এরপরও উত্তরের জন্য অপেক্ষা করে
আমাদের ছায়ারা
সন্দেহের মধ্যে ডুবে যেতে যেতে
ভোর ও আলোর কথা ভাবে
নবীকরণের কথা
এক প্রাচুর্যের কথা
অবধারিত এক প্রাচুর্যের কথা
--
সমস্ত পথই একএকটা সিদ্ধান্ত মাত্র
বিবাহসূত্র ছিঁড়ে
ছুটে যাওয়া
জুয়ার টেবিলে
শিথিলতা আর তার পূনর্বিন্যাস
প্রকল্পের কথাও ভাবি
চামড়ায় দাগানো বিশ্বাস
যেমন মানুষের জন্য অপেক্ষা করে
ঠোঁট উঁচু করে অন্যমনস্কতায়
ঢুকে যায়
--
খুব অতিরিক্ত হয়ে ছিলে
পর্যাপ্ত গতিহীনতায়
ঘুম এসেছিল, মুখে আলো পড়ছিল তবু
ত্রুটি্ময় বাতাস বইছিল
বাতাসের চার কোনা উড়ে যাচ্ছিল
এইসব অস্পষ্টতাই আমাদের চিহ্ন
নির্মানের গায়ে
আমাদের বিভ্রাটই আমাদের প্রকৃত নির্মাণ
ক্রিয়াশীল, নিরন্তর – অনায়াস
--
তবু সত্য নয়, প্রত্যাশা ও প্রত্যাশার মত সব জানলা
স্বাস্থ্যকামী বিপন্ন ভ্রমণ
তোমার আদলে, ভাষা এসে পড়ে
ভাষার স্পর্শ
স্বভাবত কর্কশ, খড়খড়ে
আর তাই দৃশ্যমান
ঘাড়ে, নখে
--
যে ভাবে প্রশ্নপত্রের কাছে
সে ভাবে স্মৃতির কাছে
যাওয়া
যাওয়া লেগে থাকে অবনত ডোরবেলে
পরিকল্পিত
সমস্ত আভাসের কাছে
পুরোদস্তুরে
--
এরপরও ঋণি থাকতে হবে
পদ্ধতির কাছে ?
প্রমাণের জন্য, কয়েক মুহূর্তের স্তব্ধতার জন্য
ঘুমিয়ে পড়তে হবে নির্মাণের মধ্যে ?
ভুল-চুক কোথা যায় ?
কোথা যায় সকালের চিনি ?
খানিকটা অভাবনীয় যা
তার অর্জন কোথায় লেগেছে ?
এস, আমার অমনোযোগে বস
দুদন্ড ঋণি থাকি নিজেদের কাছে
--
কেন এই পাতা
পানুর ইচ্ছা, লেখক হইবেন । বাঙালি, লেখক না হইতে পারিলে নমো নমো করিয়া পাতের সংস্থান যদি বা হয় জাত রক্ষা হয় না - যথা আঁটকুড়া কুলীন । পানু বিস্তর পরিশ্রম করিলেন । দিস্তা দিস্তা রচনাবলী, অমনিবাস চিবাইলেন । প্রথমে কাব্য টানিয়াছিল, কারণ রস - রসে পাঁউরুটি ভিজিল না । পানু ঘটা করিয়া কিছুদিন রবীন্দ্রসঙ্গীত লিখিলেন (ভেঙ্গেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতিরম্যায়, আট হাজার বাষট্টি টাকার দরজা, খর্চা কে দ্যায় ! অথবা, কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া, চৌমাথার মোড়ে দিব পেন্টুল খুলিয়া) হাউ হাউ করিয়া লোকে মারিতে আসিল । সমস্ত অবজ্ঞা করিয়া পানু লিখিয়া চলিলেন । যদ্যপি পানুর কলমের তোড়ে কাব্যলক্ষী কোঁ কোঁ, সম্পাদকের দপ্তরে চিঁড়া ভিজিল না । অতঃপর পানুর দুঃখে ব্যাবেজ সায়েব কম্পিউটার আবিষ্কার করিলেন । বাজারে ব্লগ আসিল । পানু ব্লগার হইলেন । এই পাতা পানুর পাতা । যা তা ।
No comments:
Post a Comment