https://drive.google.com/file/d/1Yg8c8l9ZEfa3UTrCfeyVB5X0Z2A4iLgY/view?usp=sharing
পানু'র খাতা -- যা তা
কেন এই পাতা
পানুর ইচ্ছা, লেখক হইবেন । বাঙালি, লেখক না হইতে পারিলে নমো নমো করিয়া পাতের সংস্থান যদি বা হয় জাত রক্ষা হয় না - যথা আঁটকুড়া কুলীন । পানু বিস্তর পরিশ্রম করিলেন । দিস্তা দিস্তা রচনাবলী, অমনিবাস চিবাইলেন । প্রথমে কাব্য টানিয়াছিল, কারণ রস - রসে পাঁউরুটি ভিজিল না । পানু ঘটা করিয়া কিছুদিন রবীন্দ্রসঙ্গীত লিখিলেন (ভেঙ্গেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতিরম্যায়, আট হাজার বাষট্টি টাকার দরজা, খর্চা কে দ্যায় ! অথবা, কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া, চৌমাথার মোড়ে দিব পেন্টুল খুলিয়া) হাউ হাউ করিয়া লোকে মারিতে আসিল । সমস্ত অবজ্ঞা করিয়া পানু লিখিয়া চলিলেন । যদ্যপি পানুর কলমের তোড়ে কাব্যলক্ষী কোঁ কোঁ, সম্পাদকের দপ্তরে চিঁড়া ভিজিল না । অতঃপর পানুর দুঃখে ব্যাবেজ সায়েব কম্পিউটার আবিষ্কার করিলেন । বাজারে ব্লগ আসিল । পানু ব্লগার হইলেন । এই পাতা পানুর পাতা । যা তা ।
Friday, February 3, 2023
Sunday, February 19, 2017
গোয়েন্দা গল্প
৭।
গোয়েন্দার মধ্যবয়স। দু’দিনের না কামানো দাড়ি, চিবুক ও কানের
কাছে শাদা। বিছানার পাশে গোয়েন্দার উঠতি যৌবন তার ভেতরে বসে
গোয়েন্দা লেখেন—চাঁদের কলার ধরে জেরা কর, বাঞ্চোত, জোসনা কোথায়? বিছানায় মাঝবয়েসী গোয়েন্দা,মৃদু হেসে পায়ের ওপর চাদর টেনে নেন। আসলে বয়েসের সাথে,তার নড়াচড়ার সাথে চক্রবালকেও অ্যাডজাস্ট করে নিতে গোয়েন্দা
জানেন। গোয়েন্দা জানেন শূন্যতাকে ঠিক ক’ডিগ্রি আর হেলিয়ে রাখতে হবে, অতীত ও ভবিষ্যতের মধ্যে ক্রমে দ্রুত হয়ে ওঠা পেন্ডুলামকে জায়গা করে দিতে।
৮।
তার গন্ধ ট্র্যাপড হয়ে আছে বরফের মধ্যে আটকে পড়া বাতাসে-- সেই ফুল সেই দেহ…। তবু মানুষ অপেক্ষা করে বরফের ভেতর
দিয়েও একটা শ্বাসের ওঠার, উঠে নামার। শ্বাসরুদ্ধ এই প্রতীক্ষার মধ্যে দু’একজন আবহাওয়া নিয়ে কথা বলে, গেলাস ঠিন
করে ওঠে—গোয়েন্দাও কর্ক খুলে ঢেলে নেন, আলতো চুমুক দেন, তাঁর চোখ নিবদ্ধ থাকে কর্কের ভেতর গজিয়ে ওঠা ফাঁকফোকরে। গোয়েন্দা বোঝেন, আমাদের মাথার ওপরের ছাদ, চার পাশের দেয়াল সবকিছু, সমস্তসব, প্রশ্ন দিয়েই তৈরী। গোয়েন্দা হাতের গেলাস ঘোরাতে ঘোরাতে কোটের ল্যাপেলে হাত রেখে হেঁটে যান
সেই প্রান্তসীমার দিকে, সেই জলের
মাঝখানে সমাপ্ত হয়ে যাওয়া পয়েন্টের দিকে, যেখানে যাওয়া ও ফেরার পথ দু’ই শেষ হয়ে আছে। গোয়েন্দা সেখানে দাঁড়িয়ে খোঁজ খবর নেন তাঁর ড্রয়িং রুমের, লনের—যা
ছাড়াছাড়া হরফ হয়েই রয়ে গেছে।
৯।
২৪ ইঞ্চি রিইনফোর্সড
কংক্রিট।
এই পথে গোয়েন্দা বিশ্বাস রাখেন। বিশ্বাস যে পথ দিয়ে মানুষকে সুনিশ্চিত করে নিয়ে যায়,গোয়েন্দার আস্থা সেখানে
