেন । এই ব্যর্থতার পর জগৎপিতা ৯লাধর ইংরাজ গুপ্তচর বিভাগ সিস (SIS) এর সহিত গাঁঠবন্ধন করেন ও দীর্ঘ প্রায় দুই বৎসরযাপী পরিকল্পনার অবসানে ১৯১৬ খ্রীস্টাব্দের ৩০শে ডিসেম্বার যুগপৎ সায়ানাইড, যষ্টি, বন্দুকের কুঁদো ও উকিলের ছদ্মবেশধারী এজেন্ট ০০৭-এর মন্ত্রপূত ওয়েব্লি .৪৫৫ রিভলভার-এ কাম তামাম করিয়া, জারতন্ত্রের কফিনে প্রধান পেরেকটি পুঁতিয়া হোলসেল সমাজতন্ত্রের আগমনের পথ সুগম করেন ।
(ফুঃনোঃ বলশেভিকদের প্রতি প্রীতি রাখিলেও মেনশেভিক গোষ্ঠী জগৎপিতার চক্ষুশূল ছিলেন, কারণ এই ট্রটস্কিপন্থীরা পূর্নাংগ শেভিং-এ বিশ্বাস রাখিতেন যাহা সনাতন বৌদ্ধ আচার বলিয়া সুবিদিত । কথিত, জোসেফ স্তালিন এর ট্রটস্কি হত্যার পিছনে জগৎপিতার ইন্ধনই মুখ্য কারণ ছিল)