অস্তিত্ব একটা আকীর্ণতা মাত্র
মাঝরাস্তা থেকে যে ঝাঁপ দেয়
খাদে, পরিখায়
আর গুটিয়ে নিতে চায় নিজেকে
আরও ঘন এক অস্তিত্বের মধ্যে
অথচ ছড়িয়ে পড়তে চায়
চিহ্ন থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে চায়
--
আমার চিহ্ন জিরোচ্ছে তোমার চিহ্নের ওপর
ফুল ফোটা আর শুকিয়ে যাওয়ার মধ্যে
বন্ধ হয়ে এল কবরখানার দরজা
বন্ধ ঘরে যে দিকেই ফিরি
অস্বীকারে হাত ঠেকে যায়
চিহ্নের বিপক্ষে যত কথা হল
সব কথা চিহ্নিত হয়ে থেকে গেল
মাঝখান থেকে
গুহাচিত্রের গায়ে আঙ্গুল দাগানোর
গল্পগুলো আবছা হয়ে গেল
আমাদের অভিসন্ধি, যুদ্ধবিরতি, জলছবি
সব
--
যেমন শূন্যতা একটা প্রবাহ
যা দৃশ্যমানতার কাছে এসে ভেঙ্গে যায়
আর সমস্ত কণাকেই মানানসই মনে হয়
স্থিতির বিপক্ষে, গতির বিপক্ষে
আমাদের আর কিছু বলার থাকে না
নীল দরজা থেকে
বেরিয়ে আসা কাতরানোর আভাসগুলোকেও
আর বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় না
--
থেমে যাওয়া একটা প্রক্রিয়া যে
নিরন্তর গতির মধ্যে
ঝালিয়ে নেয় নিজেকে
আড়ষ্ট কাঁধ নিয়ে
আগুন পোহায়
পূর্ণতা নিয়ে ভাবতে ভাবতে
পূর্ণতা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়
ঘষটে ঘষটে এগিয়ে যায়
শূন্যতার দিকে
শূন্যতাসমেত
--
কেন এই পাতা
পানুর ইচ্ছা, লেখক হইবেন । বাঙালি, লেখক না হইতে পারিলে নমো নমো করিয়া পাতের সংস্থান যদি বা হয় জাত রক্ষা হয় না - যথা আঁটকুড়া কুলীন । পানু বিস্তর পরিশ্রম করিলেন । দিস্তা দিস্তা রচনাবলী, অমনিবাস চিবাইলেন । প্রথমে কাব্য টানিয়াছিল, কারণ রস - রসে পাঁউরুটি ভিজিল না । পানু ঘটা করিয়া কিছুদিন রবীন্দ্রসঙ্গীত লিখিলেন (ভেঙ্গেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতিরম্যায়, আট হাজার বাষট্টি টাকার দরজা, খর্চা কে দ্যায় ! অথবা, কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া, চৌমাথার মোড়ে দিব পেন্টুল খুলিয়া) হাউ হাউ করিয়া লোকে মারিতে আসিল । সমস্ত অবজ্ঞা করিয়া পানু লিখিয়া চলিলেন । যদ্যপি পানুর কলমের তোড়ে কাব্যলক্ষী কোঁ কোঁ, সম্পাদকের দপ্তরে চিঁড়া ভিজিল না । অতঃপর পানুর দুঃখে ব্যাবেজ সায়েব কম্পিউটার আবিষ্কার করিলেন । বাজারে ব্লগ আসিল । পানু ব্লগার হইলেন । এই পাতা পানুর পাতা । যা তা ।
ei lekhaTa kikore likhle tumi?
ReplyDeleteei lekhaTa kikore likhle tumi?
ReplyDeleteArre ettodin por ! Thanku thanku ! maane khisti korchhis ki-naa jaani naa... compliment hisebe nilaam :-)
ReplyDeletenijer astitwer pokhkhe bipokhkhe bhaabaa -- eiTuku maatro...durakam juto pore dekhaa aar ki ! foskaa katorakam hoy ! ;-)