ফুরিয়েছে—তা’ও
বহুদিন হল।
শূন্য এক পবিত্রতার মধ্যে বনপাহাড় দাউদাউ করে। মানুষের বসতির গন্ধ ধীরে
ধীরে ঢুকে যায় লেবুঘাসে, ইতস্তত স্যালভিয়ায়…। এক লোহার
দোলনায় দ্বন্দ্বের মধ্যে দুলতে দুলতে গোয়েন্দা দেখতে পান--
মানুষ তার শীর্ণতা নিয়ে আলোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আলোতে মানুষের ছায়া ধীরে ও
প্রত্যয়ে শেষ হয়ে আসছে।
১০।
পাথরের ফাটল থেকে উঠেছে, চারা, সাদা গোলাপের বুনো ফল। মুয়াজ্জিন আসছেন ত্রস্ত
পায়ে, ফজর
ডাকছে।
গোয়েন্দা ঘাসের ভেতর থেকে এ’সমস্ত দেখেন, গোলাপ ফলের ভেতর থেকে…
গোয়েন্দা দেখেন, অবসাদ ঘুরে বেড়াচ্ছে বাতাসে,
অক্ষর হয়ে, বাক্য হয়ে, জমাট বাঁধছে ভেঙ্গে উঠছে,
গাছ ছেঁকে নিচ্ছে সেই সব অবসাদ,
তাকে উপযুক্ত কার্বন করে নিচ্ছে। গোয়েন্দা জানেন মানষের
স্বভাব, তার
আত্মপ্রবঞ্চন-- সময়ে
সময়ে কব্জির শিরা অব্দি কাঙ্খায় দপদপ করা কাঁচের টুকরোকে নিয়েও সে রিফাইনমেন্টের
কথা ভাবে, হীরের
কথা ভাবে, দু’টো-একটা কবিতা লিখে উঠতে পারে। গোয়েন্দা জানেন মুহূর্তই
সব-- মুহূর্তই
জানে খুনীর চেহারা জলরঙ্গের মধ্যে দিয়ে কীভাবে আচমকা স্বচ্ছ হয়ে যায়…শ্যাওলার নীচে পাথরের খাদ্য
হয়ে থেকে যায়।
Friday, September 9, 2016
গোয়েন্দা গল্প ৪-৬
এ চত্বরে আসা হয়ে ওঠেনি বহুদিন। হঠাত মনে পড়ে গেল। গোয়েন্দা গল্প বলে একটা সিরিজ লেখা হয়েছে কিছুদিন হল, বই হয়ে বেরোবে ২০১৭ কলকাতা বইমেলায়। তার থেকেই একটু একটু করে...
---সব্যসাচী
৪।
---সব্যসাচী
৪।
অনেক রাতের ট্রেন থেকে নেমে পড়ছে সে। ইন্দ্রিয়ের মত। বস্তুর মত। গোয়েন্দা অনুসরণ করছেন তাকে। বালির বস্তার মধ্য দিয়ে, মৃদু
ট্রেঞ্চের মধ্য দিয়ে, অন্ধকারে উঁচু ফ্ল্যাটবাড়ির জানলা
দিয়ে ফেলে দেয়া কুচিকুচি চিঠির মধ্য দিয়ে বেমানান হয়ে উঠছে তার ফেরা। গোয়েন্দা অনুসরণ করছেন তার ফেরাটুকু—যেন-বা কোথাও কারো যাওয়ার ছিল না।
৫।
গোয়েন্দা গভীর। তাঁর পায়ের কোন
শব্দ হয় না। তিনি খিচুড়ির প্লেটে ভাজা মাছটির উল্টোদিক থেকে চেঁছে নেন খিচুড়ির
কণা, সময়, দেশি মদের দোকান। গোয়েন্দা গভীর। তিনি পূর্বপুরুষের পায়ের আওয়াজ টের পান। গোয়েন্দা জানেন, গভীরতা
মানুষকে সংকুচিত করে আকারে, আকাঙ্ক্ষায়। ফলে একশো চল্লিশ বর্ণের ট্যুইটারও তাঁর
গায়ে ঢলঢল করে। ভাজা মাছের থেকে সরে ঢুকে পড়েন তিনি শুকনো লঙ্কায়, তেজপাতায়, দানা
দানা মালকামুসুরে। চোখে চশমা তুলে নেন। নোটবুকে মাছের দাম টোকেন। প্লেট থেকে তিতপুঁটি
ঝাঁপ দ্যায় জলে।
৬।
যতই এড়িয়ে যেতে চান, সূত্র গোয়েন্দাকে ছেড়ে উঠছে না। শেষমেষ যোগাযোগ একটা হয়েই যায়, অপরাধের সাথে, আলু পটলের ডালনার সাথেও একটা যোগাযোগ…। জিরে আদাবাটার ভেতর দিয়ে কামের মধ্য
দিয়ে হাতের তারে অন্তরা টপকে যাওয়া একটানা
একটা স্তব্ধতা
মানুষকে পেয়ে বসতে চায়—ক্রিয়ার থেকে
কর্ম খসে গেলেও সে আর কিছু না হোক গ্যারোটি হয়েই মানুষের গলার দাগে ঢুকে যেতে চায়…যোগাযোগ হয়েই থেকে যেতে চায়।
Wednesday, October 14, 2015
কবি পানু সিংহের একটি এসেনশিয়াল উপলব্ধি
শৃগাল অর্থাৎ শিয়াল অনেক ধরণের
হয় যথা; খ্যাঁকশিয়াল, ভুঁড়োশিয়াল ও কমারশিয়াল। অবশ্য পারশিয়াল বলিয়া এক প্রজাতির
শিয়াল কমারশিয়ালকে শিয়াল জাতির অন্তর্ভূক্ত বলিয়া গণ্য করেন না।
ছেঁদো কথা -২
মানে বোলছিলম কী, মৌলিক বিসোয়
না থাকলে মৌলিক বিস তো আছে! আর্সেনিক, ওই যে চুহা-ফুহা মারে! তা আমার বিসোয়বুদ্ধি
বোলে—বিসোয় না থাকলে বিস পিয়ে লিন। রোবি
বাবু জেনে সুনে পিয়ে নিলেন, তার পোর তার বিসোয়ও হোলো নোবেলও হোলো, আর বিসের এফেক্ট
দেখেন—রোঞ্জন বাবু তো ছত্তিস জেনারেসান বাদ
ভী ওহি চুসে চুসে ঢের সারা বিসোয় পেলেন। আরে সোক্রাত সাহিব-এর কোথাই ধোরেন না!
রোবি ঠাকুর তো উনার পাস থেকেই সিক্সা নিয়েছিলেন। সোক্রাত সাহিব হেমলোক পিলেন আর
পোরের জোন্মে সাইলক হোয়ে ভেনিসে বোসে সুদের কারবার কোরে মালামাল হোয়ে গেলেন! ইসব
সেক্সপীয়ারে আছে! আরে মোসাই সুধু এই সোব না। সেক্স আর পেয়ার ও আছে। ভালো বই, দেখে
লিবেন!
কিছু শোনা, বাকী বোনা
পরামাণিকের পো, যারে কয়
স্বভাব-কবি। ছুতোরকে দেখলে এই বলল-- “ওরে ও ভাই
ছুতোর/ তোর কিসের চাপান উতোর”, তো ওই রোগা
কামারকে দেখে ফুট কাটলো-- “সোনাই পোনাই কামার/ হাপর কি
তোর মামার?/ক্যাংটা হাতে পেটাস লোহা/ শব্দ বেরোয় তামার”।
পাড়ার গয়লা কালো, কবি না হলেও
কবিতা পড়ে, প্রিয় কবি শ্রী শ্রী অবোধ সরকার। একদিন, তাকেও পরামাণিকের পো দিয়ে বসল
খোটা—“মিশকালো গয়লা, গায়ে বড় ময়লা”।
গয়লা তো ক্ষেপে যাকে বলে ক্ষীণ! সেও গলা কাঁপিয়ে রিটালিয়েট করল –“নাপিতের
পোঙ্গায় ডান্ডা”! পরামাণিক তো হেসে খুন, বলে – “মিললো
না তো”। গয়লা বললো—“তাতে
কী? লাগলো তো?”
ছেঁদো কথা-১
অতঃপর কবির রোমহর্ষক সাক্ষাৎকার পড়িতে
পড়িতে পানু সিংহের সাহারায় শিহরন জাগিল। বগল ছম ছম করিয়া উঠিল।পানু সিংহ হতবাক দেখিতে
লাগিলেন তাঁহার অন্তঃস্থলে নানা বিচিত্র আবেগসকলের স্বয়ংক্রিয় প্রস্ফুটন। এই ধাঁইধাঁই
করিয়া চক্ষে জল আসিল, তো করতল অশ্রুনিবারণহেতু চক্ষের নিকটে আনিবা মাত্র, সে অশ্রু
ভীমবেগে ব্লাডারের দরজায় ঘা দিয়া ঝাঁপতালে গাহিয়া উঠিল —“খোল খোল দ্বার”।
আহা কবি যে স্থানে বর্ণনা করিতেছেন—উদভ্রান্ত সেই
আদিম যুগে স্রষ্টা যখন পুলিশ কমিশনারের বাসায় আসন পিড়ি হইয়া আলুর ছেচকি সহযোগে পাম
তেলে ভাজা নুচি খাহিতেছেন!-- অহো! হৃদয় হইতে কেঁউকেঁউ করিয়া উদ্গার উঠিয়া আসে! সে কী
দৃশ্য, সে কী বর্ণন! অহো আজ পানু সিংহ ধন্য, তাহার চার চোদ্দং ১৩২ জেনারেশান ধন্য!
Subscribe to:
Posts (Atom)